নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ক্রিকেট: বিনোদন, নাকি অপচয়?

২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ২:২১



বাংলাদেশে বিনোদনের উৎসগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এবং হ্রাস পেয়েছে। এক সময়ে, বাংলা সিনেমা এবং উপন্যাস পড়া ছিল জনপ্রিয় বিনোদনের মাধ্যম। পরবর্তীতে, ক্রিকেট খেলা দেখা এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে এবং বিশেষ করে জাতীয় দলের খেলা দেখা একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, ফুটবল বাংলাদেশে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি, যদিও এর ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। বাংলা নাটক এখনো কিছু নির্দিষ্ট দর্শকের কাছে জনপ্রিয়, তবে গল্পের মান এবং শালীনতার দিক থেকে এর মান হ্রাস পেয়েছে এবং এই শিল্প একটি হাইব্রিড সংস্কৃতির প্রভাবে পড়েছে।

বাংলাদেশে ক্রিকেট বর্তমানে প্রধান বিনোদনের উৎস হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এক সময়ে যেখানে ক্রিকেট সংক্রান্ত খবর পত্রিকার শুধুমাত্র বিনোদন পাতায় স্থান পেত, সেখানে এখন ক্রিকেট নিজেই একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ক্রিকেট এখন শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, বরং এটি জাতীয় পরিচয় এবং ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। মানে আমি যদি বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে ইংল্যান্ড কে সমর্থন করি তাহলে আমার জাতীয় পরিচয় আর বাংলাদেশী থাকবে না! আমাদের মধ্যে ঐক্য নষ্ট হয়ে যাবে!

বর্তমানে এই ধারণা রাখা হয় যে, ক্রিকেট খেলা না দেখলে বা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে না সমর্থন করলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করেন না এমন বিবেচনায় নেওয়া হয়। হ্যালো! ক্রিকেট স্রেফ একটি খেলা এবং বিনোদনের মাধ্যম মাত্র, এটি কারো জাতীয়তাবাদের পরিচয় নির্ধারণ করে না। ব্যক্তিগত পছন্দ এবং জাতীয়তাবাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।

বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে, যা উপমহাদেশের অন্যান্য সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অনন্য। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি তার অস্কার জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মান অর্জন করেছে। একটি বাংলা সিনেমার গড় দৈর্ঘ্য হল ২ ঘন্টা ১০-২০ মিনিট, যা দর্শকদের একটি সম্পূর্ণ গল্প উপভোগ করার সুযোগ দেয়। অন্যদিকে, একটি বাংলা উপন্যাস পড়তে গড়ে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, যা পাঠকদের গভীর এবং বিস্তারিত অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যদিও বাংলা উপন্যাস পড়ার অভ্যাস হ্রাস পেয়েছে, তবুও এর মূল্য অপরিসীম। আবার বাংলা নাটকের গড় দৈর্ঘ্য ৫০ মিনিট, যা দর্শকদের একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রাণবন্ত বিনোদন প্রদান করতে সক্ষম।

এখন ক্রিকেটের বিভিন্ন ফরম্যাটের কথা বললে: ১. টেস্ট ক্রিকেট: এটি সবচেয়ে দীর্ঘ ফরম্যাট, যা ৫ দিন পর্যন্ত চলে এবং প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘন্টা খেলা হয়। ২. ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল (ODI): প্রতিটি দল ৫০ ওভার করে খেলে এবং একটি ম্যাচ শেষ হতে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা সময় লাগে। ৩. টি-২০ ক্রিকেট: সবচেয়ে ছোট ফরম্যাট, প্রতিটি দল ২০ ওভার করে খেলে এবং একটি ম্যাচ ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় নেয়।

অন্তর্জালের বিস্তারের ফলে আমরা এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সিনেমা, সিরিজ, এবং খেলাধূলা ঘরে বসেই দেখতে পারি। এই সুবিধা আমাদের বিনোদনের জগতকে আরও বিস্তৃত করেছে। তবে, সব বিনোদনের মাধ্যমের মধ্যে ক্রিকেটের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। নিয়মিত সিনেমা বা সিরিজ না দেখা সত্ত্বেও, ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা এবং সময় নষ্ট করা হয়, তা বিদ্যমান। ক্রিকেট খেলা দেখার জনপ্রিয়তা কবে থেকে শুরু হয়েছে তা নির্দিষ্ট করা বলা কঠিন, কিন্তু একটি খেলা বা বিনোদনের উৎস কি কারো জাতীয়াবাদ নির্ধারণ করতে পারে?

বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলাকে ঘিরে একটি উগ্র সরলীকরণের প্রবণতা বিদ্যমান। ক্রিকেট খেলাকে যদি কেউ শুধুমাত্র বিনোদন বা একটি খেলা হিসেবে দেখেন, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া কোনো আপদের কারণ হওয়া উচিত নয়। একইভাবে, পাকিস্তানের ক্রিকেট দলকে সমর্থন করলে তাকে স্বাধীনতাবিরোধী বলে অভিহিত করাও উচিত নয়। অথবা, ইংল্যান্ড দলকে সমর্থন করে বলে কেউ উপনিবেশিক চিন্তায় বিশ্বাস করেন এমন নয়। এছাড়াও, বাংলাদেশের উচ্চ-চাপের কোনো ম্যাচে অন্য কোনো দেশের জার্সি পরলে অপমান করা হতে পারে, এবং এমনটি অতীতে ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে।

হ্যাঁ, আপনি হয়তো প্রশ্ন তুলবেন, আমার ইচ্ছা, আমি সারাদিন ক্রিকেট খেলা দেখবো। সমস্যা নাই, আপনি সারাদিন ধরে ক্রিকেট খেলা দেখুন। আপনার জীবন, আপনারই তো ইচ্ছা, কিন্তু এই ইচ্ছা খুব বিলাসবহুল ইচ্ছা নয় কি? এবং সবারপক্ষে এমন বিলাসবহুল ইচ্ছা এফোর্ড করা কি সম্ভব?

দুটো প্রশ্ন

১. কেন এমন মনে হয় যে, দেশ যখন কোন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায় ঠিক তখনই এদেশে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়ে যায়!
২. আপনি তো ব্যক্তিজীবনে ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছে রাখেন না বা হতেও পারবেন বা হয়তো আপনার সে বয়সও নাই। তারপরেও দিনের পর দিন সময় নষ্ট করে এই ক্রিকেট খেলা দেখে কি শিক্ষা পান? একটি সিনেমা, সিরিজ, উপন্যাস সামান্য হলেও কিছু চিন্তার খোরাক সামনে রাখে। কিন্তু ক্রিকেট আপনাকে ঠিক কি উপহার দেয়?

কই! আমরা রোজরোজ কি সিনেমা বা সিরিজ দেখি? আমরা নিয়মিত কি কোন মাল্টিপ্লেক্সে যাই? আমরা নিয়মিত কি কোন উপন্যাস বা বই পড়ি? আমরা নিয়মিত কি কোন পিডিএফ পড়ি? আমরা নিয়মিত কি কোন পডকাস্ট শুনি? আমরা নিয়মিত কি বাংলা নাটক দেখি? আমরা সারাদিন ধরে কি ফুটবল খেলা দেখি? আমরা সারাদিন কি কোন স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে চোখ রাখি?

ডাটা কিনে নিজের পকেটের টাকা নষ্ট করে এবং নিজের সময় নষ্ট করে এরচেয়ে অবান্তর ঠিক কি হতে পারে! একজন ফুটবলপ্রেমীর যুক্তিও মাথায় ঢোকে কারণ তার হাতে গড় সময় ৯০ মিনিট। এর মধ্যে কোন এক দল জিতে যায়, ফুরে যায়। কিন্তু এই ক্রিকেট আপনার প্রোডাক্টিভিটি তে ব্যাপক সমস্যা কি তৈরি করছে না? আর ক্রিকেট দিয়ে জাতীয়তাবাদ নির্ধারণ করা! মানে যখন ক্রিকেট খেলা ছিলো না তখন আমরা বাংলাদেশী ছিলাম না। দেখুন, আমি ক্রিকেট খেলা দেখতে নিষেধ করছি না কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ দিনের পর দিন এবং ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কীভাবে নষ্ট করতে পারে? কেন এখানে ইউরোপীয়ানরা নাই? চিন্তা করুন।

ছবি: Bing Enterprise (Copilot Ai)
Also Read It On: বাংলাদেশে ক্রিকেট: বিনোদন, নাকি অপচয়?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: কিছু ব্যাপারে একমত হতে পারছি না।
আপনার যুক্তি অনুযায়ী সর্বদা সম্ভাব্য জয়ী পক্ষেই থাকতে হবে দেখছি! যে বা যারা খেলাকে ভালভাবে খেলতে পারে ও যাদের সুন্দর হয়। তাদেরই ফলাফল ইতিবাচক হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। lol

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

মি. বিকেল বলেছেন: রিফাত হোসেনের মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার উদ্বেগ সম্পূর্ণ বোধগম্য এবং আমি আপনার সাথে একমত যে খেলাধূলা এবং বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা শুধুমাত্র জয়ের জন্য নয়, বরং এটি খেলোয়াড়দের দক্ষতা, নৈপুণ্য এবং খেলার প্রতি তাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। আমি যে যুক্তি প্রদান করেছি তা সম্ভাব্য জয়ী পক্ষে থাকার প্রসঙ্গে নয়, বরং এটি খেলার প্রতি আমাদের মনোভাব এবং এর সাথে জড়িত আবেগের বিষয়ে। খেলা দেখার সময় আমরা যে দলকে সমর্থন করি, তা আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ এবং আবেগের প্রতিফলন করে, এবং এটি অবশ্যই সবার জন্য সমান হতে হবে এমন নয়। খেলার সৌন্দর্য এবং উত্তেজনা একটি অনিশ্চিত ফলাফলের মধ্যে নিহিত থাকে, এবং এটি আমাদের খেলাধূলার প্রতি আকর্ষণ এবং আগ্রহ বাড়ায়। আমি আশা করি আমাদের এই আলোচনা খেলাধূলার প্রতি আমাদের মনোভাব এবং এর সাথে জড়িত আবেগের বিষয়ে আরও গভীর চিন্তা করার উৎসাহ দেবে।

২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: কী বললেন? বাংলাদেশে ফুটবল তেমন জনপ্রিয়তা পায় নি?
আপনার দেখি বাংলাদেশে ফুটবল ক্রেজ সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই !

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার প্রতিক্রিয়া পড়ে আমি বুঝতে পারছি যে আপনি বাংলাদেশে ফুটবলের প্রতি গভীর আগ্রহ এবং ভালোবাসা রাখেন। আমি যে বিষয়টি তুলে ধরেছি তা হল, বাংলাদেশে ফুটবল ক্রিকেটের তুলনায় কম জনপ্রিয়। এটি অবশ্যই ফুটবলের প্রতি আমাদের দেশের ভালোবাসা বা ঐতিহ্যকে কমিয়ে দেখার জন্য নয়। বাংলাদেশে ফুটবলের একটি দীর্ঘ এবং গর্বিত ইতিহাস রয়েছে, এবং অনেক ফুটবল প্রেমী রয়েছেন যারা এই খেলাটির প্রতি অত্যন্ত আনুগত্য রাখেন। আমার উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান সময়ে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং এর সামাজিক প্রভাবের উপর আলোকপাত করা। আমি আশা করি আমাদের এই আলোচনা বাংলাদেশে ফুটবলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং এর ঐতিহ্যের প্রতি আরও গভীর চিন্তা করার উৎসাহ দেবে।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইউরোপে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা স্বল্প সময়ের জন্য এটা ঠিক না। তাদের প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে সারা বছর এরা এমন উন্মাদনায় পড়ে থাকে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। ইভেন উপমহাদেশের অনেকেই এই লীগগুলি নিয়ে উন্মাদনে মেতে থাকে।
ক্রিকেট খেলা দেখলেই ক্রিকেটার হতে হবে তা কিন্তু না। এখানে আরো অনেক সুযোগ আছে। আপনি ধারাভাষ্যকার হতে পারবেন, আম্পায়ার হতে পারবেন এবং খেলা নিয়ে আমাদের এখানে সাংবাদিকতা করার অনেক সুযোগও আছে। এছাড়াও ক্রিকেট রিলেটেড বিজনেসও আপনি করতে পারবেন। সম্ভাবনা সবকিছুতেই আছে, আপনি কি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখছেন সেটা বিবেচ্য বিষয়। তবে এটা বলব না যে সময় নষ্ট করার জন্য যে অনেকে খেলা দেখে না তা কিন্তু নয়।
খেলার সমর্থন দিয়ে জাতীয়তাবাদ নির্ধারিত হয়না এটা ঠিক। তবে নিজ দেশের খেলা যখন অন্য আরেকটি দেশের সাথে খেলা হয় তখন নিজ দেশের বিপক্ষে গিয়ে অন্য দেশকে সমর্থন করা খুবই দৃষ্টিকটু একটি বিষয়।

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক এবং মূল্যবান। আমি স্বীকার করি যে ইউরোপে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা শুধু স্বল্প সময়ের জন্য নয়, বরং এটি একটি সারা বছর ধরে চলমান একটি উৎসবের মতো। প্রিমিয়ার লিগ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় লিগগুলি তাদের উচ্চ মানের খেলা এবং উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচগুলির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই লিগগুলি নিয়ে উপমহাদেশের অনেকেই উন্মাদনায় মেতে থাকে এবং এটি খেলাধূলার প্রতি আমাদের আগ্রহের প্রমাণ দেয়।

আপনি যে বিষয়টি বলেছেন তা আমি পুরোপুরি সমর্থন করি যে, ক্রিকেট খেলা দেখা মানেই ক্রিকেটার হওয়া নয়। ক্রিকেট সম্পর্কিত অনেক পেশা এবং ব্যবসায়িক সুযোগ রয়েছে যা অনেকের জন্য ক্যারিয়ার গড়ার পথ হতে পারে। ধারাভাষ্যকার, আম্পায়ার, সাংবাদিকতা এবং বিজনেস—এই সব ক্ষেত্রে ক্রিকেট অনেক সম্ভাবনা এবং উন্নতির দরজা খুলে দেয়। এছাড়া, নিজ দেশের খেলা সমর্থন করা এবং জাতীয়তাবাদের প্রশ্ন একটি জটিল বিষয়। খেলাধূলা একটি বিনোদনের মাধ্যম এবং এটি সবার জন্য সমান হতে হবে এমন নয়। তবে, নিজ দেশের খেলা যখন অন্য দেশের সাথে হয়, তখন নিজ দেশের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করা অনেকের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে থাকে। আমি আশা করি আমাদের এই আলোচনা খেলাধূলার প্রতি আমাদের মনোভাব এবং এর সাথে জড়িত আবেগের বিষয়ে আরও গভীর চিন্তা করার উৎসাহ দেবে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

নতুন বলেছেন: দেখুন, আমি ক্রিকেট খেলা দেখতে নিষেধ করছি না কিন্তু একজন সুস্থ মানুষ দিনের পর দিন এবং ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কীভাবে নষ্ট করতে পারে? কেন এখানে ইউরোপীয়ানরা নাই? চিন্তা করুন।

ইউরোপীয়ানরা খেললেই সেটা ভালো হয়ে যাবে না। ফুটবলের উন্মাদনা দেখলেই বুঝতে পারবেন।

যে কোন খেলাই আমি সমর্থন করি যদি নিজে খেলে থাকেন। সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো।

কিন্তু বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেট/ফুটবল বা অন্য যে কোন খেলা নিয়ে যেটা হচ্ছে সেটা অন্যের ব্যবসা মাত্র।

এখানে এই খেলার পেছনে জনগন যতটা সময় ব্যায় করে সেটা বিক্রি হয় বিজ্ঞাপনের হাটে।

জনগন টিভিতে ক্রিকেট দেখে<<< কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের আয় হয় টিভি মিডিয়ার।
জনগন ইন্টারনেটে খেলা দেখে<<< কোটি টাকা আয় হয় বিজ্ঞানপের।
জনগন বাজির সাইটে কোটি টাকা খরচ করে।
জনগন কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন রেস্টুরা বারে বসে খেলা দেখে ।

আমাদের দেশের ক্রিকেট খেলা অল্প কিছু মানুষের আয়ের ধান্দা বাড়ায়। যেহেতু ভালো কোন ফল আসেনা তাই বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা উচিত না। এটাতে জনগনের টাকার শ্রাদ্ধ হয় মাত্র।

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০৮

মি. বিকেল বলেছেন: আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, তা খেলাধূলার বাণিজ্যিক দিক এবং এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে। আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত বিষয়গুলো সত্যি যে, খেলাধূলা এখন একটি বড় বাণিজ্যিক খাতে পরিণত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন এবং মিডিয়া শিল্প বিশাল আয় করে থাকে। তবে, এটি কেবল ব্যবসা মাত্র নয়, বরং খেলাধূলা অনেক মানুষের জন্য আনন্দ, উত্তেজনা, এবং সামাজিক ঐক্যের উৎস হিসেবে কাজ করে। নিজে খেলে থাকলে তা শরীরের জন্য ভালো হলেও, খেলা দেখা এবং অনুসরণ করাও অনেকের জন্য মানসিক সুখ এবং সামাজিক সংযোগের একটি উপায়।

বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা নিয়ে আপনার উদ্বেগ বোঝা যাচ্ছে। যদিও ফলাফল সবসময় ইতিবাচক না হলেও, খেলাধূলা একটি দেশের জাতীয় পরিচয় এবং গর্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এটি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেয় এবং জাতীয় স্তরে খেলাধূলার উন্নয়নে অবদান রাখে। তাই, খেলাধূলা কেবল ব্যবসা মাত্র নয়, বরং এটি একটি জাতীয় ঐক্য এবং গর্বের উৎস হিসেবেও কাজ করে। আমি আশা করি আমাদের এই আলোচনা খেলাধূলার বাণিজ্যিক এবং সামাজিক দিকগুলো নিয়ে আরও গভীর চিন্তা করার উৎসাহ দেবে।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা নিয়ে আপনার উদ্বেগ বোঝা যাচ্ছে। যদিও ফলাফল সবসময় ইতিবাচক না হলেও, খেলাধূলা একটি দেশের জাতীয় পরিচয় এবং গর্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এটি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেয় এবং জাতীয় স্তরে খেলাধূলার উন্নয়নে অবদান রাখে।

দেশের দলের ক্রমাগত হতাশকরা খেলা দেখতে দেখতে প্রতিবারই ভাবি যে আর ক্রিকেটই দেখবো না।

কিন্তু দেশের খেলা আসলে না দেখেও পারিনা :|

২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

মি. বিকেল বলেছেন: হা হা হা... আমারও একই অবস্থা। কিন্তু এতে অনেকের জীবন বরবাদ হচ্ছে। আমাদের লেখালেখি এসব বিষয়ে খুব কম।

৬| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



বাংলাদেশের বাজেটের কত অংশ ক্রিকেটের জন্যে খরচ হয়?

তথ্যটা আমার জানা নাই।

২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

মি. বিকেল বলেছেন: ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে, বিসিবির বাজেট ছিল প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের অনুদান ছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ আইসিসি, ম্যাচের আয়, টিভি সম্প্রচার অধিকার এবং অন্যান্য উৎস থেকে এসেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.