নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘সন্ত্রাসবাদ (Terrorism)’ দ্বারা কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বা জনগোষ্ঠী বা কোন বিশেষ কমিউনিটি কে বুঝায় না। কিন্তু বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ এক ধরণের ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে পরিচিত। ইসলাম ধর্মের নাম করে এখানে বহুবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানো হয়েছে। যদিও ইসলাম ধর্ম এই ধরণের হত্যাযজ্ঞ বা ভয় প্রদর্শন করা সমর্থন করে না তবুও এক ধরণের মগজ ধোলাই বিদ্যমান এবং সেখান থেকেই একের অধিক সংগঠন এখানে সক্রিয় ছিলো; হয়তো আজও আছে।
আমি জন্মগতভাবে একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী কিন্তু প্রাকটিসিং মুসলিম নই এবং এটা নিয়ে আমি মোটেই গর্ব করি না, গর্ব করার মতন এখানে কিছুই নেই। কিন্তু ইসলাম ধর্মের নাম করে ঘটিত সমস্ত ‘সন্ত্রাসবাদ (Terrorism)’ কে নিন্দা জানাই এবং একই সাথে সাচ্চা মুসলিমদের ধর্ম পালনে এই অভিশাপ বহন করা থেকে মুক্তি চাই।
কারণ পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্মের অনুসারী সে হয়তো সন্ত্রাসবাদী নয় কিন্তু তার মধ্যে সন্ত্রাসবাদী হওয়ার ‘পটেনশিয়ালিটি (সম্ভাবনা)’ বিদ্যমান। এই ধরণের সরলীকরণ একজন সাচ্চা মুসলিমের জন্য ধর্ম পালনে ব্যাপক সমস্যার দেখা দিচ্ছে।
এই প্রবন্ধের আরো সামনে যাওয়ার আগে আমি একটি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই যে, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন যে ইসলাম ধর্ম সন্ত্রাসবাদ প্রচার করে, সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত করে, সন্ত্রাসবাদী হওয়ায় পুরষ্কার দেয় তাহলে আমি আমার ধর্ম ছেড়ে দেবো (শর্ত হচ্ছে তা পবিত্র আল কোরআন মোতাবেক হতে হবে)।”
বাংলাদেশে বিদ্যমান সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী/জঙ্গী সংগঠনের তালিকা,
১. জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (JMB)
২. হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামি (HuJI)
৩. আল-কায়েদা এবং এর সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট গ্রুপ সমূহ।
৪. ইসলামিক স্টেট (IS)
৫. হিজবুত তাহরীর সহ বাংলাদেশে মোট ৪০টিরও বেশি জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে এসব জঙ্গি সংগঠন একাধিক সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলো বলেও ধারণা করা হয়। আমি আবারও লিখছি, “ধারণা করা হয়।”
বাংলাদেশে ১৯৭১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী হামলার বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায় না, কারণ এই সময়কালে সন্ত্রাসবাদ একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে উঠে আসেনি। তবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সংঘাত এবং সহিংসতা ঘটেছে, যা পরবর্তীতে সন্ত্রাসবাদের উদ্ভবে অবদান রেখেছে।
১৯৮০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করা কঠিন, কারণ এই সময়কালের অনেক ঘটনা ঐতিহাসিক দলিলে সীমিত বা অপ্রকাশিত থাকতে পারে। তবে, উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইসলামিস্ট সন্ত্রাসবাদের উত্থান মূলত ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে দেখা যায়, যখন প্রায় ৩,০০০ বাংলাদেশি আফগানিস্তানে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি সমর্থিত বিরোধী-সোভিয়েত জিহাদে।
এই সময়কালে বাংলাদেশে কিছু সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের উত্থান ঘটে, যারা পরবর্তীতে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়। এই গ্রুপগুলির মধ্যে হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামি (HuJI) এবং জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (JMB) অন্যতম। এই গ্রুপগুলি বাংলাদেশে শরিয়া আইন অনুযায়ী শাসন করা বা আলাদা ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।
বিশেষ করে, ১৯৯৯ সালে হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামি বাংলাদেশ কর্তৃক শামসুর রহমানের উপর হত্যাচেষ্টা, যশোরের বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীতে বোমা হামলা এবং মোহিবুর রহমান মানিকের বাড়িতে বোমা হামলা ঘটে।
এই সময়কালের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য হামলাগুলির মধ্যে রয়েছে ২০০১ সালের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির র্যালিতে বোমা হামলা, ২০০২ সালের ময়মনসিংহের সিনেমা হলে সমন্বিত বোমা হামলা, এবং ২০০৩ সালের টাঙ্গাইলের মেলায় বোমা বিস্ফোরণ।
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার নির্দিষ্ট সাল এবং জড়িত সংগঠনের নাম নিম্নরূপ:
★ ১৯৯৯ সাল
- ১৮ জানুয়ারি: হরকাত-উল জিহাদ আল-ইসলামি বাংলাদেশ (HuJI-B) শামসুর রহমানের উপর হত্যাচেষ্টা চালায়।
- ৬ মার্চ: যশোরের বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীতে বোমা হামলা, ১০ জন নিহত।
- ১৫ মার্চ: মোহিবুর রহমান মানিকের বাড়িতে বোমা হামলা, ২ জন নিহত।
★ ২০০১ সাল
- ২০ জানুয়ারি: কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের র্যালিতে বোমা হামলা, ৫ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত।
- ১৪ এপ্রিল: হরকাত-উল জিহাদ আল-ইসলামির বোমা হামলায় ১০ জন নিহত।
★ ২০০২ সাল
- ৬ ডিসেম্বর: ময়মনসিংহের সিনেমা হলে সমন্বিত বোমা হামলা, ২৭ জন নিহত।
★ ২০০৩ সাল
- ১৭ জানুয়ারি: টাঙ্গাইলের মেলায় বোমা বিস্ফোরণ।
★ ২০১৬ সাল
- ১-২ জুলাই: ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা, ২২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত। ইসলামিক স্টেট দায় স্বীকার করে।
★ ২০১৭ সাল
- ২৫ মার্চ: দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ২ জন পুলিশ অফিসার নিহত, প্রায় ৪০ জন আহত। আইএসআইএল দায় স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, এই তথ্যগুলো আরো বিশ্বস্ত উৎস থেকে যাচাই করা জরুরী কারণ রেফারেন্স সমূহ কিছুটা দূর্বল। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যায় কিন্তু সেসবের বেশিরভাগই গোপন থেকে গেছে। জড়িতদের বিচার হয়নি বা অজানা কারণে তাদেরকে ধরাও হয় নাই।
রেফারেন্স সমূহ
১. The rise of Political Islam and Islamist Terrorism in Bangladesh
২. Terrorism in Bangladesh – Wikipedia
৩. Terrorist incidents in Bangladesh in the 1990s
৪. Terrorist incidents in Bangladesh in the 2000s
৫. After the Dhaka Attack: Countering Terrorism in Bangladesh
৬. Terrorism in Bangladesh – Wikipedia
৭. July 2016 Dhaka attack – Wikipedia
৮. Major incidents of terrorist violence in Bangladesh since 1996 – SATP
৯. Terrorism in Bangladesh – Wikipedia
১০. সন্ত্রাসবাদের ছায়ায় ইসলামের অনুশীলন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪৯
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, তা একটি জটিল ও বিতর্কিত বিষয়। এই ধরনের দাবি বা মন্তব্য প্রায়ই বিভিন্ন মতামত, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাসের প্রতিফলন করে। এই ধরনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা কঠিন হয়ে থাকে কারণ এটি সাধারণত ব্যক্তিগত মতামত এবং বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে।
তবে, আমি আপনাকে এই বিষয়ে কিছু সাধারণ তথ্য দিতে পারি। সন্ত্রাসবাদ একটি জটিল ধারণা যা বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে। এটি সাধারণত সহিংস কর্মকাণ্ড বা হুমকি দ্বারা রাজনৈতিক বা অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার এবং সংস্থা এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক এবং সামরিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য।
২| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:০৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: যদিও ইসলাম ধর্ম এই ধরণের হত্যাযজ্ঞ বা ভয় প্রদর্শন করা সমর্থন করে না ----কেডা কইছে আপনারে?
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫১
মি. বিকেল বলেছেন: পবিত্র আল-কোরআন। আপনার সোর্চ কি জানতে পারি?
৩| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:২০
কামাল১৮ বলেছেন: নবী তেইশ বছর ইসলাম প্রচার করেন। তের বছর মক্কায় আর দশ বছর মদিনায়।মক্কার তের বছরে নবী একটাও যুদ্ধ করে নাই।তেরো বছরে একশ লোককেও মুসলমান বানাতে পারে নাই।মদিনার দশ বছরে তিনি তিরাশিটি যুদ্ধ করেন।সাতশটি যুদ্ধে তিনি নিজে নেতৃত্ব দেন।বাকিগুলি তার নির্দেশে।বেশির ভাগ যুদ্ধ ছিলো আক্রমানাত্বক।যুদ্ধের মাধ্যমে প্রচুর ধনসম্পদ ও দাসদাসী লাভকরেন।কি সুন্দর শান্তির ধর্ম।
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭
মি. বিকেল বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রচার করেন এবং তাঁর জীবনের শেষ তেইশ বছর ধরে তিনি এই ধর্মের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি প্রথমে মক্কায় তের বছর এবং পরে মদিনায় দশ বছর ধরে ইসলাম প্রচার করেন। মক্কায় তাঁর প্রচারণার সময় তিনি অনেক বিরোধিতা এবং প্রতিরোধের মুখোমুখি হন, এবং এই সময়ে তিনি কোনো যুদ্ধে জড়িত হননি। মদিনায় তাঁর প্রচারণার সময় কিছু যুদ্ধ হয়, যেগুলো মূলত আত্মরক্ষা এবং ইসলামের সম্প্রসারণের জন্য ছিল। এই যুদ্ধগুলোর মধ্যে বদর, উহুদ, খন্দক এবং মক্কা বিজয় অন্যতম। তবে, তিরাশিটি যুদ্ধের সংখ্যা এবং সাতশটি যুদ্ধে নিজে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী নির্ভুল নয়। ইসলামের প্রচারণার সময় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শান্তি, সহিষ্ণুতা, এবং মানবতার বার্তা দিয়েছেন, এবং তাঁর শিক্ষা অনুসারে ইসলাম শান্তির ধর্ম হিসেবে পরিচিত।
এই ধরনের মন্তব্য প্রায়ই বিভ্রান্তিকর এবং ঐতিহাসিক তথ্যের সঠিক ব্যাখ্যা না দিয়ে তৈরি করা হয়। ইতিহাস এবং ধর্মের বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য বিশ্বস্ত উৎস এবং ঐতিহাসিক গ্রন্থাদি অনুসন্ধান করা উচিত।
৪| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮
অগ্নিবেশ বলেছেন: আমার সোর্সও কোরান। কোরান বুইঝা পড়েন? কো্রানের আফসির পড়েন? কোরানের কোন কোন আয়াত মানসুখ হইছে জানেন? নাকি না বুইজাই যার যার ধর্ম তার তার, একটা মানুষ খুন করলে মানবজাতি খুন হইল, বিদায় হজের ভাষণ আর কাটা বিছাইন্না বুড়ি লইয়া ফাল পাড়েন?
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:০২
মি. বিকেল বলেছেন: জি, নির্দিষ্ট আয়াত দিন? আমার মনে হয় আমি আমার পড়াশোনায় কমতি রাখি নাই। (নির্দিষ্ট আয়াত)
৫| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
আঁধার রাত বলেছেন: প্রথম প্যারাতেই নির্জলা মিথ্যা কথা থাকায় আর পড়ার রুচি হইলো না।
মানুষ ধর্মের নামে এমন মিথ্যা কিভাবে বলে বুঝতে পারি না।
فَاِذَا انۡسَلَخَ الۡاَشۡهُرُ الۡحُرُمُ فَاقۡتُلُوا الۡمُشۡرِكِیۡنَ حَیۡثُ وَجَدۡتُّمُوۡهُمۡ وَ خُذُوۡهُمۡ وَ احۡصُرُوۡهُمۡ وَ اقۡعُدُوۡا لَهُمۡ كُلَّ مَرۡصَدٍ ۚ فَاِنۡ تَابُوۡا وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّكٰوۃَ فَخَلُّوۡا سَبِیۡلَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵﴾فاذا انسلخ الاشهر الحرم فاقتلوا المشركین حیث وجدتموهم و خذوهم و احصروهم و اقعدوا لهم كل مرصد فان تابوا و اقاموا الصلوۃ و اتوا الزكوۃ فخلوا سبیلهم ان الله غفور رحیم ﴿۵﴾
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
قَاتِلُوا الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ لَا بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ لَا یُحَرِّمُوۡنَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ وَ رَسُوۡلُهٗ وَ لَا یَدِیۡنُوۡنَ دِیۡنَ الۡحَقِّ مِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡكِتٰبَ حَتّٰی یُعۡطُوا الۡجِزۡیَۃَ عَنۡ یَّدٍ وَّ هُمۡ صٰغِرُوۡنَ ﴿۲۹﴾قاتلوا الذین لا یؤمنون بالله و لا بالیوم الاخر و لا یحرمون ما حرم الله و رسولهٗ و لا یدینون دین الحق من الذین اوتوا الكتب حتی یعطوا الجزیۃ عن ید و هم صغرون ﴿۲۹﴾
তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়। আল-বায়ান
কোরআন থেকে মাত্র দুই পিচ দিলাম। হাদিসে ছড়াছড়ি।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের এমন সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও ধর্মউম্মাদরা নিজের ধর্ম বলে সন্ত্রাসবাদ দেখতে পায় না।
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১০
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার উত্থাপিত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি আপনার সাথে আলোচনায় প্রবেশ করতে পেরে খুশি।
প্রথমত, কোরআনের আয়াতগুলির ব্যাখ্যা:
আপনি যে আয়াতগুলি উদ্ধৃত করেছেন তা কিছু নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত হয়েছিল যা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম আয়াত (৯:৫): এটি মদিনার যুগে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানায়। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও আত্মসমর্পণের সুযোগ উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল।
দ্বিতীয় আয়াত (৯:২৯): এটি "আহলে কিতাব"-এর সাথে যুদ্ধের কথা বলে যারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালায়। আয়াতে জিয্য়া প্রদানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিকল্পও উল্লেখ করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
* কোরআনের সমস্ত আয়াতকে তার নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রেক্ষাপটের আলোকে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
* কোরআনের কোন আয়াতই এলোমেলোভাবে ব্যাখ্যা করা বা সহিংসতা ন্যায়সঙ্গত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
* ইসলাম শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম, যা সকল মানুষের প্রতি সম্মান ও মর্যাদার উপর জোর দেয়।
সন্ত্রাসবাদ ও ধর্ম:
সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই। এটি একটি জটিল সমস্যা যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণগুলির দ্বারা চালিত হয়। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যের জন্য ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারে।
উপসংহার:
আপনার উদ্বেগগুলি বোঝা যায়। তবে, কোরআনকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা এবং সন্ত্রাসবাদের মূল কারণগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মকে সহিংসতা ন্যায়সঙ্গত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
১. কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা সম্পর্কে: [https://www.islamicfinder.org/](https://www.islamicfinder.org/)
২. সন্ত্রাসবাদ ও ইসলাম: [https://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_terrorism](https://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_terrorism)
৩. বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ: [https://en.wikipedia.org/wiki/Terrorism_in_Bangladesh](Click This Link)
আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করবেন না।
৬| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: নির্ভুল কোনটাই না।সব কিছুই মুসলমানদের দাবি।কোনটারই কোন নিরপেক্ষ প্রমান নাই।নবীর প্রমান নাই।চার খলিফার কোন প্রমান নাই।প্রমান আছে মোয়াবিয়ার।মোয়াবিয়া মুসলমান ছিলো তারও কোন প্রমান নাই।জীবনে কোনদিন মোয়াবিয়া মক্কা এসেছে তারো কোন প্রমান নাই।
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩১
মি. বিকেল বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাস একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং একে অপরের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, কামাল১৮ যে দাবি করেছেন তার কিছু বিষয়ে স্পষ্টতা আনা যেতে পারে।
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অস্তিত্ব:
* ঐতিহাসিকভাবে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অস্তিত্বের প্রমাণ ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
* বাইজেন্টাইন ও সাসানিয়ান সাম্রাজ্যের মতো সমসাময়িক উৎস তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে।
* প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যেমন হিজরতের পথের বরাবর পাওয়া শিলালিপি, তাঁর জীবনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
* কোরআন, যা মুসলমানদের কাছে আল্লাহ্র বাণী হিসেবে বিশ্বাস করা হয়, তা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন ও শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু।
চার খলিফা:
* নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরবর্তী চারজন নেতা, আবু বকর, ওমর, উসমান এবং আলী, ঐতিহাসিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
* তাদের খিলাফতের সময়কাল মুসলিম ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
* তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তগুলি ইসলামের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুয়াবিয়া:
* মুয়াবিয়া ছিলেন ষষ্ঠ খলিফা এবং উমাইয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।
* তাঁর শাসনকাল (661-680 CE) মুসলিম বিশ্বের উল্লেখযোগ্য প্রসারণের সময় ছিল।
* ঐতিহাসিকরা তাঁর রাজনৈতিক ও সামরিক দক্ষতার প্রশংসা করেন, তবে তাঁর শাসনকাল বিতর্কিতও ছিল।
মক্কা ভ্রমণ:
* ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, মুয়াবিয়া মক্কা ভ্রমণ করেছিলেন।
* তিনি হজ্জ পালন করেছিলেন এবং মক্কার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন করেছিলেন।
প্রমাণের অভাব:
* কামাল১৮ যে "কোন নিরপেক্ষ প্রমাণ নেই" বলে দাবি করেছেন তা স্পষ্ট নয়।
* ঐতিহাসিক গবেষণা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং ধর্মীয় গ্রন্থসহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়।
* প্রমাণের ব্যাখ্যা ও মূল্যায়ন বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা ভিন্ন হতে পারে, তবে ঐতিহাসিক রেকর্ডে নবী মুহাম্মদ (সাঃ), চার খলিফা এবং মুয়াবিয়ার অস্তিত্ব ও কর্মকাণ্ড সমর্থন করে এমন উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে।
ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যক্তিগত, এবং একে অপরের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ
৭| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
নতুন বলেছেন: যখন কেউ মনে করবে বিশ্বে এখনো বির্ধমী বা যারা ইসলামের পথে নাই তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাই তার দায়ীত্ব তখন যদি সে কোরানের এই আয়ান অনুসরন করে তবে সে কি কোন অন্যায় করছে বলে আপনি প্রমান করতে পারবেন?
At-Tawbah (Surah 9), Ayah 29. The Bengali translation of the verse is:
"তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়।"
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
মি. বিকেল বলেছেন: সূরা তাওবা, আয়াত ২৯ ব্যাখ্যা করে এমন অনেক বিষয় আছে যা জটিল এবং বিতর্কিত। আয়াতের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যার জন্য একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, কিছু সাধারণ দিক নির্দেশ করা সম্ভব:
প্রেক্ষাপট: এই আয়াতটি মদিনার যুগে নাজিল হয়েছিল, যখন মুসলিমরা বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর মুখোমুখি ছিল।
লক্ষ্যবস্তু: আয়াতটি "আহলে কিতাব" (যারা ঐশ্বরিক গ্রন্থে বিশ্বাস করে) তাদের নির্দিষ্ট করে যারা ইসলামের মৌলিক নীতি প্রত্যাখ্যান করে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
আদেশ: মুসলমানদেরকে এই লোকদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা "স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়"। জিয্য়া হল একটি কর যা অ-মুসলিমদের উপর আরোপ করা হয় যারা মুসলিম শাসনের অধীনে বাস করে।
ব্যাখ্যা: এই আয়াতটি কিছু লোক দ্বারা মুসলিমদের অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতিতে। অন্যরা যুক্তি দেয় যে এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য, যেমন যখন মুসলমানরা আক্রমণের মুখোমুখি হয়।
নতুনের প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা: নতুন যুক্তি দেন যে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা তার কর্তব্য, তাহলে তারা কি এই আয়াত অনুসরণ করে কোন অন্যায় করছে?
উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর জটিল এবং নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:
* আয়াতের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা
* জিহাদের ধারণা
* নির্দিষ্ট পরিস্থিতি
* ব্যক্তির উদ্দেশ্য
এই বিষয়গুলি জটিল এবং বিতর্কিত, এবং একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ ছাড়া কোন নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। সূরা তাওবা, আয়াত ২৯ একটি জটিল আয়াত যার ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। নতুনের প্রশ্নের কোন সহজ উত্তর নেই, এবং এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। এই বিষয়ে আরও জানতে এবং নিজের জন্য একটি অবগত সিদ্ধান্ত নিতে একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
* জিহাদের বিভিন্ন ধরণ সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি [https://en.wikipedia.org/wiki/Jihad](https://en.wikipedia.org/wiki/Jihad) দেখতে পারেন।
৮| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
রিদওয়ান খান বলেছেন: সামরিক বাহিনী এবং সমরবিজ্ঞান একটা রাষ্ট্রের অবকাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ন অংশের খুঁটিনাটি নিয়ম পদ্ধতি বর্ণনার ক্ষেত্রে আয়াতগুলো কেমন হওয়া উচিৎ বলে মনে করে ইসলামোফোবিকরা?
সমরবিজ্ঞানের এদিকটাকে বুঝতে ও বলতে গিয়ে যারা বলে 'মারো কাটো এটাই ধর্ম তারা যেনো প্রথমে ইতিহাস থেকে ৬১০ সাল থেকে পরবর্তী ২৩ বছরে অবতীর্ণ এ যুদ্ধনীতি’র পূর্ববর্তী যুদ্ধ এবং পাশবিক যুদ্ধনীতির ইতিহাস জেনে নেয়।
একটা ধর্মগ্রন্থ যেহেতু ব্যাক্তি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক সমস্ত নিয়মকে কাভার করে, তাই এরসাথে প্রচুর আনুষাঙ্গিক বিষয় ও
জ্ঞান জড়িত। কাজেই যে সমস্ত ইসলামোফোব শুধুমাত্র মারো কাটো বলে বলে
ধর্মকে গালমন্দ করে তারা যেনো আগে ও পরের আয়াতগুলোর ব্যখ্যাও যেনো করে।
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
মি. বিকেল বলেছেন: রিদওয়ান খানের মন্তব্যের মূল বিষয় হলো ধর্মগ্রন্থে সমরবিজ্ঞান ও সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব এবং ইসলামোফোবদের দ্বারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা।
ধর্মগ্রন্থে সমরবিজ্ঞান:
ইসলাম ধর্মগ্রন্থে, যুদ্ধ ও সামরিক বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন আয়াত ও নীতিমালা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
* আত্মরক্ষা: মুসলমানদেরকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
* ন্যায়বিচার: যুদ্ধ অবশ্যই ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হতে হবে এবং নিরপরাধ মানুষদের ক্ষতি করা যাবে না।
* শান্তি: সর্বদা শান্তির চেষ্টা করা উচিত এবং যুদ্ধ শুধুমাত্র শেষ উপায় হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।
ইসলামোফোবদের ভুল ব্যাখ্যা: কিছু লোক ইসলামকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে এবং এটিকে একটি সহিংস ধর্ম হিসেবে চিত্রিত করে। তারা "মারো কাটো" ধারণার উপর জোর দেয় এবং ধর্মগ্রন্থের অন্যান্য শান্তিপূর্ণ ও মানবিক দিকগুলিকে উপেক্ষা করে।
রিদওয়ান খানের বক্তব্যের গুরুত্ব: রিদওয়ান খান যুক্তি দেন যে ইসলামোফোবদের ধর্ম সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নেই এবং তারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট আয়াতের উপর জোর দেয়। তিনি যুক্তি দেন যে ধর্মগ্রন্থ ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রকে কাভার করে এবং এটি সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য সকল আয়াতের ব্যাখ্যা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ধর্মগ্রন্থে সমরবিজ্ঞান ও সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটি শুধুমাত্র ধর্মের একটি দিক। ইসলাম শান্তি, ন্যায়বিচার এবং মানবতার বার্তাও বহন করে। ইসলামোফোবদের দ্বারা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা এড়ানোর জন্য ধর্মগ্রন্থের সমস্ত দিক সম্পর্কে জ্ঞান থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত তথ্য:
* ইসলামে যুদ্ধের নীতিমালা সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি [https://en.wikipedia.org/wiki/Islam_and_war](https://en.wikipedia.org/wiki/Islam_and_war) দেখতে পারেন।
* ইসলামোফোবিয়া সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি [https://en.wikipedia.org/wiki/Islamophobia](https://en.wikipedia.org/wiki/Islamophobia) দেখতে পারেন।
৯| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৯
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
প্রথমত, কোরআনের আয়াতগুলির ব্যাখ্যা:
আপনি যে আয়াতগুলি উদ্ধৃত করেছেন তা কিছু নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত হয়েছিল যা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ দিক:
* কোরআনের সমস্ত আয়াতকে তার নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রেক্ষাপটের আলোকে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
* কোরআনের কোন আয়াতই এলোমেলোভাবে ব্যাখ্যা করা বা সহিংসতা ন্যায়সঙ্গত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
আপনি বলেছেন কোরানের আয়াত প্রেক্ষাপটের আলোকে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। এটা কোরানের কোন লাইন দিয়ে কোট করতে পারবেন? যে কোরানের এই আয়াত গুলি বর্তমানে সময়ের বির্ধমীদের বিরুদ্ধে নয়?
আপনি কোরানের থেকে কোট চাইছেন তাই আশা করি আপনিও কোরান থেকেই কোট করবেন।
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
মি. বিকেল বলেছেন: নতুন যুক্তি দেন যে কোরআনের কোন আয়াত নেই যা বর্তমান সময়ে অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সমর্থন করে। তিনি দাবি করেন যে কোরআনের সমস্ত আয়াতকে তার নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা করা উচিত এবং কোন আয়াতই এলোমেলোভাবে ব্যাখ্যা করা বা সহিংসতা ন্যায়সঙ্গত করার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
এই দাবির সমর্থনে নতুন কোরআন থেকে কোন নির্দিষ্ট আয়াতের উদ্ধৃতি দেননি। তবে, কোরআনে এমন অনেক আয়াত রয়েছে যা শান্তি, সহিষ্ণুতা এবং সকল মানুষের প্রতি সম্মানের বার্তা দেয়।
কিছু উদাহরণ:
আল-কুরআন 2:256: "ধর্মে জোরাজুরি চলে না। সঠিক পথ স্পষ্টতই ভুল পথ থেকে আলাদা হয়ে গেছে।"
আল-কুরআন 5:32: "যদি কেউ একজন মানুষকে হত্যা করে, তাহলে এমন হবে যেন সে সমস্ত মানুষকে হত্যা করেছে। আর যদি কেউ একজন মানুষের প্রাণ বাঁচায়, তাহলে এমন হবে যেন সে সমস্ত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।"
আল-কুরআন 10:19: "তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছে এবং তাদের প্রাণ ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর সাহায্য করেছে তারা সবচেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী। তারাই মুমিন এবং তাদেরই নিরাপত্তা ও আশ্রয় রয়েছে।"
এই আয়াতগুলি দেখায় যে কোরআন সহিংসতাকে উৎসাহিত করে না বরং শান্তি ও সহিষ্ণুতার পথে চলার আহ্বান জানায়। নতুনের দাবি সঠিক যে কোরআনে এমন কোন আয়াত নেই যা স্পষ্টভাবে বর্তমান সময়ে অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ দেয়। বরং, কোরআনের বেশিরভাগ আয়াতই শান্তি, সহিষ্ণুতা এবং সকল মানুষের প্রতি সম্মানের বার্তা বহন করে।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআনের আয়াতগুলির ব্যাখ্যা জটিল হতে পারে এবং নির্দিষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে। এই বিষয়ে আরও জানতে এবং নিজের জন্য একটি অবগত সিদ্ধান্ত নিতে একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
১০| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
নতুন বলেছেন: এই প্রবন্ধের আরো সামনে যাওয়ার আগে আমি একটি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই যে, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন যে ইসলাম ধর্ম সন্ত্রাসবাদ প্রচার করে, সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত করে, সন্ত্রাসবাদী হওয়ায় পুরষ্কার দেয় তাহলে আমি আমার ধর্ম ছেড়ে দেবো (শর্ত হচ্ছে তা পবিত্র আল কোরআন মোতাবেক হতে হবে)।”
এই বিষয়গুলি জটিল এবং বিতর্কিত, এবং একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ ছাড়া কোন নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। সূরা তাওবা, আয়াত ২৯ একটি জটিল আয়াত যার ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। নতুনের প্রশ্নের কোন সহজ উত্তর নেই, এবং এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। এই বিষয়ে আরও জানতে এবং নিজের জন্য একটি অবগত সিদ্ধান্ত নিতে একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
( আপনি কি চ্যাট জিপিটির সাহাজ্য নিয়ে জবাব তৌরি করছেন? )
আমার সাধারন একটা প্রশ্ন এতোই জটিল হয়ে গেছে যে ধর্মীয় পন্ডিতের সাথে পরামর্শ ছাড়া কোন উত্তর দেঔয়া সম্ভবনা!!!
যারা ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সহিংস পথ বেছে নেয় তারা কি মহাভারত পড়ে অনুপ্রানিত না কি বাইবেল?
তারা কোরান/হাদিসই পড়ে ধর্ম অনুসরন করে।
তারা বর্তমান বিশ্বের রাজনিতি, যুদ্ধ, অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে কিছু করার জন্য পথ খোজে। তখন তারা কোরানের এই সব আয়াত পড়ে। নিজের মতন ব্যক্ষা করে। বুঝতে পারে যে কোরান তাদের বিধর্মীদের সাথে যদ্ধ করতে বলেছে।
আপনি কোরানে দেখাতে পারবেন না এইসব আয়াত আগের সময়ের জন্য প্রযজ্য এবং বর্তমানে এইসব ব্যবহার করা যাবেনা। তবে আপনি কোন হিসেবে দাবী করছেন বর্তমানে যারা যুদ্ধ করতে চাইছে তারা ভুল পথে আছে?
আপনি যদি কোরানের আয়াত কে রহিত করতে চান তবে সেটা কোরানের আয়াত দিয়েই করতে হবে।
আপনি দেখান যে বির্ধমীদের সাথে যুদ্ধের আয়াত গুলি যে বর্তমানে ব্যবহার করা যাবে না সেটা কোরানে কোথাও বলা আছে।
১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬
মি. বিকেল বলেছেন: মি. বিকেল বলেছেন: প্রথমত, হাতে এত সময় নাই। দ্বিতীয়ত, আপনি যা জিজ্ঞাসা করছেন মতা সাধারণ কিছু নয়। যাকগে, চলুন শুরু করা যাক, সূরা তাওবা 9:29 ব্যাখ্যা জটিল কিছু পন্ডিত বিশ্বাস করেন যে এই আয়াতটি মুসলিমদের অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয় (যেটা আমি মানিনা, পবিত্র আল-কোরআন কারো মতে চলে না), অন্যরা বিশ্বাস করেন যে, এটি কেবল নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য, যেমন যখন মুসলিমরা আক্রমণের সম্মুখীন হয়। আবার অন্যরা বিশ্বাস করেন যে এই আয়াতটি রূপকভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত এবং এটি আধ্যাত্মিক যুদ্ধকে বোঝায়, বাইরের শত্রুদের বিরুদ্ধে শারীরিক যুদ্ধ নয়।
এই জটিলতার কারণে, একজন বিশ্বস্ত ধর্মীয় পণ্ডিতের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ যিনি আপনাকে বিভিন্ন ব্যাখ্যা সম্পর্কে শিক্ষিত করতে পারেন এবং আপনাকে আপনার নিজস্ব বিশ্বাস গঠনে সহায়তা করতে পারেন।
আপনার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশের উত্তরে, হ্যাঁ, এটা সত্য যে কিছু লোক ধর্মীয় গ্রন্থ, যার মধ্যে রয়েছে কোরআন, মহাভারত এবং বাইবেল, সহিংসতা ন্যায়সঙ্গত করার জন্য ব্যবহার করেছে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই গ্রন্থগুলি জটিল এবং বহুমুখী, এবং যেকোনো পাঠ্যকে তার নিজস্ব পক্ষপাত এবং অজেন্ডা নিয়ে আসা ব্যক্তি দ্বারা বিকৃত করা যেতে পারে।
এই গ্রন্থগুলির কোনটিই সহিংসতাকে স্পষ্টভাবে সমর্থন করে না, বরং শান্তি, ভালবাসা এবং সহানুভূতির বার্তা বহন করে। তবে, এটাও সত্য যে কিছু লোক এই গ্রন্থগুলির নির্দিষ্ট অংশগুলি নিজস্ব উদ্দেশ্যে বিকৃত করতে এবং তাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের ন্যায়সঙ্গততা প্রদান করতে ব্যবহার করতে পারে।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ব্যক্তিরা তাদের ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে না, এবং তাদের কর্মকাণ্ড দ্বারা সমগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীকে বিচার করা উচিতও নয়।
আমি কোরআন থেকে এমন কোন আয়াত দেখাতে পারছি না যা স্পষ্টভাবে বর্তমান সময়ে অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ দেয়। তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআনের ব্যাখ্যা জটিল এবং বিতর্কিত, এবং বিভিন্ন পন্ডিতের বিভিন্ন মতামত রয়েছে (আমার মতামত আমি জানিয়েছি)।
১১| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
নতুন বলেছেন: আমি স্কুলে পড়ার সময় মসজিদে নামাজের পরে একজন মুজাহিদ বয়ান করেছিলেন। তিনি সবুজ পান্জাবি পরা, লম্বা দাড়ী, নুরানী চেহারা, হাসিখুশি মানুষ।
তিনি দাড়িয়ে আফগানে মুজাহিদের যুদ্ধের কাহিনি বলেছিলেন, বলেছিলেন বর্তমানের মানুষ সুদ, ঘুষ খাচ্ছে, হারাম কাজ করছে, কিন্তু কোরানেই বলা আছে জিহাদের যে মালে গতিমত হালাল,। বর্তমানের মানুষেরা দূর্বলের মতন বির্ধমীদের মার খাচ্ছে, নিজেরা অন্যায় করছে। কিন্তু কোরানে বলা আছে জিহাদ করে শহীদ বা গাজি হতে...
এরা কিভাবে মানুষকে মোটিভেট করে আমি নিজে দেখেছি।
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মি. বিকেল বলেছেন: দেখুন, আপনি ঘুরেফিরে আমার জায়গাতেই ফিরে এসেছেন। এদের সাথে আমার কোন ঐক্যমত নাই, না আমি ইসলাম বা কোন ধর্ম কে কোন গুরু বা হুজুরের কথামতো মানি। দেখুন, দিনশেষে এই প্লাটফর্মে আমরা ব্লগার। আমাদের কাজ হচ্ছে, জ্ঞান অর্জন করা, সত্যটা জানা
পবিত্র আল-কোরআন সহ আমি অন্য ধর্মের বইগুলোও পড়ে থাকি। কিন্তু পবিত্র আল-কোরআন আমাদের কাছে যেভাবে উপস্থিত করা হয়েছে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যখন নিজে পড়ে দেখেছি, বুঝেছি, জেনেছি তখন কিন্তু এ সমস্ত বিষয়ে ক্লারিটি মিলেছে। একটা সহজ প্রশ্ন, সব মুসলিমরা কি টেরোরিস্ট? কারো বক্তব্যে বা মতামতে আমরা টেরোরিস্ট হয়ে যাবো।
আমাদের 'নতুন' করে ভাবতে হবে। আর পড়তে হবে, জানতে হবে। পবিত্র আল-কোরআনে 'ইকরা' কিন্তু তাই বলে।
১২| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
নতুন বলেছেন: “Wa la-Qad yas-sar-nal-Qur-‘aa-na liz-Zik-ri fa-hal mim-mud-da-kir?”
“And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember; then is there anyone who will remember”
Surah Al-Qamar (54:17)
আল্লাহ কোরানে বলছেন যে কুরান সহজ আর আপনি বলছেন কোরান জটিল। তাহলে উপরের আয়াত কি ভুল?
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মি. বিকেল বলেছেন: সূরা আল-কামারের আয়াতটি অনেকের কাছে কুরআনের সহজতা এবং অনুস্মারক হিসেবে প্রকাশ পায়। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ বলছেন যে কুরআন মানুষের জন্য সহজ করা হয়েছে যাতে তারা স্মরণ করতে পারে। এটি অনেকের জন্য আত্মসমর্পণ এবং চিন্তা-ভাবনা করার একটি উৎস হিসেবে কাজ করে।
তবে, কুরআনের বিভিন্ন বিষয় এবং শিক্ষা বুঝতে গেলে অনেক সময় গভীর জ্ঞান এবং বোঝাপড়া প্রয়োজন হয়। এটি বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই, কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে কুরআন বোঝা জটিল।
উপরের আয়াতটি ভুল নয়, বরং এটি কুরআনের সহজতা এবং অনুস্মারক হিসেবে আল্লাহর বাণীর একটি প্রকাশ। এটি মানুষকে কুরআনের দিকে আকৃষ্ট করার এবং তার শিক্ষা অনুসরণ করার জন্য উৎসাহিত করে। তবে, এটি বুঝতে এবং অনুসরণ করতে গেলে গভীর চিন্তা-ভাবনা এবং জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
১৩| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১
রিদওয়ান খান বলেছেন: ইসলাম ধর্মে অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা রয়েছে। যুদ্ধ বা জিহাদের বিষয়টি ইসলাম ধর্মে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে, এবং এটি একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে:
1. আত্মরক্ষা: মুসলিমদের উপর আক্রমণ হলে বা তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করা জায়েজ।
2. অত্যাচার ও নির্যাতন প্রতিরোধ: মুসলিমরা যেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বা সেখানে কোনো অযৌক্তিক অত্যাচার হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়।
3. ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা: ইসলামে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুত্ব রয়েছে। যদি কেউ মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়, তবে সে বাধা প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধ করা হতে পারে।
4. শান্তি প্রতিষ্ঠা: যদি কোনো শত্রুপক্ষ শান্তি প্রতিষ্ঠার বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যেতে পারে যাতে শান্তি ফিরে আসে।
তবে, এসব যুদ্ধের নির্দেশনার সাথে সাথে ইসলাম ধর্মে যুদ্ধের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন এবং শর্তাবলীও রয়েছে। যেমন:
• নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ না করা।
• নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা না করা।
• সম্পদ লুট না করা।
• যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ না করা।
আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী, যুদ্ধের সময়ও মানবিকতা বজায় রাখা এবং অহেতুক সহিংসতা পরিহার করা অত্যাবশ্যক। এই নির্দেশনাগুলি কোরআন ও হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে।
অতএব, ইসলামে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার উদ্দেশ্য কোনো ধরনের আক্রমণাত্মক বা দখলদারিত্ব নয়, বরং প্রয়োজন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে আত্মরক্ষা, নির্যাতন প্রতিরোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা।
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ, আমরা নিজেদের মধ্যে এভাবে রীতিমতো তর্কযুদ্ধে যাবো ভাবিনি। আমি আর কত টাইপ করবো জানিনা।
১৪| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
নতুন বলেছেন: আমি কোরআন থেকে এমন কোন আয়াত দেখাতে পারছি না যা স্পষ্টভাবে বর্তমান সময়ে অ-মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ দেয়। তবে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআনের ব্যাখ্যা জটিল এবং বিতর্কিত, এবং বিভিন্ন পন্ডিতের বিভিন্ন মতামত রয়েছে (আমার মতামত আমি জানিয়েছি)।
আপনি এটা দেখান যে কোরানের বির্ধমীদের যেখানে পাও হত্যা কর আয়াত যে বর্তমানের বির্ধমীদের উপরে চলবেনা তার পক্ষে আয়াত আছে।
আর আশা করি Surah Al-Qamar (54:17) আয়াতটা পরে নিয়ে কোরান জটিল কথাটি বলবেন না। তবে আপনি কোরানের আয়াতেই বিরোধিতা করছেন।
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে বলতে চাই, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা এবং বোঝাপড়া বিভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন হতে পারে। সূরা আল-কামারের ৫৪:১৭ আয়াতটি বলছে যে কুরআন স্মরণ এবং বুঝতে সহজ করা হয়েছে, যা মানুষকে আল্লাহর বাণী মনে রাখতে এবং তার উপর চিন্তা করতে উৎসাহিত করে।
তবে, কুরআনের বিভিন্ন অংশের গভীর অর্থ এবং ব্যাখ্যা বুঝতে গেলে ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে জটিল হতে পারে। এই জটিলতা কুরআনের বাণীর সাথে বিরোধিতা নয়, বরং এটি মানুষের বোঝাপড়ার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। কুরআনের বাণী সহজ হলেও, এর গভীর অর্থ উদ্ঘাটন করা এবং ব্যাখ্যা করা অনেক সময় জ্ঞান এবং বোঝাপড়ার দাবি করে।
সুতরাং, কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা বা বোঝাপড়ায় কোনো বিরোধিতা নেই, বরং এটি মানুষের জ্ঞান এবং বোঝাপড়ার প্রসারের একটি উপায়। আমি কুরআনের আয়াতের বিরোধিতা করছি না, বরং এর বিভিন্ন অংশের বোঝাপড়ার বিষয়ে আলোচনা করছি। আশা করি এই ব্যাখ্যা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছে।
১৫| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১২
অগ্নিবেশ বলেছেন: আল্লাহর কথা,
দ্বীনে কোন জোর প্রয়োগ নেই। হেদায়েতের পথ গুমরাহী থেকে আলাদা স্পষ্ট প্রতিভাত হয়ে উঠেছে।
( সূরা বাকারাঃ ২৫৬ )
দহাক, সুদ্দী, সুলায়মান ইবনে মৃসা বলেছেন, এই আয়াতটি মনসূখ হয়ে গেছে এ আয়াতটি দ্বারাঃ
হে নবী! তুমি কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর। (সূরা তওবাঃ ৭৩)
এবং এ আয়াতটি দ্বারাঃ
অতএব তোমরা মুশরিকদের হত্যা কর। (সূরা আত্-তওবাঃ ৫)
আল-হাসান ও কাতাদা বলেছেন, ‘দ্বীনে জোর প্রয়োগ নেই’ কথাটি বিশেষভাবে সেই আহলে কিতাব লোকদের বেলায়, যারা জিযিয়া দিতে প্রস্তুত হবে। আরবের সাধারণ মুশরিকদের বেলায় এ কথা নয়। কেননা তারা বশ্যতা স্বীকার করে জিযিয়া দিতে রাজী হয়নি। তাদের নিকট থেকে হয় ইসলাম কবুল নিতে হবে, না হয় তরবারির আঘাত তাদের উপর পড়বে।
এ পর্যায়ে এ – ও বলা হয়েছে যে , উক্ত আয়াতের অর্থ হল, যুদ্ধের পরে যারা ইসলাম কবুল করেছে তাদের সম্পর্কে বল না যে, জোর – জবরদস্তির ফলে তারা ইসলাম কবুল করেছে ।
আবু বকর বলেছেনঃ দ্বীনে জোর প্রয়োগের অবকাশ নেই। এটি সংবাদ দানরূপে বলা কথা। কিন্তু মূলত একটি আদেশ। এটি সম্ভব যে , আয়াতটি মুশরিকদের বিরুদ্ধে করার আদেশ নাযিল হওয়ার পূর্বে এ আয়াত নাযিল হয়েছিল। ফলে তখন সে কথা সব কাফির সম্পর্কেই প্রয়োগীয় ছিল। যেমন আল্লাহর এই কথাটিঃ
প্রতিরোধ কর সেই পন্থায় যা অতীব উত্তম। তাহলে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা আছে, সে সহসাই অতীব উষ্ণ বন্ধুতে পরিণত হবে ।
( সূরা হা-মিম-আস সিজদাঃ ৩৪ )
যেমন আল্লাহর কথাঃ
এবং যা অতীব উত্তম পন্থা, তদ্বারা বিরোধীদের সাথে মুকাবিলা কর ।
( সূরা নহলঃ ১২৫ )
আল্লাহর কথাঃযখন তাদেরকে মূর্খ লোকেরা সম্বোধন করে , তখন তারা বসে সালাম।
( সূরা ফুরকানঃ ৬৩ )
ইসলামের প্রথম দিকে যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত কাফিরদের প্রতি ইসলাম পেশ করার কাজটি যখন সম্পূর্ণ হয়ে গেল, নবীর সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হল, তারপরও যখন তারা শত্রুতা করতে থাকল, তখন মুসলমানদেরকে নির্দেশ দেয়া হল তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে। তখন দ্বীনের জোর প্রয়োগ করার অবকাশ নেই ‘ কথাটি আরবের মুশরিকদের বেলায় মনসুখ হয়ে গেল। আয়াত নাযিল হলঃ
মুশরিকদের যেখানেই পাবে , হত্যা করবে। ( সূরা আত্-তওবাঃ ৫)
মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার হুকুম সম্বলিত আরও বহু আয়াত রয়েছে। তাই উক্ত আয়াতের প্রয়োগ কেবলমাত্র আহলি কিতাবের সাথে থেকে গেল অর্থাৎ দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে তাদের উপর কোন জোর প্রয়োগ করা যাবে না। আর আহলি কিতাবদেরকেও নিষ্কৃতি দেয়া হবে তখন, যদি তারা বশ্যতা স্বীকার করে জিযিয়া দিতে রাজী হয়। তখন তারা মুসলমানদের যিম্মী হয়ে থাকবে। ইসলামের শাসনাধীন হবে।
এ কথার হাদিসী প্রমাণ হচ্ছে , নবী করীম ( স ) নিজে আরবের মুশরিকদের নিকট থেকে ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করতে প্রস্তুত হন নি। তা নাহলে তাদের উপর তরবারি চালিয়েছেন।
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে আয়াতগুলি উল্লেখ করেছেন সেগুলি কোরআনের থেকে এবং ইসলামিক ইতিহাস জুড়ে পণ্ডিতদের বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাখ্যাগুলি প্রসঙ্গ, পণ্ডিতের দৃষ্টিভঙ্গি, এবং ব্যাখ্যা করা ঐতিহাসিক সময়কালের উপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
সূরা বাকারাহ: ২৫৬ প্রায়শই ধর্মে বাধ্যতামূলক নীতির উদাহরণ হিসেবে উদ্ধৃত করা হয়, যা সুপারিশ করে যে বিশ্বাস ব্যক্তিগত পছন্দ হওয়া উচিত এবং জোর করে নয়। এই আয়াতটি সাধারণত এই অর্থে বুঝানো হয় যে মানুষকে ইসলামে রূপান্তরিত করতে বাধ্য করা উচিত নয় এবং ধর্মের সত্যতা যথেষ্ট পরিষ্কার যাতে মানুষ নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সূরা তাওবাহ: ৭৩ এবং সূরা তাওবাহ: ৫ যুদ্ধের আচরণ এবং চুক্তি এবং চুক্তি ভঙ্গ করে এমনদের চিকিত্সা সম্পর্কে আলোচনা করে যা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কিছু পণ্ডিত সুপারিশ করে যে তারা নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রসঙ্গে প্রযোজ্য যেখানে প্রাথমিক মুসলিম সম্প্রদায় হুমকির মুখে ছিল। অন্যরা এই আয়াতগুলিকে যুদ্ধের আচরণ এবং যোদ্ধাদের চিকিত্সার জন্য সাধারণ নীতি স্থাপন করার হিসেবে ব্যাখ্যা করে।
জিজিয়া নামক কর, যা একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে অ-মুসলিমদের উপর আরোপিত হয়, ইসলামিক পণ্ডিতদের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং আইনি আলোচনার বিষয়। জিজিয়ার প্রদান অ-মুসলিমদের মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে সুরক্ষা এবং নির্দিষ্ট অধিকার প্রদান করেছিল, এবং তাদেরকে সামরিক পরিষেবা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
এই আয়াতগুলির প্রতি বৃহত্তর ঐতিহাসিক এবং ধর্মতাত্ত্বিক প্রসঙ্গের সাথে একটি বোঝার সাথে প্রস্তুত করা এবং পণ্ডিতদের মধ্যে ব্যাখ্যাগুলি কীভাবে পার্থক্য হতে পারে তা স্বীকার করা জরুরি। এই আয়াতগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য, প্রতিষ্ঠিত তাফসির (মন্তব্য) বা পণ্ডিত কাজের সাথে পরামর্শ করা বা ক্ষেত্রের জ্ঞানী পণ্ডিতদের সাথে আলোচনা করা উপকারী হতে পারে।
১৬| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: তথ্যসূত্র
আহকামুল কুরআন, খায়রুন প্রকাশনী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫৫ – ৩৫৮
মাদ্রাসায় এসবই পড়ানো হয়। আর আপনি আইছেন কাঁটা বুড়ির আলগা গল্প লইয়া।
১৭| ১০ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
আঁধার রাত বলেছেন: সুরা তওবা একদম শেষের দিকে নবম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের দুই বছর পর নাজিলকৃত। লেটেস্ট। তোমার ধর্ম
তোমার আমার ধর্ম আমার, তোমরা যাদের ইবাদত করো আমরা তার ইবাদত করি না এগুলো সব মানসুক আয়াত। লেটেস্ট নির্দেশ বিজ্ঞপ্তি হল গলা কাটতে হবে। ওঁত পেতে থাকতে হবে।
পৃথিবীতে আর কোন ধর্মে এই ভাবে ভিন্ন ধর্মে মানুষের গলা কাটার নির্দেশ দেওয়া হয় নাই।
সম্প্রদায়ের লোক ইসলাম কবুল না করলে আয়াত অনুযায়ী যদি তাদের হত্যা করা জাস্টিফাই হয় তাহলে আমাদের পাশের দেশে দাদারা হিন্দু ধর্মের দাওয়াত দিলে আমরা তা গ্রহণ না করলে জবাই করা, আমাদের স্ত্রী কন্যা বোনদের ধর্ষন করা জায়েজ হয়ে যাবে?
অবশ্য আপনার লজিকে তাই।
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
মি. বিকেল বলেছেন: তথ্য যাচাই:
এই বিবৃতিটির দুই অংশ রয়েছে:
**প্রথম অংশ: অগ্নিবেশের দাবি**
* **দাবি:** অগ্নিবেশ "আহকামুল কুরআন" নামে একটি বইয়ের উল্লেখ করেছেন, যা খাইরুন প্রকাশনী দ্বারা প্রকাশিত, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫৫-৩৫৮, যেখানে নাকি মাদ্রাসায় অ-মুসলিমদের গলা কাটার শিক্ষা দেওয়া হয়।
* **তথ্য যাচাই:** এটি সম্ভবত মিথ্যা।
এই দাবি সন্দেহজনক হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে:
* "আহকামুল কুরআন" নামে কোনো পরিচিত বই নেই। কুরআন নিজেই "আল-কুরআন" নামে পরিচিত। কুরআনের প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনাগুলির এমন শিরোনাম থাকবে না।
* কুরআনের পণ্ডিতগণ সাধারণত সূরা (অধ্যায়) এবং আয়াত সংখ্যা উল্লেখ করেন, এলোমেলো পৃষ্ঠা সংখ্যা নয়।
* কুরআন ধর্মের ভিত্তিতে একমাত্র মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রচার করে না।
**দ্বিতীয় অংশ: আঁধার রাতের প্রতিক্রিয়া**
* **দাবি:** কুরআন মুসলিমদের অ-মুসলিমদের হত্যা করার নির্দেশ দেয় সূরা তাওবার ভিত্তিতে।
* **তথ্য যাচাই:** এটি সূরা তাওবার একটি ভুল ব্যাখ্যা।
যদিও সূরা তাওবা সেই সব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলে যারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে অথবা মুসলিমদের উপর নির্যাতন করেছে, এটি বিবেচনা করা জরুরি:
* এই আয়াতগুলি একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক সংঘাতের সময় প্রকাশিত হয়েছিল।
* ইসলামিক পণ্ডিতরা এই আয়াতগুলি আধুনিক বিশ্বে কীভাবে প্রযোজ্য তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেন।
* অনেক পণ্ডিত অন্য ধর্মের মানুষের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপর জোর দেন।
**সারসংক্ষেপ:**
* অগ্নিবেশের দাবি যে কুরআনের নির্দিষ্ট একটি পাঠ্য সহিংসতা উস্কে দেয় তা সম্ভবত মিথ্যা রচনা।
* ডার্ক নাইটের সূরা তাওবার ব্যাখ্যা একটি বিতর্কিত ব্যাখ্যা। কুরআনের বার্তা জটিল এবং নিখুঁত বোঝার দাবি রাখে।
**সুপারিশ:**
* কুরআন সম্পর্কে আরও জানতে, সম্মানিত পণ্ডিতদের অনুবাদ বা মুসলিম নেতাদের সাথে পরামর্শ করুন।
* ধর্মীয় ঘৃণা বা ভুল বোঝাবুঝি প্রচার করে এমন অনলাইন তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকুন।
১৮| ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেখুন, আপনি ঘুরেফিরে আমার জায়গাতেই ফিরে এসেছেন। এদের সাথে আমার কোন ঐক্যমত নাই, না আমি ইসলাম বা কোন ধর্ম কে কোন গুরু বা হুজুরের কথামতো মানি। দেখুন, দিনশেষে এই প্লাটফর্মে আমরা ব্লগার। আমাদের কাজ হচ্ছে, জ্ঞান অর্জন করা, সত্যটা জানা
পবিত্র আল-কোরআন সহ আমি অন্য ধর্মের বইগুলোও পড়ে থাকি। কিন্তু পবিত্র আল-কোরআন আমাদের কাছে যেভাবে উপস্থিত করা হয়েছে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যখন নিজে পড়ে দেখেছি, বুঝেছি, জেনেছি তখন কিন্তু এ সমস্ত বিষয়ে ক্লারিটি মিলেছে। একটা সহজ প্রশ্ন, সব মুসলিমরা কি টেরোরিস্ট? কারো বক্তব্যে বা মতামতে আমরা টেরোরিস্ট হয়ে যাবো।
অন্য কোন ধর্ম বির্ধমীদের হত্যার জন্য ভাবে না কেন?
যেসব ইসলামী দলগুলি সন্ত্রাসবাদের পক্ষে তারা কি অন্য ধর্ম গ্রন্হ পড়ে সন্তাসবাদে অনুপ্রানীত হয়েছে?
কোরান নিজে বলছে কোরান সহজ। অনেক ধর্মগুরুই বলছেন কোরান জটিল।
আপনি বলছেন কোরানের ঐ লাইনগুলির ব্যাক্ষা অন্য ধর্মগুরুর কাছে বুঝতে হবে----
যারা বির্ধমীদের হত্যা করে তারা বিশ্বাস করে এই কাজের ফলে তারা জান্নাতে যাবে । এটা তাদের দায়ীত্ব।
যে সব ইসলামের অন্ধবিশ্বাসী তারাই কোরানের এইসব আয়াতের মাধ্যমে বির্ধমীদের সাথে সন্ত্রাসবাদ তাদের দায়ীত্ব মনে করে।
এদের মোটিভেসন কোরান, হাদিস, ইসলামী কাহিনি।
তাই রুট অফ অল ইভিল খুজতে গেলে। ধর্মের এইসব লাইনই মুল কারন।
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
মি. বিকেল বলেছেন: না, ইসলাম সকল অনিষ্টের মূল নয়। এখানে কারণ গুলো ব্যাখ্যা করা হল:
* **কোরআনের শিক্ষা:** কোরআন শান্তি, ন্যায়বিচার, এবং দয়াশীলতা জোর দেয় (কোরআন ২:১৯০, ৫:৮)। এটি মুসলিমদের অন্যদের সাথে দয়ালুতার সাথে আচরণ করতে নির্দেশ দেয়, এমনকি যারা তাদের সাথে একমত নয় তাদেরও (কোরআন ১৬:১২৫)। এখানে দরিদ্র ও প্রয়োজনীয়দের সাহায্য করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে (কোরআন ২:১৭৭)।
* **ভুল ব্যাখ্যা:** কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী সহিংসতা সমর্থন করার জন্য ধর্মীয় গ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যা করে। এই ব্যাখ্যাগুলো প্রায়ই কোরআনের শান্তির উপর জোর এবং আয়াতগুলোর প্রসঙ্গ উপেক্ষা করে।
* **অনিষ্ট সর্বত্র বিদ্যমান:** অনিষ্ট এবং সহিংসতা ইতিহাস জুড়ে এবং সংস্কৃতি জুড়ে বিদ্যমান, যা ধর্মের দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।
**ইসলাম বোঝা:**
* **প্রসঙ্গের গুরুত্ব:** কোরআনকে সঠিকভাবে বুঝতে গেলে, এটি জরুরি যে বার্তাটি সমগ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিচ্ছিন্ন আয়াত নয়। ধর্মীয় পণ্ডিতদের সাথে পরামর্শ করা এবং ধর্মের ইতিহাস অধ্যয়ন করা গভীর বোঝাপড়া প্রদান করতে পারে।
* **বহুমুখী ব্যাখ্যা:** ইসলামিক পণ্ডিতরা শাস্ত্রের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে। শান্তি এবং সহাবস্থানের উপর জোর দেওয়া ইসলামিক পণ্ডিতদের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে।
**আরও জানার জন্য কিছু সংস্থা
* **চরমপন্থা মোকাবেলা:** [https://www.thereligionofpeace.com/](https://www.thereligionofpeace.com/)
মনে রাখবেন, ধর্ম বিশ্বে ভালোর জন্য একটি শক্তি হতে পারে, নৈতিকতা এবং সম্প্রদায় উন্নীত করে। ধর্মের নিজের এবং যারা এর শিক্ষা অপব্যবহার করে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯| ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে বলতে চাই, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা এবং বোঝাপড়া বিভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন হতে পারে। সূরা আল-কামারের ৫৪:১৭ আয়াতটি বলছে যে কুরআন স্মরণ এবং বুঝতে সহজ করা হয়েছে, যা মানুষকে আল্লাহর বাণী মনে রাখতে এবং তার উপর চিন্তা করতে উৎসাহিত করে।
তবে, কুরআনের বিভিন্ন অংশের গভীর অর্থ এবং ব্যাখ্যা বুঝতে গেলে ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে জটিল হতে পারে। এই জটিলতা কুরআনের বাণীর সাথে বিরোধিতা নয়, বরং এটি মানুষের বোঝাপড়ার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। কুরআনের বাণী সহজ হলেও, এর গভীর অর্থ উদ্ঘাটন করা এবং ব্যাখ্যা করা অনেক সময় জ্ঞান এবং বোঝাপড়ার দাবি করে।
সুতরাং, কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা বা বোঝাপড়ায় কোনো বিরোধিতা নেই, বরং এটি মানুষের জ্ঞান এবং বোঝাপড়ার প্রসারের একটি উপায়। আমি কুরআনের আয়াতের বিরোধিতা করছি না, বরং এর বিভিন্ন অংশের বোঝাপড়ার বিষয়ে আলোচনা করছি। আশা করি এই ব্যাখ্যা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছে।
আপনি আমার জবাব দেন নাই।
তাহলে এক কথায় বলুন। কোরান বোঝা
"সহজ" না "জটিল" ?
১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
মি. বিকেল বলেছেন: কোরআনের সহজবোধ্য হওয়ার দাবি এবং এর জটিলতার ধারণা কয়েকটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়:
**ইসলামিক দৃষ্টিকোণ:**
* **আরবি ভাষার স্পষ্টতা:** কোরআন দাবি করে যে এটি "স্পষ্ট আরবি" (কোরআন 16:103)। এটি তার অবতীর্ণ হওয়ার সময়ের ভাষার সৌন্দর্য এবং প্রকাশভঙ্গিকে বোঝায়।
* **বোঝার উপর জোর:** কোরআন চিন্তা-ভাবনা এবং বোঝার উপর জোর দেয় (কোরআন 2:242)। অনেক আয়াত স্পষ্ট এবং সরল, ইসলামের মূল ধারণাগুলি প্রকাশ করে।
* **বোঝার স্তরসমূহ:** কিছু পণ্ডিতের মতে, কোরআনের স্পষ্ট, মৌলিক বার্তা আছে, কিন্তু যারা আরও গভীরভাবে অধ্যয়ন করে তাদের জন্য গভীর অর্থও আছে।
**অ-ইসলামিক দৃষ্টিকোণ:**
* **ভাষাগত বাধা:** অ-আরবি ভাষাভাষীদের জন্য, কোরআনের অর্থ অনুবাদ ছাড়া প্রাথমিকভাবে অপ্রাপ্য। অনুবাদ বিভিন্ন ব্যাখ্যা নিয়ে আসতে পারে, যা মূল অর্থ পরিবর্তন করতে পারে।
* **ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:** কিছু আয়াতে অবতীর্ণের সময়ের বিশেষ ঘটনা বা প্রথার উল্লেখ আছে। আধুনিক পাঠকদের জন্য প্রেক্ষাপট বোঝা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
* **বহুবিধ ব্যাখ্যা:** ইসলামের বিভিন্ন মতাদর্শ বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করে, যা বাইরের লোকদের কাছে জটিল মনে হতে পারে।
**দুটি দৃষ্টিকোণের সমন্বয়:**
* **প্রাপ্যতা বনাম গভীরতা:** কোরআন তার মূল আরবি ভাষায় স্পষ্ট হতে পারে, কিন্তু সেই স্পষ্টতা প্রাপ্তির জন্য ভাষা শেখা বা অনুবাদের উপর নির্ভরতা প্রয়োজন।
* **কঠিনতার স্তরসমূহ:** কোরআন যে কেউ মৌলিক স্তরে বুঝতে পারে, কিন্তু গভীর বোঝার জন্য প্রচেষ্টা এবং জ্ঞান প্রয়োজন।
**কিছু অতিরিক্ত বিষয়:**
* **অধ্যয়নের গুরুত্ব:** ইসলামিক ঐতিহ্য জ্ঞানী শিক্ষকের সাথে কোরআন অধ্যয়নের উপর জোর দেয়, যাতে গভীর বোঝা যায়।
* **বহুবিধ সম্পদ:** অনুবাদ, টীকা, এবং পণ্ডিতদের বক্তৃতা অ-আরবি ভাষাভাষীদের জন্য সেতু হিসেবে কাজ করতে পারে।
**সারসংক্ষেপ:**
কোরআন বিভিন্ন স্তরে বোঝা যায়। এর মূল বার্তা স্পষ্ট, কিন্তু পূর্ণ বোঝার জন্য অধ্যয়ন এবং প্রেক্ষাপট প্রয়োজন।
২০| ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: আগে জেনে আসুন প্রমান কাকে বলে।ধর্মে প্রমান নাই,আছে বিশ্বাস।শুনো আর মানো।আপনি যা কিছু বলছেন সব হলো বিশ্বাসের কথা।
১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:১১
মি. বিকেল বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাস পদ্ধতিতে প্রমাণ একটি জটিল বিষয়, কারণ বিশ্বাস নিজেই একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এখানে "প্রমাণ" শব্দটির দুটি প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ করা হল:
**প্রমাণের সাধারণ সংজ্ঞা:**
* প্রমাণ হল এমন কিছু যা একটি ধারণা বা দাবির জন্য সমর্থন প্রদান করে। এটি হতে পারে:
* **তথ্যসমৃদ্ধ:** বৈজ্ঞানিক তথ্য, ঐতিহাসিক রেকর্ড, ভৌত পর্যবেক্ষণ।
* **অভিজ্ঞতামূলক:** ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, সাক্ষ্য, বা অনুভূতি।
* **যৌক্তিক যুক্তি:** প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে যুক্তি।
**ধর্মে প্রমাণ:**
ধর্মীয় বিশ্বাস পদ্ধতিগুলি সাধারণত ঈশ্বর বা দেবতাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর নির্ভর করে না। এখানে কিছু উপায় দেওয়া হল যেখানে ধর্মে প্রমাণের ভূমিকা রয়েছে:
* **শাস্ত্র ও গ্রন্থ:** কোরআন, বাইবেল, বা ভগবদ গীতা মতো ধর্মীয় গ্রন্থগুলি বিশ্বাসীদের কাছে দিব্য প্রকাশের প্রমাণ হিসেবে দেখা হয়।
* **ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা:** অনেক বিশ্বাসী প্রার্থনা, দিব্য সংযোগ, বা ঈশ্বরের প্রতি আরোপিত দয়া বা সৌন্দর্যের কাজ দেখে তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হতে দেখেন।
* **ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা:** একটি ধর্মের দীর্ঘ ইতিহাস এবং চলমান অনুশীলন কিছু বিশ্বাসীর কাছে এর সত্যতার প্রমাণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
* **নৈতিক কাঠামো:** একটি ধর্মের নৈতিক শিক্ষা এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব এর বৈধতার প্রমাণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
**ধর্মীয় প্রমাণের সমালোচনা:**
* **ব্যক্তিগততা:** শাস্ত্রের ব্যাখ্যা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বিষয়ক হতে পারে এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে ভিন্ন হতে পারে।
* **বৃত্তাকার যুক্তি:** ধর্মের নিজের প্রমাণ হিসেবে ধর্মীয় গ্রন্থগুলি ব্যবহার করা বৃত্তাকার যুক্তি হিসেবে দেখা যেতে পারে।
* **অপ্রতিরোধ্যতার অভাব:** ঈশ্বরের ধারণা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে খণ্ডন করা কঠিন হতে পারে।
**উপসংহার:**
ধর্মীয় প্রসঙ্গে প্রমাণ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থেকে ভিন্ন। এটি প্রায়ই বিশ্বাস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ঐতিহ্য এবং ধর্মের অনুভূত ইতিবাচক প্রভাবের উপর ভিত্তি করে।
২১| ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তথ্য যাচাই:
এই বিবৃতিটির দুই অংশ রয়েছে:
**প্রথম অংশ: অগ্নিবেশের দাবি**
* **দাবি:** অগ্নিবেশ "আহকামুল কুরআন" নামে একটি বইয়ের উল্লেখ করেছেন, যা খাইরুন প্রকাশনী দ্বারা প্রকাশিত, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫৫-৩৫৮, যেখানে নাকি মাদ্রাসায় অ-মুসলিমদের গলা কাটার শিক্ষা দেওয়া হয়।
* **তথ্য যাচাই:** এটি সম্ভবত মিথ্যা।
এই দাবি সন্দেহজনক হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে:
* "আহকামুল কুরআন" নামে কোনো পরিচিত বই নেই। কুরআন নিজেই "আল-কুরআন" নামে পরিচিত। কুরআনের প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনাগুলির এমন শিরোনাম থাকবে না।
* কুরআনের পণ্ডিতগণ সাধারণত সূরা (অধ্যায়) এবং আয়াত সংখ্যা উল্লেখ করেন, এলোমেলো পৃষ্ঠা সংখ্যা নয়।
* কুরআন ধর্মের ভিত্তিতে একমাত্র মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রচার করে না।
ভাই চ্যাট জিপিটি দিয়ে সব কাজ হয় না।
উনি যেই বইয়ের কথা বলেছেন তা অনলাইনে আছে।
https://www.rokomari.com/book/172875/ahkamul-quran-1-and-3-part-rokomari-collection
যারা জঙ্গী হয়েছে তারা তাদের মনের খটকা চ্যাট জিপিটি দিয়ে জাচাই করে নাই। বরং তাদের মুরুব্বি বড় হুজুরের কথা শুনেছে। তারা বিশ্বাস করেছে হুজুরের কথা কারন তারা কোরানের আয়াত দিয়েই বুঝিয়েছে যে
বির্ধমীদের একাউন্টের কোটি কোটি টাকা মালেগনিমত হিসেবে ব্যবহার না করে কেন ঘুষ সুদ খেয়ে জাহান্নামে যাবে?
১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৫
মি. বিকেল বলেছেন: কোরআন জ্ঞানের উৎসাহ দেয়: কোরআন নিজেই জ্ঞান অন্বেষণ এবং বোঝার গুরুত্ব দেয় (কোরআন ২:২৬৯, ৩৯:৯)। এটি প্রশ্ন করা এবং চিন্তা-ভাবনা করার উৎসাহ দেয়।
ব্যাখ্যার গুরুত্ব: কোরআন শাস্ত্রীয় আরবি ভাষায় লেখা, এবং এর ব্যাখ্যা জ্ঞান এবং প্রেক্ষাপট দাবি করে। পণ্ডিতদের সাথে পরামর্শ করা সঠিক বোঝার নিশ্চয়তা দেয়।
ভুল তথ্য ভ্রান্ত করতে পারে: “আহকামুল কোরআন” এর মতো সম্ভাব্য অপ্রমাণিত বইগুলি ভুল ব্যাখ্যা ধারণ করতে পারে যা মানুষকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যেতে পারে।
এখানে কিছু কোরআনের আয়াত রয়েছে যা জ্ঞানের গুরুত্ব এবং অন্ধ বিশ্বাস এড়িয়ে চলার কথা বলে:
কোরআন ২:২৬৯: “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা জ্ঞান দান করেন, এবং যে কেউ জ্ঞান পেয়েছে সে সত্যিই একটি মহান অনুগ্রহ পেয়েছে। এবং শুধুমাত্র বোঝার ক্ষমতা সম্পন্নরাই স্মরণ করে ইলা [ইল্লা]।” (এই আয়াতটি বিশ্বাসের পাশাপাশি জ্ঞানের গুরুত্ব জোর দেয়)
কোরআন ৩৯:৯: “বলুন, ‘যারা জানে তারা কি যারা জানে না তাদের সমান?’” (এই আয়াতটি জ্ঞান এবং অজ্ঞতার মধ্যে পার্থক্য জোর দেয়)
পথনির্দেশ অনুসন্ধান:
ইসলামি ঐতিহ্য মুসলিমদের যোগ্য পণ্ডিতদের (ইমাম বা মুফতি) কাছ থেকে জ্ঞান অনুসন্ধান করার উৎসাহ দেয়, যারা কোরআন এবং হাদিস (প্রফেট মুহাম্মদের বাণী) এর সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারে স্থাপিত ইসলামি পণ্ডিতি ভিত্তিতে।
উপসংহার:
ইসলামে বিশ্বাস যেমন কেন্দ্রীয়, তেমনি জ্ঞানও অপরিহার্য। নির্ভরযোগ্য উৎস এবং যোগ্য পণ্ডিতদের পরামর্শ নিশ্চিত করে যে আপনি কোরআনের বার্তা সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন এবং সম্ভাব্য অনির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ভুল তথ্য এড়িয়ে চলছেন।
২২| ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নতুন বলেছেন: We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember
এই সহজ কথাটা আপনি উচ্চারন করতে পারছেন না। উপরে চ্যাট জিপিটি যে জবাব দিছে তা বুঝতে হইলেও একটু পড়াশুনা লাগে।
তাই বোঝেন কোরান বোঝা আসলে কতটা সহজ!!!!!!!!!
কোরান বোঝা সহজ না। তাই কোরানের আয়াত ব্যবহার করেই কিছু মানুষকে মগজ ধোলাই করে সন্ত্রাস করাচ্ছে কিছু খারাপ মানুষ। এবং তাদের খারাপ হবার পেছনে দায়ীও কিন্তু কোরানের আয়াতই।
১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
মি. বিকেল বলেছেন: এই দাবিটি আংশিক সত্য (যা সত্যের চেয়েও জঘন্য) এবং ভ্রান্ত ধারণার মিশ্রণ। এখানে একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হল:
ভ্রান্ত ধারণা:
কোরআন সহিংসতা প্রচার করে: কোরআন শান্তি, ন্যায়বিচার এবং দয়ার কথা বলে (কোরআন ২:১৯০, ৫:৮)। আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ বা নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধের আয়াত রয়েছে, কিন্তু এগুলি প্রায়ই চরমপন্থীদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
কোরআনই একমাত্র দায়ী: সন্ত্রাসবাদের জটিল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল রয়েছে। একটি ধর্মকে দোষারোপ করা এই বিষয়গুলি উপেক্ষা করে।
আংশিক সত্য:
সবার জন্য কোরআন সহজ নয়: কোরআনের আরবি ভাষা অ-আরবি ভাষাভাষীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা রয়েছে, কিন্তু তারা বিষয়বস্তুতে আপেক্ষিকতা নিয়ে আসে। পণ্ডিতদের সাথে পরামর্শ করা সহায়ক হতে পারে।
দাবির সমাধান:
কোরআনের ভাষার কঠিনতা: যদিও কোরআনের ভাষা কঠিন হতে পারে, তার শান্তি এবং ন্যায়বিচারের মূল বার্তা স্পষ্ট (উদাহরণস্বরূপ, কোরআন ১৬:১০৩)।
চরমপন্থীদের ভুল ব্যাখ্যা: চরমপন্থীরা ধর্মীয় গ্রন্থগুলির ভুল ব্যবহার করে সহিংসতার জায়গা তৈরি করে। এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা, কোরআনের সামগ্রিক বার্তাকে উপেক্ষা করে।
দায়িত্ব মানুষের উপর: সহিংসতার জন্য দায়িত্ব তাদের উপর বর্তায়, যারা এটি সংঘটিত করে, না যে শাস্ত্র তারা ভুল ব্যবহার করে।
আরও বোঝার জন্য এখানে কিছু সংস্থান দেওয়া হল:
ইসলাম ১০১: ইসলাম ১০১ ভিডিও
চরমপন্থা মোকাবেলা: শান্তির ধর্ম
মনে রাখবেন:
ধর্ম বিশ্বের জন্য ভালো কিছু করার শক্তি হতে পারে।
ধর্মের শিক্ষাগুলি ভুল ব্যবহার করা মানুষের মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ।
আসুন আমরা সহিষ্ণুতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা প্রচার করে চরমপন্থা এবং সহিংসতা মোকাবেলা করি।
২৩| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৫
নতুন বলেছেন: যাই হউক আপনার ছাত্ররা যদি কোন অন্যায় করে তবে আপনি শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের বোঝাতে ব্যার্থ হয়েছেন এটা বুঝতে হবে।
আপনার গাইড বই পড়ে যদি পোলাপাইন অন্যায় করে বুছতে হবে কোথাও ঘাপলা আছে।
হয় আপনার গাইড বইয়ে নতুবা শিক্ষকের শিক্ষার মাঝে...
মানুষের জীবন তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। একজন মানুষ কতটা মগজ ধোলায়ের মধ্য দিয়ে গেলে নিজের শরিরে বোমা বেধে মানুষ মারতে যায় এটা বোঝা বিশ্বাসীদের পক্ষে সম্ভবনা। তারা ঘাপলাটা দেখতে পাবেনা কারন তারাও অন্য তরিকায় ব্রেন ওয়াসড।
যারা ধর্মের আফীমের নেশার বাইরে গিয়ে ভাবতে পারে, তখন তার যৌক্তিক ভাবনায় বুঝতে পারে ধর্ম আমাদের কি রকমের ঘোরের মাঝে রেখেছে।
ভালো থাকবেন। ভালো লাগলো আপনার সাথে আলোচনা করে।
১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
মি. বিকেল বলেছেন: আমি প্রাকটিসিং মুসলিম নই, আপনার বিষয়টি বুঝা জরুরী। আমি চাই আমাদের মধ্যে শান্তি আসুক, এসব থেকে মুক্তি চাই। আপনার সাথে আলোচনা করে আমারও ভালো লাগলো। কারণ দিনশেষে আমাদের দায়িত্ব ব্লগার হিসেবে জ্ঞান অন্বেষণ করা এবং যেটুকু সম্ভব তা মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা। আর যে জ্ঞান মানুষের মধ্যে শান্তি নিয়ে আসে সেটাকে সমর্থন করুন। কোথাও না কোথাও চেক এন্ড ব্যালেন্স করে আপনি আমাকে যাচাই করতে চেয়েছেন। এবং এটাই জরুরী। না-হলে আমরা কেউ জানবো না। তবে দুই একজনের মন্তব্যে দেখলাম ঘৃণায় ভরা, যেটা আমাদের ক্ষতি করতে পারে। ধন্যবাদ
২৪| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
নতুন বলেছেন: কোথাও না কোথাও চেক এন্ড ব্যালেন্স করে আপনি আমাকে যাচাই করতে চেয়েছেন। এবং এটাই জরুরী। না-হলে আমরা কেউ জানবো না। তবে দুই একজনের মন্তব্যে দেখলাম ঘৃণায় ভরা, যেটা আমাদের ক্ষতি করতে পারে। ধন্যবাদ
আপনার লেখার হাত খুবই ভালো, আপনার অনেক লেখার বিষয় নতুন এবং ভাবনার বিষয় সামনে আনে।
আপনার জ্ঞানের দিকে হাটার দিক ঠিকই আছে।
মানুষের ভেতরে প্রজ্ঞা না বাড়লে দুনিয়াতে শান্তি আসবেনা। প্রজ্ঞাই মানুষকে বিনয়ী বানায়, নিজের জিনিস অন্যের সাথে সেয়ার করতে সেখায়, উপকার করতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫২
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার উষ্ণ এবং উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আপনার কথাগুলো আমার লেখার প্রতি আপনার গভীর অনুধাবন এবং সমর্থনের প্রতিফলন করে। আপনি যে প্রজ্ঞার গুরুত্বের কথা বলেছেন, তা সত্যিই আমাদের সমাজের জন্য অপরিহার্য।
প্রজ্ঞা হল সেই আলো যা অন্ধকারে পথ দেখায়, মানবিকতা এবং সহমর্মিতার পথ প্রশস্ত করে। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে জ্ঞান শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় নয়, বরং প্রতিটি মানবিক আচরণে, প্রতিটি সহানুভূতিশীল কাজে, এবং প্রতিটি ভালোবাসার বিনিময়ে বিদ্যমান।
আপনার মন্তব্য আমাকে আরও বেশি লেখার অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমার চিন্তাভাবনাকে আরও গভীর করে তোলে। আমি আশা করি আমার লেখা আগামী দিনে আরও বেশি মানুষের মনে প্রজ্ঞার বীজ বপন করতে সক্ষম হবে এবং আমাদের সমাজে শান্তি এবং সহমর্মিতার প্রসার ঘটাবে।
আপনার মন্তব্য আমার লেখার পথচলাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আপনার মতো পাঠকের সমর্থন আমার জন্য অমূল্য।
২৫| ১১ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:০৯
অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখক ভাইকে বলছি, ঘৃনা টৃনা পারসোনালি নিয়েন না, ঘৃনা করা উচিত আমাদের অজ্ঞানতাকে। আপনি ভালো মানুষ তাই ইসলামকে নিজের মত করে ব্যাখ্যা করে নিয়েছেন, রহিত হয়ে যাওয়া ভালো কিছু আয়াতকে আকড়ে ধরে সূফী বনে গেছেন।
কিন্তু সহি ইসলাম হচ্ছে মহম্মদ, সাহাবীগন, তাবে তাবেঈনগন ইসলামকে কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তাহা। জঙ্গীরা তাহাই অনুসরন করে, আপনার মনগড়া ইসলামকে নহে।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘৃনা করা উচিত অজ্ঞানতাকে, না কি ব্যক্তিগত মতামত বা বিশ্বাসকে। ইসলামের বিভিন্ন ব্যাখ্যা এবং তার অনুসরণের পদ্ধতি বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ে ভিন্ন হতে পারে।
আমি যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছি, তা আমার নিজের বোধ এবং অনুধাবন থেকে আসে। আমি মনে করি যে ইসলামের মূল শিক্ষা হল শান্তি, সহমর্মিতা, এবং মানবতা। সূফীবাদের মতো ধারাগুলি ইসলামের এই মূল শিক্ষাগুলিকে আরও গভীরভাবে অনুধাবন করার পথ দেখায়।
আপনি যে ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাগুলির কথা বলেছেন, তা নিঃসন্দেহে ইসলামের বিভিন্ন দিক এবং তার বিস্তারের একটি অংশ। তবে, আমি মনে করি যে ধর্মের ব্যাখ্যা সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হয় এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন রূপ নেয়। জঙ্গীবাদের যে ব্যাখ্যা আপনি উল্লেখ করেছেন, তা ইসলামের মূল শিক্ষার বিপরীতে এবং তা অনেক মুসলিমের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক।
আমি আশা করি আমাদের মধ্যে এই বিষয়ে আরও গভীর এবং সমৃদ্ধ আলোচনা হবে, যা আমাদের সকলের জ্ঞান এবং বোঝাপড়াকে বাড়িয়ে তুলবে।
২৬| ১১ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯
এস.এম.সাগর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাস পদ্ধতিতে প্রমাণ একটি জটিল বিষয়, কারণ বিশ্বাস নিজেই একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এখানে "প্রমাণ" শব্দটির দুটি প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ করা হল:
প্রমানের পদ্ধতি – ০৩ টি যেমনঃ.....
ক) প্রত্যক্ষ প্রমান।
খ) পরোক্ষ প্রমান।
গ) স্বাক্ষ্য প্রমান।
কোন একটা বিষয় সত্য না কি মথ্যিা তা কিভাবে প্রমান করা যায়।
প্রমানের একটি পদ্ধতি হচ্ছে প্রত্যক্ষ প্রমান যেমনঃ আমি আমার হাতের দিকে তাকিয়ে ৫টি আঙ্গুল দেখতে পাই, আমি সরাসরি দেখছি কোন সন্দেহ নেই। আপনারা আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন, রোদে বসলে শরীরে গরম লাগে, বরফ ঠান্ডা লাগে, করলা তিতা লাগে, এগুলী একেবারে প্রত্যক্ষ প্রমান।
মানুষের ৫টি ইন্দ্রিয় আছে, চোখ, কান, নাক,,জিহ্বা, চামড়া- এগুালি দিয়ে মানুষ কোন বিষয় বা কোন জিনিস সম্পর্কে সরাসরি জানতে বা বুঝতে পারে। আমরা যারা সাধারন মানুষ তাদের পক্ষে এ দুনিয়াতে আল্লাহ সুবঃকে এভাবে প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়। আমরা পরকালে তা পারবো। তবে মূসা আঃ, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সরাসরি আল্লাহ সুবঃ’র সাথে কথা বলেছেন। সুলাইমান আঃ জীনদের সাথে কথা বলেতেন, কিন্তু আমাদের সাধারন মানুষদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়।
তাই আমি দেখিনা তাই তুমি নাই- এটা যে বলে সে মূর্খ, যে রকম আগেই বলেছি, আমি করোনা ভাইরাসকে দেখিনা তাই করোনা ভাইরাস নাই- এটা যে মনে করে সে একটা নির্বোধ, আর তার কথা যারা মানে তারা বেকুব।
প্রমানের আরেকটা পদ্ধতি হচ্ছে পরোক্ষ প্রমান। আমাদের জীবনের অসংখ্য বিষয় এর সাথে জড়িত। এর একটা উদাহরন হলঃ- ধোয়া দেখে আগুনের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। আপনি যদি আগুন নাও দেখেন, তবুও ধোয় দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কিছুক্ষন পূর্বে হয়তো আগুন জালানো হয়েছিল। যদিও আপনি কাউকে আগুন জালাতে দেখেননাই। রাস্তায় একটা মানিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখলে আপনি বুঝবেন যে, কারও পকেট থেকে এটা পড়েগেছে। আপনি নিশ্চয় বেকুবদের মত একথা বলবেননা যে মানিব্যাগটা এমনি এমনি তৈরি হয়েগেছে! আপনি যদি বলেন আমি যেহেতু কারও পকেট থেকে মানিব্যাগ পড়তে দেখিনি তাই আমি বিশ্বাস করিনা যে, এটা কারও পকেট থেকে পড়েছে, বরং মানিব্যাগটা এমনি এমনিই তৈরি হয়েগেছে। এ কথা যে বলবে তাকে মানুষ হেমায়েতপুরে পাঠাবে।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে প্রমাণের পদ্ধতিগুলো তুলে ধরেছেন, তা বাস্তবিকই জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রযোজ্য। প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ, এবং স্বাক্ষ্য প্রমাণ—এই তিন ধরনের প্রমাণ পদ্ধতি বিজ্ঞান, দর্শন, এবং আইনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে, প্রমাণের ধারণা আরও জটিল হয়ে ওঠে কারণ বিশ্বাসের মূল ভিত্তি হল অদৃশ্যের উপর আস্থা। যেমন আপনি বলেছেন, আমরা যদিও আল্লাহকে প্রত্যক্ষ করতে পারি না, তবুও তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ আমরা পরোক্ষভাবে অনুভব করি। এই পরোক্ষ প্রমাণের ধারণা অনেক ধর্মীয় ঐতিহ্যে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত।
আপনার উদাহরণগুলো প্রমাণের বিষয়টিকে সহজবোধ্য করে তুলেছে। ধোয়া দেখে আগুনের অস্তিত্ব অনুমান করা বা মানিব্যাগ পড়ে থাকা দেখে কারও পকেট থেকে পড়ে যাওয়ার অনুমান করা—এগুলো পরোক্ষ প্রমাণের চমৎকার উদাহরণ। এই ধরনের পরোক্ষ প্রমাণ আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে শক্তিশালী করে এবং আমাদের অদৃশ্যের উপর আস্থা রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
আপনার মন্তব্য আমাদের প্রবন্ধের বিষয়বস্তুকে আরও গভীরতা দিয়েছে এবং পাঠকদের জন্য বিশ্বাসের প্রমাণের বিষয়ে চিন্তা করার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। আমি আপনার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞ এবং আশা করি আমাদের প্রবন্ধ এই ধরনের সংলাপের জন্য একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে।
২৭| ১১ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:০১
নতুন বলেছেন: এস.এম.সাগর বলেছেন: প্রমানের আরেকটা পদ্ধতি হচ্ছে পরোক্ষ প্রমান। আমাদের জীবনের অসংখ্য বিষয় এর সাথে জড়িত। এর একটা উদাহরন হলঃ- ধোয়া দেখে আগুনের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। আপনি যদি আগুন নাও দেখেন, তবুও ধোয় দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কিছুক্ষন পূর্বে হয়তো আগুন জালানো হয়েছিল।
এই প্রমান বোঝার জন্য আপনার আগুন এবং ধোয়া, মানুষ এবং মানিব্যাগ সব কিছুই বুঝতে হবে।
সৃস্টিকর্তার সম্পর্ককে যেহেতু কোন অভিঙ্গতা কারুর নাই তাই এমন পরোক্ষ প্রমান সৃস্টিকর্তার বিষয়ে করা যায় না।
বিশ্বাস এবং প্রমান দুইটা আলাদা জিনিস। এটা কেন অনেকে বুঝতে পারেনা!!!
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে প্রশ্ন তুলেছেন তা অত্যন্ত গভীর এবং দার্শনিক। বিশ্বাস এবং প্রমাণ সত্যিই দুটি আলাদা ধারণা, এবং এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে হলে আমাদের অনেক গভীরে যেতে হবে।
প্রমাণ হল এমন একটি বস্তুনিষ্ঠ ধারণা যা যাচাইযোগ্য এবং পরীক্ষাযোগ্য। অন্যদিকে, বিশ্বাস হল একটি ব্যক্তিগত এবং অভ্যন্তরীণ অনুভূতি যা প্রায়শই যুক্তি বা প্রমাণের বাইরে থাকে। যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমাদের কোনো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই, তাই এই বিষয়ে পরোক্ষ প্রমাণ প্রয়োগ করা জটিল।
তবে, অনেক ধর্মীয় ঐতিহ্যে পরোক্ষ প্রমাণের ধারণা রয়েছে, যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য বা জীবনের জটিলতা দেখে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস স্থাপন। এই ধরনের পরোক্ষ প্রমাণ অনেকের জন্য বিশ্বাসের ভিত্তি হতে পারে, যদিও এটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
বিশ্বাস এবং প্রমাণের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য আমাদের অনেক সময় দর্শন, মনোবিজ্ঞান, এবং আধ্যাত্মিকতার মতো বিভিন্ন শাখার দিকে তাকাতে হয়। এই বিষয়গুলো সহজ নয় এবং প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা এবং বোধগম্যতা ভিন্ন হতে পারে। তাই অনেকে এই পার্থক্য বুঝতে পারেন না।
আমি আশা করি আমার উত্তর আপনার প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পেরেছে।
২৮| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৫
নিমো বলেছেন: @এস.এম.সাগর, গাজার হত্যাকান্ড থেকে এই প্রত্যক্ষ প্রমান,পরোক্ষ প্রমান ও স্বাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যায় যে, আল্লাহ আছে এবং উনি ইসরাইলের পক্ষে!
২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৯
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, তা অত্যন্ত জটিল এবং বিতর্কিত। ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আল্লাহ্র অস্তিত্ব ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, এবং এই বিশ্বাসগুলি প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন হতে পারে।
গাজার হত্যাকান্ড বা যেকোনো সংঘাতের ঘটনাবলী থেকে আল্লাহ্র অস্তিত্ব বা তাঁর কোনো পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ খোঁজা একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং বিতর্কিত বিষয়। এই ধরনের ঘটনাবলী অনেক জটিল রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে ঘটে থাকে, এবং এগুলি ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সরাসরি সংযোগ করা যায় না।
ধর্মীয় গ্রন্থগুলি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের শিক্ষা অনুযায়ী, আল্লাহ্ সকল মানুষের জন্য সমান এবং তিনি কোনো বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠীর পক্ষে নন। সংঘাত এবং হত্যাকান্ড মানবজাতির দুর্ভাগ্য এবং অজ্ঞানতার ফল, এবং এগুলি কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন নয়।
২৯| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:৩২
নিমো বলেছেন: @মি. বিকেল. আপনি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করে পোস্ট ও মন্তব্যের উত্তর দেন, তার ডেটাসেট অনেক সীমাবদ্ধ। এখনো প্রবলেম অব ইভিল সহ অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে শিখে উঠতে পারে নি। ভালো থাকুন।
২৮ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
মি. বিকেল বলেছেন: আমি শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করি না, শেখায়। বর্তমানে আমাকে এর ডেভেলপিং সেকশনে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুশকিল হলো, ব্লগার নতুন এতগুলো মন্তব্য করেছেন তবুও তিনি ব্লগ সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন। আপনি সরাসরি গাজার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলছেন, যা পুরোটাই নতুন বিষয় এবং বহু জটিল ইতিহাস রয়েছে। হুট করে এমন মন্তব্য করলে আপনি কীভাবে উত্তর দিতেন? তারচেয়েও বড় কথা বায়াসনেস। এসব বিরক্তির কারণ। আর আমি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করি এবং এর সাহায্য নিয়ে থাকি তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র খারাপলাগা নাই।
৩০| ০২ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ব্যবহার করি না, শেখায়। বর্তমানে আমাকে এর ডেভেলপিং সেকশনে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
লিনাস টরভল্ডস কার্নেল বানিয়েছেন আবার ব্যবহারও করেন। যে ডেভেলপার, সেই আবার দিনশেষে এন্ড ইউজার। আপনি শেখান, ডেভলপ করেন ভালো কথা। এটা এমন কোন ব্যাপার নয়।
লেখক বলেছেন:মুশকিল হলো, ব্লগার নতুন এতগুলো মন্তব্য করেছেন তবুও তিনি ব্লগ সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন। আপনি সরাসরি গাজার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলছেন, যা পুরোটাই নতুন বিষয় এবং বহু জটিল ইতিহাস রয়েছে। হুট করে এমন মন্তব্য করলে আপনি কীভাবে উত্তর দিতেন?
নতুন বা আপনিতো এখানে আলোচ্য নন। প্রশ্নটাতো করেছিলাম সাগরকে, আপনার কেন মুশকিল হল বলুনতো ? আর উত্তরই বা দেয়ার বাধ্যবাধকতা এলো কেন ?
লেখক বলেছেন:তারচেয়েও বড় কথা বায়াসনেস। এসব বিরক্তির কারণ।
সামু দিনশেষে কোন নিশ ব্লগ না, তাই বায়াসনেস মেনে নিয়ে, বিরক্তি চেপেই ব্লগিং করতে হবে নইলে ব্লক হতে পারে ভালো সমাধান।
লেখক বলেছেন:আর আমি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করি এবং এর সাহায্য নিয়ে থাকি তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র খারাপলাগা নাই।
আমি ব্লগে আসি উচ্চ বুদ্ধিবৃত্তির মানুষের সাথে আলাপ করতে, তৃতীয় শ্রেনীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে আলাপের জন্য না।
০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৩৩
মি. বিকেল বলেছেন: ইন দ্যাট কেস, আমি একজন জুনিয়রের সাথে কথা বলছি। হা হা হা...
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:০৬
রিদওয়ান খান বলেছেন: ট্যা রো রি স্ট বা সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে আমেরিকানদের বানানো একটি সুবিধাজনক টার্ম যার দ্বারা তারা ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন সময়
বিভিন্ন দেশ বা জাতিগোষ্ঠীর উপর 'সেল্ফ ডিফেন্স' বা 'সন্ত্রাস দমন'
নামে ব্যাবহার করে আসছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশের
সরকার প্রধান ও সুবিধাবাদী কিছু মানুষ বিভিন্ন সময় নিজেদের সুবিধাজনক
অবস্থান টিকিয়ে রাখতে এই টার্ম ব্যাবহার করে আসছে। যার ফলাফল
হ র কা তু ল জি হা দ ও অন্যান্য নাম।