![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমে একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করি। ঢামেক এর এক বড় ভাই এর সাথে মেডিকেল প্রশ্নফাঁস আন্দোলনে গিয়ে পরিচয়। কথা বলার একপর্যায়ে ভাই বললেন, “এবার আমার দুই ছাত্র ঢামেক-এ চান্স পেয়েছে। মানসম্মান আর কিছু রইলো না।” কিছুক্ষন পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের মারধোর করা শুরু করলো। এক পর্যায়ে ভাই এর কলার টেনে তাকেও সরিয়ে দিলেন। ভাই একটু পর হাসতে হাসতে বললেন, “মানসম্মান বোধহয় এবার কিছুটা ফেরত পেলাম।” আমরা তখন উদ্ভ্রান্তের মত হাসতে থাকলাম। একটা চাপা অপমান অনুভব করলাম কোথাও। যাই হোক আমাদের মত সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে হয় বেঁচে থাকেই প্রশাসনের এই অপমান সহ্য করার জন্য। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কথা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যারা সামান্য খোঁজ-খবর রাখেন তারা জানেন কি হয়েছে, বর্তমানে কি হচ্ছে।আমার মাথায় শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হচ্ছে ভবিষ্যতে কি হবে? দূর্নীতিমুক্ত সমাজ কি আমরা গড়তে পারব? যে প্রজন্মের শুরুটাই হচ্ছে দুর্নীতির হাত ধরে তারা কি পারবে এর বিরুদ্ধে কখনো কথা বলতে? বুক ফুলিয়ে কি বলতে পারবে আমি আমার দেশকে ভালবাসি? আমি অন্যায় কে ঘৃণা করি? পারবে না। সামান্য বিবেকটুকু বেঁচে থাকলে বলতে পারবে না। এসব অনেক দার্শনিক কথাবার্তা। সহজ কথায় ফিরে আসি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত দুর্নীতি করার সুযোগটা কি আমাদের বাবা-মা এরা তৈরী করে দিচ্ছে না? আজকে Honours পাশের পর কোন ছেলে যদি তার পরিবারের কাছে ১০লক্ষ টাকা চায় ব্যবসা করার জন্য কয়টা পরিবার আছে তাকে সাপোর্ট করবে? সাপোর্ট তো দূরে থাক তাকে অপমান করবে না এমন পরিবার-ই বা কয়টা আছে? অথচ সেই ছেলে এসে যদি বলে, বাবা ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। বিসিএস এর একটা লাইন পেয়েছি। ১০০% ভাইভা সহ পাশ করায় দিবে। তখন দেখা যাবে সব পরিবারই তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে। দরকার পড়লে জমিজমা বিক্রি করে হলেও তাকে টাকা দিচ্ছে। আমাদের সমাজে মুল্যবোধের অবস্থা বর্তমানে এতটা নিচে নেমে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন শিক্ষাবিদ একবার বলেছিলেন, “ দেশের শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিতের হার অনেক কমে গেছে।’’ কথাটা যেন আর ১০-১৫ বছর পর গিয়ে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারি সেটাই এখন একমাত্র চাওয়া। বুনিয়াদটাই যদি হয় মিথ্যার উপর এখান থেকে আমরা কি আশা করতে পারি??? একটা কথা তবুও বারবার মনে পড়ে, “মানুষ বাঁচে আশায়, দেশ বাঁচে ভালবাসায়।” কিছু অসভ্যদের জন্য কি আমরা সভ্য সমাজে বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পাবো না? অধিকার না পেলেও তা আদায়ের জন্য একটু চেষ্টা করার সু্যোগটাও পাবো না?
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ বলেছেন: হতাশাটা তো এখানেই। বড় হতে হবে। যে উপায়েই হোক না কেন। কিন্তু মানুষ হিসেবে যে কতটা নিচে নেমে যাচ্ছি সেদিকে খেয়াল করার সময়টাই আমাদের নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০২
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: এই প্রক্রিয়াটি আস্তে আস্তে বিস্তার পেয়েছে। আজ যেটা দেখতেছি এটা মোটামুটি সেই বিস্তারের ফলাফল। সমাজ ও সারাউন্ডিং শিখিয়েছে বড় হতে হবে, সেটাই মূখ্য। আর মূল্যবোধ দিয়ে যে ক্ষিধে মেটেনা - এটা সরাসরি না বললেও মৌন নীতি অবলম্বন করেছে। এই বোধহয় আর কি !!!