নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রবিন.হুড

রবিন.হুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা): নতুন ধারার তৃতীয় দল, বাড়াবে সবার মনোবল। একদিন জনগণ জাগ্রত হয়ে সোনার বাংলা গড়বে।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫


জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা)-এর ঘোষণাপত্র
"জনগণের ঐক্য, দেশের উন্নয়ন"
বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) আজ এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
আমাদের মূলনীতি:
১. জনগণের ক্ষমতায়ন: আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের সেবা করা। জাজপা জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দেবে এবং তাদের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গড়ে তুলবে।
২. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: আমরা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিই। জাজপা একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত হবে।
৩. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি: আমরা বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করতে চাই। কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করব।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: আমরা প্রতিটি নাগরিকের জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষাকে আমরা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করি এবং স্বাস্থ্যসেবাকে সকলের জন্য সহজলভ্য করতে চাই।
৫. যুবশক্তির বিকাশ: বাংলাদেশের যুবসমাজ দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেব।
৬. নারী ও শিশু অধিকার: আমরা নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশুদের সুরক্ষা ও শিক্ষার জন্য আমরা বিশেষ নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করব।
৭. পরিবেশ ও জলবায়ু সংরক্ষণ: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা সচেষ্ট। পরিবেশবান্ধব নীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব।
৮. জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতি: আমরা ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও শ্রেণি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আমরা সম্মান করি।
আমাদের কর্মপরিকল্পনা:
• স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ: আমরা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব।
• ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্প্রসারণ: ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও সেবার মান উন্নয়ন করব।
• কৃষি বিপ্লব: আমরা কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করব।
• শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ: আমরা বিদেশি ও স্থানীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করব।
• সামাজিক নিরাপত্তা: আমরা দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করব।
আমাদের আহ্বান:
জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) বাংলাদেশের সকল নাগরিককে দেশ গঠনের এই মহান কাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানায়। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
জাগো জনতা, জাগো বাংলাদেশ!
জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা)
জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে কিছু কৌশলগত ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছে। নিচে এমন কিছু কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরা হলো, যা দলটিকে জনগণের আস্থা ও সমর্থন অর্জনে সাহায্য করতে পারে:
১. জনগণের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া
• স্থানীয় পর্যায়ে কাজ: গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের সমস্যা শুনে তা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
• সেবামূলক কর্মসূচি: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি ও স্যানিটেশন, রাস্তাঘাট নির্মাণের মতো মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা।
২. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
• অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা: দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জনগণের কাছে প্রকাশ করা।
• দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন: দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করা।
৩. যুবসমাজ ও নারীদের সম্পৃক্ত করা
• যুব নেতৃত্ব গঠন: তরুণদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
• নারীর ক্ষমতায়ন: নারী নেতৃত্ব গঠন এবং নারীদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার
• সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে দলের কার্যক্রম ও নীতিমালা প্রচার করা।
• ই-গভর্নেন্স: ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণের অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ করা।
৫. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন
• বিনামূল্যে শিক্ষা: দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা।
• স্বাস্থ্যসেবা: বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা করা।
৬. কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য সহায়তা
• কৃষি সহায়তা: কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করা।
• শ্রমিক অধিকার: শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৭. পরিবেশ ও জলবায়ু সংরক্ষণ
• পরিবেশবান্ধব নীতি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
• সবুজ প্রকল্প: বৃক্ষরোপণ ও নদী সংরক্ষণের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
৮. সামাজিক সংহতি ও সম্প্রীতি
• ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি: ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তোলা।
• সামাজিক ন্যায়বিচার: দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান করা।
৯. জনগণের সাথে সরাসরি সংযোগ
• গণশুনানি: নিয়মিত গণশুনানির আয়োজন করে জনগণের মতামত ও সমস্যা শোনা।
• দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ: দলীয় কর্মীদের জনসেবামূলক কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
১০. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
• টেকসই উন্নয়ন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) বাস্তবায়নে কাজ করা।
• রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ ও সহযোগিতা বজায় রাখা।
১১. সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ
• সাংস্কৃতিক কর্মসূচি: বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া।
• স্থানীয় ভাষা ও শিল্পের উন্নয়ন: স্থানীয় শিল্প ও ভাষাকে উৎসাহিত করা।
১২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
• দুর্যোগ প্রস্তুতি: বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
• তাত্ক্ষণিক ত্রাণ: দুর্যোগকালীন সময়ে দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালানো।
উপসংহার:
জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করে এবং জনগণের সাথে সরাসরি সংযোগ রক্ষা করে, বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করবে ইনশাল্লাহ। জনগণের আস্থাই হলো কোনো রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় শক্তি।

প্রস্তাবনা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
জনগণই শক্তি হবে দেশের মুক্তি
হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলায় ভরপুর ৩৬০ আউলিয়ার আশির্বাদ ও আল্লাহর রহমতে সিক্ত আমাদের এই বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক এই দেশে সকল ধর্মের লোক মিলেমিশে বসবাস করে। বিভিন্ন পেশার মানুষ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বাংলাদেশ প্রধানত কৃষি প্রধান দেশ। উর্বর জমিতে যে কোন বীজ ফেললেই সোনালী ফসল ফলে। দেশের মাটির উর্বরতার মতো মানুষের মস্তিষ্কও মেধায় পরিপূর্ণ । বাঙ্গালীর মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন পৃথিবীর সর্বত্র। কিন্তু রাজনৈতিক জ্ঞান ও দেশ প্রেমের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বাংলাদেশের জনগণের। একতাই বল বা ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশ বড় এই নীতি বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে ভিনদেশীদের হস্তক্ষেপ বা তাদের দিয়ে সরাসরি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে নিজ ভূমিতে পরবাসী থাকতে বাঙ্গালী সিদ্ধহস্ত। তবে হাজার বছর আগে একবারই বাংলাদেশীদের মধ্যে দিব্বোক বা দিব্য (বরেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা) কৈবর্ত্য বিদ্রোহের মাধ্যমে নিজ দেশ শাসন করার গৌরব অর্জন করেন। অতপর পাল,সেন,মুঘল,ব্রিটিশ, পাকিস্তান তাড়িয়ে হাজার বছর পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করে মাতৃভূমি শাসন করার সুযোগ পান। হজী শরীয়তউল্লাহ, সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর, শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করলেও বাঙ্গালীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজনৈতিক সচেতন করতে সমর্থ হননি। তাইতো বাংলাদেশ শাসন করার জন্য উপযুক্ত দেশ প্রেমিক সৎ যোগ্য নেতার বড় অভাব।
দেশ আপনার, দেশ পরিচালনার দায়িত্বও আপনার। বিগত দিনে যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন কেউই দেশ ও দশের জন্য কাজ করেনি। তাই দেশ পরিচালনার জন্য ভিনদেশী লোক ভাড়া না করে বা বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কামনা না করে বা অযোগ্য, চোর, বাটপার, দেশদ্রহীদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই দেশ ও দশের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি করেন। একা একা যে কাজ করতে পারবেন না দলীয়ভাবে সেই কাজ সহজেই করতে পারবেন।
জাগ্রত জনতা পার্টি(জাজপা) হচ্ছে তৃতীয় ধারার নতুন দল, বাড়াবে সবার মনোবল। যারা দেশকে ভালোবেশে দেশ ও দশের জন্য কাজ করতে চায় তাদের জন্য জাজপা। যারা একা একা দেশের কাজ করতে গিয়ে হাপিয়ে উঠেছেন তাদের জন্য দলীয় প্লাটফর্ম জাজপা। যারা বর্তমানে প্রচলিত মূল ধারার রাজনৈতিক দলের কাজ দেখে হতাশ তাদের রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য তৃতীয় ধারার দল জাজপা। তৃণমূল থেকে উঠে আসা সৎ ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক বোদ্ধারা জাগ্রত জনতা পার্টি(জাজপা) এর পরিচালনার সাথে যুক্ত থাকবেন।
জাগ্রতা জনতা পার্টি(জাজপা) এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
# সৎ, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা।
# দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করে বাংলাদেশের অর্থণীতি পূনর্গঠন করা।
# সুশিক্ষা বিতরণ, নীতি-নৈতিকতার শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক জাতি গঠন করা।
# নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলা।
“আর নয় চোর ডাকাতের কোন্দল, সবাই মিলে গড়ে তুলুন নতুন দল
একতাবদ্ধ হয়ে তৃতীয় ধারা সৃষ্টি করুন, জাগ্রতা জনতা পার্টি (জাজপা) তে যোগ দিন।
একতাই শক্তি, বাড়াবে মনোবল, শক্তিশালী করি নতুন ধারার দল
আমজনতার প্রাণের দল, সবাই মিলে ফলাবে ফল
জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) তে যোগ দিন, সবাই মিলে দেশ সেবায় অংশ নিন”।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) সাধারণ জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে এমন কিছু কারণ নিম্নরূপ:
১. নতুন রাজনৈতিক বিকল্প
• বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রধান দুই দল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বজায় রেখেছে। অনেক মানুষ এই দুই দলের বাইরে একটি নতুন ও ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক বিকল্প খুঁজছেন। জাজপা সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করতে পারে।
২. তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণ
• জাজপা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করে। তরুণরা দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন চায় এবং নতুন ধারণা ও নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়। জাজপা যদি তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে, তবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে পারে।
৩. সামাজিক ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের বার্তা
• জাজপা যদি সামাজিক ন্যায়বিচার, দুর্নীতি দমন, এবং টেকসই উন্নয়নের মতো ইস্যুগুলোর উপর জোর দেয়, তবে সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, কিন্তু দুর্নীতি ও অসমতা তাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
৪. ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
• জাজপা যদি ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয়, তবে তা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনা ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্যবাদের প্রতি সমর্থন রয়েছে।
৫. স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলা
• জাজপা যদি স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলে এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখে, তবে সাধারণ মানুষ তাদের গ্রহণ করতে পারে। স্থানীয় নেতৃত্ব ও সম্পৃক্ততা মানুষের বিশ্বাস অর্জনের চাবিকাঠি।
৬. সরকারের সমালোচনা ও বিকল্প নীতির প্রস্তাব
• জাজপা যদি সরকারের নীতির সমালোচনা করে এবং বিকল্প নীতি প্রস্তাব করে, তবে তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। বিশেষ করে যদি তারা অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্ব, এবং মূল্যস্ফীতির মতো ইস্যুগুলো সমাধানের উপায় উপস্থাপন করে।
৭. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা
• বাংলাদেশ একটি বহুসংস্কৃতির দেশ। জাজপা যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তি, এবং সহাবস্থানের বার্তা দেয়, তবে তা মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
৮. মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার
• জাজপা যদি সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে তাদের বার্তা সঠিকভাবে প্রচার করে এবং মানুষের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে, তবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে পারে।
চ্যালেঞ্জ:
• তবে, জাজপাকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রধান দুই দলের শক্তিশালী অবস্থান, রাজনৈতিক সহিংসতা, এবং দলীয় কাঠামো গড়ে তোলার মতো বিষয়গুলো তাদের জন্য বড় বাধা হতে পারে।
সর্বোপরি, জাজপা যদি সাধারণ মানুষের সমস্যা ও চাহিদাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করে এবং সেগুলো সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে, তবে তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গ্রহণযোগ্য শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপির সাথে জোট করবেন ?

০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১২

রবিন.হুড বলেছেন: না জনাব।এনসিপি জনগণের প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিয়ে বাসুদ এ পরিণত হয়েছে। আমরা দেশপ্রেমিক সংগঠকদের নিয়ে সাধারণ জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য নতুন ধারার রাজনীতি করে সোনার বাংলা গড়তে চাই।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ব্লগ পড়ে মনে হচ্ছে যেন, কেউ হয়তো পড়া মুখস্ত করে, এখানে লেখতে এসেছে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: দেশে আরো হাজার হাজার পার্টিও দল চাই।আঠার কোটি হতে এখনো অনেক বাকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.