![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদিও আমি কখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর ছিলামনা এবং আজও না ।তবে একটা জাগ্রত স্বপ্ন দেখতাম ; একদিন ভালোবাসব ,ঐ আকাশের বিশালতার মতো নয় কেবল আমার মনের গভীরতা থেকে ।
"রোগীরা তো রোগী নয় খদ্দের এখন
খদ্দের পাঠালেই কমিশান
ক্লিনিক আর ডাক্তার কী টুপি পড়াচ্ছে
বুঝছেনা গর্দভ জনগন
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে
ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার
ও ডাক্তার, ও ডাক্তার।।"
প্রসঙ্গ এটা না ; প্রসঙ্গ হলো আমরা সাধারণ জনগণ চেষ্টা করি একটু ডিগ্রীধারী ডাক্তারের কাছে যেতে। আমরা এটাই মনে করি যে একজন ডাক্তারের ডিগ্রি যত বেশি ডাক্তার ততোই ভালো। আসলে কি তাই??
আমি মাসে অন্তত দু'তিনবার ডাক্তার খানায় যাই।নিজের ফ্যামিলির মানুষ ছাড়াও নানাবাড়ির বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন অনেকটা আমার উপর ডিপেন্ড করেই শহরে আসেন ডাক্তার দেখাতে।এরকম মাসে প্রায় ১/২ জন থাকেই।
তো মাসখানেক আগে এরকমই একজন রোগী আসলেন। টিকেট কাটলাম একজন Obs & Gynae Specalist ডাক্তারের যিনি MBBS,BCS (Health),MCPS,DGO (BSMMU) FCPS (Gynae),Associate Professor SOMC.
আমাদের সবার চোখে উনি অনেক বড় ডাক্তার। এবং উনার চেম্বারে এতো ভীড় যে মহিলার চে' পুরুষেরাই চেম্বারের দরজায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বেশি। ডাক্তার তাঁর রুমে এক সাথে ৪ জন করে রোগী ঢুকাচ্ছেন। একটা ব্রেঞ্চ এ বসাচ্ছেন যেখানে চারজনের পা রাখাই কষ্টকর। ঐ ৩ জন রোগীর সামনেই একজন রোগী দেখছেন।হিস্ট্রি নিচ্ছেন,যেখানে প্রাইভেসি বলে কিছু নেই। তার এসিস্ট্যান্ট ওজন নিচ্ছেন।৭ মাসের প্রেগন্যান্সির একটা রোগীর ওজন নিয়ে উনি বলছেন ৩৫ কেজি। অবাক করার মত। পরে অবশ্য ডাক্তার নিজে বললেন 'আরে না; আবার দেখো।দেখা গেলো ৬৮ কেজি। গেলো এই পর্ব।
আসলো আমার রোগীর পালা।উনাকে আমার ঘরের মেশিন দিয়ে ঐদিনই মেপে দেখলাম ৫৮ কেজি।উনার এসিস্ট্যান্ট দেখে কি না দেখেই বলল ৭০ কেজি। ঐ রোগীর প্রেগন্যান্সির বয়স তখন ১ মাস ও হয়নি। উনার সময় কই ভেরিফাই করার।উনি তো বড় ডাক্তার।তাকানোর সময় কই!
দিলেন একটা টেস্ট।খুবই নরমাল। USG!:আমি সাথে সাথেই করায়ে নিলাম।
পরের দিন রিপোর্ট সহ রোগীর হাজবেন্ড নিজে গেলেন রিপোর্ট দেখাতে।ঢুকলেন ও। আমি রিপোর্ট আগেই দেখে নিছি।যেখানে দেখা গেছে তেমন কিছু আসেনি এবং প্রেগনেন্সি নেগেটিভ,দিলেন আরো একটা টেস্ট।কনফার্মেটরী টেস্ট। ওটাতে দেখা গেলো পজিটিভ এসেছে।
রোগীর সিম্পটম ছিল।তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা। ঐ রিপোর্ট টা নিয়ে আবার গেলেন রোগীর হাজবেন্ড। ডাক্তার অনেক কড়া সুরে বলে দিলেন। "প্রেগন্যান্সি পজিটিভ তবে বাচ্চা ক্রিটিকাল সিচুয়েশান এ আছে। ওই বাচ্চা রাখা যাবেনা ; দুই দিনের ভেতরে পেটের ব্যথা না কমলে ভর্তি হয়ে যান।বাচ্চা অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে; তা না হলে রোগীর সিচুয়েশান খারাপ হয়ে যাবে। যান বাড়ি যান।গিয়ে দু'দিনের ভেতরে ডিসিশন নিয়ে আমার কাছে আসেন।
উনি আসলো আমার কাছে। আমি আবার আমার SACMO ফ্রেন্ড একজনের সাথে আলাপ করলাম। সে বলল " আরে না,এখনো সময় আছে।বাচ্চার ভ্রুন এখনও টিউবের ভেতরে আছে যার জিন্যে আল্ট্রাতে আসেনাই।সো টেনশনের কিছু নেই দু'তিন সপ্তাহ পর আবার আল্ট্রা করে দেখ পরে ডিসিশন নে। আমি কিছু আশ্বাস পেলাম এবং রোগীকে জানালাম। এতো বড় ডাক্তারের কাছ থেকে আশাহত হয়েই ডিপ্লোমা ডাক্তারের দা'র স্থ হলাম।
পরে হঠাৎ মাথায় এলো ; ডাক্তার চেঞ্জ করি। দেখি অন্যজন কি বলে। মুহুর্তেই ডিসিশন নিয়ে নিলাম। ওসমানী মেডিকেলের একজন রেজিষ্টার,MBBS,FCPS. উনার রোগী হাতে গুনা ১৫ জন।ভিজিট ও কম। প্রতিটা রোগীকে হিস্ট্রি নেয়া ছাড়াও ফিজিক্যাল এক্সাম যা করার করছেন,অমায়িক ব্যবহার।প্রতিটা কথা খুটিয়ে খুটিয়ে শুনছেন। ব্যবহারেই অনেকটা আশ্বস্থ হলাম। বললেন " টেনশন করার কিছু নেই,আমি আরেকটা টেস্ট দেই,তাহলে আপনি ১০০% সিউর হয়ে যাবেন,রোগীর কন্ডিশন কি।এটা করায়ে নিয়ে আসেন তাহলেই বুঝা যাবে"।
নিয়ে গেলাম এবং টেস্ট করায়ে নিয়ে আসলাম।বললেন " টেনশনের কিছু নাই,রোগী ভালো আছেন। পেইন এর জন্যে কিছু মেডিসিন দিচ্ছি, আশা করি কমে যাবে"।
একজন ছোট ডাক্তার,কম ডিগ্রি ধারী ডাক্তারের কাছ থেকে এরকম কথা শুনে সবাই সহজে আশ্বস্থ হবেনা।তবে আমার ভালো লেগেছে তাঁর ব্যবহার কথাবার্তা। আবার আরেকটা টেস্ট দিলেন ৩ সপ্তাহ পর করার জন্যে। আবার ঐটা করালাম। এবং তিনি বললেন "সবকিছু ভালো আছে,নিশ্চিন্তে থাকুন"।
চিন্তা করুন আমরা কি ধরণের খদ্দের। যার রুমের সামনে ১০০/১৫০ রোগী।দাঁড়ানোর মতো চুল পরিমাণ জায়গা নেই,ভিজিট ও বেশি। রোগীর দিকে দু চোখ দিয়ে তাকিয়ে কথা বলার সময় নাই। চোখ বন্ধ করে প্রেসক্রিপশন লিখছেন আর টাকা গুনছেন। অথচ একজন রোগীর জীবনমরণের সিদ্ধান্ত এতো সহজেই দিয়ে দেন।
দিনশেষে এটাই বুঝি সবাই এক না,সমান না।ভিন্নতা আছে।কিন্তু যাদের উপর আমাদের বাঁচা মরার ওছিলা থাকে তারাই যদি আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করিয়ে দেন; আমরা যাব কোথায়? আমরা এভাবে গর্দভ থেকেই যাই যখন অসুস্থ হই।
অতএব ডিগ্রি দেখে যেন আমরা ডাক্তারের সরনাপন্ন না হয়ে ব্যাবহার দেখে যেন হই।তাতে হয়তো আমাদেরই মঙ্গল নিহিত!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
অবনি মণি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা!!
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
আমি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার থেকে শুরু করে হাতুড়ি ডাক্তার পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছি, আসলে কে ভাল কে মন্দ বুঝা খুব মুশকিল। কখনও হাড়ুড়ি ডাক্তারে ভাল হচ্ছে কখনও বড় ডাক্তারের চিকিৎসায়। তবে আমাদের ডাক্তাদের সবাইকে মানুবিক হওয়া উচিত কারণ মানুষ স্রষ্টার পরে মনে হয় ডাক্তারকে বেশি বিশ্বাস করে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২০
অবনি মণি বলেছেন: হ্যাঁ এটাই।মানবিক দিক বিবেচনা করলে রোগী ৬০% সুস্থ হয়ে যায়!!
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ডাক্তারদের আচার আচরণ দেখলে মনে হয় ডাক্তার তারা হয়েছেন টাকা ইনকাম করার জন্য।
মানুষের সেবা করার জন্য না।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২২
অবনি মণি বলেছেন: মাঝে মাঝে আমারো মনে হয়। কখনো কখনো উল্টো টাও হয়। কিন্তু সবাইকে সমান হওয়া উচিত!!
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমার একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি, আমার একবার কোমরের এক পাশে মাংস পচতে শুরু করে,আমি দৌড়ে গেলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে।একটা টিকিট কিনলাম।সেই ডাক্তার আমাকে এমন প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিলেন যে,আমার ৩ মাসেও রোগ সারেনি উলটো আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।পরে মেডিনেটের এক ডাক্তার দেখালাম(উনিও একই মেডিকেলের), উনার দেয়া প্রেস্ক্রিপশন মত ঔষধ সেবন করে দু'দিনের মধ্যে ভালো ফল পেলাম।সুতরাং এই ক্ষেত্রে একটা কথাই বলব, সকলেই ডাক্তার তবে কেউ হাতুড়ে,আর কেউ সত্যিকারে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৩
অবনি মণি বলেছেন: হুম মাঝে মাঝে আমরা চিনতে ভুল করি।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ইদানিং কিছু কিছু ডাক্তার এক একটা কসাই।
কিছুই বলার নাই।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪২
অবনি মণি বলেছেন: সবাই এক রকম নয়!!
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সবাই এক রকম নয়!!
কিছৃু কিছু বলেছি
সবাইকে নয়!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
অবনি মণি বলেছেন: সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নজসু বলেছেন:
শুভ সন্ধ্যা।