নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি: পূর্ণাঙ্গ তুলনার ধারণা এবং এর গুরুত্ব

১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০



সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বস্তু যা শুধুমাত্র পৃথিবীতে একটি বিদ্যমান তার তুলনা কারো সাথে করা যায় না। সেটিকে তুলনা করে বলা যায় না যে, এটা খারাপ বা ভালো। তুলনা তখন আসে যখন একই রকম অন্তত দুটো বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়। একটার সাথে আরেকটার তুলনা কীভাবে করতে হয় সেটার ঢঙ জানা না থাকলেও আমরা তুলনা করি। শুধু তাই নয়, আমরা তুলনা করার পাশাপাশি তার বিচার করে রায় দিয়ে দেই; চাই আমরা সেটাও ভালো মত করতে পারি বা না পারি।

ধর্মীয়, দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের তুলনা করা উচিত নয়, সম্ভব নয়। নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা কেউ-ই এমন কোন বিচারক পদে বসে নাই যেখান থেকে আমরা মানুষকে তুলনা করে তাদের ব্যাপারে রায় ঘোষণা করবো। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটেও একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের কোনরুপ তুলনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু চাই এটা যতই অসম্ভব হোক, আমরা বাঙালী সুতরাং আমরা তুলনা করবো এবং শুধু তুলনা নয় বরং তার ভিত্তিতে উঠে আসা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিচার করে আমাদের রায় নিজ দায়িত্বে জনসম্মুখে ঘোষণা করবো।

দীর্ঘদিন ধরে লালিত-পালিত এই রীতিনীতি বা সংস্কৃতির মধ্যে নিমগ্ন থাকা বাঙালী মন আজও একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের তুলনা করে থাকে। অন্যের ভালো বা মন্দের আস্ত বড় বিচারক হিসেবে আমরা আমাদের প্রমাণ দেই রোজরোজ। কিছু মোটিভেশনাল স্পিকার আমাদের অন্তত নিজেদেরকে অন্যের সাথে তুলনা করতে নিষেধ করেন, বারণ করেন। আমরা এতসব জেনেও তুলনা করি। আমাদের পছন্দের আড্ডায়, মাহফিলে, জলসায়, চায়ের কাপে, সিগারেট হাতে ‘তুলনা’ জিনিসটা হচ্ছে ‘Inevitable’। মানে যেখানে ‘তুলনা’ করে রায় ঘোষণা হচ্ছে না সেই আড্ডা বা মাহফিল বা জলসা ঠিক জমে না। কিন্তু আমরা অদৌ কি তুলনা করতে শিখেছি? যদি তুলনা করতে হয় তাহলে সেটা ঠিক কীভাবে করা উচিত?

যেহেতু তুলনা করা আমরা বাদ দেবো না, আমরা তুলনা করবোই করবো সেহেতু আমার প্রস্তাবনা হচ্ছে, পুরোটা তুলনা করুন। পূর্ণাঙ্গ তুলনা করুন। একজন মানুষের জ্ঞানত যতগুলো কম্পোনেন্ট তুলনা করার যোগ্য তার সব দিয়ে তুলনা করুন। আমার মনে হয়, আমরা এখনো তুলনা করতে শিখি নাই। আমরা তুলনা তো করি কিন্তু ভুলভাল তুলনা করি। কারো চেহারা সুন্দর, কারো অর্থসম্পদ বেশি, কারো আচরণ ভালো, কারো চরিত্র ভালো, কারো ক্যারিয়ার ভালো, কেউ-বা খুব জনপ্রিয়। কেউ নেতা, কেউ অভিনেতা।

কিন্তু আমরা সবসময় একজন মানুষের একটি গুণ দিয়ে তার সবটুকু তুলনা কেন করি? আমরা কেন কারো ভালো দিক বিবেচনায় তার মন্দ দিকগুলো বেমালুম ভুলে যাই? আমরা শুধু এককেন্দ্রিক বিবেচনায় কেন একজন মানুষকে সিলেক্টিভ হেয়ারিং দিয়ে তাকে পিরামিডের শীর্ষে বা একেবারে নিচের অবস্থানে রাখি?

এভাবে তো আর যাইহোক আমাদের আড্ডা জমলেও ভুলভাল তুলনা হয়। কিছু মানুষের সাথে অবিচারও করা হয়। আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি যদি হয় ‘তুলনা করা’ তাহলে সেটা আগে শেখা উচিত। একজন মেয়ে সুন্দরী হতে পারে কিন্তু জরুরী নয় তিনি ভালো প্রেমিকা হবেন, ভালো স্ত্রী হবেন। কিন্তু অপরপক্ষে যে মেয়েটা একটু অসুন্দরী তিনি যদি ভালো প্রেমিকা বা স্ত্রী হোন তাহলে আমরা এই দুই মেয়েকে কীভাবে তুলনা করবো?

১. সুন্দরী মেয়েটি এগিয়ে থাকবে?
২. অসুন্দরী মেয়েটি এগিয়ে থাকবে?

‘তুলনা’ নিয়ে এরচেয়ে লঘু মানের উদাহরণ আপাতত মাথায় আসছে না। কিন্তু যেটুকুও টানলাম তাতেও কিন্তু আপনি উপসংহারে পৌঁছাতে পারবেন না। এখন আপনার আরো তথ্যের প্রয়োজন পড়বে। হতে পারে কবি জন কিটস এর মত করে শেষমেশ বলবেন, “সুন্দরেরা যাই করে সেটাই সুন্দর।” কিন্তু তুলনা করা ঠিকঠাক হলো না। এই দুই মেয়ের বেড়ে উঠা, আচরণ, চরিত্র, যোগ্যতা থেকে শুরু করে এরা কোন শহরে থাকে, কোন শিল্পীর গান শোনে এসব পর্যন্ত জানতে হবে এই পূর্ণাঙ্গ তুলনা করার জন্য।

আশেপাশে এত বাইনারিস্ট দেখি যারা খুব দ্রুত একটি উপসংহারে পৌঁছাতে পারে। তাদের মস্তিষ্ক কিছুটা কম্পিউটার মস্তিষ্কের মত ‘0’ অথবা ‘1’ বুঝে; তাও কম্পিউটারের মূল লজিক বুঝে না। কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ভাষা বুঝে না। সবকিছুতেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’, ‘সত্য’ না হলে ‘মিথ্যা’, ‘সঠিক’ না হলে ‘বেঠিক’ চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী। এটাকে আর যাইহোক সরলতা বলে না, না মানুষ কোন যন্ত্র। কারণ মস্তিষ্কেরও তো এক ধরণের শ্রম প্রয়োজন হয় আর চিন্তাতে আমরা মোটেই পরিশ্রমী নই। আমাদের মানে বাঙালীদের জন্মগতভাবে ‘IQ’ লেভেল এত কম যে, আমরা কোনকিছুকে তলিয়ে ভাবতে চাই না।

পূর্বের উদাহরণে যদি আপনাকে এই দুটো মেয়ের মধ্যে একজন কে বিয়ে করতে বলা হয় তাহলে ঠিক কাকে বিয়ে করবেন? উত্তর আমার জন্য সহজ হচ্ছে না। কিন্তু আপনি কি উত্তর পেয়েছেন! যদি পেয়ে থাকেন তাহলে কংগ্রাচুলেশন! আপনি একজন বাইনারিস্ট। যদি পূর্ণাঙ্গ তুলনা করতে চান তাহলে তাদের বিষয়ে অন্তত নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা থাকা খুব প্রয়োজন,

১. যোগ্যতা
২. ব্যক্তিত্ব
৩. ক্যারিয়ার
৪. চরিত্র
৫. গায়ের রঙ (অঞ্চলভেদে প্রযোজ্য হতে পারে)
৬. তাদের বাবার অর্থসম্পদ
৭. ধর্ম
৮. বেড়ে উঠা
৯. আচরণ
১০. কর্মদক্ষতা
১১. পোশাক-পরিচ্ছদ
১২. সংস্কৃতি
১৩. পছন্দ ও অপছন্দ
১৪. সন্তানের মা বিবেচনায়
১৫. সাংসারিক হওয়া বিবেচনায়
১৬. সঙ্গীনী হওয়া বিবেচনায়
১৭. মূল্যবোধ
১৮. শ্রদ্ধা
১৯. সততা
২০. আনুগত্য
২১. উচ্চতা
২২. বয়স
২৩. শরীরের গড়ন (অন্তত আপনার কাছে আকর্ষণীয় হওয়া জরুরী)
২৪. দক্ষতা
২৫. মানিয়ে চলার ক্ষমতা

মোটাদাগে এই ২৫টি উপাদান এবং টেইলরিং করতে গেলে আরো হাজারো উপাদান এই দুই মেয়ের মধ্যে আপনাকে খুঁজতে হতে পারে। শুধুমাত্র একজন সুন্দরী বলেই বাকি সব ফিল্ডে গোল্লায় গেলে তো চলবে না। আবার শুধুমাত্র বাকি সব ফিল্ডের কিছু অংশ ভালো কিন্তু অসুন্দরী হলেও চলবে না। পুনরায়, এই উদাহরণে শুধু মেয়েদের কথা বলা হলেও একইভাবে একজন মেয়ে একজন ছেলের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় তুলনা করতে পারেন। একজন মেয়েও যদি তুলনা করতে যান তাহলে অনুগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ তুলনা করুন।

কিন্তু এখানেই তো আপদ তাই না? এত এত বিষয় নিয়ে তুলনা করতে গেলে আপনাকে প্রচুর চিন্তাশীল হতে হবে, ওদের ব্যাপারে স্টাডি করতে হবে, জানতে হবে, এমনকি পড়তেও হতে পারে। যখন হুটহাট তুলনা করতে বসবেন তখন এক কাপ চা বা এক সিগারেট শেষ করতে করতে কাউকে কারো সাথে তুলনা করতে পারবেন না। আর এই না পারা থেকে রেগে যাবেন এবং হেরে যাবেন। সুতরাং আমরা তুলনা করি কিন্তু আমরা তুলনা করতে শিখি নাই। খুব সম্ভবত এমন তুলনা করার ইচ্ছেও আমি কারো মধ্যে দেখি না। আমরা সোজা উপসংহারে যাই।

আপনি বড় নেতা হোন বা অভিনেতা, সংসার যে টিকলো না, সন্তান যে মানুষ করতে পারলেন না, আর্থিক ভোগান্তি থেকে যে বের হতে পারলেন না এসবের দায় আপনি নেতা/অভিনেতা বলে আপনার সহমত ভাই মেনে নিলেও আমার তুলনায় যে তথ্য পেলাম তাতে আপনি হলেন একজন ব্যর্থ মানুষ। আপনি যত বড় নেতা হোন, যত বড় অভিনেতা হোন না কেন! আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ।

তুলনা আমরা করবোই, কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তুলনা হোক। ছোটবড় প্রতিষ্ঠানের জরিপেও ১০-২০টি মাপকাঠি নিয়ে পরিসংখ্যান টানা হয়। আর আপনি মানুষ মাপছেন! মাপকাঠি আরো বেশি করুন তারপর বিচারের রায় না হয় ঘোষণা করলেন।

ছবি: Bing Enterprise (Copilot Ai)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: নানান মত থাকবে।কিন্তু তথ্য প্রমান যুক্তি সহকারে বিচার বিশ্লেষণ করে তুলনা করলে ভালো হয়।

১১ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২১

মি. বিকেল বলেছেন: ঠিকাছে

২| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষে মানুষে তুলনা করার এই নোংরা প্রকটিস আমাদের বন্ধ করতে হবে, আমি নিজে এর ভুক্তভুগী। আপনি সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।

১১ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

মি. বিকেল বলেছেন: এত সহজে আমাদের মুক্তি মিলবে না, আমাদের যতদিন মুক্তি না মিলে ততদিন এ নিয়ে কথা বলে যেতে হবে।

৩| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাগুলো পড়ি এবং আপনার বিশ্লষণ ক্ষমতা দেখে অভিভূত হই। তবে আপনি হয়তো ভদ্রতা করে এভাবে আলোচনা করেছেন। আসলে আমরা বেশিরভাগ সময় তূলনা করার চেষ্টাই করিনা। আমরা শুধু আমাদের প্রিডিটারমাইন্ড ধারনাটি যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করি। সোজা কথায় আগেই কাউকে ভাল আর কাউকে মন্দ বলে উপসংহারে পৌঁছে পক্ষে বিপক্ষের নিজের মনের মত যুক্তি গুলোকে উপস্থাপন করি। কারণ সত্যিকার ভাল মন্দ নির্ধারনের জন্য প্রথমে একটি নিরপেক্ষ খোলা মন লাগে যা আমাদের ৯০% ব্যাক্তির মধ্যেই নেই।

তাছাড়া ভালমন্দ নির্ধারনের জন্য আপনি যে ২৫ টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন তার অর্ধেকের বেশির মান আপেক্ষিক। এমনকি একই ব্যাক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এ মান পরিবর্তিত হয়। তাই সঠিকভাবে ভাল মন্দ নির্ধারন করা সত্যি দুরূহ।

প্রকৃত পক্ষে কারও চলনে, বলনে, দর্শনে আমাদের মথ্যে একটা পারসেপশন তৈরী হয় তার উপর ভিত্তি করেই আমরা ভালমন্দ নির্ধারণ করি। এটা যতটা না যৌক্তিক তারচেয়ে অনেক বেশি মনস্তাত্ত্বিক।
ধন্যবাদ।

১১ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

মি. বিকেল বলেছেন: দীর্ঘদিন ধরে প্রশংসা পাই না। আজ ভালো লাগছে

যাকগে, "এটা যতটা না যৌক্তিক তারচেয়ে অনেক বেশি মনস্তাত্ত্বিক" - সুন্দর ছিলো।

৪| ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ভালো টপিকই বলা চলে। কিছু কিছু তুলনার ক্ষেত্রে আমাদের স্বজনপ্রীতি বা বায়াসনেস ও প্রি-কনসিভ্‌ড ধারণা চলে আসে, যা অনেকটা বিষাদ সময় উল্লেখ করেছেন। একজন মা যখন তার নিজের সন্তানকে অন্যদের সাথে তুলনা করেন, গভীর কোনো পর্যালোচনা ছাড়াই তিনি বলতে থাকেন, আমার ছেলে ওর ছেলের চাইতে শত গুণ, হাজার গুণ ভালো। উল্টোটাও হয়, একই মা যখন তার ছেলে বকছেন, তিনি বলছেন, পাশের বাড়ির কুদ্দুস ২ বেলা খাওয়া পায় না, কিন্তু জিপিএ-ফাইভ ঠিকই পাইল, আর তুই সব কিছু পাইয়াও ওর মতো ভালো করতে পারলি না।

একটা মেয়েকে বিয়ে করার আগে আমরা বরং আরো বেশি তফসরা করি। এত এত গুণ নিয়ে পর্যালোচনা করি যে শেষমেষ দেখা যায়, মেয়েটার কোনো গুণই নাই। ছেলের ব্যাপারেও এমনটাই ঘটে - ভাদাইম্যা হিসাবে আখ্যা পায় :)

তবে ব্যক্তির তুলনার ক্ষেত্রে আমরা অতটা গভীরে যাই না। সেটার প্রয়োজনও তেমন পড়ে না। রাস্তা দিয়ে ২ মেয়ে বা ২ ছেলে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের তুলনা করার জন্য বাহ্যিক অবয়বই আমাদের কাছে উপস্থিত আছে। এ থেকেই তুলনা হবে। গ্রামের দুই তরুণ বা তরুণীকে যখন আমরা তুলনা করি, তখন তথ্যের পরিমাণ আরো বেশি থাকে, তাই সেই তুলনা আরেকটু গঠনমূলক হয়।

আমরা খাদ্যদ্রব্য, অন্যান্য পণ্যের তুলনা করতে পারি সহজেই, কারণ, সেগুলো আমরা খাই বা ব্যবহার করি।

আমরা বেশি তুলনা করি আমাদের নেতা, সরকারের মধ্যে। এই সরকার ভালো না, আগের সরকার ভালো ছিল, তার আগের সরকার আরো বেশি ভালো ছিল, ইত্যাদি। এই তুলনাগুলো একেক জনের কাছে একেক রকম এবং এগুলো হলো স্বজনপ্রীতিমূলক তুলনা। নিজের দলের লোক কোনোদিনই নিজ দলের সরকারের খারাপ দিকগুলো আলোচনায় আনবেন না।

জো বাইডেন, নাকি ট্রাম্প, ওবামা, নাকি ক্লিনটন? কে বেশি ভালো ছিল? এসব আলোচনায় তো অনেক তথ্য চলে আসে এবং এখানেও বায়াসনেস কাজ করে।

পুতিন, নাকি বাইডেন, আমেরিকা, নাকি রাশিয়া - কে বেশি ভালো? তুলনার অন্ত নাই।

তুলনা করতে না চাইলেও অটোমেটিক্যালি মনের মধ্যে তুলনা চলে আসবে। তুলনাটা আসে নিজের ভালোটা বাছাই করার উদ্দেশ্যেই মূলত।

১১ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬

মি. বিকেল বলেছেন: আমার উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তুলনা যে করবে তাকে Analysis Paralysis করে দেওয়া যাতে তুলনা করার শখ পুনর্বার না জাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.