নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হারানো সত্ত্বা https://www.youtube.com/channel/UC0KzULq05noDm_sAQsoYlnQ

মৌমিতা আহমেদ মৌ

আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।

মৌমিতা আহমেদ মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৪"

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

"হ্যালো, কে বলছেন?" " কে? মিতু?" গলার স্বর শুনেই মিতুর বুকটা ধক করে উঠে। হালকা গলায় বলে,"হুমম।" ওপাশ থেকে বলে,"আন্টি আছে? তাড়াতাড়ি দেও তো।" "দিচ্ছি।" বলেই মা কে ডাকা শুরু করে মিতু। মিতুর মা এসে ফোন ধরে। মিতু নিজের রুমে চলে যায়। সায়েম ভাই ফোন করেছে, মিতুর কাজিন। সায়েম ভাইয়ের সামনে গেলেই মিতুর মত দুরন্ত মেয়েটাও কেমন জানি শান্ত হয়ে যায়। ওর ছেলেসুলভ লাফঝাপগুলো বন্ধ করে কেমন জানি একটা মেয়ে সাজার দারুণ চেষ্টা কাজ করে ওর মাঝে।

এইতো গতবারও সায়েম ভাই যখন বেড়াতে আসলো ওদের বাসায় মিতু সারাদিন সুযোগ পেলেই সায়েম ভাইয়ের আগে পিছে ঘুরেছে। আর সায়েম ভাই যখন মিতুকে পড়া বুঝানোর চেষ্টা করেছে, মিতু ঠোঁট বেকিয়ে হাজরো নখরা করেছে। তাপ পরিবহন বুঝাতে গিয়ে সায়েম ভাই যখন ওর হাতটা ধরেছে, মিতুর হাত ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।

তারপর সেই হাতের দিকে তাকিয়েছিল অনেকক্ষণ সায়েম ভাই চলে যাওয়ার পরে।

মিতুর সবকথাই তনু খুব ভালোমতো জানে। মিতুর এই সায়েম ভাই প্রীতিও ওর অজানা নয়। সায়েম ভাই এই করেছে, সেই করেছে, সায়েম ভাই আজ ফোন করেছিল, মিতুকে কি বলেছে না বলেছে সবই তনুর মুখস্ত। সায়েম ভাইয়ের প্রসংগ উঠলেই মিতুর কথা আর থামে না। নাহ, কাল গিয়েই তনুকে বলতে হবে সায়েম ভাই আজকে

ফোন করেছিলো। কখন যে সকাল হবে আর ও স্কুলে যাবে। ধুরর, সকাল হতে এখনও অনেক দেরি।

ফোনটা রাখলো সায়েম। খালামনির সাথে কথা বললেই ওর মন ভালো হয়ে যায়। ছোটো খালা মানুষটাই ভালো। ফোনটা ধরেছিল মিতু। খালার বড় মেয়ে। মিতু মেয়েটা খুবই আজব আর চঞ্চল।তবে সায়েম খুব ভালোমতোই বুঝতে পারে যে মিতু ওকে পছন্দ করে। ওর সামনে এলেই মিতু কেমন জানি অস্বাভাবিক আচরণ করে। কথায় কথায় ওর সাথে রাগ করে অভিমান করে। সায়েম ব্যাপারটা ভালোই উপভোগ করে। কিন্তু মিতুকে পাত্তা দেওয়ার মত ছেলে ও না। এটা মিতুর একটা আকর্ষণ মাত্র। আরেকটু বড় হলেই ওর এটা কেটে যাবে। আর ঢাকার মেয়ে বলে কথা। ঢাকার মেয়েদের আবার একটা ছেলের প্রতি নজর টিকে থাকে নাকি!!!

বাইরে মেঘ গর্জন করছে, খালামণি বলল, ঢাকায় নাকি বৃষ্টি হচ্ছে। এখানেও বৃষ্টি হবে হয়তো। যদি কাল সকালেও বৃষ্টি হয় তাহলে তো ওর ক্লাসে যাওয়া হবে না। ইদানিং কলেজে যেতে ওর ভালো লাগে। প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশিই ভালো লাগে ওর। কলেজে না গেলে যে ওর সাথে দেখা হবে না। ক্লাশে মনোযোগ কমই থাকে সায়েমের। তারথেকেও বেশি মনোযোগ থাকে মেয়েদের সারির দ্বিতীয় বেঞ্চের দিকে । ওখানেই তো প্রতিদিন বসে থাকে রিমা। রিমা ওদের ক্লাশেই পড়ে। সায়েমের ফ্রেন্ডসার্কেলটা সবাই চিনে। ওদের সাথে কথা বলে না এমন মানুষ পাওয়া দায়। কলেজে এসে মেয়েরাও যোগ হয়েছে ওর সার্কেলে , ওদেরই একজন রিমা। শান্ত, ভদ্র একটা মেয়ে। সুন্দর চেহারা, কথা বলার সময় লম্বা বেণীটা দুলয়ে কথা বলে। কানো জানি প্রথম থেকেই রিমাকে খুব ভালো লাগে সায়েমের। ওর মধ্যে একটা মেয়েলী ভাব প্রবল। সায়েমের সবথেকে কাছের মেয়েবন্ধু কিন্তু পিয়া। পিয়ার মতো মেয়েরা বন্ধু হিসেবেই ঠিক আছে। তাদেরকে নিয়ে আর কিছু ভাবা যায় না। আচ্ছা, পিয়ার সাথে মিতুর অনেক স্বভাবই মিলে যায় না? নিজেই ভাবলো আর হাসল সায়েম। হ্যা, দুজনকেই মেয়ে গুন্ডি হিসেবে খুব ভালো মানাবে। এরকম টমবয় টাইপের মেয়েরা ভালোবাসার মতো না। নিজেই ভাবতে থাকে সায়েম। আর প্রার্থনা করতে থাকে যেন আজ বৃষ্টিটা না আসে।



" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১"

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ২" "দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৩"

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । চলতে থাকুক ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: চলতে থাকবে। আসলে যা লিখছি তাতে কল্পনা কম জীবন বেশি। জীবনের গল্প তো চলতেই থাকে। :)

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: ভালই তো । চলতে থাকুক .।.।.।.।।।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভালো লাগলো ,,,,,,,,,,চলুক

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ।
পড়লাম আপনার লেখা মৌ।

চলতে থাকুক, লিখতে থাকুন।
লেখার গভীরে প্রবেশ করুন।
লিখতে লিখতে একদিন হবে।

ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে বেশি গভীরে যেতে ভয় লাগে। যদি বের হতে না পারি!!!! আমার আবার এইটাইপের সমস্যাটা প্রবল। :)

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

লেখোয়াড় বলেছেন:
যে গভীরে যেতে পারে সে বের হতে পারবেই।
পারা না পারার ব্যাপারটি পরে দেখবেন, আগে শুরু করুন।

আমাদের একটা সমস্য আছে তা হলো আমরা সবকিছু খুব সহজেই পেতে চাই, কিন্তু চিন্তা করি না কতটুকু স্থায়িত্ব তার হবে।

সূর্য ডোবার ছবি যে অনুভব করতে পারে যে সে সূর্যকে প্রণাম করতে পারে, সে সূর্য উদয়ের আভায় রাঙাও হতে পারে।

তাই অত চিন্তা কি?
গভীরে প্রবেশ করুন।

অনেক শুভকামনা, ভাল থাকুন সবসময়।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

ডরোথী সুমী বলেছেন: কী যে হতে চলেছে! জগাখিচুড়ি! ক্লাইমেক্স এর অপেক্ষায় আছি। শুভ কামনা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: :) পড়তে থাকুন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.