নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ,যে কিনা পৃথিবীর মানুষ গুলোকে হাসতে দেখলেই হাসে,আর কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভুল করেন না।
পৃথিবী যদি আবার আগের জায়গায় ফিরে আসত! ইন্টারনেট নামক কিছু নেই। মার্ক জুকারবার্গকে হার্ভাড থেকে বের করে দেয়ার পর সে কষ্টে গিয়ে আইসক্রিমের দোকানে চাকরি নিয়েছে। আর তাই ফেইসবুক আবিস্কার হয় নাই। টুইটার, ইউটিউব থেকে শুরু করে টিকটক নামক সকল পাগলদের একত্রিতকরণ করা কোন এপ্স আসে নাই। আসবে কোথা থেকে মোবাইল নামের যা এসেছে সেটা সেই নোকিয়া ১১০০ মডেলের উপরে উঠতে পারে নাই।
শিশুকাল
সেকেন্ডের মধ্যে ম্যাছেজ দেয়ার কোন উপায় নাই। পত্র লিখে অপেক্ষা করতে হত ৩ সপ্তাহ। তবে তাতে ভালবাসা আর আবেগের আদান প্রদানের কোন কমতি হত না। যা কিনা এখন এই ১ সেকেন্ডের মধ্যে করা যোগাযোগে নেই।পাশে মানুষটিকে বসিয়ে রেখে হাজার মাইলের কারো সাথে যোগাযোগ স্থাপন করাটা কালচার হত না।
দেশে শুধু একটা বিটিভি আছে, তবে সেই বিটিভি লেবু বিক্রি করে না। মানুষের আনন্দের খোরাক দেয়। ইউটিউব, ফেইসবুকে এত বারবাতারী ভিডিও আসত না। এক জিনিস বারবার দেখা লাগত না। সত্য-মিথ্যা না জেনেই কাউকে ছোট কিংবা বড় করার প্রবনতা থাকত না। অনেক মেয়ে-ছেলে অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হত না। পৃথিবীটা লাইক-কমেন্টস আর রিএকশনের হত না। হত একশনের। প্রতি শুক্রবার বিটিভিতে একটা ছবি দেখাত। সেটা দেখার জন্য গ্রামের সব মানুষ টিভিওয়ালার বাড়ীতে ভিড় জমানো। সপ্তাহব্যাপি রাজ্জাক আর শাবানা কি করেছে, জসিম কাকে মেরেছে আর জাম্মু কিংবা নাসির খান কি কি খারাপ কাজ করেছে-এগুলোর বিশ্লেষনেই সব আনন্দ থাকত। সেই সাথে বাড়ত সম্পর্ক। এই পাড়ার সাথে ওই পাড়ার মানুষ মিলেমিশে বাস করত।
হাত বাড়ালেই অনলাইনে বইয়ের পিডিএফ কপি পাওয়া যেত না। অনেক খুজে জানার জন্য পড়ত। কোন লেখক কিংবা প্রকাশক বই প্রকাশ করে- "আমার বইয়ের পিডিএফ চলে আসলে আমার সব কষ্ট শেষ"- এটা ভেবে ভয়ে থাকতে হত না। ছাত্ররা পরিক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পেতে আগ্রহ দেখাত না। শিক্ষকেরা ছাত্রদের ফেইসবুকে লাইক দিয়ে "বাহ খুব ভাল" না বলে মাথায় হাত দিয়ে "বড় হও বাবা" বলে দোয়া করত।
এত মিডিয়া থাকত না। সেকেন্ডে সেকেন্ডে সংবাদ পরিবর্তন হত না। চারদিকের এত খারাপ সংবাদ দেখে দেখে সামাজিক ভাবে আমরা মানসিক বিকারগ্রস্থ হতাম না। মিথ্যে সংবাদের আড়ালে মানবিকতা হারিয়ে যেত না।
সামান্য একটা ফেইসবুক মন্তব্যের কারনে কেহ হত্যা হত না। নেতারা এতটা প্রদর্শনেচ্ছা দেখাত না, রাজনীতি এত নোংরা হত না। শিশুরা স্কিন দেখে দেখে ছোট বয়সে চোখে কম দেখত না, মানসিক ভাবে ভারসম্যহীন হত না। তারা মাঠে খেলতে যেত। খোলা বাতাস কিংবা নদীর ঢেঊয়ের মত তাদের জীবন থাকত প্রফুল্ল।
এত বেশী বিজ্ঞাপন থাকত না। মানুষের অপ্রোয়জনীয় কিছুকে খুব দরকারী হিসেবে দেখিয়ে সেটা কেনার জন্য কেহ মানসিক ভাবে জোর করত না। অন্য মানুষ কিনেছে বলে আমাকে কিনতে হবে- দরকারে দেনা করে। এমন মানুষ থাকত না। খাবারের ছবি ফেইসবুকে না এসে অনাহারির সামনে যেত।
প্রেম নামের সম্পর্ক এত সস্তা হত না। পার্টনার না থাকলে কেহ কাউকে ছোট করত না। প্রেমের নামে নষ্টামী করে সেগুলো ভিডিও করে জাতীর জন্য উন্মুক্ত করে দিত না। কোন মেয় সেই কষ্টে আত্মহত্যা করত না। ব্যক্তিগত অনুমতি ছাড়া কেহ কারো গোপন কিছু তুলে ধরতে পারত না।
"কোথাও কেহ নেই" কিংবা "আজ রবিবারের" মত নাটকের বিনিময়ে আমাদের "বদমাইশ পোলাপাইন" কিংবা "ব্যাচেলর পয়েন্ট" দেখতে হত না।" মাটির ময়না" সিনেমার বিনিময়ে "সাহসী হিরো আলম" দেখাতে পেতাম না।
এতকিছু না হলে আমিও এখন অযথা সময় দিয়ে এগুলো না লিখে ৫ পৃষ্ঠা বই পরতাম কিংবা আমার বউকে বিরিয়ানী রান্নায় হেল্প করতাম। বাড়ত জ্ঞান কিংবা ভালবাসা।
এতকিছু না হলে আমরা যান্ত্রিক হতাম না, মানুষ থাকতাম। অনুভূতি অনলাইনে না, অফলাইনে প্রকাশ করতাম।
বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। আসুন বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার করি।।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি দেখছি, এত কিছু ঘটার পরও আপনার উপর সেগুলোর কোন পজিটিভ প্রভাব নেই, আপনি আগের মতোই আছেন, অন্যদের জন্য একটা বোঝা মাত্র।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫
পথিক৬৫ বলেছেন: আমি তো পজিটিভ প্রভাব নিয়ে লিখি নাই। নেগেটিভ নিয়ে লিখেছি। আর আমি কার উপর বোঝা নাকি হালকা সেই অভিযোগ কি কেহ করেছে আপনার কাছে?
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " আমি তো পজিটিভ প্রভাব নিয়ে লিখি নাই। নেগেটিভ নিয়ে লিখেছি। আর আমি কার উপর বোঝা নাকি হালকা সেই অভিযোগ কি কেহ করেছে আপনার কাছে? "
-আপনার পোষ্টগুলো অভিযোগ করছে।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদের যেমন নতুন নতুন কিছু জিনিষ বা সুবিধা দিয়েছে তেমনি অনেক পুরাতন রীতি-নীতি কেড়ে নিয়েছে। এর ভাল খারাপ দুইটা দিকই আছে ।তবে বর্তমানে মানুষের নানা রকম ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের ফলে মানুষের মানবিকতা কমে অনেকটা ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মত তথা যান্ত্রিক হয়ে গেছে। সামাজিক রীতি-নীতির পরিবর্তন হয়ে গেছে।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে ৩০ বছর আগে মানুষ বেহেস্তে থাকত। বিজ্ঞান আপনাকে শুধু কি কিভাবে হয় সেটা জানানো ছাড়া আর কিছুই করে নাই। বিজ্ঞান আবেগ কেড়ে নেয় নাই, মানুষের যে আবেগের কমতি আছে সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে, আর দোষ হয়ে গেল বিজ্ঞানের।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: চোখ জোড়া সামনে তাকানোর জন্য,ভাল মন্ধ সামনে থেকেই নির্ধারন করতে হবে পেছন থেকে নয়।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫১
নতুন বলেছেন: এতকিছু না হলে আমরা যান্ত্রিক হতাম না, মানুষ থাকতাম। অনুভূতি অনলাইনে না, অফলাইনে প্রকাশ করতাম।
বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। আসুন বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার করি।।
হতাসাবাদী বলেই এমনটা মনে হচ্ছে।
এই রকমের পোস্ট ৫০০ বছর পরেও মানুষ দেবে। বলবে ২০০ বছর আগেই ভালো ছিলো।
আগের সমস্যাগুলি চিন্তা করুন তবে বুঝতে পারবেন এখন ই ভালো এবং ভবিষ্যত আরো ভালো হবে।
৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৯
মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: হয়তো তবে আমরা জীবন আর প্রকৃতির যোগফলের যথাযথ স্বাদ পেতাম...
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে। আর ধর্ম বিশ্বাস কমিয়ে দিতে পেরেছে।
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিটিভিতে হত্যাদি দেখি তাতে মজা পাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪
অক্পটে বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। এই যুগে এসে সত্যিই আমাদের অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে। আমরা নিজেরাও যান্ত্রিক হয়ে গেছি।