নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাম্প্রদায়িকতার সংজ্ঞা

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আচ্ছা, অসাম্প্রদায়িক শব্দটার অর্থ কি? আমি যতটুকু বুঝি এর অর্থ হচ্ছে, অন্যের ধর্ম পালনে কোনরূপ বাঁধা না দেয়া অথবা তার ধর্ম নিয়ে কোন বিদ্রুপ না করা।কিন্তু অসাম্প্রদায়িক হবার মানেই কি অন্য ধর্ম পালন করা? প্রতিবারের মতো এবারও পূজো এসেছে। এবং এ উপলক্ষে “ধর্ম যার যার- উৎসব সবার।” এ ধরনের স্ট্যাটাসও তীব্র মাত্রায় দেখা দিচ্ছে। পূজো কিভাবে মুসলিমদের উৎসব হয় তা আমার বোধগম্য না। এখন যদি বাঙালী উৎসবের কথা বলেন তাইলে বলতে হয়, পূজো কখনোই বাঙালীর উৎসব ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না। এটা শুধুমাত্র একটা ধর্মীয় উৎসব। এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। আজকে এক পরিচিত মানুষের সাথে কথোপকথন,
-আমি তো শুধু হিন্দুদের পূজো দেখছি বা প্রসাদ খাচ্ছি, ওদের দেবতা বা ভগবান কে মানছি না। বা তার সামনে মাথা নত-ও করছি না। তো সমস্যা কোথায়? আমার ঈমান এত দুর্বল না। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।বুঝলি?
-জ্বী ভাই। আপনার ঈমান এতটাই সবল যে পুজো দেখা কে হালাল বানিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু পূজো দেখা থেকে বিরত থাকতে পারছেন না।
আমাদের সবার ঈমানের অবস্থাই মূলত এখন এরকম। আমি কোন ধর্মকে ছোট করছি না। কিন্তু আমার ধর্মে অন্য ধর্মের সাথে সাদৃশ্যপুর্ন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। যদি প্রশ্ন করেন, আমি আসলেই বাঙালী কিনা তবে আমার উত্তর হবে আমি একজন মুসলিম বাঙালী, কোন চেতনাধারী না। হিন্দু-মুসলিম মিলেই আমার দেশ। আমরা দেশের জন্য সবাই এক, কিন্তু ধর্মীয় ভাবে আমরা সবাই আলাদা সত্তা। খারাপকে খারাপ বলার, গুনাহ কে গুনাহ বলার সৎসাহস যদি না থাকে, তবে সেটাকে অন্তত ভালো বলা থেকে তো বিরত থাকতে পারি। অসীম করুনাময়ের জন্য কি এ কাজটা করা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

সুমন কর বলেছেন: ভাই, আমি কিন্তু ঈদে পোলাউ মাংস খাই। :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৯

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ বলেছেন: আমাদের পোলাউ গোশত খাওয়া আর আপনাদের প্রসাদ খাওয়া তো এক না।কিন্তু ভাই, আমাদের ধর্মে নিষেধ আছে। কুরআনে আছে যে, আল্লাহরনাম ব্যতীত অন্য কিছু বা কারও নামে উৎসর্গ করা খাবার খাওয়া হারাম। ভাই আমি এটার বিরুদ্ধে তো যেতে পারছি না। আবার আমাদের ধর্মে আপনাদের কোন কাজে সহায়তা করা, একত্রে করা, মার্জিত আচরণ করার নির্দেশও আমাদের দেয়া হয়েছে। আপনাদের সাথে একসাথে বসে খাবার খাওয়ার ব্যাপারটাতেও আমাদের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মানুষে মানুষে চিন্তা ভাবনায় পার্থক্য থাকবেই। দুঃখিত আপনার মত করে ভাবতে পারছি না। আমার গ্রামের বাড়ির আশেপাশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বেশি। মুসলমান এবং হিন্দু পরিবারের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। আমরা হিন্দুদের যে কোন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাই। ধর্মীয় আচার পালন আর উৎসব ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের বাজারেই দুর্গা পূজা উপলক্ষে সবচেয়ে বড় মেলা হয়। এই মেলাটা চলে আসছে ১০০ বছরেরও বেশি আগ থেকে। আমরা সবাই সে মেলাতে যাই। আমাদের স্কুলে সরস্বতী পুজা হয়। পূজা উপলক্ষে স্কুলে মেলা হয় সেখানেও আমরা সবাই যাই। আবার আমাদের ঈদে তাদের দাওয়াত থাকে। পাশের বাড়ির হিন্দু ছেলে মেয়েরা সহ ঈদের সেমাই আমাদের বাসায় এক সাথেই খাই। ঈদ মেলায় হিন্দুরা দল বেধে আসে। এই সব উৎসবে অংশ নেয়ার ফলে কি আমরা একে অন্যের ধর্ম পালন করছি? অবশ্যই না।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩০

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ বলেছেন: ভাই মেলায় যাওয়া আর দীপাবলীতে অংশগ্রহন এক না। আর ভাই অনেক এলাকাতেই বেশ বড় করেই পূজা হয় কিন্তু অনেক দেশে মুসলিমদের কুরবানী পর্যন্ত দিতে দেয়া হয় না। কিছু লিঙ্ক দিলাম। পড়ে আশা করি মতামত জানাবেন।
https://www.facebook.com/JavedKaisar/posts/10153717678134640
https://www.facebook.com/JavedKaisar/posts/10153717843704640
https://www.facebook.com/JavedKaisar/posts/10153718043574640
https://www.facebook.com/JavedKaisar/posts/10153718959284640
https://www.facebook.com/JavedKaisar/posts/1015371920234464

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.