![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্পকার, ঔপন্যাসিক, স্ক্রিপ্ট রাইটার। শিক্ষানবিশ গবেষক ও চলচ্চিত্রকার।
[ হিমু পরিবারের কাঠগড়ায়....লেখক #মুহম্মদ_নিজাম:
গল্পকার, ঔপন্যাসিক, স্ক্রিপ্ট-রাইটার, শিক্ষানবিশ গবেষক ও চলচ্চিত্রকার...]
গতকাল হিমু পরিবারের অভিভাবকদের মাঝে উনি অতিথি হয়ে কাটিয়েছেন উনার মূল্যবান এক ঘন্টা সময়।
আমরা উনার সাথে গল্প ও আড্ডায় কাটিয়েছি এক ঘন্টা সময়। উনার কাছ হতে যা শিক্ষণীয় বলে আমরা গ্রহণ করেছি তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার বিস্তৃতিই আমাদের লক্ষ্য।
উনার বক্তব্যের মূল অংশ গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো নীচে, আশা করি সবাই উপকৃত হবেন।
*হিমু পরিবার: লিখালিখির বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের নিজস্ব অভিমত থাকে যার দ্বারা নিজেকে পরিচালিত করেন তারা। তেমনি কিছু সম্পর্কে আপনার থেকে অবগত হতে চাচ্ছি।
যা আমাদের উপকৃত করবে।
লেখকঃ
আমি তো কান্না, ক্ষত ও কষ্টের গল্প বেশি লেখি। নিজে আগে বাস্তবে কিংবা কল্পনায় এইগুলা যাপন করি। মানে খুব কাছ থেকে আগুনে পোড়া মানুষ না দেখা অবধি লেখি না।
শুধু দেখেই লিখে ফেলি না। মনে মনে অনেক সময় নিয়ে ভাবি। এই বিষয়ে কোথায় আর কি কি দেখেছি তাও ভাবি। কে কি লিখেছে পড়ি। এরপর নিজের লেখাটা লেখি। এভাবে গল্পে ডেপথ ও বৈচিত্র্য আসার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এইজন্যই আমি বলি, গল্প লেখার আগে গল্পটা যাপন করতে হয়।
*হিমু পরিবার: একটি স্বার্থক গল্প লিখতে হলে এর শুরু এবং শেষ কেমন হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
লেখক:
গল্পের শুরু নানা রকম হয়। আমি করি ঝটিকা আক্রমণ। হুট করে শুরু করে দেওয়া।
*হিমু পরিবার: আপনি কি তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পের সংজ্ঞাটা অনুসরণ করেন?
লেখক:
না। আমার গল্প শেষ হবার পরেও টেনে লম্বা করি। লেজুড়বৃত্তি রবী ঠাকুর করতেন না!
*হিমু পরিবার: তবে বেশির ভাগ গল্পের শেষটাই রবিঠাকুরের সংজ্ঞার সাথে মিলে যায় বলে ধারণা করছি।
লেখক:
মানিক, শরৎ, এডগার এলেন পো, কিংবা মার্ক টোয়েনের সাথে আরো বেশি মিলে যায়!
*হিমু পরিবার: তিনি তো বলেই দিয়েছেন, ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ কথা, নিতান্তই সহজ সরল। সহস্র বিস্তৃতি রাশি, প্রত্যহ যেতেছে ভাসি তারই দু চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা, ঘটনার ঘনঘটা। নাহি তত্ত্ব, নাহি উপদেশ। অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে, শেষ হয়েও হইল না শেষ। ....আপনি কি এটা মেনে চলেন?
লেখক:
নাহ। কারণ আমি ছোট প্রাণের বড় ব্যথার নিয়ে লেখি। ডিভাইন ল নিয়ে প্রশ্ন তুলি।
তাছাড়া আমার লেখায় অশ্রুজল তথা করুণ রসের চেয়ে প্রার্থনা এবং বীররস বেশি থাকে!
*হিমু পরিবার: আপনি কি কোন বিষয়ে লিখতে গেলে, যেমন, কোন সমাজ বা সমাজের কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে সেই সমাজ বা জনগোষ্ঠীর আগে সময় কাটান?
লেখক:
জ্বী, এইটা আমি করি। ফিজিক্যালি না পারলে বই পড়ে, প্রত্যক্ষ বয়ান শুনে অভিজ্ঞতা নেবার চেষ্টা করি
*হিমু পরিবার: আপনার এই কথাটা খুব ভাল লাগলো। কারণ আমারও মনে হয়, কোন জনগোষ্ঠী বা তাদের সম্পর্কে লিখতে গেলে অবশ্যই তাদের সম্পর্কে ভালভাবে জানা দরকার।
আমরা কোন গল্প লিখতে গেলে যদি শুরু বা মাঝপথে কোন সমস্যার কারণে, কোন তথ্য জানতে আপনার দ্বারস্থ হই, তবে আপনি কি আমাদের সহযোগীতা করবেন?
লেখক:
ইনবক্সে হলে বলব, নাহ! সাক্ষাতে হলে, ইয়েস! আমি মিরপুরের দিকে থাকি। শুধু লেখালেখি নিয়ে কথা বলতে এবং শুনতে প্রতি শনিবার ক্যাম্পাসে যাই।
হুট করে অন্যের গল্পে ঢুকে গেলে বা কথা বললে নিজের ভাবনার সুর কেটে যায়। তাই শনিবারে মৌলিক কিছু ভাবি নাহ..
ঐদিন ফোন দিলে, ফোনেও কথা বলা যাবে!
*হিমু পরিবার: আমি প্রবন্ধ গল্প আর উপন্যাসের পার্থক্য জানতে চাই।
লেখক:
প্রবন্ধ। যেকোন বিষয়ে কিছু প্রকৃষ্ট বচন বা বাণী দিলেই হয়।
গল্প ত গল্পই। গল্পকে কিছু কাঠামোর মধ্যে ফেলে চরিত্রগুলির উত্থান বিকাশ সমাপ্তি দেখাতে পারলেই উপন্যাস।
এই হল মোটা দাগে পার্থক্য!
*হিমু পরিবার: গল্প মানেই অন্যরকম কিছু লম্বা সময় খরচ করে কিছু আবিষ্কার করতে হয় একজন লেখককে।
কিন্তু গল্পেও কিছু কাঠামো থাকে যা দ্বারা গল্পের প্লট সাজালে পাঠকও মুগ্ধ হয় ।
এরকম কিছু নিয়ম বা কাঠামো যদি উল্লেখ করতেন খুশি হতাম।
লেখক:
গল্পে যেকোনো একটা চিন্তা, একটা মাত্র চরিত্রের কোন একটা দিক ফুটানোর প্রয়াস থাকে। এইজন্য অন্য চরিত্র আসলেও তাদের ডিটেইল তথ্য দিতে হয় না। প্রচুর স্কীপ করতে হয়।
#হিমু_পরিবার:
অসংখ্য ধন্যবাদ "মুহম্মদ নিজাম" আমাদের সবাই কে আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ।
ভাল থাকবেন । ভবিষ্যতে আবার আপনাকে আমাদের মাঝে আমরা চাইবো ।
সেই পর্যন্ত হিমু পরিবারের সঙ্গেই থাকবেন, এই কামনা। ...এই ছিলো শক্তিমান এই লেখকের সঙ্গে আমাদের একদিন।
#লেখক_পরিচিতি:
মুহম্মদ নিজাম
পিতা: মো. জিতু মিয়া
মাতা: হেনা বেগম
জন্ম:
১৫ই পৌষ মধ্যরাত্রি; পৃথিবীর যে কোন নামিদামী শহর হতে অন্তত কয়েকশ মাইল দূরে, অতলান্ত এক হাওর-জনপদের আদিম ও অকৃত্তিম কৃষক পরিবারে।
ঢাকায় আগমণ, ২০০৬ সালে। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে এখন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, স্ক্রীপ্ট-রাইটার, শিক্ষানবিশ গবেষক ও চলচ্চিত্রকার।
লেখালেখি:
প্রথম গল্প ছাপা হয় ২০১৩ সালে পাক্ষিক 'অন্যদিন' এবং 'সাপ্তাহিক কাগজ' সহ বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে।
প্রথম উপন্যাস "ঝড় ও জনৈক চিন্তাবিদ" প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালের একুশে গ্রন্থমেলায়।
দ্বিতীয় উপন্যাস "কবি ও কঙ্কাবতী" প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রিয়মুখ প্রকাশন থেকে।
চলচ্চিত্র যাত্রা:
গল্প লেখার পাশাপাশি শিক্ষানবিশ চলচ্চিত্রকার এবং স্ক্রিপ্ট-রাইটার হিসেবে একটি স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
বাংলা চলচ্চিত্র একদিন তুখোড় দাপটের সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে দ্যুতি ছড়াবে, এই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে তার প্রতিদিনের পথচলা।
শখ:
পুরনো এবং দুষ্প্রাপ বই, পুঁথি, গান, কেচ্ছা ও কিংবদন্তী সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন।
অবসরে ভালোবাসেন প্রিয়তম মানুষদের সঙ্গে আড্ডা, বই এবং বৃক্ষের সান্নিধ্য।
#সৌজন্যে: হিমু পরিবার।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:২৯
মুহম্মদ নিজাম বলেছেন: প্রথম মন্তব্য, প্রথম মুগ্ধতা! অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৮
আরোগ্য বলেছেন: শুভ ব্লগিং।