নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাঙ্গাইল জেলার ঐতিহাসিক আতিয়া মসজিদ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১১


আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদটি ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগে স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফার্সি শিলালিপি রয়েছে তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল যত সম্ভবত ১০১৯ হিজরি ১৬১০ সাল থেকে ১১ সাল দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরি বা ১৬০৮ সাল থেকে ৯ সাল উল্লেখ করা হয়েছে।

আরবি আতা থেকে আতিয়া শব্দটির উৎপত্তি যার বুৎপত্তিগত অর্থ হল দান কৃত। আলি শাহান শাহ্‌ বাবা আদম কাশ্মিরী (রঃ) কে সুলতান আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার নিয়োগ দান করলে তিনি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন সে সময় তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য আফগান নিবাসী কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকে সংলগ্ন এলাকা দান বা ওয়াকফ্ হিসাবে লাভ করেন। এবং এই এলাকাটি তাকে দান করায় এই অঞ্চলটির নাম হয়েছে আতিয়া।

পরবর্তীতে বাবা আদম কাশ্মিরীর পরামর্শক্রমে সাঈদ খান পন্নী নামক সুফিজির এক ভক্তকে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গির উক্ত আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই ১৬০৮ সালে বাবা আদম কাশ্মিরীর কবরের সন্নিকটে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালীন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা এবং নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন।

লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার ৫৯ ফুট x ১২.১৯ মিটার ৪০ ফুট এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার সাড়ে ৭ ফুট।এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে।সুলতানি ও মুঘল এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মাণ শৈলীতে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

Al Rajbari বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্টটা।। ধন্যবাদ.!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

নাইম রাজ বলেছেন: সুন্দর শেয়ার ভালো লাগা থাকল।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো পোস্ট।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর হয়েছে পোস্ট ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: সুন্দর প্রচেষ্টা।
আশা করি ভবিষ্যতে এমন অনেক সুন্দর নিদর্শনের বর্ননা তুলে ধরবেন

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । বেঁচে থাকলে তুলে ধরার আশা রাখি।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৪৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লেগেছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগলো পোস্ট

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা আপু ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.