নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রামের নতুন স্কুল থেকে আকাশ ২য় ব্যাচ হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা তাই আকাশ পড়ালেখা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। পড়ালেখা বলতে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া, ক্লাশের পাঠ তৈরী করা কোচিং বা প্রাইভেট পড়া নয়।
দেখতে দেখতে পরীক্ষার সময় চলে আসে। পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশি ফি আদায় করতে চাইলে আকাশ তার প্রতিবাদ করে ফলে প্রধান শিক্ষকের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। টেস্ট পরীক্ষার পর কিছু ছাত্র স্কুল হোস্টেলে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকলেও আকাশ নিজ বাড়িতে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যায়।
গ্রাম থেকে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র বার-তের কিলোমিটার দূরে উপজেলা শহরে। প্রতিদিন যাওয়া-আসা করে পরীক্ষা দেয়া কঠিন বিধায় উপজেলা শহরের গ্রামের এক চাচার বাসায় থাকার বন্দোবস্ত হয়। নুশরাতও একই বাসায় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলে ইশরাতের এই বাসায় আসা-যাওয়ার কারনে আকাশের সাথে কয়েকবার দেখা হলেও তেমন কোন কথা হয়নি। আকাশের বন্ধু সংখ্যা কম তার মধ্যে নুশরাত তার অন্যতম বন্ধু। পরীক্ষার সময় বন্ধুত্ব একটু দৃঢ় হয়। আকাশের একদিন পরীক্ষা নাই কিন্তু নুশরাতের পরীক্ষা আছে তাই বিশেষ কারণে তাকে কেন্দ্রে পৌছে দেয়ার দায়িত্ব পড়ে আকাশের।
পরীক্ষা চলাকালীন একদিন আকাশ ঘরের ভিতরে বসা এবং ইশরাত ঘরের বাইরে চেয়ারে বসে যাবেদের সাথে বসে দুস্টুমি করছে যা আকাশ পছন্দ করছে না ফলে আকাশ জানালা বন্ধ করে দেয়। তাৎক্ষনাৎ ইশরাত উঠে এসে জানালা খুলে দিয়ে আকাশকে তাদের দুষ্টুমি দেখতে বাধ্য করে। এর দ্বারা ইশরাত আকাশের মনে জ্বালা ধরিয়ে কি বোঝানোর চেষ্টা করলো তা আকাশ পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারলো না। আকাশ চায় ইশরাত আকাশকে ভালোবাসুক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিক। কিন্তু আকাশ মুখ ফুটে তা বলতে পারে না । ইশরাত কি এই ঘটনার দ্বারা আকাশকে উসকে দিতে চায় ? আকাশ শুধু ভেবেই চলে। ভাবতে ভাবতে তার পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। আকাশ কখনোই পড়ালেখার বিষয়ে অন্যদের মতো ততোটা সিরিয়াস ছিলো না। হেসে খেলে পরীক্ষা দিয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হয়ে স্কুলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। নিজের ভাবমূর্তি আগেই উজ্জ্বল ছিল । আদর্শ শিক্ষক পিতার মেধাবী সন্তান হিসেবে আগে থেকেই এলাকার নাম ডাক ছিলো আকাশের।
আর্থিক সংস্থান না থাকলেও আকাশ ঢাকায় যাবে উচ্চমাধ্যমিক ভর্তি হতে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়ে মায়ের নিকট আবদার করে। মা তার সন্তানের জন্য সামান্য টাকা যোগাড় করে দেয়। আকাশ মনে করে মার্কশীট হাতে পেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবে। গ্রামের স্কুলে মার্কশীট পৌছাতে একটু সময় লাগে তাই আকাশ অপেক্ষা করতে লাগে। এর মধ্যে যাবেদ এসে আকাশের নিকট জানতে চায় সে ইশরাত কে ভালোবাসে কি না। আকাশ বুঝে উঠতে পারে না এই জানতে চাওয়া ইশরাতের না যাবেদের একান্ত নিজের। জাবেদকে ভালোবাসার কথা বলা লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি কারন এই তথ্য ইশরাত জানার আগে পাড়া প্রতিবেশি জানবে আকাশের ভাবমূর্তি তলানিতে এসে ঠেকেবে। তাই আকাশ বলে দেয় সে ইশরাতকে ভালেবাসে না। তখন জাবেদ জানায় ইশরাত-নুশরাতের পরিবার গ্রাম ছেড়ে সিলেটে স্থায়ী হবে আগামী মাস থেকে। এ দিকে আকাশ ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে আর বিরহ যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে। যদিও তাদের প্রেম হয়নি তথাপি আকাশ বিরহ যন্ত্রনায় কাতর। একই গ্রামে বসবাস করার কারনে কথা না হলেও মাঝে মাঝে দেখা হতো হ্রদয়ের সাথীর সাথে। কিন্তু এখন থেকে দুজন দুই শহরে যোজন যোজন দুরে। কবে এই দূরত্ব দূর করে কাছে এসে ইশরাত বলবে আকাশ আমি তোমায় ভালোবাসি খুব বেশি কিন্তু বলতে পারি নি। এই ভাবনার মধ্যে মার্কশীট হাতে পায় আকাশ এবং ঢাকায় পৌছে প্রথম নটেরডেম কলেজে এসে দেখে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশ করেছে।
০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
রবিন.হুড বলেছেন: এ রকম মনে হওয়ার কারন কি?
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এটা কি আপনার জীবনের গল্প?