![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনেই বদলায়
আমরা কোটি কোটি টাকার ধন-সম্পদের মালিক হয়েও শারীরিক ও মানসিক চিন্তা অসুস্থতায় দিনের পর দিন ভুগছি ! কিন্তু কেন ? আসলে মানব জীবনে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও অসুস্থ থাকাটা কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয় !
সুস্থ জীবন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত তথা ভালো কোনো কর্মের ফল হিসেবেই জ্ঞান করি ! তদ্রুপ অসুস্থতা বা অসুস্থ জীবন (শারীরিক/মানসিক) এটাও সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত তথা জীবনের খারাপ কোনো কর্মের ফল !
অনুরূপ মানব জীবনের সকল প্রকার সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত এসব মানুষের নিজ হাতের কামাই বা কর্ম ফল !
কর্মফল মানুষ ইহকাল-পরকাল উভয় কালেই ভোগ করে থাকেন ! এখানে নিয়তি বা ভাগ্য নামের কথাটি যোগ করা যেতে পারে অর্থাৎ, ভাগ্য দুই ভাবে তৈরী হয়, প্রথমতঃ মাতৃগর্ভ থেকেই যেটাকে চিরন্তন বা লিখিত বা অকাট্য ভাগ্য বলা হয়, দ্বিতীয়তঃ সাময়িক বা কাট্য বা অলিখিত ভাগ্য (ভালো/মন্দ) যা আমরা ইহকালীন কিছু কর্মের মাধ্যমে অর্জন করে থাকি !
একটা মানুষের চিরন্তন ভাগ্যলিপিতে হায়াৎ-মুওয়াত এর মতোই জগতে সে সুখী হবে না অসুখী হবে এবং এর প্রকারভেদ ও তদানুযায়ী কর্মপথ নিদৃষ্ট করা থাকে বলে বিশ্বাস করি !
যাহোক আসল কথায় ফিরি, আমাদের পরম স্রষ্টা এবং যমদূত বা আজরাঈল (আঃ) উভয়ই নির্দোষ থাকার তাগিদেই প্রত্যেকটা জীবের মৃত্যুর একেকটা কারণ বা উসীলার মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকেন !
মহান আল্লাহপাক ও তাঁর মহা সম্রাজ্য নীতির উপর আমাদের পুরোপুরি ঈমান থাকলে আমরা সুখে আত্মহারা কিংবা দুঃখ-কষ্টে, রোগে-শোকে, বিপদে-আপদে, বালা-মুসিবতে মূর্ষা যেতাম না কিংবা অপরকে (উসীলাকে) দোষারোপ করার মত মূর্খতা প্রকাশ করতাম না !
একজন ডাক্তার আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে কি করতে পারে, যদি আল্লাহ না চায় ?? অতঃপর রোগীটা মারা গেলে আমরা উল্টো অনেকসময় ডাক্তারকেই দোষারোপ করি ! এক্ষেত্রে ডাক্তার যদি কোনো ভুল করেও থাকে, সেটা কি খোদা প্রদত্ত ভুল নয় ? চিকিৎসা করেও রোগী সুস্থ/ভালো হচ্ছে না, এটা কি দোষ আর দোষটা কাকে দিবেন তাহলে, ডাক্তারকে না রোগীকে না রোগীর স্বজনদেরকে ??
মোদ্দকথা, সুখের মত অসুখও একটা খোদা প্রদত্ত নেয়ামত অথবা রহমত ! কেননা সুখ-দুঃখ, কষ্ট, বিপদে-আপদে মানুষকে পতিত করে আল্লাহ্পাক মানুষকে কর্মফল ভোগের পাশাপাশি পরীক্ষাও করেন এমনকি শিক্ষাও দিয়ে থাকেন ! পরীক্ষাটা হলো ধৈর্য্য এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ! আর শিক্ষাটা হলো সর্বাবস্থায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শিক্ষা !
সর্বাবস্থায় আল্লাহর ইচ্ছা অনিচ্ছার পক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার নামই হচ্ছে 'তাকওয়া' বা পরহেজগারিতা অর্থাৎ খোদা ভীতি ! যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তাকওয়ার উপর না দাঁড়াবে ততক্ষনে তাঁর নামাজ-রোজা, হজ যাকাত কোনো ইবাদত কবুল হবে না অর্থাৎ তাকওয়া বিহীন যেকোনো ইবাদত কর্মই 'লোক দেখানো' এবাদতের শামিল !
সুতরাং চাপাটি, আত্মঘাতী বোমার ব্যবহারের নাম 'ইসলামিক জিহাদ' নয়; 'তাকওয়ার' পথ অবলম্বনের নামই 'ইসলামিক জিহাদ' আর যিনি 'তাকওয়ার' পথ অবলম্বন করে তাকেই মুসলমান বলে !
আসুন আগে মুসলমান হই !
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: ধন্যবাদ !
শুভ কামনা রইলো ভাই....
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
অসুখও একটা খোদা প্রদত্ত নেয়ামত অথবা রহমত !
-সঠিক, কাব্য।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: সর্বচেষ্টায় সঠিক সমাধানটাই খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছি অনবরত !
লেখাটা নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ ভাই !
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আগাছা আর লতাপাতা বাড়ছে বাংলায়
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৭
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: অতিকায় বৃক্ষগুলো ধ্বংসের কারণেই হয়তো............
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত...