নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তসলিমা নাসরিন অনেক গুণসম্পন্ন মানুষ। অথচ আমাদের দেশের যে কোন ধর্মের মেয়েকে উনার সাথে তুলনা করলে, তারা রেগে যান, চটে উঠেন। আমি ঠিক বুঝতে পারি না। আশ্চর্য!
উনি নারীবাদী। তারপরেও কেন যে মেয়েরা তার নাম শুনলে বলে, "বাদ দাও না, প্লিজ!"
অবশ্য উনি আবার পুরুষ বিদ্বেষমূলক ভাব বহন করেন বলে অন্তত আমার মনে হয় না, করলে তার তিনটে স্বামী অন্তত থাকত না। আমি উনার লেখা "লজ্জা", "আমার মেয়েবেলা" এবং "ক" এই পর্যন্ত হজম করতে পেরেছি। কিন্তু এরপর আর পারিনি, হয়তো আমার সহ্য ক্ষমতা কম। কিন্তু বাংলাদেশের ঐ একই মেয়েকে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সাথে তুলনা করলে ইমপ্রেশড্ হয়ে গদগদ কন্ঠে বলেন, "আমি কি আর অতবড়! প্লিজ! আমায় লজ্জা দিবেন না"। অবশ্য এক্ষেত্রে হুমায়ুন আজাদ স্যার তাঁর " নারী" বই(নারীবাদী বই) তে আমার সাথে তার চিন্তার মিলন ঘটতে নাও পারে, কিন্তু মনে রাখার মত বিষয় ভাই আর স্বামী থাকলেই বা তাদের সহযোগীতা পেলেই সব মেয়েরা "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন" হতে পারে না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু তসলিমা নাসরিন এমন কি লিখেছিলেন? যার জন্য বাংলাদেশ ও কলকাতায় তাকে একসময় বয়কট করা হয়েছিলো? উনি যা লিখেছিলেন ওটাকেই কি তাহলে "ফ্রিডম অব স্পিচ" বলা হয় না কি? নারীবাদী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোন নারী তার কোন উক্তি পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তো দূর কোনদিন কোথাও উল্লেখ করতেও দেখলাম না। আবার সাহিত্যে যিনি কোনদিন যাতায়াতও করেননি সেই মেয়েটাও তসলিমা নাসরিনকে দেখতে পারেন না। কেন? এর কারণ কি? আমার মনে হয় খুব সম্ভবত, মূলত উনার লেখার সাথে বাঙালী মেয়েরা নিজেদের মেলাতে পারেন না, কানেক্ট করতে পারেন না। এবং সূদুর ভবিষ্যতেও করতে পারবেন বলে অন্তত আমার মনে হয় না। এক্সকিউজ মি! আমি কিন্তু তসলিমা নাসরিনের আত্মকাহীনি নিয়ে লিখতে বসিনি বা তার পক্ষ নিয়ে তৈলপ্রিয় হয়ে উঠার ইচ্ছাও নেই। Virginia Woolf এবং Simone de Beauvoir তাদের দ্বারা তিনি না কি প্রভাবিত। এজন্য বাংলাদেশে তো দূর, কলকাতাতেও একসময় বয়কট হয়েছিলেন। তবে আমার মনে হয় একজন ফিজিশিয়ান হিসেবে তিনি যে চমৎকার এবং তা অন্তত আমি স্বীকার করি।
"Criticism of Islam is the only way to establish secularism in Islamic countries."
- তসলিমা নাসরিন
(বিঃ দ্রঃ আমরা ইতোমধ্যেই সেক্যুলার একটি দেশ, যেটুকু বাকি আছে আপনা-আপনি হয়ে যাবে, ডিয়ার তসলিমা নাসরিন। এইসবের জন্য, ২০টি/২২টি ভাষায় অনূদিত ফুটেজ পাবার জন্য, অনুগ্রহ করে ইসলাম বিদ্বেষ দেখাবেন না।)
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫২
মি. বিকেল বলেছেন: এক্সাক্টলি!!! মনের কথা বলেছেন।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেসবুকে তার কবিতা পড়ি । কলিকাতার লোকজন অনেক সমর্থন করে মন্তব্য করে।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৫
মি. বিকেল বলেছেন: কারণ একটা ধর্মকে কটুক্তি করলে অন্য ধর্মের গায়করা একই সুরে গেয়ে উঠে, পারলে নাচতো।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন যে, বাংলাদেশের যেকোন ধর্মের মেয়ারা তসলিমা নাসরিণের উপর চটে যায়; আপনি কি সায়েন্টিক উপায়ে জরীপ করেছেন, নাকি কথা কতা বলছেন?
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৩
মি. বিকেল বলেছেন: জরিপ করার দায়িত্ব পত্রিকা নিয়েছে। আমার দুটো চোখ আছে, সেটা দিয়ে যা দেখেছি এবং নিজ কানে যা শুনেছি তার উপর ভিত্তি করে লেখা।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " জরিপ করার দায়িত্ব পত্রিকা নিয়েছে। আমার দুটো চোখ আছে, সেটা দিয়ে যা দেখেছি এবং নিজ কানে যা শুনেছি তার উপর ভিত্তি করে লেখা। "
-ভালো কাজ করেছেন, টং দোকানের লেখক।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৪
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি একটু গণমাধ্যমে বা কোনভাবে জরিপ করুন না। যদি আপনি জিতে যান তাহলে য়ামি ব্লগিং করাই ছেড়ে দিবো, আর যদি হেরে যান অনুগ্রহ করে আপনিও এই সাহসটি করার চেষ্টা করবেন আশা করি।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: তসলিমা একজন সাহসী নারী।
উনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত। এক যুগ আগে যখ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসে তখন আমি ভেবেছিলাম তসলিমাকে যথাযথ সম্মান দিয়ে তাকে দেশে আনা হবে।
তসলিমা নাসরিন তার দেশোকে ভালোবাসে। বাংলাদেশের প্রতি তসলিমা নাসরিনের সীমাহীন ভালোবাসা রয়েছে। তার অসংখ্য লেখায় দেশের প্রতি টান প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেশে আসার জন্য অস্থির হয়ে আছেন।
এই দেশে কত চোর দূর্নীতিবাজ, রাজাকার বহালতবিয়তে আছে অথচ একজন স্বাধীনচেতা নারী থাকতে পারছেন না।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৫
মি. বিকেল বলেছেন: দারুণ ছিলো।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি মিশি এক ধরনের লোকের সাথে,মাদ্রার কোন ছাত্র আমার বন্ধু না,আপনার চলাফেরা বন্ধুত্ব অন্য ধরনের লোকের সাথে।আপনার চিন্তা চেতনা অন্য রকম।তসলিমাকে নিয়েও যার যার চিন্তা চেতনা দিয়ে তাকে বিচার করবে।সেটা এক রকম হবে না।
আপনি সকল ধরনের মেয়েদের সাথে মেশেন না।সম্ভব ও না।যেমন আমি হিজাবী মেয়ে দেখলে দশহাত দুরদিয়ে চলি,ভাবি বোমা টোমা গায়ে জড়ানো আছে কিনা বলা যায় না ।আপনি আবার হিজাবী মেয়েদের কাছ থেকে তসলিমার সম্পর্কে মতামত নিতেযান।
তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই মন্তব্য করেন।
তসলিমার সমস্যা সে স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলে।সমাজ যেটা গ্রহন করার উপযোগী না।তাই সমাজের সাথে তার দুরত্ব তৈরী হয়েছে।তারই ফল সে ভোগ করছে।তসলিমা যে একা ভোগ করছে এমন না।অনেক ছেলে তার গর্দান হারিয়েছে,অনেকে বিদেশে আছে,কবে যেতে পারবে তার কোন ঠিক নেই।তবে আপনারা যত দিন বগল বাজাবেন তত দিন না।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৫
মি. বিকেল বলেছেন: গঠনমূলক সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। কারণ এটা মন্তব্য কম সমালোচনা বেশি ছিলো। কিন্তু আমি ছোট খাটো জরীপ করেই লিখেছি।
ধন্যবাদ
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১২
কল্পদ্রুম বলেছেন: ওনার নির্বাচিত কলাম,লজ্জা,আমার মেয়েবেলা পড়েছি।'ক' শুরু করে শেষ করতে পারিনি।ইদানিং ফেসবুকে ওনার লেখা পড়ি।আগের লেখাগুলোর কথা বাদ দিলাম।বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উনি অন্য দেশ থেকে যা বলেন তাতে আমার তাকে পছন্দ হয় না।সবকিছুকে উনি জোর করে এক ফ্রেমে বিচার করতে চান।ওনার চিন্তাভাবনাআজ থেকে বিশ ত্রিশ বছর আগে যেখানে ছিলেন।এখনো সেখানেই আছেন।সম্ভবত জনবিচ্ছিন্নতার কারণে এটা হয়েছে।
তবে উনি যেন দেশে আসার অনুমতি পান এটা চাই।
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
যত কৌশলে লেখেন না কেন, মওদুদীর ছায়া থেকে যাবে।
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের লেখক ও বুদ্ধিজীবী সমাজ কেন তাকে সমর্থন করছেন না বা তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। এটা ভেবে দেখা উচিত। আমরা সাধারণ মানুষের বিচার বিবেচনাবোধ কম থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনও লেখক বা প্রথিতযশা কোনও মানুষ কেন তার ব্যাপারে নিশ্ছুপ। এমন কি বাংলাদেশে যারা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে তারাও তসলিমার ব্যাপারে তেমন আগ্রহী না। কারণ তসলিমা এমন অনেক কিছু বলেছেন যা তারাও সমর্থন করতে পারছেন না। তসলিমার সব কিছুই খারাপ এটা বলা হয়তো ঠিক হবে না। কিন্তু হাজারটা ভালোর পর যদি উনি মাত্র একটা কথা বলেন যেটার দ্বারা ইসলামের নবীকে সরাসরি আঘাত করা হয় তখন কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায়। পৃথিবীতে ৩ টা ধর্মে নবী রসূল বিশ্বাস করা হয়। এই তিন ধর্ম নিয়ে সমালোচনার শেষ নাই। কিন্তু এইসব ধর্মের নবীদের নিয়েও কেউ খারাপ কথা বলে না। পশ্চিমে যীশু খ্রিষ্টকে (আঃ) কেউ ব্যাঙ্গ করলে তার সমাজে গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। পশ্চিমের নাস্তিকরা ধর্মের সমালোচনা নিয়ে পরে থাকে না। তারা নিজেদের মত চলে। ধর্মকে তারা হিসাবেই আনে না তাই ধর্ম নিয়ে তর্ক করে তারা সময় ব্যয় করতে চায় না।
ওনার যে জীবনধারা সেটা এদেশের সমাজের সাথে খাপ খায় না। পশ্চিমের দেশে এগুলি ঠিক আছে। রোমে গেলে রোমানদের মত চলতে হয়। এদেশের কিছু তথাকথিত আধুনিক মেয়ে হয়তো তাকে আইডল মানতে পারে। তবে তার পরিমান মনে হয় খুব বেশী না। তসলিমার লেখার ভালো দিকগুলি ঢাকা পরে গেছে সংবেদনশীল বিষয়ে তার আক্রমণাত্মক লেখার জন্য। আর উনি যে যৌন স্বাধীনতা বলে সেটা আমাদের মত ইসলামিক দেশে আশা করা যায় না। দেশ থাকলে উনি জীবন উপভোগ করতে পারতেন না। তাই পশ্চিমই মনে হয় তার জন্য ভালো।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
মি. বিকেল বলেছেন: মানুষজন আমাকে টং দোকানের লেখন বলছেন, মওদুদীর ছায়া বলছেন। সেখানে কিছুটা স্বস্তিবোধ করছি আপনার এই মন্তব্যে
ধন্যবাদ
১০| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক মেয়ের কাছেই তসলিমা শ্রেষ্ঠ লেখক। কোন মৌলবাদী মেয়ে তসলিমাকে অপছন্দ করতেই পারে। আমি বহু মেয়েকেই জিজ্ঞাসা করি তার প্রিয় লিখক কে? অনেকেই তসলিমার কথাই বলেন। একদা তার প্রবন্ধগুলো (নির্বাচিত কলাম) মেয়েরা অধীর আগ্রহ নিয়ে পড়তো। তার উপন্যাসগুলোও নারীরা পছন্দ করেছে। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তার বই প্রচুর বিক্রি হতো। নির্বাচিত কলাম দেশে সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া বইয়ের একটি।
১১| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তসলিমা আসলে কি চায় সে নিজেও জানে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধর্মবিদ্বেশী হলেই রাতারাতি বিতর্কিত
হওয়া যায়। বিতর্কিত হয়ে ফায়দাও
লোটা যায়।। অনেকে তাই করে।
উপরে ওঠার জন্য তাই তারা ধর্মকে
ব্যবহার করে।