নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাকনা জীবন,যাচ্ছে যখন,নির্ভাবনার নাটাই হাতে...

ভালো মানুষ হতে চাই"-উত্তরটা এমনি ছিল। ছোট্ট একটা মুখ থেকে এমন উত্তর পেয়ে নিজেকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করালাম,কীসের পেছনে ছুটছি এতো!! মানসশৈত্যজবিভবলব্ধতাড়নাপ্রসূতজান্তবপ্রবৃত্তিহেতু এক নিঃস্বপ্ননিদ্রাভিলাষী

নাসিফ নীরব

যে তোরে পাগল বলে, তারে তুই বলিস নে কিছু,,, কালকে প্রেমে আসবে নেমে,করবে সে তার মাথা নিচু :p -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিন ঘুমের মধ্যে কে যেন ০ দিয়ে ভাগ করে দিয়েছে :( মানসশৈত্যজবিভবলব্ধতাড়নাপ্রসূতজান্তবপ্রবৃত্তিহেতু এক নিঃস্বপ্ননিদ্রাভিলাষী আমি একজন স্বপ্নবাদী।তাই সব স্বপ্ন বাদ। অন্যের স্বপ্নের কথা বলি। আমার স্বপ্ন,চারপাশের মানুষের স্বপ্ন... ....কখনো কখনো অনেকের স্বপ্ন নিজের বলে চালিয়ে দেই। যাকনা জীবন,যাচ্ছে যখন,নির্ভাবনার নাটাই হাতে... There is no greater asset in life than the possession of a fearless mind. নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে জীবনে আর কোন বড় সম্পদ নেই

নাসিফ নীরব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রংধনুর সাত কহন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০৫







খালি চোঁখে সুর্যের আলো সাদা দেখালেও আসলে কিন্তু তা সাতটি রঙ নিয়ে তৈরী। সাতরাঙ্গা আলো মিলে সাদা আলো হবার এই ঘটনা, ১৬৬৬ সালে সর্ব প্রথম চোখে পড়েছিল পদার্থবিজ্ঞানের মহামহামহারথী স্যার আইজ্যাক নিউটনের চোঁখে। কাঁচের একটা প্রিজম দিয়ে তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন যে সুর্যের আলো আসলে বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা আর লাল রঙের একটা মিশ্রণ।

[ এই সাতটা রঙের নাম এভাবে মনে রাখা যায় - "বেনীআসহকলা"। এইখানে, "বে" মানে হল বেগুনী, "নী" মানে নীল, "আ" মানে আসমানী, "স" মানে সবুজ, "হ" মানে হলুদ, "ক" মানে কমলা আর "লা" মানে হল লাল। সবগুলো রঙের প্রথম অক্ষরটাকে নিয়ে একসাথে করে একটা শব্দ বানিয়ে নেয়া আরকি! ইংরেজীতেও একইভাবে বলা যায় -"VIBGYOR"।]



আচ্ছা, বুঝলাম, নিউটন প্রিজম দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে সুর্যের আলো আসলে সাতটা ভিন্ন ভিন্ন রঙের একটা মিশ্রণ। কিন্তু, প্রিজম জিনিষটা কি??? আর এই প্রিজম বেটার কিভাবে সুর্যের আলোকে এইভাবে ভেঙ্গে-চূরে খান হান করে দেয়???



আসলে, মোটামুটিভাবে প্রিজম হল বিশেষভাবে একটার সাথে আরেকটা লাগানো কয়েকটা সমতল কাচ। তিনটা আওয়তাকার আর দুইটা ত্রিভুজাকার সমতল কাচের তৈরী স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে প্রিজম বলে। খেয়াল করুন, একটা প্রিজমে মোট ৫ টা সমতল থাকে!! এইখানে প্রিজমের একটা ছবি শেয়ার করলাম।



চোঁখের সামনে একটা প্রিজম নিয়ে এর ভেতর দিয়ে কোন কিছু দেখলে সেটাকে নানা রঙের দেখায়। কিন্তু, প্রিজমের মাঝে এই ঘটনাটা কিভাবে ঘটে?

ধরা যাক, একটা আলোকরশ্মি প্রিজমের একটা তলে এসে পড়ল। আলোকরশ্মিটা এই তলে পড়ে বেঁকে এর অন্যদিকের তলের দিকে ঘুড়ে যায়। কিন্তু, আলো তো সবসময় সোজা রাস্তায় চলতে চায়। তাকে জোর করে এক পথ থেকে অন্য পথে নিলে তার ব্যত্যয় (Deviation) দেখা যায়। এই ব্যত্যয়কেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় "প্রতিসরণ" না Reflection।

আগেই বলেছি, সাদা আলো আসলে হল সাতটা ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গের একটা সমষ্টি। এই সাত আলোকরশ্মি প্রিজমের তলে এসে পড়লে এটা বেঁকে গিয়ে অন্য পাশের তলে গিয়ে পড়ে। এই তল দিয়ে বের হয়ে যাবার সময় বিভিন্ন বর্ণের আলো বিভিন্ন কোণ করে বের হয়ে যায়। ফলে, বিভিন্ন রঙের আলোগুলো একটা আরেকটা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

এইখানে একটা কথা আগে বলে রাখি, আলো তো এক প্রকার শক্তি! আর কথায় আছে, "জোর যার, মুল্লুক তার।" আলোর জন্যেও সেইম কাহিনী। যে আলোর শক্তি যত বেশী, তাকে জোর করে এক পথ থেকে অন্য পথা ঘুড়িয়ে দিলে তার ব্যত্যয় হয় তত কম। আর আলোর বিভিন্ন বর্ণও এর শক্তির উপর ডিপেন্ড করে। যেমন, যে আলোর শক্তি সবচেয়ে বেশী, তার বর্ণ হল লাল। আবার যে আলোর শক্তি সবচেয়ে কম, তার বর্ণ হল বেগুনী। তার মানে কি দাড়াল? আমি যদি লাল আলোকে এর পথ থেকে সড়িয়ে দেই, তাহলে এর ব্যত্যয় যতটুকু হবে, তার চেয়ে একইভাবে যদি বেগুনী আলোকে সড়াতে চাই, ব্যত্যয় হবে কম। তার মানে, একসাথে অনেকগুলো আলোকে নিয়ে যদি একসাথে এদের সবাইকে ঘাড় ধরে অন্য পথে আমি সড়িয়ে দিতে চাই, সবাই কিন্তু এক দিকে যাবে না!! এরা আলাদা আলাদা দিকে সরে যাবে!! এই কারণেই সাদা আলো প্রিজমের মাঝ দিয়ে যাবার সময় বিভিন্ন রঙ্গে ভাগ হয়ে যায়!



আলোর বিভিন্ন রঙ্গেরা আলাদা হয়ে পাশাপাশি থেকে একটা মজার জিনিষ তৈরী করে। এই মজার জিনিষটার নাম হল বর্ণালী বা Spectrum। ছবিটার দিকে তাঁকান, প্রিজম থেকে আলোর গুলো বের হয়ে পাশাপাশি থেকে যে জিনিষটা দেখা যাচ্ছে, সেটাই হল বর্ণালী। আলোর এইভাবে ভাগ হয়ে যাওয়াটাকে বলে আলোর বিচ্ছুরণ বা Dispersion of Light। আমরা যে রংধনু আকাশে দেখতে পাই, তা এই আলোর বিচ্ছুরণের ফলেই সৃষ্টি হয়। রংধনুতে বর্ণালীর এই সাতটি রংকেই আমরা পাশাপাশি দেখতে পাই। আগেই বলেছি, লাল রঙের শক্তি অনেক বেশী। তাই রংধনুতেও সে থাকে সবার উপরে! আর বেগুনী আলো বেচারার শক্তি কম বলে এইখানেও সেই থাকে সবার নিচে [ :( :( ]! অন্য আলোগুলোও এইভাবে তাদের শক্তির কম-বেশী হিসেব করে উপরে নিচে জায়গা করে নেয়।

খালি চোঁখে সুর্যের আলো সাদা দেখালেও আসলে কিন্তু তা সাতটি রঙ নিয়ে তৈরী। সাতরাঙ্গা আলো মিলে সাদা আলো হবার এই ঘটনা, ১৬৬৬ সালে সর্ব প্রথম চোখে পড়েছিল পদার্থবিজ্ঞানের মহামহামহারথী স্যার আইজ্যাক নিউটনের চোঁখে। কাঁচের একটা প্রিজম দিয়ে তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন যে সুর্যের আলো আসলে বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা আর লাল রঙের একটা মিশ্রণ।

[ এই সাতটা রঙের নাম এভাবে মনে রাখা যায় - "বেনীআসহকলা"। এইখানে, "বে" মানে হল বেগুনী, "নী" মানে নীল, "আ" মানে আসমানী, "স" মানে সবুজ, "হ" মানে হলুদ, "ক" মানে কমলা আর "লা" মানে হল লাল। সবগুলো রঙের প্রথম অক্ষরটাকে নিয়ে একসাথে করে একটা শব্দ বানিয়ে নেয়া আরকি! ইংরেজীতেও একইভাবে বলা যায় -"VIBGYOR"।]



আচ্ছা, বুঝলাম, নিউটন প্রিজম দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে সুর্যের আলো আসলে সাতটা ভিন্ন ভিন্ন রঙের একটা মিশ্রণ। কিন্তু, প্রিজম জিনিষটা কি??? আর এই প্রিজম বেটার কিভাবে সুর্যের আলোকে এইভাবে ভেঙ্গে-চূরে খান হান করে দেয়???



আসলে, মোটামুটিভাবে প্রিজম হল বিশেষভাবে একটার সাথে আরেকটা লাগানো কয়েকটা সমতল কাচ। তিনটা আওয়তাকার আর দুইটা ত্রিভুজাকার সমতল কাচের তৈরী স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে প্রিজম বলে। খেয়াল করুন, একটা প্রিজমে মোট ৫ টা সমতল থাকে!! এইখানে প্রিজমের একটা ছবি শেয়ার করলাম।



চোঁখের সামনে একটা প্রিজম নিয়ে এর ভেতর দিয়ে কোন কিছু দেখলে সেটাকে নানা রঙের দেখায়। কিন্তু, প্রিজমের মাঝে এই ঘটনাটা কিভাবে ঘটে?

ধরা যাক, একটা আলোকরশ্মি প্রিজমের একটা তলে এসে পড়ল। আলোকরশ্মিটা এই তলে পড়ে বেঁকে এর অন্যদিকের তলের দিকে ঘুড়ে যায়। কিন্তু, আলো তো সবসময় সোজা রাস্তায় চলতে চায়। তাকে জোর করে এক পথ থেকে অন্য পথে নিলে তার ব্যত্যয় (Deviation) দেখা যায়। এই ব্যত্যয়কেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় "প্রতিসরণ" না Reflection।

আগেই বলেছি, সাদা আলো আসলে হল সাতটা ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গের একটা সমষ্টি। এই সাত আলোকরশ্মি প্রিজমের তলে এসে পড়লে এটা বেঁকে গিয়ে অন্য পাশের তলে গিয়ে পড়ে। এই তল দিয়ে বের হয়ে যাবার সময় বিভিন্ন বর্ণের আলো বিভিন্ন কোণ করে বের হয়ে যায়। ফলে, বিভিন্ন রঙের আলোগুলো একটা আরেকটা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

এইখানে একটা কথা আগে বলে রাখি, আলো তো এক প্রকার শক্তি! আর কথায় আছে, "জোর যার, মুল্লুক তার।" আলোর জন্যেও সেইম কাহিনী। যে আলোর শক্তি যত বেশী, তাকে জোর করে এক পথ থেকে অন্য পথা ঘুড়িয়ে দিলে তার ব্যত্যয় হয় তত কম। আর আলোর বিভিন্ন বর্ণও এর শক্তির উপর ডিপেন্ড করে। যেমন, যে আলোর শক্তি সবচেয়ে বেশী, তার বর্ণ হল লাল। আবার যে আলোর শক্তি সবচেয়ে কম, তার বর্ণ হল বেগুনী। তার মানে কি দাড়াল? আমি যদি লাল আলোকে এর পথ থেকে সড়িয়ে দেই, তাহলে এর ব্যত্যয় যতটুকু হবে, তার চেয়ে একইভাবে যদি বেগুনী আলোকে সড়াতে চাই, ব্যত্যয় হবে কম। তার মানে, একসাথে অনেকগুলো আলোকে নিয়ে যদি একসাথে এদের সবাইকে ঘাড় ধরে অন্য পথে আমি সড়িয়ে দিতে চাই, সবাই কিন্তু এক দিকে যাবে না!! এরা আলাদা আলাদা দিকে সরে যাবে!! এই কারণেই সাদা আলো প্রিজমের মাঝ দিয়ে যাবার সময় বিভিন্ন রঙ্গে ভাগ হয়ে যায়!



আলোর বিভিন্ন রঙ্গেরা আলাদা হয়ে পাশাপাশি থেকে একটা মজার জিনিষ তৈরী করে। এই মজার জিনিষটার নাম হল বর্ণালী বা Spectrum। ছবিটার দিকে তাঁকান, প্রিজম থেকে আলোর গুলো বের হয়ে পাশাপাশি থেকে যে জিনিষটা দেখা যাচ্ছে, সেটাই হল বর্ণালী। আলোর এইভাবে ভাগ হয়ে যাওয়াটাকে বলে আলোর বিচ্ছুরণ বা Dispersion of Light। আমরা যে রংধনু আকাশে দেখতে পাই, তা এই আলোর বিচ্ছুরণের ফলেই সৃষ্টি হয়। রংধনুতে বর্ণালীর এই সাতটি রংকেই আমরা পাশাপাশি দেখতে পাই। আগেই বলেছি, লাল রঙের শক্তি অনেক বেশী। তাই রংধনুতেও সে থাকে সবার উপরে! আর বেগুনী আলো বেচারার শক্তি কম বলে এইখানেও সেই থাকে সবার নিচে [ :( :( ]! অন্য আলোগুলোও এইভাবে তাদের শক্তির কম-বেশী হিসেব করে উপরে নিচে জায়গা করে নেয়।







লেখাটি আমার এক কাছের ছোট ভাই লিখেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৫

ভাইরাস২০১২ বলেছেন: অসাধারন লেখা।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১১

নাসিফ নীরব বলেছেন: ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.