নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হারানো সত্ত্বা https://www.youtube.com/channel/UC0KzULq05noDm_sAQsoYlnQ

মৌমিতা আহমেদ মৌ

আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে হাজারো মানুষের ভিড়ে।

মৌমিতা আহমেদ মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ব্রেকআপ"

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

অফিস থেকে মুখটা কালো করে বের হয়েছে মহুয়া। আজ একটু তাড়াতাড়ি বের হতে চেয়েছিল ও, কিন্তু হলো না। আজ নিলয়ের আসার কথা। হুট করে কেনো আজকে ও সিলেট থেকে ঢাকায় আসলো সেটা নিয়ে এখনও মহুয়া কনফিউজড। মহুয়া আর নিলয়ের সম্পর্কটা ওরা ছাড়া ওদের আশেপাশের আর কেউ জানে না। এত দূরে থাকে ওরা দুজন আর এত কম ওদের দেখা হয় যে ওরা নিজেরাও এখনও এই সম্পর্কের ভবিষ্যত জানেনা। তাই ওরা ইচ্ছা করেই গোপন রেখেছে ওদের কথাটা সবার কাছ থেকে।
নিলয়ের সাথে মহুয়ার পরিচয়টা সিলেটেই। ওরা আলাদা ডিপার্টমেন্টে পড়লেও কয়েকটা কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে ওদের পরিচয়টা হয়। নিলয় একদম মহুয়ার বিপরীত মেরুর মানুষ। খুব চুপচাপ, শান্ত , চশমাপড়া, একটু বোকাটে চেহারার ছেলে । একদিন নিলয় মহুয়াকে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠালো হুট করেই। তারপর ফেসবুকে কথাবার্তা, আর একসময় ওখানেই ওদের দুজনের সারাদিন চ্যাটিং চলতে থাকে। একসময় বুঝতে পারে ওরা দুজনই যে দুজনকে ছাড়া দুজনের আর চলছে না। মহুয়ার পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলো আর ও চাকরি নিয়ে চলে আসলো ঢাকায়। আর নিলয় সিলেটে থেকে গেলো পড়া শেষ করার জন্য। তারপর মাঝে মাঝে হুটহাট করে ঢাকায় দেখা , একটু ঘোরা, সারাদিন চ্যাটিং আর স্কাইপে কথা বলা এভাবেই চলছে ওদের দিনগুলো।
"কখন আসলে?" "এইতো একটু আগে, তোমার আজ এত দেরী হলো যে?" "হুম, অফিসে আজ কাজ ছিল অনেক।" "চলো কোথাও বসি।" দুজনে একটা কফিশপে বসে কফির অর্ডার দিলো। "আমি আর পারছি না", নিলয়ই নীরবতাটা ভাংগল। "মানে??!!" মহুয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল। "মানে এভাবে কতদিন? আর আমি জানিই না যে এর ভবিষ্যত কি!!" মহুয়া ওর কথাটা শুনে চুপ করে থাকলো কয়েকমিনিট। কিছুক্ষণ বাইরের গাড়িদেখলো রাস্তার । তারপর নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বলল," ঠিক আছে। আজকে থেকে আমাদের মাঝে আর কিছু নেই, আমরা শুধু বন্ধু।" নিলয় ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল, "তুমি খুশি? তোমার কি একটুও খারাপ লাগছে না?" "নাহ। ব্রেকআপই যখন হবে তখন এত ভেবে কি লাভ। আর ঐ টিপিক্যাল কান্নাকাটি করে ব্রেকআপ করাটা আমার পছন্দ না। তার থেকে দুজন হাসিমুখে আলাদা হবো।" কথাটা বলা শেষও হয়নি, মহুয়া দেখে নিলয় বাচ্চাদের মতো হাুউমাউ করে কাঁদছে। "আরেহ কাঁদছ কেনো?" মহুয়া নিলয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। নিলয় কান্নার দমকে কিছুই বলতে পারে না। শুধু ফোঁপাতে থাকে। মহুয়া হাসে। বলে,"আমাকে ছাড়া যখন থাকতেই পারবে না তাহলে বলো কেনো এসব? বোকা ছেলে!!!" নিলয় মহুয়ার হাতটা ধরে ফোলা ফোলা চোখ নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে।



***অনেকদিন পর লিখলাম। নিলয় চরিত্রটার মত একটা মানুষকে ইদানীং দেখছি, তাই হুট করেই লিখতে মনে চাইলো!!! জানিনা কেমন হলো লেখাটা , একটু বেশিই ছোট হয়ে গেলো!!***

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: সুন্দর :)
কিন্তু শেষ হয়ত আরও সুন্দর হতে পারত।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ভাইরে, সত্যি কথাটা বলবো??? অন্ধকারে বসে মশার কামড় খেতে খেতে লিখছিলাম, তাই একটু বেশি তাড়াহুড়া করে শেষ করতে হয়েছে!!! :D

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহালে.. লুতুপুত আবেগে মাখামাখি ;) :):)


অল্পেই যদি বেশ হয়- তবে আর বেশীতে কি দরকার!!!??

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমমমম... কথা সত্য!!! অনেকদিন পর এমন লুতুপুতু লেখা লিখলাম... হিহিহিহি... =p~ =p~ =p~ =p~

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

শায়মা বলেছেন: আহালে আপুনি!!!!!!!!

সেই দেখ্য মানুষটাকে এই লেখাটা পড়াও।:)

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: নাহ আপুনি, আসলে আমি মানুষজনকে দূর থেকে দেখতে ভালোবাসি... এই মানুষটাও সেইরকমই!!! তাকে আমি চিনি না আর বলা যায় নামও জানি না... খালি তার চেহারাটা দেখলে মনে হয় একটুতেই কেঁদে বন্যা বানাবে!!! হিহিহিহি..

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

যুগল শব্দ বলেছেন:
বলে,"আমাকে ছাড়া যখন থাকতেই পারবে না তাহলে বলো কেনো এসব? বোকা ছেলে!!!" নিলয় মহুয়ার হাতটা ধরে ফোলা ফোলা চোখ নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে।

যে যাবার সে যাবে, ++++ ভালো লিখেছেন ছোট পরিসরে!

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ!!! :)

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: '' ছোট থেকেই যদি দারুণ কিছু হয় , তাহলেতো ছোটই ভাল ।''
:P :P
আসলেই গল্পটা ভাল হয়েছে ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!!! :)

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মিস্টি গল্প..

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: :!> :!>

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: টিনেজ টিনেজ আবেগ। টিনটিন ভাবের টিনেজ অনুভুতি বললাম খারাপ না। ছেলেমানুষী আবেগের লেখা। ভালোই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমমমম... বড় বড় আবেগ আমি বুঝি না!!! :)

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৩

হাইপারসনিক বলেছেন: তারপরও বাস্তবটা মেনে নিতে কষ্ট হয়......আবেগপ্রবন হয়ে পড়লাম

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমমম... আবেগ দিয়ে জীবন চলে না!!! B-))

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই ছোটো হৈসে লেখাটা।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: কি করবো?? একে তো নেটও্য়ার্ক পাওয়া যায় রুমের বাইরে, তার উপর মশকীদের হামলা!!! /:) /:)

১০| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪২

অন্যনায়ক বলেছেন: সেইইইইই যে হারালেন !!! :| :| :|

১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: হুমমম... সবকিছুই হারিয়ে গেছে!!!! নিজেকেই খুঁজে পাচ্ছি না....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.