নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Satire এর আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "বিদ্রুপপূর্ণ নিন্দা"। এটি খুব নগণ্য একটি লিটারেরি ডিভাইস এবং রেটোরিক ডিভাইস যা একই সাথে লেখায় এবং কথায় ব্যবহার করা যায়। Satire শব্দটির সাথে অনেককিছু জড়িত হয়ে পড়বে যখন আপনি এটিকে সংজ্ঞায়িত করতে যাবেন। সহজ আকারে পয়েন্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
• এটি এক ধরণের কমেডি কিন্তু কমেডি নয়। ("Satire মূলত মটু-পাতলু কার্টুন সিরিজের চরিত্র ডক্টর ঝটকা এর আবিষ্কার বলেও মনে হতে পারে" - আবার এই উদাহরণ থেকে আপনার যদি হাসি পায় তাহলে খুঁজে বের করুন Satire কেও Satire-এর রুপ দেওয়া যায় কিন্ত। মজা না?)।
• ব্যঙ্গাত্মক কৌতুকের একটি রূপ যা বিদ্রূপ, রসিকতা এবং অতিরঞ্জিতভাবে নির্দিষ্ট ধারণা, বিশ্বাস বা ধারণাকে ঠাট্টা করা বা উপহাস করার উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয়। উঁহু! কিছুই বুঝলেন না! তাই তো? কারণ, এটি টিপিক্যাল উইকিপিডিয়ার দেওয়া সংজ্ঞা।
• এটি কোন বর্তমানের ট্রেন্ডিং ট্রলিং নয়। কারণ, কাউকে বা কোন কিছুকে ব্যাঙ্গ করা এটির মূল উদ্দেশ্য নয় বরং এই ব্যাঙ্গটি কৌতুকের মাধ্যমে আপনাকে পেনিট্রেড করা হবে গভীর তথ্য সমূহ দিয়ে।
• একাধিক চরিত্র, বিষয়, স্থান অথবা প্রাণীর কথাও উঠে আসতে পারে ছোট্ট একটি বিষয়কে Satire এ রুপান্তরিত করবার জন্য।
• কিন্তু পুরো স্পোকেন ফর্ম আপনাকে রসিকতায় ডুবিয়ে রাখতে পারবে এবং আপনি হাসতে বাধ্য হবেন।
• বিশেষ করে কার্টুনিস্টরা Satire শব্দটির সাথে বেশি পরিচিত। সবসময় হয়তো পারেন না, বা করেন না। কিন্তু অধিকাংশ সময় সরকারের বিরুদ্ধে, সমাজের বিরুদ্ধে বা ব্যক্তি আক্রমণ যখন জটিল হয়ে পড়ে তখন উনারা "Satire" বেছে নেন সত্যটা তুলে ধরার জন্য। উপর থেকে দেখলে আপনার স্রেফ একটি স্বচ্ছ ঘটনা মনে হলেও কিছু সময় বাদে(যদি সেই সম্পর্কিত তথ্য আপনার মাথায় থাকে) আপনি হাসতে বাধ্য হবেন। এবং সেটাও হবে সত্যিটা জানার মাধ্যমে।
• এখন একজন স্পিকারের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা কাছাকাছি পর্যায়ের হলেও খুব সাবধানে হোমওয়ার্ক করতে হয়। কারণ, এতে মুখ ফসকে যাবার ভীতি রয়েছে। তাই পারফেক্ট Satire তখনই সম্ভব যখন তিনি স্পিচ ডেলিভারি দেওয়ায় ব্যাপারে মাস্টার মেকার হয়ে পড়েন। মানে নিজের জিহ্বা নিজের পুরো কন্ট্রোলে রাখতে পারেন।
• আবার এটি Irony নয়, অথচ দুটো শব্দের আক্ষরিক অর্থ একই। Irony হচ্ছে, "আমি আজ যার বিরুদ্ধে লড়াই করছি, আগামীকাল আমি তার পক্ষে চলে যাচ্ছি(স্ব-ইচ্ছায় নয়)"। আবার Mockery-ইও নয়, এবারেও আক্ষরিক অর্থ কিন্তু প্রায় একই। কারণ, Mockery করবার জন্য আপনার অধিক তথ্যে ভরপুর থাকতে হয় না। আপনার ইচ্ছে হলো, ব্যাস! কারো পোস্টে গিয়ে সেখানে মন্তব্যে আপনি ইচ্ছেমত তাকে ছোট করলেন।
• আরো একটি ব্যাপার লক্ষণীয় এটি Exaggeration পর্যায়ের কিছু নয়, তবে এটিও থাকবে। র'চাতে যতটুকু আদা লাগে ঠিক ততটুকু বলে আমার মনে হয়। কিন্তু পুরো ডায়ালগ হবে সেন্স অব হিউমরে ভরপুর সাথে লিকার হিসেবে ইনফরমেশন থাকবে।
• এখন এই চা-বিক্রেতা যে চা আপনাকে পরিবেশন করবেন তার স্বাদ হবে Irony ভরা একটি মিষ্টি স্যাটায়ার। গুলিয়ে দিলাম না তো আবার? আচ্ছা, যদি গুলিয়ে যায় তাহলে একটা অংক করা যায়,
(Dark)Comedy+Irony+Mockery+Information+Exaggeration = যে বস্তু মিলবে তার নাম হলো "Satire", এখন কি ঠিকঠাক!
একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে,
স্বামী বলছেঃ Phil Collins is calling me! (ফোন হাতে)
স্ত্রী বলছেঃ It's not an iPhone yet, Honey!
এই উদাহরণ থেকে আপনার মনে প্রথমে কি আসলো? হয়তো ফোন সম্পর্কিত ধারণা। কিন্তু মূল বিষয়বস্তু একেবারেই তা নয়। এখানে স্ত্রী যে সম্ভাব্য বিষয় বুঝানোর চেষ্টা করছেন,
(ক) ফিল কলিন্স একই সাথে একজন ড্রামার, গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, মাল্টি-ইন্সট্রুমেনালিস্ট ইত্যাদি(বাকিটা গোগল সার্চে দেখুন)ছিলেন। তাঁর কিন্তু ছোট্ট একটা তথ্য দেওয়ার থাকতে পারে ফোনকলে। এর বেশি কিছু নয় হয়তো।
(খ) অথবা বর্ণিত ঐ ব্যক্তি(স্বামী চরিত্রে) অতটা যোগ্যতা রাখে না যে ফিল কলিন্সের সাথে কাজ করতে পারতেন। অথবা ফিল কলিন্স ফোন করেছে বলেই রক ব্যান্ডে নিমন্ত্রণ পাবেন এমন নয়। মানে লেস-এক্সপেক্টেশন রাখার কথা বলা হচ্ছে।
(গ) এর উপর সোশ্যাল ও ইকোনমিক অবস্থাও বাদ পড়েনি। ব্যাপারটায় তার স্ত্রীর মতে এমন হতে পারে যে, তুমি এখনো আইফোন কিনতে পারোনি। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে ব্যাপারটা আবার সোশ্যাল কেন! সোশ্যাল এজন্য যে, UK এবং US এ যারা নিজেদের অভিজাত মনে করেন এবং US মানেই হচ্ছে যে বাসায় টেলিভিশন, একটি কার এবং আইফোন থাকা জরুরী তা না হলে সামাজিক স্ট্যাটাস রক্ষা করা গেলো না। এই সংজ্ঞায় এই সামাজিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থাব বর্ণনা করছে।
(ঘ) তবে স্ত্রীকে আইফোন-ই বা কেন উল্লেখ করতে হলো? কারণ সে সময় থেকে আজ অবধি মোবাইল ফোন মার্কেটে আইফোন সেরা অবস্থান ধরে রেখেছে। সুতরাং স্ত্রী যে Mockery করলেন সেটা Exaggeration পর্যায়েও নিয়ে গেছেন। এখানে Irony ও বাদ পড়লো না, কারণ ফিল কলিন্স তো ফোনের ওপাশেই ছিলেন। হতেও পারে তিনি একটি সুযোগ দিতেও পারেন।
• কেন Satire ব্যবহার করা দরকার?
দেখুন, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক বা ব্যক্তির প্রতি বড় স্কেলে আক্রমণ শক্রতার জন্ম দেয়। স্যাটায়ার এর সাহায্য নিলে সেটা যে হবে না তাও নয়। কিন্তু অনেকখানি সাবোটেজ করা যাবে বলে আমার বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, যেখানে আপনার মুখে কোন আইনি ব্যবস্থা দিয়ে মুখে কুলোপ দেওয়া আছে বা কারো জন্য ভয় আছে যেখানে বড় সত্যটি বড় আকারে প্রকাশ করার জন্য স্যাটায়ার এর বিকল্প আমার কাছে আজ অবধি কিছু আছে বলে মনে হয় না। বড় বড় সাংবাদিক/কলামিস্ট নিউজপেপারে প্রচুর স্যাটায়ার ব্যবহার করে থাকেন।
স্যাটায়ার রেনেসাঁর সময় বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে। এবং ক্লাসিকদের অনেক বেশি প্রভাবিত করে। এবং সে সময় ক্লাসিকদের পাশাপাশি "হোরেস" ও "জুভেনাল" এর নাম উঠে আসে তাঁদের স্যাটায়ার ধর্মীয় লেখার জন্য। যদিও ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে এর ডাউনফল ঘটে। কিন্তু ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় "Satire" এখনো লুকিয়ে আছে, আমাদের কথায় বা গল্পে বা লেখায় অথবা নিউজপেপারে।
আমার এই অনুচ্ছেদটিতে কোন ভুল থাকলে মন্তব্যে আপনাকে বিনম্রভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পোস্টে ভাললাগা। স্যাটায়ার পোস্টে মাঝে মাঝেই কেউ সিরিয়ার হয়ে গেলে মানুষকে বোঝাতে হয়- প্লিজ, সিরিয়াস হবেন না। ইহা একটি স্যাটায়ার পোস্ট!
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিক্ষনীয় পোষ্ট!
অবশ্য এসব পুথিগত জ্ঞান কাজে লাগে মিনিমাম মৌলিক অধিকার যেখানে নি:শ্ব নিতে পারে।
মাৎসানায় সময়ে গুম, খুন আর ক্রসফায়ারের ভুবনে কেবলই কাগুজে বিদ্যা।
+++
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: ফেসবুকে প্রচুর Meme ও Troll দেখি। এগুলো স্যাটায়ারের মধ্যে পড়ে?
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: সয়াটায়ারের কারনে অনেক আত্মহত্যাও করে।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মি. বিকেল,
ভালো লেখা হয়েছে।
স্যাটায়ার সম্পর্কে ব্যাখ্যাগুলো বোধগম্য আর যথার্থই মনে হলো।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
রাকু হাসান বলেছেন:
নতুন করে আরও ধারণ নিতে পারলাম। সহজ করে বলার চেষ্টা করেছেন।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। আলোচনাটি ভাল লেগেছে। প্রথম মন্তব্যে স্যাটায়ার এর ব্যাখ্যাটিও চমৎকার!
পোস্টে পঞ্চম ভাল লাগা + +।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪
অনল চৌধুরী বলেছেন: চলচ্চিত্রে যে কিভাবে রাষ্ট্র, সরকার,নেতা ও তাদের অত্যাচারী সন্ত্রাসী নীতিকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করা যায়, হলিউেডের অনেক ছবি তার প্রমাণ।
১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: চমৎকার আলোচনা। আমরা উপকৃত হলাম।
১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দাহকালের সেরা অস্ত্র স্যাটায়ার। সুন্দর একটি পোস্ট।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
শাশীশ বলেছেন: সুন্দর লেখা
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্যাটায়ার যত সূক্ষ্ম ও হিউমারের সাহায্যে পরিবেশন করা যায়, ততই এর মান উন্নত হয়। বিশেষ করে সাহিত্যের ক্ষেত্রে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাই। ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলোর একটা বিজ্ঞাপনের কথা বলি। ভারতের ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড়ের নাম 'গৌতম গম্ভীর'। বাংলায় গম্ভীর শব্দের অর্থ যে কখনো হাসে না, সব সময় মুখ গোমড়া করে রাখে। কাকতালীয়ভাবে বাস্তবে গৌতম গম্ভীরও কখনো হাসে না। বাংলা বিজ্ঞাপনটিতে দেখানো হয়েছে যে, গৌতম গম্ভীর বিজ্ঞাপনের পণ্যটি পেয়ে খুশিতে মুচকি হাসি হাসছেন আর ব্যাকগ্রাউন্ডে বলা হচ্ছে, 'গৌতম আর গম্ভীর নয়।'