![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।
সায়েমের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে জানার পর থেকেই মিতুর মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ও নামাজে বসেও সায়েমের ভালো রেজাল্টের জন্য অনেক প্রার্থনা করেছিল। কিন্তু ভালো হলো না তাও। তবে একটাই সান্ত্বনা যে সায়েম মেডিকেল কোচিং করছে আর পরীক্ষা দেওয়ার মত রেজাল্ট ওর আছে। ওর বোন কলেজ থেকে আসার পরই বলেছে যে সায়েম ভাই ফোন করেছিল। ও তখনই বুঝতে পেরেছিল কিছু একটা হয়েছে।
সায়েম কেমন জানি থেমে গিয়েছিল। মিতু অনেক বোঝানোর চেষ্টা করত সায়েমকে। তবুও কেমন জানি একটা আচরন করত সায়েম। সবার সাথে খারাপ ব্যবহার। বাসার মানুষের সাথেও কেমন জানি রাগ দেখাতো। মিতু ভাবলো হয়তো রেজাল্টের জন্যই। কিন্তূ সায়েমের মনে ছিল রিমাকে হারানোর ভয়, কষ্ট। কি করে পাবে সে রিমাকে। কোনোকিছুই আর টানত না সায়েমকে। পরীক্ষা দিল সব জায়গায়। কিন্তু প্রতিবারই মাথা গরম করে ফেলত সে। অবশেষে প্রাইভেট একটা মেডিকেলে ভর্তি হল সে। তারপর সায়েমের মাথা একটু ঠান্ডা হল। রিমাও একটা প্রাইভেট মেডিকেলেই ভর্তি হয়েছে। এখন সে দাঁড়াতে পারবে রিমার সামনে।
তনু আর মিতু সবসবয়ই স্যারদের বাসার সেরা গল্পবাজ জুটি। এমন কোনো স্যার নেই যার ক্লাসে ওরা গল্প করে না। কোচিং এ একজন না গেলে অপরজনকে স্যাররা জেরা করে। ইংরেজী স্যার তো ওদের চিট পাসিং খেলাও ধরে ফেলেছেন কয়েকদিন। দুষ্টুমীতে সেরা জুটি ওরা। সব স্যারের বাসাতেই মিতু পপুলার। সব গ্রুপের সাথেই ওর সমান খাতির । কিন্তু তনুকে ছাড়া ও বসেই না কোথাও। ফিজিক্স স্যারের বাসায় একদিন পড়া দেরীতে হবে। মিতু আর তনু বের হলো দোকান থেকে চিপস কেনার জন্য। চিপস হাতে যেই নিয়েছে অমনি কোথা থেকে বৃষ্টি শুরু হলো এমন। প্রথমে একটু ভড়কে গেলো তনু। কিন্তু মিতু হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগল। বলল,"চল, দৌড় লাগাই।" ঝুম বৃষ্টিতে দুইটা মেয়ে খিলখিল করে হাসতে হাসতে দৌড়াচ্ছে হাত ধরে। আর রাস্তার সব মানুষ তাকিয়ে আছে এই অদ্ভুত মেয়ে দুটির দিকে।
ইদানিং আফতাব কেমন জানি বদলে যাচ্ছে । তনু এটা স্পষ্ট বুঝতে পারছে। অনেক জানার চেষ্টা করেছে সে আফতাবের কি হয়েছে। কিন্তু পারেনি। আফতাব কেমন জানি আগের মত নেই। তনুর সাথে ঘুরতে চায় না, কথা বলেও কিভাবে জানি। তনু ভেবে পায়না কিছুই। কাউকে বলতেও পারেনা ওর মনের কথা। কাকে বলবে? মিতু তো এর কিছুই জানেনা। আফতাব বরাবরই ধার্মিক। ব্যাপারটা তনুরও খুব পছন্দ। কিন্তু ইদানীং ও কেমন জানি গোঁড়া হয়ে যাচ্ছে। ওর দাঁড়ি , পাঞ্জাবী পড়া নিয়ে তনুর কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু তনুর থেকে দূরে যাওয়াটা ও কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা। সবকিছু কেমন জানি অদ্ভুত লাগে তনুর। কিছুই ভালো লাগে না।
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৯"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৮"
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২
আবু শাকিল বলেছেন: কাহিনি পড়া শুরু করলাম এখান থেকেই...
"সবকিছু কেমন জানি অদ্ভুত লাগে" আসলেই তাই
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমমম। জানি ।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
ইখতামিন বলেছেন:
ঘটনাটা অনেক ভালো লাগলো.. পরে কী হলো.. মনে হয় এর পরেও আরও পর্ব হওয়া উচিত
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমম। হবে। কিন্তু একটু দেরী হবে হয়তো লিখতে।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
ডরোথী সুমী বলেছেন: কী অদ্ভুত! মানুষের আসল রূপ আসলেই বোঝা দায়। ভাল হয়েছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: মানুষ আসলে বহুরূপী। আমরা নিজেরাই জানিনা আমরা কি!!! আমরা নিজেরাই বুঝিনা আমাদের ভিতরে আসলে কে আছে। ভালো না কালো!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০০
খেয়া ঘাট বলেছেন: অস্থির তারুন্যের বিষাদমাখা ডায়েরি । ভালো লাগলো।