নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ভাব টুকু সহজে বুঝুক সকলে, এটাই চাই। প্রশংসা, সমালোচনা দুই বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফেসবুকে আমাকে পেতেঃ https://www.facebook.com/thinker.sifat

মুনাওয়ার সিফাত

এখনো ছাত্র। শিখছি প্রতিদিন। লিখতে পছন্দ করি।

মুনাওয়ার সিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা নাকি IELTS দিয়ে চলে যাবে

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:০৬


বর্তমানে দেশে এমন সব পরিস্থিতি যাচ্ছে যে কখন নিজে একটা ইস্যুর প্যাঁচে পড়ে টিস্যু হয়ে যাই তার ঠিক নেই৷ গুম, খুন, ধর্ষণ, দলাদলি, অনিয়ম, দুর্নীতি, সরকারি দফতরের অবহেলা, জায়গা দখল, ট্রাফিক জ্যাম, টিপ কান্ড, ছাত্র রাজনীতি, দ্রব্যমূল্য, লোডশেডিং ইত্যাদি। এসব সিরিয়াস মোমেন্টে কয়েকটা দল দেখা যায় ১.প্রতিবাদী ২.তেল মর্দনকারী এবং আরেকটা বিশেষ দল ছাত্রদের মধ্যে ৩. যারা প্রতি ইস্যুতে বলবে IELTS দিয়ে বিদেশ চলে যাব, দেশে থাকবো না হ্যানত্যান বলে বাণী কপচায়।

ভালো কথা তারা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে চলে যাবে। আমি এর বিরোধিতা করছি না। বিরোধিতা করলে আমার বরং অপরাধ হবে। তাদের জীবন কোথায় কাটাবে সেটা তাদের বিষয়। তবে কিছু প্রসঙ্গে কথা না বললেই নয়। তারা প্রধানত দেশকে একেবারে ছোট চোখে দেখছে৷ আমি এমন কিছু বন্ধুর সাথে কথা বলে দেখেছি যারা মূলত জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে ভয় পায় বিধায় চলে যেতে চায়। তাদের ধারণা দেশে এমন কোনো ঝামেলায় আটকে গেলে কখনো উত্তরণ করে এগিয়ে যেতে পারবে না। অনিয়ম দেখতে পেলে এর বিরুদ্ধে কথা না বলে বা সমস্যা সমাধানের আলোচনায় অংশ না নিয়ে শুধু একই কথাটা বারবার বলে এড়িয়ে যায়। বিদেশ পাড়ি জমানোটা সবার জন্য এত সহজ নয়।

যেভাবে বলছে IELTS দিয়েই চলে যাবে কিন্তু এটা দীর্ঘ একটা প্রক্রিয়া। পাসপোর্ট, ভিসা,আবেদন, ভাইভা, লিখিত, ইউনিভার্সিটি সিলেকশন, ফান্ডিং, লিভিং প্লেস ঠিক করা, পার্ট টাইম জবসহ হাবিজাবি অনেককিছু আছে। আমি কাউকে ডিমোটিভেট করছি না৷ কেউ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে বা চাকরি করে সেটেল হওয়ার লক্ষ্যে সুযোগ পেলে অবশ্যই যেতে পারে এবং যাওয়া উচিত। দেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে। তবে তারা অন্য ভাবনা মাথায় নিয়ে পাড়ি দিতে চায়৷ তারা ভাবে চলে গেলেই বেঁচে গেলাম, জীবন সুন্দরভাবে কাটবে, যে দেশে যাবে সেখানে ঝামেলা থাকবে না এমন ভুল ধারণা লালন করে থাকে। ঐ দেশে যে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে না এর নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা। পশ্চিমা আধুনিক দেশগুলোর ইস্যু কতটা মেজর ইস্যুতে পরিণত হয় তা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যায়। এসব প্যাঁচে আটকে গেলে তারা কিভাবে সার্ভাইব করবে? তখন কি অন্য দেশে পালাবে তারা?

আমি মূলত বলতে চাচ্ছি তারা দেশের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনায় আসুক। দেশ নিয়ে ভেবে এগিয়ে যাক অন্তত। এভাবে পালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকলে দেশকে ফ্যাসিবাদের করালগ্রাস থেকে কখনো মুক্ত করা যাবেনা। ধরুন এই 'IELTS দিয়ে চলে যাব' পার্টির একটা বিরাট অংশ বিদেশ পাড়ি জমাতে পারলো না। তাহলে কি তারা দেশের ভিতর কাপুরুষের মত চলবে না? নাকি পিঠ ঠেকে গেলে ঘুরে দাঁড়াবে তা সময় বলে দিবে! আমি আপাতত তাদের দেশের প্রতি ঘৃণা পোষণ না করে সমস্যার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসুক বা বন্ধুদের সাথে কথা বলুক, সমালোচনা করুক বা লেখালেখি করুক বা আন্দোলনে যাক তবে কেউ যাতে প্রসঙ্গ উঠলেই এড়িয়ে না যায়৷ ছাত্রদের একটা বড় অংশ এভাবে এড়িয়ে যেতে চাইলে ফ্যাসিস্টরা দুর্বলতার সুযোগ নিবে। তাদের ফ্যাসিবাদ দিন দিন আরও বেড়ে যাবে।

(মন্তব্য জানাতে কার্পণ্য করবেন না)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:০৫

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভাই,
আপনার লিখা টা খুব ই প্রাসংগিক। কিন্তু আমাদের আজম খান এই ব্যপারটা অনেক আগে ই অনুধাবন করেছিলেন।
তাই তো তিনি বলেছিলেন-

"যে চলে যায়,
সে কি ফিরে আসে?
আরে হায় বাংলাদেশ..."

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:১৬

মুনাওয়ার সিফাত বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.