নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাইল্ড এবিউজ এবং ধর্ষকদের সাইকোলজি

১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫৬




Injustice is censured because the censures are afraid of suffering, and not from any fear which they have of doing injustice.
- Plato

চাইল্ড এবিউজ নিয়ে যখন কথা হচ্ছে তখন ফেমিনিজম কি টানছে বা কোন বিষয়ে ফোকাস করছে এবং ম্যান’স রাইট কোনদিকে ফোকাস করছে এই ভেদাভেদের খেলা যারা খেলছেন তারা নিতান্তই বোকা এবং অত্যন্ত নিচু মনের পরিচয় দানকারী।প্রসঙ্গত আমি ম্যান’স রাইট ভিউ থেকেই কথা বলবো, সঙ্গত কারণেই আমি সেই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে কথা বলতে চাই।

একজন ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে যে কিনা মাত্র মাত্র স্কুলে যাওয়া শিখেছে।হয়তো তৃতীয় শ্রেনী, পঞ্চম শ্রেনী বা স্কুলের গন্ডি পার করেনি এমন এক কিশোরী।কিশোরীও ঠিকঠাক বলা যায় না, বাচ্চা একটা মেয়ে।এমনকি মায়ের কোলে থাকা সেই মিষ্টি বাবুনিটাও ছাড় পাচ্ছে না।এদেশের মাটিতে তাদের ধর্ষণ করছে কিছু বিবেকহীন কাপুরুষ মানুষগুলো।যাদেরকে পশুর সাথে তুলনা করলেও কম হয়ে যায়।

ধর্ষণ তো হচ্ছেই, মামলা হয়েছে কিন্তু বিচার হয়নি এমন প্রমাণও আমাদের কাছে অনেক আছে।কিন্তু শিশু নির্যাতন/ধর্ষণ যেন এক লোমহর্ষক ঘটনা।দেশটা স্বাধীন তো? না কি? লজ্জা লাগে, করুণা লাগে নিজের প্রতি, যখন এসব দেখি।আচ্ছা, একজন ধর্ষক কি খুঁজে পায় একটা ছোট্ট বাচ্চা/শিশুর মধ্যে? তার মধ্যে এমন কি উপাদান আছে আকর্ষণ করার মত?

সত্যি বলতে কিচ্ছু নেই।তার যৌনাঙ্গ পরিপোক্ত নয়, যৌনাঙ্গ দূরে থাক তার দেহটাই এখনো পরিপোক্ত নয়।না আছে লোভনীয় ফিগার, না আছে ৩৬-২৪-৩৬ টিপটপ সাইজ।সে তো এখনো নিজের ডাইপার পরিবর্তন করতে পারে না, মেনস্ট্রুয়াল কি জিনিস এখনো বুঝে না।আরেহ্ ধুর! সে তো কথায় বলতে শিখেনি এখনো।তাহলে একজন পুরুষ হয়ে কীভাবে সম্ভব এমন কারো প্রতি আকৃষ্ট হওয়া? আর আকৃষ্ট হওয়ার জন্য ধর্ষণ হয় মানলাম কিন্তু এখানে তার কিচ্ছু নেই।তার মানে এটা ম্যান’স বা ওমেনস্ ইস্যু নয়।হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন এটা পুরুষ বা মহিলার মধ্যে বিতর্কের ইস্যু নয়।

মানুষ বলেই আমাদের মধ্যে এনিম্যালিটি থাকবে না তা বোধহয় একেবারেই শ্যূন্যের কোঠায় আনা অসম্ভব।এরা অমানুষ।এরা রুগী।এদের চিকিৎসার দরকার আছে।সমাজে সুস্থ হয়ে ঘুরে বেড়ানো একেকটা অসুস্থ আবর্জনার কীট।এদের সমাজ থেকে চিরবিদায় জানানো উচিত আর যদি শিথীলতা দেখাতে চান তাহলে এদের সত্যিই চিকিৎসার দরকার আছে।হয়তো বলতে পারেন তাহলে কোন ধরণের রুগী এরা? কি ধরণের ট্রিটমেন্ট লাগবে এদের জন্য? ওকে, আপনি হয়তো জানেন না এদের সবাই কমবেশি সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছে।সোজা বাংলায় মেন্টাল।আর হ্যাঁ, বলছি, বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ার পর যেসব ধারণা পেয়েছি তা পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করছি,

● এদের অধিকাংশই সাডিস্ট।মানে অন্যর কষ্ট-দুঃখ দেখলে এদের ভালো লাগে।সঙ্গত কারণেই আমাদের সবার মধ্যেই এই রোগ আছে কিন্তু এদের মধ্যে সেই পরিমাণটা অনেক বেশি।
● বর্ডার লাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারঃ এদের মন-মানসিকতা কখনোই ঠিক থাকে না বা আমরা যাদেরকে নরমাল বলি, এরা তাদের বিপরীত মানে এবনরমাল।এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে এদের কোন স্থায়িত্ব একেবারেই নেই।
● (Pedophilia) পিডোফেলিয়াঃ অনেকে এটাকে paedophilia বলে থাকেন।ঐ আর কি, একজন ম্যাচিউর জানোয়ারের ছোট বাচ্চার প্রতি আগ্রহের কথা বলা হচ্ছে এখানে।বাকিটা গোগল করুন।
● ডিপ্রেশনঃ নতুন করে আর কি সংজ্ঞা দিবো!
● (Docile Body) ডোসাইল বডিঃ এর মানে হলো যে দেহটা আক্রমণ রক্ষা করতে অক্ষম।আর এই অক্ষমতা থেকে আনন্দ পায় ধর্ষকেরা।

আরো ইত্যাদি... আপনি যদি সিগমন্ড ফ্রয়েড ঘাটেন তাহলেও কিছু কথা চলে আসবে।বিশ্রী কথা, যা আপনার পছন্দ হবে না, এই যেমন,

একজন ছেলের তার প্রথম প্রেমিকা হলো তার মা।
- ফ্রয়েড

এটাকে ব্যাখ্যা করার মত অবস্থায় এখন নেই আমি ।আবার এটাও বলে রাখছি যে, পুরো আর্টিকেল জুড়ে কিছু তথ্য দিয়ে যৌন সন্ত্রাসকে উস্কে দেবার মতলবে আছি তা কিন্তু আপনার ভুল ধারণা।তাই বাংলা সিনেমার ডায়ালগ দিয়ে বলে উঠবেন না, “বাড়িতে কি মা-বোন নেই?”
সত্যি বলতে মা-বোন সহ আরো অনেকে আছে।আমার আত্মীয়-স্বজন আছে, পাড়া-প্রতিবেশী এবং বন্ধু বান্ধবও আছে।আমার ভয় হয় প্রতিনিয়ত এই বুঝি কিছু একটা ঘটে গেলো! পরিসংখ্যান দেখে আঁতকে উঠি।বি.এস.এ.এফ এর পরিচালক জনাব আবদুস শাহেদ মাহমুদ এর মতে এই বছরের প্রথম ছয় মাসে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৬ শিশু, যাদের মধ্যে ৫৩ জনকে গ্যাং রেপ করা হয়েছে।এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান মতে মোটমাট ভিকটিমের প্রায় ৭০% শতাংশ ঘটনার জন্য দায়ী সেই পরিবার বা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি।এবং এজন্য যে ট্রমার মধ্যে ওদের ভবিষ্যৎ যেতে চলেছে তার জন্য শুধু মাত্র ঐ ধর্ষকগুলো নয়, আমি-আপনি এবং এই সমাজটাও দায়ী।কারণ পরিবর্তনের মূল পটভূমিকার পাঠদান শুরু হয় পরিবার থেকে।সুতরাং ফেমিনিজম বা ম্যান’স রাইট নিয়ে আসবেন না, একটু মানবিকতা নিয়ে আসুন।এই ধর্ষকদের বিচার করুন।বাড়িতে থাকা প্রত্যেক মায়েরা তাদের সন্তানকে বলে দিক, “বাবা, ধর্ষণ যেন তোকে দিয়ে না হয়।আর যদি হয় তাহলে তোকে ফাঁসিতে ঝুলানোর দায়িত্ব আমি নিজেই নিবো অথবা প্রতি সন্ধ্যায় ভাত খাওয়ার সময় এক সন্ধ্যায় ভুল করে বিষ মিশিয়ে দিবো”।তবে সেক্স্যুয়্যাল সাপ্রেশন আমাদের দেশে এখন প্রকট বলেই আমি মনে করছি, সেদিকটাও অভিভাবকদের দেখা উচিত।নতুবা লাভ নেই এসব সময় নষ্ট করে লেখালেখিতে, টকশোতে বা আমি-আপনি চায়ের স্টলে জ্ঞাননির্ভর যুক্তি দিয়ে।


মিষ্টি করে মামা! মামা! করে ডাকা মেয়েটা যখন প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, “আঙ্কেল আমার শৈশব নষ্ট করবেন না”।
তখন চোখে জল আসা আটকানো যায় না।আটকাতে পারি না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন:

দেশে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে হবে এবং সেটা কার্যকর হবে প্রকাশ্যে যদি এই নিয়ম করা হয় আমি বিশ্বাস করি ৯৯ ভাগ ধর্ষণ কমে যাবে।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

কালসৃষ্টি বলেছেন: ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড এবং তা খুব স্বল্পসময়ে প্রকাশ্যে কার্যকর করা হউক। লেখক কে ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪৭

বলেছেন: এ লেখার কোন মন্তব্য হয়না, আসে শুধু মুগ্ধতা


আপনার সৃষ্টি দির্ঘ্জীবী হোক।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষন কিভাবে বন্ধ করা যায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.