নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরীক্ষার ফাইনাল ফলাফলে ১ নম্বরের জন্য ভালো মানের CGPA/GPA মিস হয়ে গেলে কেমন লাগে? যার সাথে ঘটে তিনি কিন্তু এই অনুভূতি খুব ভালো করে বুঝতে পারবেন। কিন্তু সহপাঠী হিসেবে তার প্রতি আমাদের অনুভূতি কেমন হওয়া উচিত? হাসিঠাট্টা করা উচিত নাকি আফসোস করা উচিত? তার এই ১ নম্বর কম পাওয়া হতেও পারে খুবই যৌক্তিক। এমনকি পরীক্ষক বারবার খাতাটার এপাশ-ওপাশ বুলিয়েছেন শুধু ঐ ১ নম্বর দেবার জন্য কিন্তু কোনোভাবেই তিনি পারেন নাই।
রেলওয়ে স্টেশন/বাস স্ট্যান্ডে এমন কতজনের সাথে দেখা হয়ে যায়। মাত্র ৫ মিনিট পূর্বে উপস্থিত হলেই পেয়ে যেতে পারতেন টিকিট। মিস হয়ে গেল... চারপাশে তিনি ছোটাছুটি করছেন পরবর্তী ট্রেন/বাস কখন তার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। আমাদের পকেটে টিকিট সংরক্ষিত। ঐ ট্রেন/বাস ছেড়ে দেবে এখন। মানুষটার ছোটাছুটি আমাদের কাছে কেমন লাগা উচিত? তিনি যেহেতু দেরি করেছেন তাই ট্রেন/বাস মিস করাটাই স্বাভাবিক! এমন চিন্তা? নাকি আফসোস হওয়া?
একজন সাধারণ ছেলে। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। গত পাঁচটি বিসিএসের মধ্যে একটিতে ভাইভা পর্যন্ত গেছিলেন কিন্তু ক্যাডার পেলেন না। এমনকি নন-ক্যাডার পদেও নিয়োগ পেলেন না। এই বিসিএস ছিলো তার বয়সসীমার শেষ বিসিএস। সুতরাং নতুন করে আরো একবার এই পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারবেন না। এই যে তার পাঁচ বছরের শ্রম, কষ্ট, ধৈর্য্য, অপেক্ষা ও অধ্যবসায় কোন মানেই পেল না। একটি পুরো পরিবার তার এই ভাইভার জন্য অপেক্ষা করছিলো। তার এই খালি হাতে বাড়িতে ফিরে আসা দেখে পাড়া প্রতিবেশি হিসেবে আমাদের কি করা উচিত? যেহেতু তার যোগ্যতা তূলনামূলক সামান্য কম ছিলো তাই তাকে নিয়ে প্রচুর হাসিঠাট্টা করা উচিত? নাকি আফসোস করা উচিত?
মায়ের ক্যান্সার (ব্লাড ক্যান্সার)। আপনি আপনার মা কে ভালো মানের হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। রোজ রোজ খরচের খাতা বাড়ছে। ধরে নিচ্ছি, এই ক্যান্সার থেকে মুক্তিতে নূন্যতম ৩০ লাখ টাকার দরকার। আমাদের যেহেতু আজও একটি তথাকথিত সমাজ আছে; যদিও যথেষ্ট ভালো নয়। তবুও ধরা যাক, সমাজ আপনাকে সর্বোচ্চ কত টাকা দেবে? ৫ লাখ? ১০ লাখ? কিন্তু বাকি ২০ লাখ টাকা কোত্থেকে আসবে? বন্ধুরা মিলে আরো ৫ লাখ। জমিজমা বিক্রি করে আরো কয়েক লাখ। কিন্তু আরো ১ লাখ ঘাটতিতে চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হলো না। আমাদের এই মূহুর্তে কি করা উচিত? আফসোসের মধ্যেই আবদ্ধ থাকা উচিত? যা আমরা বরাবর করে থাকি। নাকি একটি সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত?
একজন শিক্ষক আমাদের সমাজে খুবই সম্মানিত ব্যক্তি। কিছু ব্যক্তির ভুলভাল কর্মকাণ্ড যদি বাদ দেওয়া যায় তাহলে শিক্ষকতা কিন্তু আজও মহান পেশা। কিন্তু এই বেতন স্কেলে আপনার প্রিয় শিক্ষক/শিক্ষিকা সংসার চালাতেই পারছেন না। তারপরেও শেষ জীবনে এসে একটি ঠিকঠাক বাড়ি করতে চাইলেন, একটি সেকেন্ড হ্যান্ড কার ক্রয় করতে চাইলেন। সেভিংস থেকে সবটাকা বের করতেই দেখলেন নিজের ছেলে/মেয়ে দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। অনেক ব্যয়। এই যে একজীবনে তাদের একটি নিজস্ব বাড়ি হলো না, নিজস্ব গাড়ি হলো না, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করেন আজও। এরমধ্যেই হঠাৎ শুনলেন রিটায়ার্ড হয়ে গেছেন। কিন্তু পেনশনের টাকাও সরকার কবে দেবে নিশ্চিত নন। সব জেনে আমাদের মধ্যে কি একধরনের ঈর্ষা হওয়া উচিত যে, বাড়ি বা গাড়ি হয় নাই তো কি হয়েছে! সন্তান তো দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে। নাকি আফসোস হওয়া উচিত? তাঁর পেনশনের টাকাটা সময়মত পাইয়ে দেবার জন্য নূন্যতম চেষ্টা করা উচিত?
একজন ব্যাংকার মানেই হোম লোন তার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে বিষয়টি তো এমন নয়। ক্রেডিট স্কোর, ডাউন পেমেন্টে কিছু গড়বড় ঘটে গেছে। অন্তত আগামী পাঁচ বছরে হোম লোন পাওয়া আর সম্ভব নয়। এই বিষয়টি কি বেকার সমাজের জন্য উৎসাহের বস্তু হওয়া উচিত? নাকি মনের মধ্যে কোথাও না কোথাও খারাপ লাগা উচিত? হোম লোন যদি না-ই পান, আমরা কি তাকে আমাদের পকেট থেকে একই পরিমান সুদে সমান পরিমাণ লোন কাউকে দিতে পেরেছি? বা অন্তত এই চেষ্টাটুকু করেছি?
একদিন রাজশাহী শহরে এক রিক্সাওয়ালা কে মিথ্যা বলেছিলাম, “মামা, আমার কাছে টাকা নাই, ওয়ালেট নিয়ে আসতে ভুলে গেছি। আমি মেসে ফিরতে পারছি না... আমাকে একটু পৌঁছে দেবেন?” রিক্সাওয়ালা মামা বললেন, “সমস্যা তো হয় মামা, তাই বলে নিয়ে যাবো না! আপনাকে ভাড়া দিতে হবে না।” হ্যাঁ, প্রত্যেক শহর-ই কমবেশি খারাপ। কিন্তু এই ভালো মানুষগুলো? ওদের কি দোষ? ভাড়া নিয়ে জেরা করুন কিন্তু এই মারমুখী আচরণ আমরা কাদের থেকে শিখলাম? আজকাল প্রায় দেখি আমাদের রিক্সাওয়ালাদের সাথে ঝগড়া হতে। বাজে ভাষায় ঝগড়া করা অবজ্ঞার করার চেয়ে খারাপ জিনিস হতে বাধ্য। হয়তো একটি পুরো পরিবার তার উপর নির্ভরশীল। আমরা কি এসবও ভেবে দেখি? নাকি আমাদের কিছুতেই কিছু আসে বা যায় না?
পাশের ফ্লাটে, বাড়িয়ে ভীষণ ঝগড়া। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ডিভোর্স হতে চলেছে। আমাদের কি করা উচিত? দরজা-জানালা বন্ধ করা উচিত যাতে আওয়াজ না আসে? নাকি একদিন সত্যিই সত্যিই বের হয়ে প্রয়োজনে আরো দুজন সাথে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা উচিত?
প্রত্যেকদিন যে চায়ের দোকানদান হাসিমুখে চা দিয়ে যাচ্ছে তার খাতায় হাজার থেকে লাখ টাকা বাকির রেকর্ড আছে এই দেশে। আমাদের কি এমন করা উচিত? নাকি ঋণগুলোর অল্প করে হলেও পরিশোধ করা উচিত? কিছুকিছু এমন টুকিটাকি দোকান বাকির ভার সহ্য করতে না পেরে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা এমন মানুষের খোঁজ কি রাখি? রাখা কি উচিত? যদি উচিত হয় তাহলে তাদের মধ্যে ক’জনকে আমরা পুনর্বাসন করতে পেরেছি?
কৃষক যখন শস্যের মৌসুমে শস্য বিক্রি করতে যান তখন উক্ত শস্যের নূন্যতম দাম পাচ্ছেন। আর বাজার সিন্ডিকেট আপনার থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। কৃষকদের প্রতি কি এতে করে ন্যায় হচ্ছে? যদি ন্যায় না হয়, তাহলে এ বিষয়ে আফসোস ছাড়া আমরা অদৌ কি আজ পর্যন্ত এই দেশে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি? বিশেষ করে যারা এত কষ্ট করে আমাদের পাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন নূন্যতম পারিশ্রমিকে।
আমাদের জেলে সমাজ কি ইলিশ খুব উচ্চ দামে বিক্রি করে থাকে নাকি ‘মহাজন’! আমার কাছে ইলিশ বর্তমানে খুব গুরুত্বপূর্ণ মাছ। যাকগে, এই মহাজনেরা কারা? আর যাইহোক আমাদের ভাষায় মূর্খ জেলে সমাজ তো নয়! এই দামে ইলিশ বেচলে ওদের ইটের বিল্ডিং থাকতো বলে আমার ধারণা। কিন্তু এই মহাজনদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান কি আজ পর্যন্ত স্পষ্ট করেছি? বা এই বিষয়ে অদৌ আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত কি? যদি উচিত হয় তাহলে এ পর্যন্ত কি কি ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি?
“শোনো মহাজন, আমি নয়তো একজন
শোনো মহাজন, আমরা অনেকজন!”
এই গানটি শুধু শোনা পর্যন্তই থেকে গেল। এসবের অর্থ এতকিছু তা বুঝিনা বাপু। নতুন করে আবার ‘Lack of Empathy (সহানুভূতির অভাব)’ শব্দ মাথায় ঢুকবে না।
ছবি: vidIQ
Also Read It On: সহানুভূতির অভাব: আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৩
মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি, আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি প্রতিটি পয়েন্টে খুবই সুন্দরভাবে সহানুভূতি এবং মানবিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। আমি আপনার সাথে একমত।
১। উৎসাহ দেয়া উচিত: সত্যিই, হাসি ঠাট্টা নয়, বরং তাকে উৎসাহ দেয়া উচিত যাতে সে মন খারাপ না করে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার চেষ্টা করে।
২। সহানুভূতি দেখানো উচিত: টিকেট না পাওয়ার বিষয়টি হয়তো তার মঙ্গলের জন্যই হয়েছে। তাকে এইভাবে বোঝানো উচিত যাতে সে মনোবল হারিয়ে না ফেলে।
৩। আল্লাহর উপর ভরসা: আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তাকে বোঝানো উচিত যে তার রিযিক অন্য কোথাও রয়েছে এবং আল্লাহ নিশ্চয়ই তার জন্য ভালো কিছু রেখেছেন।
৪। সমাধানের পথ খোঁজা: প্রতিটি সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজা উচিত এবং শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা উচিত।
৫। সীমার মধ্যে থাকা: নিজের জন্য কিছু রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। সন্তানদের স্বার্থপরতা এবং বিদেশে থাকার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। পেনশনের টাকা সময়মত পাওয়ার জন্য সাহায্য করা উচিত।
৬। ধৈর্য ধরতে হবে: ব্যাংকারদের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে এবং বেতনের টাকায় জীবন চালাতে হবে। অন্যায় করলে শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
৭। রিক্সাওয়ালাদের প্রতি সহানুভূতি: রিক্সাওয়ালাদের মধ্যে ভালো এবং খারাপ উভয়ই আছে। ভালোদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো উচিত এবং তাদের পরিবারের কথা ভাবা উচিত।
৮। প্রতিবেশীর সমস্যা মীমাংসা: প্রতিবেশীর সমস্যায় সাহায্য করা উচিত এবং তাদের নিয়ে বসে মীমাংসা করা উচিত।
৯। বাকির টাকা পরিশোধ: বাকির টাকা পরিশোধ করা উচিত যাতে ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
১০। সরকারের ভূমিকা: সরকারের উচিত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া এবং কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা।
১১। প্রতিবাদ করা: অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত এবং একসাথে হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত।
আপনার মন্তব্যগুলো খুবই মূল্যবান এবং সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে। ধন্যবাদ আপনার সময় নিয়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
নতুন বলেছেন: সমাজে যখন অভাব থাকে তখন সহানুভুতির অভাবও দেখা যায়।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৪
মি. বিকেল বলেছেন: আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। সত্যিই, সমাজে যখন অভাব থাকে, তখন সহানুভূতির অভাবও দেখা দেয়।
অভাবের কারণে মানুষ অনেক সময় নিজের প্রয়োজন মেটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং অন্যের কষ্ট বা সমস্যার প্রতি সহানুভূতি দেখানোর সুযোগ কমে যায়। তবে, আমাদের উচিত এই চক্র থেকে বেরিয়ে এসে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ১। হাসি ঠাট্টা নয়, তাকে উৎসাহ দেয়া উচিত। মন যাতে খারাপ না করে ভালো করার চেষ্টা করা উচিত
২। সহানুভূতি দেখানো উচিত। বলা উচিত, টিকেট পাননি তা হয়তো আপনার মঙ্গলের জন্য।
৩। হাসি ঠাট্টা বা আফসোস নয়। তাকে বুঝানো উচিত আল্লাহ তোমার রিযিক অন্য কোথাও রেখেছেন। তাই এ নিয়ে মন খারাপের কিছু নেই। ইংশাআল্লাহ্ আল্লাহ একটা ব্যবস্থা করে রেখেছেন নিশ্চয়ই।
৪। সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা উচিত
৫। যারা এমন কাজ করে তাদের জন্য আফসোসও ঠিক না। কারণ নিজের জন্য এই দুনিয়ায় কিছু রাখা লাগে। এখনকার সন্তানরা বড্ড স্বার্থপর। বাংলাদেশ ব্যাংকেই অনেক দেখেছি। মা বাবা একা থাকেন। আর সন্তানরা সবাই বিদেশ। লাভ কী হলো? এমন জীবন আমি অন্তত চাই না। সীমার মাঝে সব কিছু করা উচিত। তার পরবর্তী জীবনের জন্য তাকে পেনশনের টাকা পাইয়ে দেয়ার জন্য সাহায্য করা উচিত।
৬। পকেট থেকে কী কেউ আর দেবে? নির্দিষ্ট সময়ে একজন ব্যাংকার হোম লোন পান। তিনি যদি কোন অন্যায় করে শাস্তি পেয়ে থাকেন তাহলে তাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং বেতনের টাকায় জীবন চালাতে হবে।
৭। ভাইরে ভাই রিক্সাওয়ালা যে খারাপ। মাঝে মাঝে আমারই মেজাজ খারাপ হয়। এমন ঘাড়ত্যাড়া বাপরে। তবে অনেক রিক্সাওয়ালা অনেক ভালো। তাদেরকে বেশী দিতে কার্পণ্য করি না কখনো। এদের পরিবারের জন্য খারাপই লাগে কিন্তু এদের মেজাজ দেখলে মেজাজ খারাপ হয়।
৮। প্রতিবেশী হিসেবে বিষয়টি মীমাংসা করা উচিত। তাদের নিয়ে বসা উচিত। কিন্তু এখনকার প্রতিবেশী কেউ কারো বিপদে আপদে সুখে দুঃখে পা মাড়ায় না সে দিকে। বদলে গেছে জামানা।
৯।আমরা মানুষ বড় স্বার্থপর। দুই চার টাকাও বাকী রেখে দেই অথচ এই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে। আসলেই কত ব্যবসা এই বাকির জন্য বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের উচিত বাকি নিলেও পরিশোধ করে দেয়া।
১০। এই বিষয়টা সরকারেরও দেখা উচিত। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া উচিত। ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তরাও জ্বালায় আছি। কৃষকরা তো আরো বেশী জ্বালায়। তাদের শ্রমের দামই উঠে না।
১১। প্রতিবাদী মানুষ খুব কম। জুলাইর আন্দোলনের মত যদি প্রতিটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হতো । মহাজন টহাজন সবাই ভয় পেত অন্যায় করতে। আমরা অনেকেই ধরি মাছ না ছুঁই পানি এমন চরিত্রের। বলতে পারি প্রতিবাদ করতে জানি না। এক হই না সবাই।
আজ পড়লাম সবগুলো। এত বড় পোস্ট পড়া ধৈর্যের ব্যাপার আর সময়ের ব্যাপার।
সুন্দর লিখেছেন।