নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য প্রফেসরঃ মুভি রিভিউ

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৩২




মুভির নামঃ দ্য প্রফেসর
পরিচালনায় ছিলেনঃ ওয়েইন রবার্টস
আই.এম.ডি.বি দিয়েছে মাত্র ৬.৯/১০
ব্যক্তিগত রেটিং দিয়ে কিছু মুভিকে ছোট করতে চাই না।


নিয়মানুবর্তিতা মানুষের জীবনের সকল গল্পকে একই সূত্রে গেঁথে রাখে।আবার অধিক নিয়মানুবর্তিতা পৃথিবীর জন্য ভালো খবর নয়।একটা কথা আছে, যা আমি খুব করে বিশ্বাস করি,
If you are so/too disciplined, you are going to be doomed one day.
বাক্যে so/too এই দুইটি শব্দ নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, দুটো শব্দ দুইভাবে নিয়মানুবর্তিতাকে উপস্থাপন করে।

কথা বলছিলাম, ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া জনি ডেপের “The Professor(2018)” মুভিটি নিয়ে।এমন একজন ব্যক্তি যিনি কিনা কোন ধরণের মাদক দ্রব্য নেওয়া তো দূরের কথা সিগারেট পর্যন্ত পান করেন না।অথচ কপালের ফের তার হলো ফুসফুস ক্যান্সার।

ভেবে দেখুন, আপনি-আমি সবাই মারা যাবো একদিন।কিন্তু আমাদের জীবনটা যেন এই সো কলড্ ফেইক সোইসাইটির মনোরঞ্জনের জন্য না হয়।গল্পটা এমনভাবে সজানো দরকার যাতে করে অতীতে ফিরলে পরে মজা লাগে, অন্তত একটু ইন্টারেস্টিং মনে হয়।কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন পরিবার, সমাজ বা দেশ এর সাথে ধর্ম এবং রাজনৈতিক ব্যবসাও আসে- যেসব বস্তু আপনাকে চেপে ধরে থাকবে তাদের কিছু নিয়ম এবং নির্দেশনাবলী দিয়ে।তারা একটা কাঠামো তৈরি করে দিবে আপনাকে যে কাঠামোর মধ্যে দিয়ে আপনাকে হাঁটতে হবে।ইসলামিক কনসেপ্টে সেটা পুলসিরাতের সাথে তুলনা করা যায়, এবং এই পুলসিরাত পার হওয়া আর এই নিয়ম-নির্দেশ মেনে চলা একই রকম ভয়াবহ ব্যাপার বলে মনে হয় আমার কাছে।এই যেই না আপনি পা ফসকে পড়ে যাবেন সেই থেকে আপনার প্যানিশমেন্ট শুরু হবে।মানে আপনাকে একটা নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থেকেও আরো একটা নিয়মানুবর্তিতা শেখানো হচ্ছে।সেক্সের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে গেলেই সবাই একটু সাইড নেন, একটু এড়িয়ে যান, কিন্তু কেন? একটা কথা মনে পড়ে গেলো, “Sex is an uncontrollable urge.”
যেটা সাধারণ মানুষ মানতে নারাজ।ওপার বাংলার(এটা বলাও নাকি একটা ট্রমার কারণ, যাকগে সেসব) চন্দ্রিল ভাট্টাচার্য যখন “–গামীতা” “-কামীতা” নিয়ে কথা বলছিলেন(ABP TV Channel) মানে সমকামী, বহুগামী... সংক্ষেপে LGBTQ নিয়ে তখন তিনি একটা উদাহরণ টানলেন,

“একটা ঘোড়া লাগামবিহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া আছে।সে মুক্ত।এখন সে কি চাইবে বা পস্তাবে এটা ভেবে যে, আমার লাগাম নেই কেন! হাস্যকর।কিন্তু মধ্যবিত্তরা লাগাম পড়ে থাকেন কারণ তাদের কোথাও যাবার কোন রাস্তা নেই।একটু যে পরকীয়া করবেন, অলিগলির একটু ভীতরে গিয়ে তাও কেউ না কেউ দেখে ফেলার ভয়।বউ চলে গেলে নতুন একটা পাওয়ার ভয়।এজন্যই মনে হয় মধ্যবিত্তরা একটা নিয়েই খুশি থাকেন।তাছাড়া তাদের তো আর অতিরিক্ত কোন ফ্ল্যাট থাকে না! এবং তারা এটাকে নাম দিয়েছেন নীতি।কারণ ঐ যে, রীতি, নীতি, ভীতি শব্দভাণ্ডারে একই সাথে থাকে”।

যাইহোক, এই মুভির গল্পটা ঠিক এরকম একজন নিয়মানুবর্তিতা পালনকারী মানুষকে নিয়ে।হঠাৎ করে তিনি জানতে পারেন তার ফুসফুস ক্যান্সার হয়েছে।ট্রিটমেন্ট ছাড়া পৃথিবীতে থাকবেন মাত্র ছয়মাস আর ট্রিটমেন্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন এক বছরের অল্প কিছু অধিক সময়।তিনি বাসায় ফিরলেন।তারপর যা জানতে পারলেন, তার একমাত্র মেয়ে যে কিনা লেসবিয়ান এবং তার স্ত্রী তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে এক্সটা আফেয়ার্সে জড়িত।ভাবুন! যে মূহুর্তে একজন মানুষের সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দরকার তার পরিবারের কাছে থেকে ঠিক সেই মূহুর্তে তার পরিবার নিজেই একটা ধ্বংস পৃথিবী।অনুগ্রহ করে ভাবুন তো একবার, তার জীবনে তিনি কি পেলেন? এই নিয়মানুবর্তিতা তাকে কি দিলো? বা প্রকৃতিগতভাবেই তার মেয়ে যে লেসবিয়ান এটা মেনে নেওয়া কেন নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে পড়ে না? অথবা তার স্ত্রী এক্সট্রা আফেয়ার্স করতেই পারে তাতে কি আসে যায়? যদি ভালোবাসা না থাকে তো! তার স্ত্রীকে মুক্ত করে দেওয়া কতটুকু দরকার? যেমন, তুমি যার সাথে ইচ্ছে বিছানা শেয়ার করো আর আমাকেও সমান সুযোগ দাও, এই ফ্রিডম একে অপরকে দিয়ে দেওয়া কততুকু যুক্তিযুক্ত? অথবা তার একজন ছাত্র যে একজন গে এটা নিয়েও এই পৃথিবীর মাথাব্যথা কতটুকু থাকা দরকার?

আমার মনে হয় পরিচালক নিজেও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর একটু এড়িয়ে গেছেন।কারণ সেন্সর বোর্ডে বসা থাকা মানুষগুলোও নিয়মানুবর্তিতা পালন করে মুভি যাচাই-বাছাই করে থাকেন।তবে এর ফাঁক-ফোঁকরেও অনেক উত্তর মিলে যেতে পারে আপনার।তো! আর দেরি কীসের? এখুনি দেখে নিন মুভিটা।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

Disclaimer: আমার লেখালেখিতে আমি ইচ্ছে করেই কিছু ইংরেজি শব্দ বাংলায় নিয়ে এসেছি, এবং এজন্য আমি দুঃখিত নই।তবে আপনাকে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিলো না।আমার মুটিভ ছিলো, কথাগুলো সবার কাছে পৌঁছানো, ব্যকরণ নিয়ে গবেষণা করার জন্য নয়।

(বিঃ দ্রঃ আমার মত অলস মস্তিষ্কের মানুষকে আরো একটু অলস থাকতে দিন, ডাউনলোড লিংক চেয়ে লজ্জা দিবেন না।)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৪৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: দেখতে হবে,লিস্ট করে রেখেছি অনেক আগেই।

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০১

মি. বিকেল বলেছেন: দেখে নিন।

ধন্যবাদ

২| ২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন: মুভিটা দেখব, রিভিউ ভালো লাগছে।
প্রিয়তে রাখলাম পোষ্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৩| ২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: রিভিউ সুন্দর হয়েছে।

মুভিটা দেখিনি। তবে নামটা টুকে রাখলাম। দেখব।

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২২ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: রিভিউতে ভালো লাগা।

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০৩

মি. বিকেল বলেছেন: আশা করছি মুভিটিও আপনার ভালোলাগবে।


ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: দেখলাম মুভিটা-- দারুণ সত্যিই। জনি ডেপ ভালো করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.