নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

Transaction Period of a Student

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

ভার্সিটি লাইফ শেষ হবার সাথে সাথে মানুষ দুটো জিনিস উপলদ্ধি করে।
১. সে সফল ভাবে তার শিক্ষাজীবনের বিশাল একটা অংশ সমাপ্ত করেছে। সে এখন সামাজিকভাবে অনেক বড় হয়ে গেছে।
২. সে ছাত্রজীবন থেকে বেকারজীবনে প্রবেশ করেছে। হঠাৎ করে অদ্ভুত কোন জায়গা হতে অসংখ্য দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য চলে এসেছে। অধিকার নামক শব্দটি প্রায় বিলীন অবস্থায়।
গ্রাজুয়েশনের পরপর অধিকাংশ মানুষের চিন্তা হয় চাকরী নিয়ে। মধ্যবিত্ত ঘরের হলে তো কথাই নেই। বেকারজীবনে প্রবেশের পর প্রথম যারা আপনাকে অস্বস্তিকর অবস্থায় আপনাকে ফেলবে তারা হচ্ছে আপনার আত্নীয় স্বজন।“গ্রাজুয়েশন তো শেষ, এখন কি করবা? ভবিষ্যতের প্ল্যান কি? ভাবী (আপনার মা), আপনি তো লাখে একটা। আপনার ছেলের তো পড়াশোনা কম্পলিট। কয়দিন পর চাকরী। এখন শুধু সুখ আর সুখ।” ভাবখানা এমন যেন ছাত্র অবস্থায় আপনার পরিবারের দুঃখ দুর্দশার কোন শেষ ছিল না। আর মেয়ে হলে তো ব্যাপারটা আরও এককাঠি সরেস। “বিয়ে দিচ্ছেন কবে? পাশের বাসার ভাবীর চাচাতো বোনের ননদের বান্ধবী তো এখন দুই বাচ্চার মা। অনেক সুখে আছে।” বিশ্বাস করেন আর নাই বা করেন তারা কিন্তু এসব আপনাকে খোঁচা মারার জন্য বলে না। এসব বলে তারা একধরনের আত্নতৃপ্তি পায়। থাকুক না কিছু অদ্ভুত সুখী মানুষ। বেকারজীবনের শুরুতে দ্বিতীয় ধাক্কাটা খেতে হয় চাকরী খোঁজার শুরুতে। বিভিন্ন কোম্পানীর অদ্ভুত স্যালারী স্ট্রাকচার দেখেও apply করা শুরু করেন। “যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই” ধরনের মনোভাব নিয়ে যেখানে পারবেন সেখানে CV জমা দিতে শুরু করবেন। কপাল ভাল হলে ডাকও পাবেন ইন্টারভিউয়ের। ইন্টারভিউয়ের দিন পুরোনো শার্টটি সুন্দর করে ইস্ত্রি করে চলে যাবেন ভাইবা দিতে। গিয়ে দেখবেন আপনার মত আরোও অনেকেই সেখানে বসে অপেক্ষা করছে। এবং বিশ্বাস করুন প্রথম ঝলকে আপনার মনে হবে এরা আপনার তুলনায় অনেক অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি। হতাশার মাঝেও একটা চমৎকার ভাইবা আপনি দিবেন। ভাইবা শেষে এবার শুরু হবে চরমতম হতাশার সময়। আপনার ইন্টারভিউয়ের রেজাল্ট আপনি কবে জানবেন, আদৌ জানবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাবে। চাকরী আপনার হচ্ছে না কেন তাও বোঝার কোন প্যারামিটার আপনি জানবেন। এভাবে কয়েকজায়গায় ইন্টারভিউ দিতে থাকবেন। আপনার প্রেমিকা “বড় ছেলে” নাটক দেখে কাঁদবে। আপনার আশেপাশে অনেক সুখী মানুষ ঘুরবে, দুঃখী থাকবেন শুধু আপনিই। এভাবে কিছুদিন পর আপনারাও হঠাৎ এক জায়গায় চাকরী হয়ে যাবে। আপনি আবার দুইটা জিনিস উপলদ্ধি করবেন।
১. সুখের জীবন শেষ। ৯টা - ৬টার জীবনের বাইরে তেমন কিছু আর নাই।
২. জীবনের ১৬/১৭ বছরের পড়াশোনার ফলাফল হাতে এসে পড়েছে। কানে হেডফোন দিয়ে pink floyd এর comfortably numb শুনছেন। হঠাৎ খেয়াল করবেন I’ve become comfortably numb এর প্রকৃত বাংলা হচ্ছে 'আমি আরামসে চোদনা হয়ে গেছি।' আসলেও তাই। চোদনা হয়ে বসে থাকবেন। লক্ষ্যে পৌঁছে গেলে কি করতে হয় তা তো আর আপনার জানা নেই।
সুখ একটি মরিচীকা। মরিচীকা হাতে পেলে কি করতে হয় কে জানে? যখন জানা যাবে তখন হয়ত আবার লিখব। আপাতত এখন অফিস করি। 

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

সিরাজুল হক দা রিভিউয়ার বলেছেন: :(

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: জীবন কখনই সুখের নয়। একের পর এক ঝামেলা আছেই।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ বলেছেন: Its all about taking challenge!

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

ঢাকার লোক বলেছেন: শব্দটা কি ট্রানজিশন হবে ? একবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় যাওয়ার মাঝখানের সময় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.