![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বদলেছে জীবনের গতিবিধি।যুগের হাওয়ায় পাল্টে গেছে মানুষের চিন্তা চেতনা ।সময়ে সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে মানুষ একেবারেই যান্ত্রিক।ডিজিটাল যুগে মানুষ পরিণত হয়েছে রোবটে।হারিয়ে গেছে মায়া,মমতা,প্রেম,প্রীতি,ভালবাসা,সহানুভূতি আর মূল্যবোধ।হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের মাঝে অসহায় অবস্হায় করুন দৃষ্টিতে উর্ধ্ব পানে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশের অসংখ্য কন্যাদায়গ্রস্হ পিতা।এটাই যেন নিয়তি।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি এটা সর্বজন বিধিত।তাই যৌতুক নিরসন কল্পে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।এ ব্যাপারে সরকারের সচেতনতারও কমতি নেই।”যৌতুক বন্ধ কর”এই স্লোগানে সোচ্চার সমগ্র দেশবাসী।”যৌতুক দেয়া নেওয়া অপরাধ”এই কথায় বেশ পারদর্শী দেশের আইন বিভাগ।এত সচেতনতার মাঝেও যৌতুক নামক শব্দটির বেশ দৃঢ় অবস্হান কেননা নিজস্ব গতিতে,নিজস্ব ধারায় সে প্রবল বেগে বহমান।
পাত্রপক্ষকে তুষ্ট করতে তার থাকে পূর্ণ অবদান।তাইতো “যৌতুক” নামক শব্দটি পাত্রীর থেকেও পায় বেশী সম্মান।গলা ছেড়ে বলতে হচ্ছে সত্যি স্যালুকাস কি বিচিত্র এ দেশ বিবাহ নামক সম্পর্কের মাঝে সেতু হয়েছে কৌতুক করার মত নাম যৌতুক।
যৌতুকের শ্রেণী বিন্যাস আর পর্যায়ক্রমে তার বির্বতনের ইতিহাস বলতে গেলে লজ্জায় আসে চোখে জল।তবুও বলছি যৌতুকের করুন কাহিনী।শুরু করছি প্রাচীণ যুগ দিয়ে,প্রাচীণ যুগের মানুষ যদিও ছিল সহজ সরল তথাপি “যৌতুকের “ ব্যাপারে ছিল বড়ই গরল।বিয়ে মানেই পাত্রীর সাথে চাই ঘড়ি,রেডিও আর বাইসাইকেল।মধ্যযুগের পাত্ররা এগিয়ে গেল আর এক ধাপ বিয়েতে চাই কালার টিভি,ফ্রিজ আর ভিসিয়ার।মন্দ হয় না সাথে থাকে যদি মোটরগাড়ি।এটাই হলো দেশের প্রচলিত বিবাহের রীতি।এবার আসা যাক বর্তমান অর্থাৎ ডিজিটাল যুগে।এই যুগে যৌতুক সেজেছে অপরুপ সাজে আর এই অপরুপ সাজকে পাত্রপক্ষ শোভা মন্ডিত করছে এভাবে.....’পাত্র পক্ষ বলে চাই না কোন যৌতুক’।যৌতুক আদান-প্রদান দু’ই অপরাধ ।শুধু বোনাস হিসেবে পাত্রীর সাথে চাই আধুনিক ফার্নিচার সজ্জিত একটা ফ্লাট,পাত্রী যেহেতু আপনাদের মেয়ে তাকে সাজিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের ,সাথে যদি গাড়ি থাকে তবে মন্দ হয় না।এইতো হলো সমাজের চিত্র মাছের বাজারের মত দর কষাকষি করে আমাদের দেশের পাত্রীদের বসতে হয় বিয়ের পীড়িতে। কোন কোন ক্ষেত্রে যৌতুকের টাকা জোগাড় না করতে পারলে ভেঙ্গে যায় বিয়ে।আবার কখনও কখনও প্রাণ দিতে হয় আমাদের দেশের নিরীহ মেয়েদের।কখনও বা বিয়ের পর সংসার ভেঙ্গে যায় শুধু মাত্র যৌতুকের কারনে।যৌতুক শুধু সামাজিক ব্যাধি নয় সত্যিকার অর্থে এটি লজ্জাজনক এবং হৃদয়বিদারক একটি শব্দ ।এই শব্দটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সভ্য সমাজের মানুষেরই কাম্য।
যৌতুক নিয়ে লিখতে গেলে রাত ভোর হয়ে যাবে,পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হবে কিন্তু কাহিনী হবে না শেষ তাই আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিধি থেকে এটাই বলতে চাই বিয়ে নামক শব্দের সাথে যেখানে জড়িয়ে থাকে দু’টি পরিবার আর দু’টি মানুষের সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,মায়া-মমতা সেখানে যৌতুক নামক শব্দের কেন এত কঠোরতা?পাত্র পক্ষের কাছে আমার কঠিন আবেদন’যৌতুক নামক ঘৃণ্য শব্দকে না বলুন,দেশে যৌতুক নিয়ে যে সমস্ত কৌতুক হয় তা বিরুদ্ধে সোচ্চার হউন,যৌতুকের করাল গ্রাস থেকে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাদের মুক্তি দিন,পাত্রীদের পণ্য না ভেবে মানুষ ভাবুন ।যৌতুককে ডাষ্টবিনে ফেলে যৌতুক বিহীন সুখী সংসার গড়ুন আর দেশ ও দশের মঙ্গল করুন।
©somewhere in net ltd.