নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘স্ক্যারলেট লেটার’-এর প্রতিচ্ছবি: ‘লাভ জিহাদ’ বিতর্কের আন্তঃধর্মীয় প্রেমের ট্র্যাজেডি

৩০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৬



‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি প্রথমে ২০০৬ সালে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাজরং দল ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা যায়। কারো কারো মতে, এরও আগে ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর একাধিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক ওয়েবসাইটে এই শব্দ এবং এই শব্দকে ঘিরে ধারণা প্রকাশ করে। বিষয়টি দিন দিন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অদ্ভুত এই শব্দাংশ (লাভ জিহাদ) শুধু আক্ষরিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না, যে বা যারা আন্তঃধর্মীয় (হিন্দু-মুসলিম) বিয়ে করেছেন (ভারতে) তাদের কে হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। চাই তারা কোন ধর্ম মানুক, বা না মানুক।

প্রথমে আসা যাক, লাভ জিহাদ কি? লাভ জিহাদ হলো, মুসলিম বিদ্বেষমূলক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যা বলে, একজন মুসলিম পুরুষ যখন কোন হিন্দু নারীকে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে ধর্মান্তরিত করে (ইসলাম ধর্মে)। এখানে টুইস্ট হচ্ছে পবিত্র আল-কোরআনে মুসলিম পুরুষদের ইহুদি ও খ্রিস্টান নারীদের কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে করার অধিকার দিয়েছে। অন্যদিকে এই একই অধিকার ইসলামে নারীদের দেওয়া হয় নাই। ইসলাম মনে করে, এতে নারীরা পথভ্রষ্ট হবে এবং নিজ ধর্ম থেকে সরে যেতে পারে।

আর যেহেতু ইহুদী ও খ্রিস্টান আব্রাহামিক ধর্মের অনুসারী তাই তাদেরকে বিয়ে করা গেলেও একজন হিন্দু নারীকে কোন পুরুষ বিয়ে করতে পারবেন না। সুতরাং লাভ জিহাদ ধারণাকে এখানেই উহ্য/বাতিল করে দেওয়া যায়। কারণ ঐ বিয়েতে হিন্দু নারীকে মুসলিম না হওয়া ছাড়া বিয়েটা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী ‘বিয়ে’ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এবার ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, একারণেই পুরোপুরি ‘লাভ জিহাদ’ কনসেপ্ট বাতিল করা সম্ভব হচ্ছে না।

কারণ সাম্প্রতিক ভারতে বেশ কিছু এমন বিয়ে হয়েছে যেখানে ইসলাম ধর্ম মোতাবেক হয়েছে। আবার অন্যদিকে কিছু বিয়ে হয়েছে দুই ধর্মের নিয়মকানুন অনুযায়ী। এখানে এমন বিয়েতে মুসলিম নারীরা তো যেতেই পারবে না, আর মুসলিম পুরুষ ধর্মান্তরিত না করে কোন হিন্দু নারীকে বিয়ে করতে পারবেন না। কিন্তু এই সমস্ত বিয়ের বেশিরভাগ বিয়ে হচ্ছে দুই ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে। এতে করে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী এমন বিয়ে বাতিল হিসেবে গণ্য হবে, লাভ জিহাদ তো অনেক দূরে।

এখানে আব্রাহামিক ধর্মের লেগেছি বহন করা নারী-ই শুধু একজন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে পারবেন। তাহলে কেন হিন্দু নয়? ওরা শর্ত পালন করে বিয়ে করুক? না, আপাতদৃষ্টিতে ইসলাম হিন্দুদের প্রতি বৈষম্য, মুসলিম নারীদের অধিকারে হাত দিলেও মূলত ‘আল্লাহ্’ বা এক ‘ঈশ্বর’ এর ধারণায় হাত দেই নাই। কিন্তু যেসব ধর্মে একের অধিক ‘ঈশ্বর’ আছেন মানে ‘Polytheistic’ সব ধর্ম কে বাতিল করেছে। এবং প্রধান শর্ত যোগ করা হয়েছে আহলে কিতাব (আসমানী গ্রন্থ) অনুসারী হতে হবে। কোন কোন আসমানী গ্রন্থ? তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল ও পবিত্র আল-কোরআন।

এখন এই উপমহাদেশে আন্তঃধর্মীয় বিয়ের বিষয়টি জরুরী হতে পারে। এখানে সবচেয়ে বড় দুটি ধর্ম হলো ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম। তাহলে এই বিষয়ে সমধান কি হতে পারে? কারণ এদের সহাবস্থান জরুরী। আর সহাবস্থান থেকেই তো সম্পর্ক এবং তারপর বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। এই উপমহাদেশে হাজারো হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ব্যর্থ প্রেমের গল্প লেখা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। বাস্তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি। সহাবস্থান করতে গেলে সমাধান জরুরী, সংঘর্ষ নয়। কিন্তু সরি! ইসলামের কাছে এর কোন সমাধান নাই। অন্যদিকে হিন্দুধর্মে মুসলিম নারী ও পুরুষকে বিয়ে না করার ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই।

সুতরাং ‘লাভ জিহাদ’ তো হচ্ছে কিন্তু উল্টা ‘লাভ জিহাদ’। অনুমান অনুযায়ী, যেভাবে মুসলিমরা হিন্দু নারীকে বিয়ে করছেন সেক্ষেত্রে তিনি ঐ আহলে কিতাবের শর্ত পালন করে বিয়ে করছেন। এবং এখানে বেশিরভাগ মুসলিম স্কলার’রা চুপ আছেন। ঠিক যেমনটি কনডম নিয়ে চুপ আছেন বা ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চুপ আছেন।

কারণ আমরা তো কেউ-ই এসব জানার চেষ্টা করি নাই, হয়তো একজন মুসলিম পন্ডিতও কিছু বিষয় দেখেও না দেখা করেছেন। সমস্যা হলো, এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের সমাধান চাই, চোখ বন্ধ অবস্থা নয়। তাই এখানেই ‘দ্য স্কারলেট লেটার’ উপন্যাস প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। এবং খুব গুরুত্বের সাথে ‘দ্য স্কারলেট লেটার’ ইংরেজি সাহিত্যে পড়ানোও হয়।

কিন্তু কি এই ‘দ্য স্ক্যারলেট লেটার’? নাথানিয়েল হথর্নের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য স্ক্যারলেট লেটার’ ১৭ শতকের পুরাতন ইংল্যান্ডের পটভূমিতে রচিত, যেখানে ধর্ম ছিলো সমাজের মূল ভিত্তি। তিনটি বুলেট পয়েন্ট,

১. ধর্মীয় পার্থক্যের বাধা: হেস্টার ও ডিমেসডেলের ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস তাদের প্রেমের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করে। তাদের সমাজ ধর্মীয় মতাদর্শের বাইরে প্রেমকে গ্রহণ করে না, তাই তাদের সম্পর্ক গোপন রাখা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।

২. অপরাধবোধ ও লজ্জা: ধর্মীয় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য হেস্টার ও ডিমেসডেল তীব্র অপরাধবোধ ও লজ্জায় ভোগেন। এই অনুভূতি তাদের মানসিক যন্ত্রণা বৃদ্ধি করে এবং তাদের সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

৩. সমাজের নিন্দা: তাদের আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের জন্য হেস্টার ও ডিমেসডেল সমাজের নিন্দা ও অপমানের শিকার হন। তাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তাদের মানসিক শক্তিকে আরও দুর্বল করে তোলে।

‘দ্য স্ক্যারলেট লেটার’ উপন্যাসে হেস্টার প্রাইন ও ডিমেসডেলের মৃত্যুর কারণ জটিল ও বহুমুখী। ধর্মীয় নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধবোধ, সমাজের অপমান, রোগ, দুঃখ ও হতাশা - এই সবকিছুই তাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কিন্তু আন্তঃধর্মীয় প্রেমের বিষয়টি কি উপেক্ষা করা যেতে পারে?

১৭ শতক থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৪৪ বছর সময়কাল অতিক্রম করেছে। মানে তখনও আন্তঃধর্মীয় প্রেমের মৃত্যু ঘটেছে, এখনও তাই, মাঝখানে শুধু শত শত বছর। তো, মানুষের কাছে বেঁচে থাকার জন্য প্রেম/ভালোবাসা/বিয়ে এসব কি এতই গুরুত্বহীন? কিন্তু আজও এসবের কোনো সমাধান নাই। ইসলাম কি এতই কঠিন? ইসলাম কি এতই নিষ্ঠুর? বা, হিন্দু বর্ণবাদ কি এতই দরকারী? আমাদের আরো অনেক অনেক গবেষণার প্রয়োজন আছে। একসাথে বাঁচতে গেলে এভাবে চোখ বন্ধ করে নয়, চোখ খোলা রেখে সমাধান খুঁজতে হবে। উত্তর নিশ্চয় কোথাও না কোথাও পাওয়া যাবে।

রেফারেন্স সমূহ

রেফারেন্স – ০১: আজ তোমাদের জন্য সব পবিত্র বস্তু হালাল করা হয়েছে। আহলে কিতাবের (ইহুদী ও খ্রিস্টান) খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। আর মুমিন নারীদের মধ্যে যারা সতী, তাদের এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা সতী, তাদের সাথে তোমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারো, যদি তোমরা তাদের মোহরানা প্রদান করো এবং তাদেরকে সতী-সাধ্বী রাখো, ব্যভিচারিণী বা গোপন উপপত্নী না বানাও।
- সূরা মায়েদা: আয়াত ৫

রেফারেন্স – ০২: একজন মুসলিম পুরুষ একজন কিতাবী নারীকে বিয়ে করতে পারেন, কিন্তু একজন মুসলিম নারী একজন অ-মুসলিমকে বিয়ে করতে পারে না।
- সহীহ্ বুখারী

রেফারেন্স – ০৩: একজন মুসলিম নারী একজন অ-মুসলিমকে বিয়ে করতে পারে না, কারণ সে তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করবে।
- সহীহ্ মুসলিম

ছবি: Bing Enterprise
Also Read It On: ‘স্ক্যারলেট লেটার’-এর প্রতিচ্ছবি: ‘লাভ জিহাদ’ বিতর্কের আন্তঃধর্মীয় প্রেমের ট্র্যাজেডি

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

নতুন বলেছেন: এই সবই রাজনিতিক শব্দ মাত্র।

যদি কেউ সত্যিকারের ধার্মিক হয় হবে বিবাহের আগে কোন নারীর সাথে কোন সম্পর্ক ইসলামে বৈধ না।

প্রেম হয়ে যায় তারপরে তারা বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করে। এখানে দুজনই ধর্মের ভক্ত না। এমনকি এরা পরিবার এবং সমাজ নিয়েও ভাবে না।

ভারতে মুসলমানদের উপরে আরো একটা চাপ বাড়ানোর জন্য এই লাভ জিহাদ শব্দ ব্যবহার শুরু করেছে। এটা নিয়ে অনেককে হত্যাও করেছে।

মানুষের জ্ঞানের পরিধি না বাড়লে রাজনিতিকরা আমজনতার মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবেই।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০৮

মি. বিকেল বলেছেন: নতুন, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন যা আলোচনার দাবি রাখে।

১. ধর্মীয় বিধান ও প্রেম: আপনি ঠিকই বলেছেন যে ইসলামে বিবাহের আগে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ক অনুমোদিত নয়। তবে, বাস্তব জীবনে অনেকেই এই বিধান মানতে পারেন না এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই পরিস্থিতিতে, যদি তারা বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করেন, তাহলে এটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।

২. লাভ জিহাদ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: আপনি উল্লেখ করেছেন যে ভারতে মুসলমানদের উপরে চাপ বাড়ানোর জন্য “লাভ জিহাদ” শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ। “লাভ জিহাদ” শব্দটি অনেক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় এবং এর ফলে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে।

৩. সমাজ ও পরিবার: আপনি বলেছেন যে “এখানে দুজনই ধর্মের ভক্ত নয়। এমনকি এরা পরিবার এবং সমাজ নিয়েও ভাবে না।” এটি একটি সাধারণ ধারণা হতে পারে, তবে সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অনেক দম্পতি আন্তঃধর্মীয় বিয়ে করার পরও তাদের পরিবার এবং সমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন এবং তাদের সম্পর্ককে সফলভাবে পরিচালনা করেন।

৪. মানুষের জ্ঞানের পরিধি: আপনার মন্তব্যে বলা হয়েছে, “মানুষের জ্ঞানের পরিধি না বাড়লে রাজনীতিকরা আমজনতার মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবেই।” এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। মানুষের জ্ঞান এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত শব্দ এবং ধারণাগুলির প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম হবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

২| ৩০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

নাহল তরকারি বলেছেন: পরিস্থিত তো ভয়াবহ। সহজ সরল পবিত্র নারীদের ভোগ করে, অপবিত্র করে ছেড়ে দিচ্ছে। পরে এই কুকর্মের ফলে জন্মানো বাচ্চা পরে পিতার পরিচয় পায় না। সমাজে নানান স্থানে সেই সন্তান কে খোটা শুনতে হবে। অবৈধ ভাবে যৌন মিলন করা যে পাপ, এটা সেক্স করার সময় হিন্দু মুসলিম কারোই মনে থাকে না। আরামের ঠেলায় সব ভুলে যায়।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:১০

মি. বিকেল বলেছেন: নাহল তরকারি, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয় তুলে ধরেছেন। এখানে কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন:

১. অবৈধ সম্পর্ক ও পাপ: আপনি ঠিকই বলেছেন যে অবৈধ যৌন সম্পর্ক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পাপ হিসেবে বিবেচিত হয়। ইসলামে এবং হিন্দু ধর্মেও বিবাহের বাইরে শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং এর ফলে অনেক সামাজিক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

২. সন্তানের পরিচয় ও সামাজিক সমস্যা: আপনি উল্লেখ করেছেন যে অবৈধ সম্পর্কের ফলে জন্মানো সন্তানদের পিতার পরিচয় পেতে সমস্যা হয় এবং সমাজে তাদের খোটা শুনতে হয়। এটি একটি বাস্তব সমস্যা এবং এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

৩. ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ: ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। প্রেম এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান এবং সামাজিক নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিত।

৪. সমাধান ও সচেতনতা: এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে হলে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ধর্মীয় ও সামাজিক শিক্ষা এবং মূল্যবোধের প্রচার করতে হবে যাতে মানুষ সঠিক পথে চলতে পারে।

৩| ৩০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি কি এ,আই দিয়ে লেখা?

আপনি কি স্কারলেট লেটার বইটি পড়েছেন?

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:১১

মি. বিকেল বলেছেন: শ্রাবণধারা, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন:

১. লেখাটি এ.আই দিয়ে লেখা কিনা: এই লেখাটি আমি নিজে লিখেছি, এবং এটি এ.আই দ্বারা রচিত নয়। আমি বিভিন্ন তথ্যসূত্র এবং গবেষণার ভিত্তিতে এই লেখাটি প্রস্তুত করেছি।

২. স্কারলেট লেটার বইটি পড়া: হ্যাঁ, আমি নাথানিয়েল হথর্নের “দ্য স্কারলেট লেটার” বইটি পড়েছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম যা ধর্মীয় পার্থক্য, অপরাধবোধ, লজ্জা এবং সমাজের নিন্দার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে। এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং বিষয়বস্তু আমার লেখার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় আমি এটি উল্লেখ করেছি।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে আছে, একজন বিধর্মীকে ইসলামে আনতে পারলে তার চৌদ্দ পুরুষ বেহেস্তে যাবে।প্রমানীত সত্য কিনা জানি না। এই জন্য অনেকে চেষ্টা করতে পারে।প্রেম কে ছোট করার জন্য বলছি না।
হিন্দু নারীদের বিয়ে দেয়া একটা সমস্যা।অনেক দেয়া পাওনার বিষয় আছে।মুসলমান ছেলে বিয়ে করা এটাও একটা কারণ।সবাই সহনশীল হলে কে কাকে বিয়ে করলো এটা কোন সমস্যা না।অনেক প্রতিষ্ঠিত মুসলিম পরিবারের মেয়ে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করার ইতিহাস আমাদের সমাজে বর্তমান।
মোদি সরকার একটি সাপ্রদায়ীক সরকার।তারা হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণ চায়।দেশটি এখনো অসাম্প্রদায়ীক।

০৩ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:১৫

মি. বিকেল বলেছেন: কামাল১৮, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন যা আলোচনার দাবি রাখে।

১. বিধর্মীকে ইসলামে আনার পুরস্কার: আপনি উল্লেখ করেছেন যে একজন বিধর্মীকে ইসলামে আনতে পারলে তার চৌদ্দ পুরুষ বেহেস্তে যাবে। তবে, ইসলামে এমন কোনো নির্দিষ্ট বিধান নেই যা এই ধরনের পুরস্কারের কথা উল্লেখ করে। ইসলামে দাওয়াত বা ধর্ম প্রচারের গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং আন্তরিকতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।

২. হিন্দু নারীদের বিয়ে: আপনি ঠিকই বলেছেন যে হিন্দু নারীদের বিয়ে দেওয়া একটি জটিল বিষয়, বিশেষ করে সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণে। মুসলিম ছেলেদের সাথে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে, আন্তঃধর্মীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সহনশীলতা এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. সমাজে সহনশীলতা: আপনি উল্লেখ করেছেন যে সবাই সহনশীল হলে কে কাকে বিয়ে করলো তা কোনো সমস্যা নয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ। সমাজে সহনশীলতা এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখলে আন্তঃধর্মীয় বিয়ে এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

৪. রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: আপনি মোদি সরকারের সাম্প্রদায়িক নীতির কথা উল্লেখ করেছেন। এটি একটি বিতর্কিত বিষয় এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যেতে পারে। তবে, ভারতের সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষে এবং সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করে।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার মন্তব্যের যে উত্তর আপনি দিলেন সেটাও খুব সম্ভবত এ, আই দিয়েই লেখা। যে কেউ এই উত্তর গুলো দিত, হ্যা, না - এভাবে।

আপনি বলেছেন যে আপনি দি স্কারলেট লেটার, বইটি পড়েছেন। আপনার কথা কিন্তু আমি বিশ্বাস করলাম। তবে সেই বিশ্বাসের পিছনেও একটা কারণ আছে। আমার ধারণা, আপনি খুব সম্ভব ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র। এবং আমার মনে পড়লো যে খুব সম্ভব "দি স্কারলেট লেটার" বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অনার্স বা মাস্টার্স লেভেলে এখনও পড়ানো হয়।

ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র না হলে এই বই আপনার পড়ার কথা নয়।

আমি এই বইটি বহুকাল আগে একেবারেই ছোট বয়সে পড়েছিলাম। তখন এর একটি বাংলা অনুবাদ পাওয়া যেত। আমার ধারণা সেই অনুবাদটি এখন বাজারে পওয়া যায় না। সেই যে পাদ্রীর বুকে তার কৃত অপরাধের দাগ পড়ে গিয়েছিলো, সেই ঘটনাটি এখনও মনে আছে।

আর দয়া করে এআই দিয়ে মন্তব্যের উত্তর লিখবেন না। পোস্টও নয়। বিষয়টি বিরক্তিকর এবং নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

আরইউ বলেছেন:



@শ্রাবণধারা,
আমি অনেকদিন ধরেই মি. বিকেলের পোস্টগুলো দেখে আসছি। ওনার পোস্টের টপিক ইন্টারেস্টিং কিন্তু পড়ে হিউম্যান টাইপ মনে হয়না। আপনার মত আমিও ধারণা করেছি পোস্টগুলো এইআইকে প্রম্পট দিয়ে লেখা। এই সন্দেহ আরো জোরদার হয়েছে ওনার জবাব পড়ে। সবগুলো জবাবের একটা টেমপ্লেট আছে, একটা নির্দিষ্ট কাঠামো নির্ভর প্রাণহীন জবাব।

এই বিষয়টা নিয়ে আমি কখনো প্রশ্ন করিনি কারণ এইআই ব্যবহার করে লেখা নিয়ে কোন নীতিমালা নেই। লেখার শেষে এইআইকে একনলেজ না করলে বিষয়টা মোরালি কোস্চেনেবল বাট লিগালি আমরা একটা গ্রে এরিয়ায়! আর প্রমান না থাকলে লেখাক সবসময়ই বলতে পারেন, না আমি এভাবেই লিখি। তখন অন্যথায় প্রমান করা খুব একটা সহজ নয়।

আপনি প্রশ্ন তোলায় ভালো হলো। আশাকরি বিষয়টা নিয়ে ব্লগারদের মাঝে আরো আলোচনা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.