নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের মৃতু্্য নেই...তাই স্বপ্ন দেখে যাই...

রহস্য মানব

রহস্য মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘এবার নতুন পথচলা’

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।



বৃহস্পতিবার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি মনে করি ভয়ঙ্কর সব অপরাধে সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। এবং তা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের পথচলা শুরু হলো। এখন আর আমাদের গ্লানি, অপমান নিয়ে এগোতে হবে না।”



মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে একাত্তরে সাঈদীকে পিরোজপুরের মানুষ চিনত ‘দেইল্লা রাজাকার’ নামে। যে ২০টি ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে তার বিচার শুরু হয়েছিল, তার মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে জানানো হয়।



ড. জাফর ইকবাল বলেন, “যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়ে দেশের মানুষের মধ্যে যে হতাশা, ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল, তাতে আমার মতো অনেকের মনেই শঙ্কা ছিল তাদের (জামায়াত-শিবিরের) তাণ্ডবের কারণে সাঈদীর রায়টা দেয়া যাচ্ছে না।



“তবে তরুণ প্রজন্ম গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে সারা দেশকে উজ্জীবিত করেছে। রায় পেয়েছে পুরো বাংলাদেশ। এখন আর রায় নিয়ে কারো মধ্যে বিন্দু মাত্র দ্বিধা থাকার কথা নয়।”



সাঈদীর বিরুদ্ধে ভয়ংকর সব অভিযোগের কথা তুলে ধরে এই শহীদ সন্তান বলেন, “সাঈদীর অপরাধের ব্যপ্তি চরমমাত্রায় ভয়ঙ্কর ছিল, যার নজির সারা বিশ্বেও নেই। নতুন প্রজন্ম ৭১ দেখেনি। আমরা দেখেছি। আমাদের চোখ দিয়ে তারা উপলব্ধি করেছে কী ভয়ঙ্কর ছিল এইসব রাকাজারদের কর্মকাণ্ড।”



একাত্তরে হত্যা করা হয়েছিল জাফর ইকবালের বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদকে।



সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা পাঁচ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পিরোজপুরের তৎকালীন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফ মিজানুর রহমান সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। এটা জানার পর তাকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয় সাঈদী। সাঈদী ও তাঁর সহযোগী শান্তিকমিটির সদস্য মন্নাফ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাসদস্যকে নিয়ে ৫ মে দুপুরে সামরিক যানে করে পিরোজপুর হাসপাতাল যান, যেখানে মিজানুর রহমান লুকিয়ে ছিলেন।



পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে সাঈদীর দলে একজন চিনিয়ে দিয়ে তাকে বলেশ্বর নদের তীরে নিয়ে যান। একই দিনে পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ (লেখক হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের বাবা) এবং ভারপ্রাপ্ত এসডিও আবদুর রাজ্জাককেও কর্মস্থল থেকে ধরে সেখানে নিয়ে আসা হয়। খুনে বাহিনীর একজন সদস্য হিসাবে সাঈদীর উপস্থিতিতে এ তিন বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাকে গুলি করে লাশ বলেশ্বর নদে ফেলে দেওয়া হয়।



সাঈদী সরাসরি এই তিন ব্যক্তির অপহরণ, হত্যায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ আনা হলেও তা প্রমাণিত হয়নি।



এ বিষয়ে ড. জাফর ইকবাল বলেন, “আমি মনে করি বিচারক আবেগের বশবর্তী হয়ে রায় দেননি। সেই সময় দেইল্লা রাজাকার এতোটা পরিচিত ছিলেন না, এখন যতোটা।আমিও তাকে চিনতাম না।”



২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর যুদ্ধাপরাধের মামলার তৃতীয় রায় ছিল সাঈদীর ফাঁসি।

এর আগে প্রথম রায়ে গত ২১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয়।



আর একই ট্রাইব্যুনালে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে তার ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চলছে সারা দেশে।



Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

ধ্রুপদী সত্য বলেছেন: রায় একটাই- ফাঁসি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.