নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনো ছাত্র। শিখছি প্রতিদিন। লিখতে পছন্দ করি।
ধর্ম, ভাষা, জাতিগত ভিন্নতা, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জের ধরে একই দেশের বিভিন্ন গোষ্ঠী বা দলের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হলে তাকে গৃহযুদ্ধ বলা হয়। এই যুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রাণনাশ, সম্পত্তির ক্ষতিসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। গৃহযুদ্ধ দেশের আভ্যন্তরীণ হলেও শত্রুদেশ এর ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। এছাড়া জাতিগত মতভেদ বা ধর্মীয় মতভেদের কারণে গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হলে দেশের জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হয়ে যায়। যা যেকোনো সাধারণ ইস্যু নিয়ে দাঙ্গায় রূপ নেয়। একটি গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক, সংখ্যালঘু(ধর্ম, আদিবাসী, বর্ণবাদ ইত্যাদি) হিসেবে কোণঠাসা করলে বা রাষ্ট্রের নেতৃত্বস্থানীয় অধিকার হতে বঞ্চিত করলে এরকম গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। সংখ্যালঘু, আদিবাসী জনগণ, রাজনৈতিক দল বা বিপ্লবী গোষ্ঠীর মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের শুরু হয়। এর ফলস্বরূপ একটি দেশ ভেঙে নতুন কিছু দেশ সৃষ্টি হয়। যার কারণে এই গৃহযুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদও বলা যায়।গৃহযুদ্ধ বেশ দীর্ঘ সময় স্থায়ী থাকে। এর সমাধান হিসেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা বা অন্য কোনো প্রভাবশালী দেশের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দমিয়ে রাখা হয়। চুক্তিবদ্ধ হলেও এর ফল বেশিদিন থাকে না।
©somewhere in net ltd.