নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড, যা গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান, এর প্রধান শেয়ারহোল্ডার হলেন ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন। তারা দুজনে মিলে কোম্পানির প্রায় ৫৬% শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করেন, যা তাদের সুপারভোটিং ক্ষমতা দেয়। এই ক্ষমতা দ্বারা তারা কোম্পানির বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনে সক্ষম।
ল্যারি পেজের জন্ম হয়েছিল মিশিগানের ল্যানসিং শহরে, এবং তিনি একটি ইহুদি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার মা একজন ইহুদি ছিলেন এবং তার নানা পরবর্তীতে ইজরায়েলে চলে যান। অন্যদিকে, সের্গেই ব্রিনের জন্ম হয়েছিল মস্কোতে, এবং তিনিও একটি ইহুদি পরিবারের সন্তান। গুগল বা আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড এখন শুধুমাত্র একটি সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি নয়, বরং এটি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এবং পরিষেবা প্রদান করে। এই প্রোডাক্ট এবং পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে:
১. গুগল সার্চ (Google Search)
২. জিমেইল (Gmail)
৩. গুগল ডকস (Google Docs)
৪. গুগল শিটস (Google Sheets)
৫. গুগল স্লাইডস (Google Slides)
৬. গুগল ড্রাইভ (Google Drive)
৭. গুগল ক্যালেন্ডার (Google Calendar)
৮. গুগল ম্যাপস (Google Maps)
৯. গুগল আর্থ (Google Earth)
১০. গুগল ফটোজ (Google Photos)
১১. ইউটিউব (YouTube)
১২. গুগল ক্রোম (Google Chrome)
১৩. গুগল প্লে (Google Play)
১৪. গুগল নিউজ (Google News)
১৫. গুগল ট্রান্সলেট (Google Translate)
১৬. গুগল এডসেন্স (Google AdSense)
এই প্রোডাক্টগুলি বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয় এবং গুগলের ব্যবসায়িক সাফল্যের অন্যতম কারণ। এই তালিকা গুগলের সমস্ত প্রোডাক্টের নাম নয়, কিন্তু এগুলি গুগলের কিছু জনপ্রিয় এবং প্রধান প্রোডাক্ট। আরও অনেক প্রোডাক্ট এবং সেবা রয়েছে যা গুগল প্রদান করে থাকে।
মার্ক জাকারবার্গ হলেন মেটা প্ল্যাটফর্মসের (পূর্বে ফেসবুক) প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, এবং CEO। তিনি কোম্পানির বড় অংশীদার এবং নিয়ন্ত্রক অংশীদার, প্রায় ১৩.৫% শেয়ারের মালিক। তার ভোটিং ক্ষমতা অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের চেয়ে অনেক বেশি, যার মাধ্যমে তিনি কোম্পানির নীতি এবং দিকনির্দেশনায় প্রধান প্রভাব রাখেন।
মেটা প্ল্যাটফর্মসের কিছু জনপ্রিয় প্রোডাক্ট হলো:
১. ফেসবুক (Facebook): সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম।
২. মেসেঞ্জার (Messenger): ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস/ভিডিও কলিং সেবা।
৩. ইন্সটাগ্রাম (Instagram): ছবি এবং ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ।
৪. হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp): এনক্রিপ্টেড মেসেজিং সেবা।
৫. ওকুলাস (Oculus): ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রোডাক্ট এবং সেবা।
৬. ওয়ার্কপ্লেস (Workplace): প্রফেশনাল যোগাযোগ এবং কোলাবোরেশন টুল।
৭. পোর্টাল (Portal): স্মার্ট ভিডিও কলিং ডিভাইস।
৮. নোভি (Novi): ডিজিটাল ওয়ালেট এবং ফিন্যান্সিয়াল সেবা।
এই প্রোডাক্টগুলি মেটা প্ল্যাটফর্মসের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রধান প্রোডাক্ট। মার্ক জাকারবার্গ জন্মসূত্রে ইহুদী হলেও বর্তমানে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে বর্ণনা করেন।
ChatGPT এর প্রধান নির্মাতা হলেন OpenAI, যা একটি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তবে, OpenAI এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ChatGPT এর উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, যারা হলেন:
১. Ilya Sutskever: তিনি OpenAI এর প্রধান বিজ্ঞানী এবং GPT-3 ভাষা মডেলের সহ-নির্মাতা, যার উপর ChatGPT ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। ইলিয়া সুৎস্কেভার একজন ইসরায়েলি-কানাডিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী যিনি মেশিন লার্নিং ক্ষেত্রে কাজ করেন। তিনি OpenAI এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী।
২. Sam Altman: তিনি OpenAI এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং CEO। স্যাম আল্টম্যানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ২২ এপ্রিল, ইলিনয় রাজ্যের শিকাগোতে, একটি ইহুদি পরিবারে। তিনি মিজৌরি রাজ্যের সেন্ট লুইসে বেড়ে উঠেছেন। তার মা একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং তার বাবা ছিলেন একজন রিয়েল এস্টেট দালাল। আল্টম্যান চার ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
৩. Wojciech Zaremba: তিনি OpenAI এর প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা এবং GPT-3 এর সহ নির্মাতা।
৪. Greg Brockman: তিনি OpenAI এর CTO এবং GPT-3 এর সহ-নির্মাতা।
এছাড়াও, অনেক গবেষক, প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানী ChatGPT এর উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। OpenAI একটি খোলা-উৎস প্রকল্প, এবং যে কেউই কোডে অবদান রাখতে পারে।
অ্যান্ডি রুবিন, যিনি অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, তার ধর্মীয় পরিচয় ইহুদি, যদিও তা সর্বজনীনভাবে প্রকাশিত নয়। তবে তার অবদান অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তির উন্নয়নে অপরিসীম। ২০২৪ সালে ইন্টেল ইজরায়েলের প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়, যারা সেন্ট্রিনো চিপ থেকে শুরু করে ইন্টেল® কোর™ প্রসেসর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত বিভিন্ন জীবন-পরিবর্তনকারী প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদান রেখেছে।
ইলন মাস্ক, যিনি টুইটারের মালিক এবং নিজেকে “সংস্কৃতিগতভাবে ইহুদি” বলে অভিহিত করেন, তার প্রভাব সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক। ফাইভার, যা একটি ইজরায়েলি প্রতিষ্ঠান, অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও, অ্যাপল সম্প্রতি ইজরায়েলি কোম্পানি অ্যানবিট লিমিটেড ক্রয় করেছে, যা আইফোন এবং আইপ্যাডে ব্যবহৃত ফ্ল্যাশ মেমোরি উপাদান তৈরি করে। ইজরায়েলের উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্প বিশ্বের অন্যতম উন্নত হিসেবে বিবেচিত।
বাংলাদেশে কিছু গ্রুপ কোকা-কোলা এবং ইজরায়েলি প্রডাক্টসমূহের বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। কোকা-কোলা বয়কট করা সম্ভবত সহজ হতে পারে, কারণ এটি একটি স্পষ্ট পণ্য এবং বিকল্প পানীয় অন্যান্য ব্র্যান্ডের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে, গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইনটেলের মতো প্রযুক্তি পণ্যগুলি বয়কট করা অনেক বেশি জটিল, কারণ এগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গভীরভাবে সংযুক্ত এবং এগুলির বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই প্রযুক্তি পণ্যগুলি ব্যবসা, শিক্ষা, যোগাযোগ এবং বিনোদনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাই, এই পণ্যগুলি বয়কট করা বাংলাদেশীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ছবি: ZIS leather (Facebook Page)
Also Read It On: বাংলাদেশে কোকা-কোলা এবং ইজরায়েলি পণ্য বয়কট: কে আছেন মালিক এবং তাদের ধর্মীয় পরিচয়?
১৯ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯
মি. বিকেল বলেছেন: একসময় ইসলামের হাতে সবই ছিলো, নতুন ফতোয়াবাজ এবং ধান্দা বাজ এই ধর্মকে অজ্ঞতার দিকে নিয়ে গেছে। দুঃখ এটুকুই যে, ফিলিস্তিনে যা হয়েছে বা হচ্ছে তার জন্য একজন মানুষ হিসেবে কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ
২| ২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৬
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: বয়কটের আগে নিজেদেরকে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
আল্লাহ পবিত্র কোরানে বলেছেন যে, "তোমরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর জান, মাল ও হেকমতের সহিত।"
হেকমত বাদ দিয়ে, কি লড়াই করবে?
কোন জামানায় কি নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে, সেটার ইঙ্গিত আল্লাহ ঠিকই দিয়ে দিয়েছেন। ইসলাম এখন কওমীদের হাতে বন্দী, ইউটিউব বুজুর্গেরা এখন এক এক জন ধর্মনেতা বনে গেছেন।
কোর আন পড়ার ও বোঝার চেষ্টা বা সময় জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা করা মুসলিমদের নেই। তাই মুর্খদের জিহাদের সংগী হচ্ছেন কেউ কেউ না বুঝেই। আর বাকিরা তো কিছুতেই নাই।
কে মরল, কে বাচল, তাতে মুসলিম হিসেবে তাদের কিছুই আসে যায় বলে মনে হয় না।
২০ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
মি. বিকেল বলেছেন: ফিনিক্স পাখি একটি রূপকথার পক্ষি, যার জীবনচক্র আবর্তিত হতে থাকে হাজার হাজার বছর ধরে। প্রাচীন গ্রিক পুরাণ অনুসারে ফিনিক্স হল এক পবিত্র 'অগ্নিপাখি'। এটি এমনই একটি পবিত্র আগুনের পাখি, যার জীবন নির্মমভাবে দগ্ধীভূত হতে থাকে এবং তার ছাইভস্ম থেকেই জন্ম নেয় নতুন জীবন। প্রাণ পায় নতুন জীবনের, শুরু হয় আবারও জাতিস্মর ফিনিক্সের অবিনাশী যাত্রা।
আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, সেটা গভীর এবং মৌন বিচারের মাধ্যমে আল্লাহের পথে জিহাদ করার মূল উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই আল্লাহের রাস্তায় জিহাদ করতে পারি, মাল ও হেকমতের সহিত। এটি আমাদের ধর্মিক প্রতিজ্ঞা এবং মানবিক দায়িত্ব।
৩| ২০ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
নতুন বলেছেন: অন্ধবিশ্বাসীরা কম বুদ্ধিসম্পন্ন হয়, তাদের খুব সহজেই মটিভেট করা যায়।
যেহুতু তারা যুক্তি বোঝে না তাই বিশ্বাসের সাথে সব কিছুই গিলানো যায়।
দেশে কোকোকোলা বয়কট চলছে জজবার সাথে। মানুষ কোকাকোলা বর্জন করে দেশী কোলা খাচ্ছে, পামির কোলা খুজতেছে।
সফটড্রিংক যে শরীরের জন্য ক্ষতি সেই কারনে কোকাকোলা বয়কট হচ্চে না। কারন দেশী কম্পানি গুলি মানুষের অন্ধধর্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কোকাকোলার বিক্রি কমিয়ে নিজেদের কোলা বিক্রি বাড়াচ্ছে।
ফেসবুকে একজন ধমান্ধ বয়কটের প্রচারনা করে ৪০$ করে লাভ করাচ্ছে ঈহুদী মালিকানিধিন ফেসবুককে।
সেই ব্যক্তিও কিন্তু বছরে ১০৪ বোতল কোকোকোলা কিনে খায় না। অর্থ কোকাকোলা কম্পানি ঐ ধমান্ধের কাছ থেকে ৪০$ লাভ কমছে না।
বিশ্বে জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে না থাকলে নেতৃত্বে যাওয়ায যাবে না। অন্যের পন্যের ক্রেতাই হয়ে থাকতে হবে।
২১ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
মি. বিকেল বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি আমার সাম্প্রতিক লেখাগুলোতে বিষয়গুলো তুলে আনবার। আপনার পর্যবেক্ষণও সেটাই বলছে। কিন্তু এটাও একধরনের জবাব হতে পারে, হতে পারে আংশিক জবাব। এতে কিছু জাতীয়তাবাদী সাইকোলজি আছে। যেমন আমরা বয়কট করতে নিষেধ কখনোই করবো না, কেন? কারণ যত বিদেশি পণ্য বয়কট করতে আমরা সক্ষম হবো তত বেশি নিজেরা সেই ফিল্ডে ভালো করবো। এবং একসময় এই ওয়েভ আমাদের নিজস্ব অনলাইন প্রযুক্তি তৈরিতেও সাহায্য করতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১
নিমো বলেছেন: বলেন কী! অনন্য কিতাবধারীরা এসবের বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না। হা-হা!