নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব জীবন

আমার জীবনটা একদম ভাঙাচুড়া, এ বন থেকে আমার তেম কোন চাওয়া পাওয়া নেই, নিজের চিন্তা করলে আমি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হই তাই আমি নিজেকে টিকিয়ে রাখি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা-ভাবনা করে, এবং অসয়মানুষের জন্য কিছু একটা করতে আমার মন সম সময় ব্যকুলতায় থাকে, শুধু পারিনা নি

এম এস ডি সাগর

আমি কাল্পনিকতা পছন্দ করিনা, আমি বাস্তবতাকে খুব বেশি পছন্দ করি

এম এস ডি সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের অধ্যায়ন

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

পৃথিবীতে অধিকাংশ বেশির ভাগই মানুষই খুব অসহায় জীবন-যাপন করছে। কারো জীবন কৌতুহলী, ইতিহাসের মতো হয়ে থাকে আবার কেউ বুকে চাপা রেখে কষ্টে-দুঃখে জীবন কাটায়, কেউ নানান রকম সমস্যায় ভুক্তিভূগী হয়ে থাকে। তাদের সামনে শুধুই অন্ধকার ছাড়া আর কিছু থাকে না। তাদের এই করুনাময় অসহায় জীবনের কাহীনি কেউ বুঝার মতো কেউ নেই, শুনার মতো কেউ নেই ও কিছু করণীয় করার মতো কেউ থাকে না। তাই তারা তাদের মুখটিকে সামাল দিয়ে ভিতরের মানুষটাকে ঘুম পাড়িয়ে বা জোর জবরবস্তি করে সেই ভিতরের জিনিসটাকে ধমিয়ে রাখে। এই রকম মানুষ গুলো নিজেকে টিকিয়ে রাখতে অনেক ভাবে, নানা রকম ভাবে সামাল দেয়া লাগে। অনেকেই নিজেকে সামাল দিতে না পেরে পৃথিবীতে থেকে চলে যেতে চায়। আসলে আমি যখন এসব নিয়ে ভাবি তখন অনেক কিছু আমার কাছে বেড় হয়ে আসে ও প্রকাশ পায়। সেটা হয়তো অনেকেই ভালো ভাবে চিন্তা করলে বুজতে পারবেন। সৃষ্টিকর্তার আমাদের জীবনকে নানান ভাবে তৈরী একটি চক্ররের মতো করে দিয়েছেন। তাই বলে এই নয় যে যাদের জীবন কষ্টে-দুঃখে যাচ্ছে বলে তার জীবনটা এভাবেই গড়া, আসলে তা না----- একটু ভালো করে বুঝার জন্যে ছোট করে একটা গল্প বলছি- ( একটি গ্রামের বন্যার সময়, গ্রামের সবাই সব কিছু নিয়ে অন্যত্রে চলে যায় সেখানে শুধু থেকে এক বৃদ্ধ মহিলা, তাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে আপনি এখনো আছে, কয়েদিনের মধ্যে তো বন্যা হলে আপনি ডুবে মারা যাবেন। তখন ওই মহিলাটি বলে উঠলো যে, যা হবার হবে আমার উপরে আল্লাহ সহায় আছেন। ২/১দিন পর ঝড়ো বৃষ্টিতে বন্যার পানি উঠানে উঠে গেলো, বুড়ো মহিলাটি তখন খাটে বসে রইল, আর আল্লাহকে ডাকছে তাকে উদ্ধার করার জন্য। তারপর নৌকা দিয়ে আরো কিছু মানুষ গ্রাম থেকে সড়ে যাবার সময় তাকে বলেছিলো তাদের সাথে যাওয়ার জন্য। মহিলাটি না বলে সেই আগের মতই উত্তর দিলো। এরপর আরো কয়েকদিন যাবার পর ঘরের অর্ধেক পানিতে ডুবে গেলো তখন বুড়োটি ঘরের টিনের চালের উপরে উঠে বসলো আর আল্লাহকে মনে মনে ডাকতে লাগলো। তখন একটি লঞ্চ এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলল সেই বুড়ো মহিলাটি বরাবরই আগের মতই উত্তর দিলো আর এর প্রতিফলে পরের দিন মহিলাটি পানিতে ডুবে মারা যায়। তখন তার আত্মা আল্লাহকে প্রশ্ন করে এ আল্লাহ আমি তোমাকে এতো মন দিয়ে ডেকেছি তুমি শুনতে পারোনি, আর শুনতে পারলে আমাকে উদ্ধার করোনি কেন ? কেন আমাকে মৃত্যু বরণ করতে হলো। আল্লাহ বলে উঠলেন আমি তোমার ডাক বরাবরই শুনেছি আর তাই তোমাকে আমি উদ্ধার করে বাচাঁনোর জন্য প্রথমে নৌকা পাঠিয়ে ছিলাম তারপর লঞ্চ পাঠিয়েছিলাম তুমি তাতে যাওনি, এটা তোমারি বেখেয়ালী দোষ ছিলো) । ঠিক এভাবে এইরকম অসহায় মানুষগুলো কষ্টে-দুঃখে, যাতনা, যন্ত্রনায় থাকে তখন যদি সে শুধু আল্লাহকে ডাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। এবং এটা প্রমাণিত হয়তো তিনি এমন কিছু দিবেন বা কিছু একটা করবেন যার জন্য সাড়া জীবনের কষ্ট-দুঃখ নিমিষেই ভুলিয়ে যাবে। জীবন যতই কষ্ট-দুঃখ থাকনা কেন মৃত্যুর পথে আল্লাহতালা কোন সময় নিয়ে যায় না। মৃত্যু জিনিসটা হলো আল্লাহতালার সময় অনুসারিত। আপনি যতই কষ্টে থাক না কেন আল্লাহ আপনাকে শান্তি দেওয়া জন্য কিছু কিছু দিয়েছেন বা তাকে মন থেকে অনুসরন করেন তিনি অবশ্যই কিছু একটা পথ দেখাবেন শুধুমাত্র আমরা ঠিকমতো, ভালো করে দেখা, পথ চিনা ও অনুসরণ করা। তাহলে যত কষ্টই হক না কেন কষ্টে মাঝে অনেক শান্তিতে থাকা যায়, খুজে পাওয়া জীবনে বেচেঁ থাকার নতুন অধ্যায়ন। এক কথায় (রাহমানীর রাহিম) ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.