![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকার নির্জন রাতে সিগারেট টানতে টানতে একাকী হেটে বেড়াতে ভাল লাগে। ভাল লাগে নির্ঘুম রাতে সমুদ্রের পাড়ে বসে একা একা কাদতে। মাঝে মাঝে নির্ঘুম রাতগুলো ভীষন কাদায়,বেচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে যায় তবুও বেচে আছি,বেচে থাকার প্রয়োজনে। স্বপ্নময় চোখে বারবার স্বপ্ন দেখি,স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায় ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো নিয়েই আমার বেচে থাকা বেচে থাকা কারও ফিরে আসার অপেক্ষায়........................
প্রথমেই আমি বলে নিচ্ছি যে,আমি অতীতের সকল শ্রদ্ধেয় নেতাদেরকে সমালোচনার উর্ধ্বে রাখতে চাই।আব্দুল হামিদ খান ভাসানী,বঙ্গবন্ধু,জিয়া সবাইকেই আমি সম্মান করি এবং সমালোচনার উর্ধ্বে রাখতে চাই।
আমি একজন যুবক।তাই আমি আমার প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের নিয়ে কথা বলতে চাই।
ওইদিন নিরীহ মনিরের জলন্ত লাশ দেখে অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি।যেমনটি পারিনি বিশ্বজিৎকে দেখে।যেমনটি পারিনি শিশু আরমানের মৃত দেহ দেখে।
রাজনীতির মাঝে প্রতিনিয়ত চলছে ক্ষমতার লড়াই।আর এই লড়াইয়ের বলি হচ্ছে নিরীহ মনির, বিশ্বজিৎ, আরমানরা।
প্রতিদিন রক্তে রন্জিত হচ্ছে রাজপথ।এখন বিএনপি জামায়াত হরতালে মানুষ মারছে।একসময় আওয়ামীলীগও একই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল।তারাও যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে কেড়ে নিয়েছিল ১৮ টি জীবন্ত প্রান।
এভাবেই একের পর এক লাশ হচ্ছে।আগুনে জলছে গোটা বাংলাদেশ।আজ মনির,আরমান,বিশ্বজিৎ কাল হয়ত বলি হতে পারেন আপনি,পরশু আমি,তারপর আমাদের সন্তানেরা!!
এভাবে কত রক্ত গেলে রাজনীতিবিদরা শান্ত হবেন?
ছোটবেলায় দাদার কাছে গল্প শুনতাম রক্তখেকো ডাইনীদের।এই ডাইনীরা রক্ত খেয়ে জীবন ফিরে পেত,আবার অমরও হত।তবে তাদের রক্ত খাওয়ার একটা সীমা ছিল।যেমন ১০০ মানুষের রক্ত খেতে পারলে সে ক্ষমতাবান হয়ে যেত,আর একটা হাসি দিত।
কিন্তু আমাদের বর্তমান রাজনীতিবিদদের কি রক্ত খাওয়ার কোন সীমা আছে?যদি থেকে থাকে তবে তা কত?
নাকি সীমাহীন?তাহলে কি তারা ওই গল্পের ডাইনীদের চেয়ে বড় কিছু?তবে আমি দুঃখিত যে উনাদের মানুষ বলতে পারলাম না।কারন মানুষ রক্ত খায় না।রক্ত দেখে হাসেও না।
প্রানীর মধ্যে আমরা কুকুরকেই নিকৃষ্ট মনে করি।তবে আমার জীবনে কোনদিন দেখিনি এক কুকুর অন্য কুকুরকে মেরেছে।রক্ত পান করেছে।
তাহলে আমাদের রাজনীতিবিদরা কি?
যারা ক্ষমতার লড়াইয়ে একের পর এক লাশ উপহার দিচ্ছে।খালি করছে মায়ের বুক।মুখে দিচ্ছে শান্তির বানী আর অন্তর থেকে আমাদেরকে পান করাচ্ছে জীবননাশক বিষ।তারা আসলেই কি মানুষ?নাকি অন্য কোন নিকৃষ্ট প্রজাতি?
এই প্রশ্নগুলো শুধু আমার নয়।এ প্রশ্ন বাংলার নিরীহ যুবপ্রজন্মের।
আমরা কি এই প্রজাতি থেকে কখনো মুক্তি পাব?কেউ দিতে পারবে আমাদেরকে একটি উজ্জল ভবিষ্যত?
নাকি এদের হাতেই বলি হতে হবে আমাদের প্রজন্ম ও আগামীর প্রজন্মগুলো?অশুভ শক্তি কি ঘিরে রাখবে গোটা বাংলাদেশকে?
বি: দ্র: এখানে ভাদা,পাদা,আদা নিষিদ্ধ এবং এখানে কোন বিশেষ দলকে দোষারোপ করবেন না।এই অবস্থার জন্যে সব দল দায়ী।প্রত্যেকটাই খুনি,রক্ত পিপাসু।
ঘৃনা করি এই প্রজাতিটাকে,অন্তর থেকে ঘৃনা করি....
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
বিজন শররমা বলেছেন: জামাতকে নিয়ে হয়েছে এখন মহা সমস্যা । তাদের ভোটার সংখ্যা বেশী নয় । বি এন পির যে জনসমর্থন আছে তাতে জামাতের ভোট ছাড়াই তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জিতে যাবে । তবে জামাতের আছে জঙ্গী কর্মী, যারা কোন কোন কাজে লাগে । আবার জামাত বি এন পির জন্য যা করেছে তাতে তাদের ছেড়ে দেয়াও বি এন পির জন্য হবে অমানবিক । কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো, বি এন পি জামাতকে বাদ দেবার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ লিখিত বা অলিখিত ভাবে তাদের সাথে নিয়ে নেবে । তিন বছর কোন দলের সদস্য থাকার বাধ্য বাধকতা বাদ দেবার এটিও অন্যতম উদ্দেশ্য ।
বিষ বৃক্ষের ফল কোন দিন ভালো হতে পারে না । আওয়ামী লীগ যে এদেশের অমুসলিমদেরকে নিশ্চয়তা দেবার মতন শক্তি বা ইচ্ছে রাখে না তারা তাদের কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে । এবার যদি বি এন পি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে ২০০১ সালের কথা মনে রেখে কোন অমুসলিমের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া উচিত হবে না ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এই নির্বাচনে বি এন পির জেতার সম্ভাবনা । এরপর বি এন পি জামাতকে নিয়ে কি করবে সেটা তাদের বিবেক । তবে জামাতের উপর আন্তর্জাতিক চাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে । বি এন পি জিতলে (০১) বাংলার মানুষ আগামীতে নতুন দলকে নির্বাচনের সুযোগ পাবে, আওয়ামী লীগ দলীয় ভাবে নির্বাচন করলে আর তা পাবে না । (০২) আওয়ামী লীগ এদেশে বিষবৃক্ষ রোপন করেছে দেশ তার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে, আওয়ামী লীগ জিতলে তা আর হবে না ।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
এম আর ইকবাল বলেছেন:
আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে
যে জিতবেনা সে বলবে কারচুপি হয়েছে ।
পরবতির্তে সংসদে যাবে না ।
কিন্তু সুযোগ সুবিধা সবই ভোগ করবে ।
এই সংস্কৃত থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে ।
আমাদের রাজনীতির মূল সমস্যা মনে হয়
দুই নেত্রীর ইগো সমস্যা ।
সেটাকে জিইযে রাখার জন্য
প্রাণপণে কাজ করেন
তাদের ব্যাক্তিত্বহীন উপদেষ্টারা ।
আমরা চাই একটা শান্তিপূর্ণ দেশ ।
মালেশিয়া, ভিয়েৎনাম যতটুকু এগিয়েছে
আমরা তা পারিনি ।
দেশ চালিয়েছেন তো আপনারা দু জনেই ।
এটা আপনাদের সাবির্ক র্ব্যাথতা ।
আমি ঘৃনা করি এ রাজনীতিকে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
মুশে হক বলেছেন: শুধু ঘৃণায় সমাধান হবে না উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য গণবিরোধী স্বার্থবাদী রাজনীতিকে প্রতিহত করতে হবে; জনগণের ক্ষমতায়নের রাজনীতির জন্য সংগঠন ও সংগ্রাম করতে হবে বর্তমান প্রজন্মের ভবিষ্যত নিজদের হাতে গড়ে নিতে হবে