নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানি ফলের নানান গুন

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪



শীতকাল আসছে। সে কথা জানান দিচ্ছে পানিফল। কালীপুজোর আগে থেকেই পানিফল বাজারে আসতে শুরু করে। এই নিয়মের কোনো পরিবর্তন নেই। চিকিৎসকরা বলেন, যে কোনো মৌসুমী ফলই শরীরের জন্য উপকারী। ঠিক একই ভাবে উপকারী পানিফল নামের কাঁটা যুক্ত বিশ্রী দেখতে এই ছোটো ফলটিও। খাদ্য ও পুষ্টিগুণে এটি মহৌষধি।
জলাশয়ে চাষ হয় বলে একে পানিফল বলা হয়। পানিফলের আরেকটি নাম পানি শিঙাড়া। কারণ শিঙাড়ার মতো দেখতে। তা ছাড়াও এর নানা জায়গায় নানা নাম রয়েছে। ওয়াটার কালট্রপ, বাফেলো নাট, ডেভিল পড ইত্যাদি। আবার ইংরাজিতে একে ওয়াটার চেস্টনাটও বলা হয়। এরও একটি বৈজ্ঞানিক নাম – ট্রাপা নাটানস।
যাই হোক, এর নামের বাহার যেমন। কাজের বহরও তেমন। অর্থাৎ কি না, এর উপকারিতা। এটি স্বাদে পানসে ও দামে সস্তা। তা হলেও পানিফলের রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। কাঁচা এবং সিদ্ধ, দুই ভাবেই খাওয়া যায়।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক এর পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে। পানিফলের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশ অর্থাৎ খোলা ছাড়িয়ে মোট শাঁসের পরিমাণ ১০০ গ্রাম হলে তাতে পাওয়া যায় –
১) খাদ্যশক্তি রয়েছে ৬৫ কিলোক্যালোরি
২) এতে জলের পরিমাণ ৮৪.৯ গ্রাম
৩) খনিজ পদার্থ – ০.৯ গ্রাম
৪) খাদ্য আঁশ – ১.৬ গ্রাম
৫) আমিষ – ২.৫ গ্রাম
৬) শর্করা – ১১.৭ গ্রাম
৭) ক্যালসিয়াম – ১০ মিলিগ্রাম
৮) আয়রন – ০.৮ মিলিগ্রাম
৯) ভিটামিন বি১ – ০.১৮ মিলিগ্রাম
১০) ভিটামিন বি২ – ০.০৫ গ্রাম
১১) ভিটামিন সি – ১৫ মিলিগ্রাম
১২) এক একটি পানি ফলে চর্বির পরিমাণ – ০.৯ গ্রাম
১৩) এ ছাড়াও আছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন-ই। রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।

এতে গেল পুষ্টিগুণ। এ বার দেখে নেব এর ওষধি গুণ বা খাদ্য গুণ বা উপকারিতা কী কী?
০১) প্রথম কথাই হল এত পুষ্টিগুণ থাকার দরুন শরীরের পুষ্টির অভাব দূর করে পানিফল।
০২) পানিফল পেটের রোগ নিরাময় করে।
০৩) ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে করতে সাহায্য করে।
০৪) দুর্বল শরীরকে বল দেয়।
০৫) হাত-পা ফোলা ঠিক করে।
০৬) এটি যকৃতের প্রদাহনাশক অর্থাৎ লিভারের ইনফ্লামেশন নিরাময় করে।
০৭) এটি যৌন শক্তিবর্ধক একটি ফল।
০৮) ঋতুর আধিক্যজনিত সমস্যা ঠিক করতে খুবই উপকারী।
০৯) এমনকী এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধের গুণও।
১০) শরীর ঠাণ্ডা করতে পানিফলের জুড়ি নেই।
১১) শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
১২) বমিভাব, হজমের সমস্যা দূর করতে পানিফলের কোনো তুলনা হয় না।
১৩) অনিদ্রা দূর করতে কাজে দেয়।
১৪) ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি থেকে স্বস্তি পেতে সাহায্য করে পানিফল।
১৫) ব্রঙ্কাইটিস, অ্যানিমিয়া কমাতে পারে।
১৬) পানিফলের শাঁস শুকিয়ে রুটি বানিয়ে খেলে অ্যালার্জি দূর হয়।
১৭) পিত্তজনিত রোগ নাশ করে।
১৮) রক্ত আমাশা বন্ধ করে।
১৯) প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে।
২০) শরীরের সংক্রমণ দূর করে।
২১) অরুচি কমায়। খাবারে রুচি আনে।
২২) তল পেটের ব্যথা দূর করে।
২৩) বিছে বা বিষাক্ত কোনো পোকা কামড়ালে সেই জায়গায় পানিফল বেটে লাগালে দ্রুত ব্যথা কমে ও ক্ষত উপশম হয়।
২৪) শুধু তাই নয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ও সতেজ এবং তারুণ্য ধরে রাখতেও পানিফল অনবদ্য।
২৫) পানিফলের ওষধি গুণে চুল ভালো থাকে।
২৬) শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করে।




মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পানিফল সস্তা বলেই লোকজন খেতে চায় না। আমি নিজেও খাই না। আমার আমার বউ খুব পছন্দ করে খায়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

রবিন.হুড বলেছেন: গুণের বিবেচনায় সকলকেই পানি ফল খাওয়া উচিৎ।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



কোন কোন এলাকায় চাষ হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.