![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝড়, ক্ষরা, জলোচ্ছাস কিংবা ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখিদের ষষ্ঠ ঈন্দ্রিয়ের কথা সবাই জানেন। কিন্তু ফুটবলের মত নান্দনিক খেলাতেও পশু-পাখি’র ষষ্ঠ ঈন্দ্রিয় আসলেই কাজ করে কি! মজার ব্যাপার হচ্ছে পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক মানুষই কিন্তু বিশ্বাস করেন যে ফুটবলেও পশু-পাখি’র ষষ্ঠ ঈন্দ্রিয় কাজ করে। বিস্ময়-অক্টোপাস মিস্টার ‘পল্’ এর কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়। ‘পল্’ সেই অক্টোপাস্ যিনি ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে পরপর আটটি খেলার জয়-পরাজয়ের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এবং ভবিষ্যদ্বাণী গুলোর সবগুলোই পরবর্তীতে শতভাগ সঠিক বলে প্রমানিত হয়েছিলো। আমরা সবাই কম-বেশি ‘পল্’ এর এই কীর্তির কথা জানলেও অনেকেই হয়তো জানি না যে ঠিক কোন পদ্ধতিতে ‘পল্’ সাহেব ভবিষ্যৎ নির্ণয় করতেন। চলুন পদ্ধতিটা জেনে নেয়া যাক;
দুটো পৃথক বাক্সে ‘পল্’ সাহেব কে খাবার দেয়া হত। বাক্স গুলোর গায়ে দুটো প্রতিদ্বন্দ্বী দলের পতাকা আঁকা থাকতো। দুটো বাক্সের মধ্যে যেই বাক্স থেকে ‘পল্’ সাহেব প্রথমে খাদ্য গ্রহণ করতেন, ধরে নেয়া হতো পরবর্তী খেলায় সেই দলই জয়লাভ করবে। এই ছিলো ‘পল্’ সাহেবের ভবিষ্যদ্বাণী করার পদ্ধতি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার মাত্র এক মাস পরেই বার্ধক্য জনিত কারণে জার্মানির একটি অ্যাকুইরিয়ামে এই নির্ভুল গণক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ‘পল্’ এর পরিবর্তে আসন্ন ২০১৪ – ফুটবল বিশ্বকাপের গণক কে হবেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন দেশের নানান প্রানী’র ভবিষ্যৎ গণনা করার ক্ষমতা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গোটা পৃথিবী জুড়ে আয়োজন করা হয়েছে নানান প্রতিযোগিতার। ভবিষ্যৎ গণনা করার এই প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রানী নিজেদের সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এদের মধ্যে ভারতীয় বংশদ্ভুত হাতি ‘চিটা’ অন্যতম। তাঁকে কেউ কেউ ‘চিতা’ বলেও ডাকে। বলে রাখা ভাল, ২০১২ সালের ইউরো-সেমিফাইনালে ‘চিটা’ সফলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ‘চিটা’র সামনে দুটো টেবিলে লেবু রাখা হয় এবং টেবিল গুলোর মধ্যে দুটো দেশের পতাকা আঁকা থাকে। যে টেবিল থেকে ‘চিটা’ প্রথমে লেবু গ্রহণ করে, ধরে নেয়া হয় যে সেই দল খেলায় জয়লাভ করবে। এই মুহূর্তে ‘চিটা’ পোল্যান্ডের ‘ক্র্যাকাউ’ চিড়িয়াখানায় অবস্থান করছেন।
‘চিটা’র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরও আছে সিঙ্গাপোরের দুটি মাছ। এরা ‘বিগ হুয়াট’ এবং ‘স্মল হুয়াট’ নামে পরিচিত। এরাও ইউরো-২০১২ এর পোল্যান্ড বনাম গ্রীস এবং ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স ম্যাচের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলো। এরা এই মুহূর্তে ‘কিয়ান হু’ মৎস্য খামারে অবস্থান করছে। গণক হিসেবে আরও আছেন পোল্যান্ডের শূকর যার নাম ‘ফান্টিক্’। বিশালবপু ‘ফান্টিক’ এর ওজন মাত্র ৮৫০ পাউন্ড।
এছাড়াও ২০১৪ বিশ্বকাপের গণক হিসেবে ‘ফ্রেড্’ (পোল্যান্ড) নামের একটি বেজী, ‘ম্যাগি’ নামের বানর (ক্যানাডা) এবং ‘লাজডেইকা’ নামের একটি কাঁকড়ার নাম বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে। এবং উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকেই অনেক প্রতিযোগিতায় নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে এবং অন্য আরও অনেক পশু-পাখি কে পরাজিত করে গণক খেতাব পেয়েছেন। এদের মধ্যে কে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফলভাবে ভবিষ্যৎ গণনা করতে পারেন সেটা জানার জন্য আমাদের বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সবার বিশ্বকাপ আনন্দ ও উত্তেজনাময় হোক।
"নাঈম অঙ্কন"
২| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:২৬
নাঈম অঙ্কন বলেছেন: বানাতেই পারেন। আমিও নিজেকে জন্তুই মনে করি পংবাড়ী ভাই। আপনার অসাধারণ (!) মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভবিষ্যত বানীতে বিশ্বাস নাই। যে দল ভাল খেলবে সেই জিতবে এটাই বিশ্বাস।
৪| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
নিজাম বলেছেন: বিজ্ঞানের এই চরম উন্নতির যুগে এহেন বোকামীর কী কারণ থাকতে পারে। নিম্ন শ্রেণীর প্রাণী যাদের সামান্যতম বিচার-বুদ্ধি নেই সেই সব নির্বোধ প্রাণী ভবিষ্যতবানী করবে এটা এই যুগে বিশ্বাসযোগ্য? দুটি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে যে কোন একটি দলের জয়ের সম্ভাবনা ৫০%। অর্থাৎ চোখ-কান বন্ধ করে বললেও আপনার ভবিষ্যতবানী সঠিক হবার সম্ভাবনা ৫০%। এটা সবাই করতে পারে।
৫| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
পংবাড়ী বলেছেন: মানুষের এনালাইসিস ক্ষমটা অক্টোপাস থেকে মিলিয়ন টাইমস বেশী।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৩০
পংবাড়ী বলেছেন: এবার আপনাকে বানাই, বাংলাদেশ গিনিজ বুকে উঠুক!