![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ অনেকের ভীড়ে আমরা অনেক অকুতোভয় মর্দে মুজাহিদ শহীদের ভুলতে বসেছি।তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন"শহীদ ডাঃ ফয়েজ আহমেদ।" এদেশের ইসলামী আন্দোলনের বিশেষ করে কোরানের কর্মী রাসূলের সৈনিক এর জন্য আজীবন প্রেরণা উৎস হয়ে থাকবে।দেখতে দেখতে তারও শাহাদাতের ৩ বছর পার হয়ে গেল। শহীদ কাদের মোল্লা ভাই কে বিচারিক হত্যার ঠিক দুই দিন পর যাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে নিষ্ঠুর পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়।বাচতে দেওয়া হয়নি জাতি,ধর্ম,বর্ণ, দল,মত, নির্বিশেষে লক্ষীপুরের জনপ্রিয় এই নেতাকে।যিনি ডাক্তার হিসেবে যখন মানুষকে সেবা দিতেন তখন দেখতেন না সে আওয়ামীলীগ, বি এন পি,হিন্দু না মুসলিম।সংগঠনের দায়িত্বশীল হিসেবে যখন কোন আহত,অসহায়,রক্তাক্ত দ্বীনি ভাই তার কাছে চিকিৎসার জন্য আসতেন তখন হেকমত কথা বলে তাদের দূরে ঠেলে দিতেন না।ববং নিজের জীবনের চরম ঝুকি,হুমকি স্বত্তে ও তাদের সেবা দিতেন।(পরে অবশ্য জানা যায় ২ দিন আগে শিবিরের দুই মুমূর্ষু ভাইকে চিকিৎসা দেওয়াই তার শাহাদাতের অন্যতম কারণ)।যিনি এমন একজন দায়ী ইল্লাল্লাহ ছিলেন যার দাওয়াতী বই গুলো লক্ষীপুরের সকল মানুষের ঘরে ঘরে শোভা পেত। এ কারণে দেখা গিয়েছিল তার শাহাদাতের পর দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষকে আহাজারি করতে,সরকারের রক্ত চুক্ষুকে উপেক্ষা করে তার জানাজায় হাজার মানুষের ঢল নামতে,পরের দিন পুরো জেলায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষকে হরতাল পালন করতে।তার হত্যার মূল মদদদাতা সেই সময়কার র্যাবের C O তারেক সাইদকে ও আল্লাহ ছেড়ে দেন নি।সে এখন সাত খুনের মামলায় সম্ভাব্য (ফাসির) আসামী হিসেবে কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। আসলে শহীদরা মরে না।তারা অমর।তারা আজীবন জীবিতের অন্তরে হয়ে থাকেন প্রেরণার উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে।
©somewhere in net ltd.