নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শঙ্কা এই যে, বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর ভুল যেনো না হয়ে যায়। দাসত্বের অস্তিত্ব তবে কি এখনো টিকে আছে! সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড আমাদের সেই অতীত মনে করে দিয়েছে। তবে কি হোমার তিনি তাঁর মহাকাব্য "ইলিয়াড" এর চরিত্র হেলেনকে দিয়ে কিছু একটা বুঝানোর চেষ্টা করছেন কি!
"Helen: Loving me kills people, destroys families, causes such grief you cannot imagine!"
ব্যক্তিগতভাবে আমার তেমন মনে হয় না। আজকের চলচ্চিত্র এবং চিত্রগুলি তাকে স্বর্ণকেশী করে দেখাচ্ছে তবে প্রাচীন গ্রীক চিত্রগুলি তাকে শ্যামাঙ্গিনী হিসাবে দেখায়। হোমার কেবল আমাদের জানান যে তিনি "সাদা-সজ্জিত, লম্বা পোষাক, এবং প্রচুর পরিমাণে পোশাকযুক্ত" ছিলেন, বাকিটা আমাদের কল্পনাতে রেখে দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, হেলেন তাহলে মূলত দেখতে কেমন ছিলেন? এটা নিয়ে লম্বা তর্কে-বিতর্কেও যাওয়া যায়। কিন্তু কল্পনার সুন্দরী যদি শ্বেতাঙ্গ ও স্বর্ণকেশী হয় তবে মাফ চাই অন্তত এই কল্পনার ঝুঁকিতে আমাকে খুঁজে পাবেন না।
সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা জাতি কেন্দ্রিক বা অঞ্চল কেন্দ্রিক বা দেশ কেন্দ্রিক বা উপ-মহাদেশ/মহাদেশ কেন্দ্রিক আলাদা না কি হয়। যদি তাই-ই হত তাহলে ব্ল্যাকদের কেনো নিচুস্তরের জাতি হিসেবে মানা হলো পুরো বিশ্ব জুড়ে। সেটা কি উপনেশবাদের বাহিরের কোন কিছু? শ্বেতাঙ্গদের নিয়ে মানে ব্রিটিশদের দিয়ে বহুল প্রচলিত উক্তি হচ্ছে,
"The Sun Never Sets on the British Empire."
— Francisco de Ugalde
স্প্যানিশ এই ব্যক্তি রাজা প্রথম চার্লস কে কেন এমন করে লিখলেন? কারণ ঠিক অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ২৫% শতাংশ মানুষ ছিলো ব্রিটিশদের হাতে। এবং ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ৪১২ মিলিয়ন লোক ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিলো যা সে সময় মোট জনসংখ্যার চারভাগের এক ভাগ। আলেকজান্ডার ক্যাম্পবেলও এই বাক্যটি ব্যবহার করেছিলেন ব্রিটেন এবং আমেরিকার আধিপত্য প্রকাশ করার জন্য।
সমস্যা হচ্ছে, আপনার বর্ণবাদ নিয়ে জানার কৌতুহল আছে অথচ ব্রিটিশদের সম্পর্কে একটু শুনতে নারাজ হলে তো চলে না।
“I have a dream that one day little black boys and girls will be holding hands with little white boys and girls.”
— Martin Luther King, Jr.(I Have A Dream)
আমেরিকার এই প্রয়াত মন্ত্রীর সেই স্বপ্ন কি আজও ঠিকঠাকভাবে বা কোনভাবে আমেরিকায় অন্তত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি? এক্সকিউজ মি! যদি প্রতিষ্ঠিত হত-ই তাহলে আপনার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তো না। এতক্ষণে উত্তর পাওয়া যেত। কারণ, যারা হেলেনকে পলিটিক্যালি ভিন্নভাবে রি-প্রেজেন্ট করতে পারে তারা বোধহয় আরো অনেক কিছু করতে পারে। ২০১১ এর আদমশুমারী অনুযায়ী মাত্র ৩.৫% শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ বাস করে ইংল্যান্ডে। তাতেই যদি ইংল্যান্ডের এই দশা হয় তাহলে বাংলাদেশের সংকর জাতির অবস্থা ঠিক কোন জায়গায় দন্ডায়মান আছে?
কারণ, বাংলায় ঠিক কত রঙের মানুষ আছে তা যেনো কল্পনাতেও নিয়ে আসা যায় না। সাদা-কালো-বাদামী ইত্যাদি রঙ মিশে ভংকর কত রঙের অফ-বিট রঙ পাওয়া যাবে। মেলানিন নামক এক পিগমেন্টের কারণে এবং এত বেশি ক্রস ঘটার কারণে আমাদের এই বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশী সমাজ। আমি নিজেও ফর্সা কিন্তু হালকা তামাটে, মানে আমি শ্বেতাঙ্গ হতে পারছি না। আবার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শ্যামবর্ণের মানুষ বসবাস করেন। এবং তারা যথেষ্ট বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, হচ্ছেন এবং হবেন, অন্তত আমার দূরদৃষ্টি যতদূর যায়।
কিন্তু এই বৈষ্যমের বীজ কারা বপন করেছিলেন? নিশ্চয়, ব্রিটিশরা। আরো স্পষ্ট করে বললে বলা যায়, শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা আমরা প্রভাবিত। এমন মাত্রায় প্রভাবিত যে, পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীনের প্রায় পঞ্চাশ বছর হতে চলেছে তবুও আমরা আমাদের স্বকীয়তা কি তা জানতে পারছি না। অথচ ব্রিটিশরা আমাদের পাকিস্তান পূর্ব অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশ যখন ছিলো তখন শাসন করেছিলেন। সংকর জাতি হওয়ার পিছনে বাঙালীদের আরো বিভিন্ন জাতির শাসন ও শোষণ জড়িত। তাদের(ব্রিটিশদের) গায়ের রঙ সাদা বলেই তারা নিজেদের আমাদের চেয়ে সভ্য মনে করেন এবং তাদের এই সভ্য মনে করাটাকে আমরা খুব সুন্দর ভাবেই গিলেছি। কিন্তু এখন আর সেটি আমাদের হজম হচ্ছে না ফলে বারবার টয়লেটে যাওয়া লাগছে। কি ধরণের টয়লেট তার চিত্র পোট্রের্ট না করতে পারলে এই এক জীবন বৃথা,
• শুধুমাত্র ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মোট পার্লারের সংখ্যা সেই এলাকার মোট কোচিং সেন্টারকেও হার মানায়। কোচিং সেন্টার তাও আমাদের ভাল নম্বর পাওয়াতে সুবিধে করে দেয়, জব পাইয়ে দিতে সুবিধে করে দেয়। অথচ কোচিং সেন্টার নিয়ে পত্রিকায় যত নেতিবাচক খবর পাবেন তার সিকি ভাগও খবর করা হয় না পার্লার নিয়ে। পার্লার ব্যবসা এখন কোটি টাকার ব্যবসা। আমি কখনোই সুসজ্জিত বা পরিষ্কার বা গুছিয়ে থাকার বিপক্ষে নই, কিন্তু জোর করে বেঢপ সাজে চিড়িয়াখানার প্রাণী সাজলে(মানে ফর্সা হবার সূত্র) মেনে নেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। বিয়ে করার পূর্বে এক মেয়ে, বাসর রাতে অন্য মেয়ে হয়ে উঠার ঘটনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু একজন মেয়ে কেনো এসব করছে? আমার মতে, এটাই আমাদের সমাজের ডিমান্ড। ছেলের মায়ের যেন ফর্সা মেয়ে ছাড়া চলবেই না। ফলে মেয়েদের এখন আটা-ময়দা ও সুজি ছাড়া চলছেই না। তাই বলে ছেলেরাও কিন্তু কোন অংশে পিছনে নেই, তাদেরও ফর্সা হবার কৌশল জানতে ম্যান'স পার্লার একমাত্র সহযোগী হয়ে উঠছে। জেনে বা না জেনে আমরা লালন করছি সেই কিছু কুলাঙ্গার শ্বেতাঙ্গদের দেয়া কনসেপ্ট।
• আপনার হাতে নিশ্চয় স্মার্টফোন আছে! ওখানে ক্যামেরা অন করলে দেখবেন "Beauty" অথবা "Beauty Effect" নামক অপশন আছে। আচ্ছা, এই অপশনের কাজ কি? ক্যামেরা অন করলেই দেখা যাবে, আপনি ফর্সা থেকে ফর্সাতর হয়ে গেছেন। হিরো আলম থেকে শাহরুখ খান হয়ে গেছেন অথবা জরিনা থেকে ক্যাটরিনা হয়ে গেছেন(কিছুটা রেসিস্ট কথা বুঝার জন্য বলতে হলো)৷ কারণ, আমাদের স্মার্টফোনের ক্যামেরা বিউটিফিকেশন এর সংজ্ঞা ফর্সা হওয়াতে খুঁজে পাচ্ছে। এমনকি কি সব অদ্ভূত "Effect" সংযুক্ত করা থাকে। যেমন ধরুণ, "Galaxy Effect" নামে একটি ইফেক্ট খুবই কার্যকরী আপনাকে ফর্সা বানাতে। এছাড়া "Black & White Effect" নিয়েও যদি কাজ করেন তবে অটো ফেইস ডিটেকশন/রিকগন্যাইজ করে আপনার চেহারা ফর্সা করে দিবে এবং বাকি রঙ গুলো কালো করে দিবে। এতসব দেখে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, "আমার চাইনিজ ফোনে চায়নিজরা কোনো Conspiracy Theory এর টেকনোলজি ব্যবহার করেছে কি?"
হ্যাঁ, ভাই আমাদের জীবনে এখন হিন্দি সিনেমা "গোলমাল" এর সিকুয়েন্স চলছে। হাস্যকর!
যদিও ক্রেতা ও বিক্রেতার সম্পর্ক সম্বন্ধে চায়নীজ প্রবাদসমূহ বিশ্ববিখ্যাত,
“A happy customer tells a friend; an unhappy customer tells the world.”
- Chinese Proverb
যাইহোক, এই ধরণের ফিচার আমাদের দেবার কারণ হচ্ছে আমরা চাই বলে শুধু। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাদা মুখ ছাড়া ব্যতিক্রম কোনকিছু আর দেখা-ই যায় না।
• সামাজিক ভাবে বর্ণবাদ(Racism) থেকে শ্রেণীবাদ(Classism) আরো ভয়ানক পর্যায়ের।
(১) নির্মাণের দিক থেকে বিশ্বে ১১তম স্থানে থাকা ঢালিউডের স্বর্ণযুগেও(১৯৭৩-১৯৮৩) কোনো কালো মানুষকে নায়ক ভিন্ন অর্থে Protagonist হিসেবে দেখা যায় না। কালো মানুষেরা শুধু ভিলেন ভিন্ন অর্থে Antagonist হিসেবে সবসময় আবিভূর্ত হয়েছে। এমনকি নাট্য অভিনেতা হাসান মাসুদ ভাল একজন অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও কালো বলে কম বিদ্রুপের শিকার হোননি বলে মনে হয়েছে।
(২) বর্তমানেও একজন টিভি উপস্থাপক/উপস্থাপিকা থেকে শুরু করে বেতার উপস্থাপক/উপস্থাপিকাদের গায়ের রঙ সাদা। শেষ কবে কালো বর্ণের মানুষকে একজন উপস্থাপক অথবা উপস্থাপিকা হিসেবে ছোট পর্দায় দেখেছেন? মন্তব্যে জানাবেন। এসব কি Classism এর পর্যায়ে পড়ে না!
(৩) কর্পোরেট দুনিয়া সম্পর্কে ধারণা কম আমার। কিন্তু এই দুনিয়ায় মুভি ইন্ডাস্ট্রি যে ভাবে অঙ্কন করেছেন তা নেহাৎ বড় এক্সটেন্টে মিথ্যে হতে পারে না।
সেখানেও সাদাদের দাম যেন ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী।
(৪) বায়োলজিকালি একজন মানুষ কালো হয় এবং একজন মানুষ সাদা হয়। কিন্তু কালো রঙের মেয়ে অথবা ছেলেকে সামাজিক ভাবে বেড়ে উঠতেও পোহাতে হয় অনাকাঙ্খিত নিন্দা। ভিন্নরকম ভাবে তাদের দিকে তাকানো এবং তাদের যা ইচ্ছে তাই নাম ধরে ডাকা হয় এবং এই ধরণের ব্যবহার করার চর্চায় রয়েছে যেনো সামাজিক অধিকার। এটাও কি শ্রেণীবাদ(Classism) পর্যায়ে পড়ছে না!
(৫) মেয়েরা স্বর্ণকেশী হতে না পেরে চুলে রঙ করছেন। অনেকক্ষেত্রে চুল ছোট করে রাখছেন। ছেলেরা স্যুট-টাই পড়ছেন। এমনকি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান অবধি তীব্র গরমে স্যুট-টাই পড়ার মধ্যে দিয়ে কি উপনেশবাদ(Colonialism) চর্চা করছেন না? এবং এর মধ্যে শ্রেণীবাদ(Classism) বাদ পড়লো কি!
(৬) অধিকাংশ বাঙালী ফিকশন লেখক নায়িকা বা ভিন্ন অর্থে Protagonist হিসেবে মেয়েদের যেভাবে চিত্রায়িত করেছেন সেটার শিকড় গেঁড়ে আপনি কেবল উপনেশবাদ(Colonialism) খুঁজে পাবেন। এমনকি মূল নায়িকা চরিত্র শ্যামলা হলেও তিনি হয়ে গেছেন উজ্জ্বল শ্যামলা বা তামাটে। মানে তাঁরা এভাবেই কনভে করার চেষ্টা করেছেন। আমি অনেকাংশে অজ্ঞাত, বাংলা সাহিত্যে পদাচারণা কম হওয়ার দরুণ কিছু অংশে ভুল হলে হতেও পারে। কিন্তু পুরোপুরি ভুলভাল মনে হয় বলছি না। কিন্তু শ্যামবর্ণের মেয়েকে নিয়ে একজন সাদা ছেলের কোন সমস্যা নেই। ব্যক্তি হিসেবে শ্যামবর্ণের মেয়েদের প্রতি আলাদা ভাললাগা কাজ করে আমার। কিন্তু সমস্যা যেনো আমাদের পারিপার্শ্বিকতার। আমি মেনে নিলেও আমার সাদা বর্ণের মা মেনে নিবে কি? হয়তো আমার দিকে তাকিয়ে নিলে নিতেও পারে। এই প্রেজুডিস ভিন্ন অর্থে সংস্কার বাংলার প্রতিটা ঘরে ঘরে এখন। এটাও কি তবে শ্রেণীবাদ (Classism) নয়?
• কসমেটিকস্ বাণিজ্য পেয়েছে যেন ভিন্ন ধারা। সাদা রঙের মেয়েরা বিজ্ঞাপনে বিভিন্ন প্রসাধনী নিয়ে উপস্থিত হয়ে বাকি রঙয়ের মানুষদের ইনফেরিয়র করে তুলছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যন্ত দামী ব্রান্ডের কসমেটিকস্ পাওয়া যাচ্ছে। এই বিপ্লব তো আমরাই নিয়ে এসেছি। যে বিপ্লবের শ্লোগান হচ্ছে, "ফর্সা হবার কৌশল এখন আপনার হাতের মুঠোয়"। আমি নিজেও তার বাহিরে নই হয়তো।
• Diversity(বিচিত্রতা) এক ধরণের শক্তি। কালারড্ হওয়া মানে গায়ের রঙ ভিন্ন হওয়া অপরাধ হতে পারে না। তবুও "উইল স্মিথ" এর মত লোকও যদি ছাড় না পান তবে সত্যিই এই রচনা আপনার "দ্য হ্যাংওভার" সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য।
আমাদের সমাজের রন্ধে রন্ধে প্রবেশ করেছে ফর্সা হবার এই রোগ। কালো বা শ্যামলা বর্ণের মানুষদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ফর্সা হতে না পারার জন্য ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স। এখন এত উদাহরণ টানলে এটি আর কোন রচনার ফরম্যাটে পড়বে না হয়তো, উল্টো মোটা দাগের রিসার্চ পেপার হয়ে যেতে পারে।
তাই তথ্যে কোন ভুলভ্রান্তি থেকে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে এরই সাথে এই রচনাটি শেষ করছি।
ধন্যবাদ
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগ পোষ্ট নয়, যেন বই থেকে পড়লাম।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাস প্রথার যুগে যদি ইউরোপ বা আমেরিকার মানুষ কালো হতো আর তারা যদি আফ্রিকার সাদা মানুষদের ( যদি এমন হতো) দাস বানাত তাহলে হয়তো সাদা কেউ হতে চাইত না।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। জাতি হিসেবে আমরা সাদার পূজারি। গায়ের চামড়া সাদা হলেই হলো। এই ধরণের বিউটি স্ট্যান্ডার্ড ছেলে মেয়ে উভয়ের ভিতরেই আছে। মিদিয়াগুলো যেখানে এইসব কু প্রথা ভাঙতে ভূমিকা রাখার কথা। তারা বরং উলটা কাজ করছে। তব কিছু ব্যতিক্রম বোধহয় এখন দেখা যাচ্ছে।
মজার ব্যাপার, শ্বেতাঙ্গ রমণীরা উলটো ট্যানিং করে গায়ের চামড়া বাদামী বানান। অনেক ইন্ডিয়ান বাদামী মেয়ের ত্বক দেখে তারা না কি ঈর্ষায় ভুগেন। বড়ই বিচিত্র মানব মন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: দক্ষিণ এশিয়ায় এবং বাংলায় বর্ণবাদের সূচনা করে বহিরাগত আক্রমণকারী আর্যরা। তারাই স্থানীয়দের সাখথ নিজেদের রং-এর পার্থক্য দেখে বর্ণভেদ প্রথা সৃষ্টি করে সেটাকে ভগবান ব্রক্ষার নামে চালিয়ে দেয়।
ইংরেজরা এসেছে আরো হাজার বছর পরে।
তবে তারা চীনাসহ এশিয় সব জাতির প্রতি বর্ণবাদী ছিলো। ভারত-চট্রগ্রামের ইউরোপীয় ক্লাবসহ চীনেও তাদের তাদের জন্য সংরক্ষিত বিভিন্ন জায়গায় লেখা ছিলো : কুকুর এবং চীনাদের প্রবেশ নিষেধ।