![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টাফ রিপোর্টার :ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছু হটেছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়। ইংরেজি বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের ছাত্রী হাফসা ইসলামের আইডি কার্ড সক্রিয় করে দেওয়াসহ বেশিকিছু বিষয়ে নিয়ম শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাফসার পরিবার বলেছে যে ড্রেসকোড নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেটাই পরিবর্তন করতে হবে। হাফসাকে পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমরা চাই হাফসা ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুক। তার বিষয়ে নিয়ম-কানুন শিথিল করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি চিঠি রোববার হাফসা ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাফসার বড় ভাই আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, আমরা এ ধরনের কোন চিঠি পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মৌখিক প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানান তিনি। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, কর্তৃপক্ষ বলছে হিজাব বা নিকাবের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ঠিকই তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে শুধু হাফসার হিজাব পরার বিষয়টি যদি শিথিল করা হয় তাহলে সে সিদ্ধান্ত মানা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেস কোড পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, হাফসাকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেখানে বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। আমাদের কথা হচ্ছে ওই ড্রেস কোডই পরিবর্তন করতে হবে। আর যেহেতু লিখিতভাবে হাফসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাই লিখিতভাবেই তা প্রত্যাহার করতে হবে। আর সেটা বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতে হবে। এ বিষয়ে ছাত্রী হাফসা ইসলাম বলেন, বোরকার সঙ্গে নেকাব পরায় গত দুই সেমিস্টার ধরে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে বোরকা ও নেকাব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। জানুয়ারিতে নোটিশ জারির পরই এ ধরনের কড়াকড়ি শুরু হয় বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোডের দোহাই দিলেও গত ২২ শে জানুয়ারি একটি নোটিশ জারি করে। এতে ড্রেস কোড ও নিরাপত্তার অজুহাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা, নেকাব ও হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়। এ নোটিশের পর যেসব ছাত্রী বোরকা, হিজাব কিংবা নেকাব পরতেন তাদের ২৮ শে মে শো’কজ করা হয়। হাফসাকেও একই দিনে শো’কজ করা হয়েছিল। ৩রা জুনের মধ্যে তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়। হাফসা জবাব দিলেও তা কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উটকো ঝামেলা মনে করে ব্র্যাক পিছু হটলো। ফ্যাসিস্ট মৌলবাদী গোষ্ঠীদের প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হল না।
বোর্খা-নেকাব না পরেও সালিন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরে ধর্ম করা যায়।
বোর্খা-নেকাব ইসলামি ড্রেস না, আরবের প্রচলিত ড্রেস।
কোরানের আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে সূরা আহযাবে।
ইসলামের আগমনের অনেক পুর্ব থেকেই আরব মহিলাদের মরুভুমিতে চলার সময় মুখঢাকার প্রচলন ছিল, তবে সেটা ধর্মিয় বিধানের অংশ হিসেবে ছিল না, ছিল বালুঝড়, লু হাওয়া বা তীব্র রোদ থেকে বাচার জন্যই।
আরবের তীব্র রোদ থেকে বাচতে সুধু মেয়েরা না, ছেলেরাও মাথার তালু আপাদমস্তক কাপড় দিয়ে ঢাকতো। এধরনের পুরুষদের পোষাক এখনো আরবে প্রচলিত।
ভন্ড মৌলবাদি গোষ্টি বোর্খা-নেকাব কে ইসলামি লেবাস বানিয়ে ফেলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। এখন পান থেকে চুন খসলেই ইসলাম গেল গেল বলে চিৎকার ......!
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
সহজাত বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখি, না জেনে ইসলাম সম্পকে মন্তব্য করা ঠিক নয়।
"বোর্খা-নেকাব না পরেও সালিন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরে ধর্ম করা যায়।" - আপনার কাছে শালিনতার সংগ্গ া আর আমার কাছে তা ভিন্ন হতে পারে। নিকাব একটি ধর্মইয় বিধান ।
সুরা আহযাব এর ব্যাখায় ইবনে আব্বাস(রা বলেন মুখ ঢাকা উত্তম ( দেখুন )
When Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him) was asked about the aayah (interpretation of the meaning): “O Prophet! Tell your wives and your daughters and the women of the believers to draw their cloaks (veils) all over their bodies”[al-Ahzaab 33:59] – he covered his face, leaving only one eye showing. This indicates that what was meant by the aayah was covering the face।
এ বিষয়ে বিস্তারিত পাবেন এইখানে ।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
নিজাম বলেছেন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এদেশের নব্বইভাগ মানুষ মুসলমান। তাদের পোষাককে অবমাননা করা চরম ধৃষ্টতা। তাছাড়া, পশ্চিমা নন-মুসলিম গোষ্ঠী তো প্রায়ই বলে নারী স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের কথা। তাহলে একজন নারী যদি হাফ প্যান্ট পারার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে, তাহলে কেন অন্য একজন নারী হিজাব, নেকাব, বোরখা ইত্যাদি পরার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবেন না। এ কোন ধরণের স্বাবিরোধিতা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
মুঘল সম্রাট বলেছেন: এটাকে পিছু হটা বলে না। পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। মোহাম্মদ (সা: ) আল্লাহর রাসুল।