নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবাক চোখে দেখি বিস্ময়কর বাংলাদেশ

নাসিরন আক্তার

লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।

নাসিরন আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ গুনে গুনী মহিমায় মহিয়সী(পর্ব-১১)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

”শিয়ালজানি” খাল খনন কর্মসূচিকে স্বেচ্ছাশ্রমে সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন কল্পে যতগুলি পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছিলেন তার সব গুলো কার্যক্রম ই সুনিপুণভাবে দক্ষতার সাথে সফলতা পাবার পর তিনি বুঝতে পারলেন মোহনগঞ্জবাসীকে নিয়ে এবার খাল খনন করার দিন তৈরি হয়ে গেছে। পুরো মোহনগঞ্জবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষ,সাংস্কৃতিক সংগঠন,আনসার,পুলিশ,এন.জি.ও,সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী,স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,সাংবাদিক,ব্যবসায়িসহ সুশীল সমাজের সকলে এক হয়ে হাতে হাত রেখে খাল খননে উদ্যোগী হলেন।দিনটা ছিল ২০০৯ সালের ২১ শে জুলাই।আনন্দঘন পরিবেশে কাজী আবেদ হোসেনের নেতৃত্বে পুরো মোহনগঞ্জবাসী এগিয়ে চলছে” শিয়ালজানির ”দিকে।সকলের চোখে-মুখে আনন্দের জোয়ার,আজ তারা জয় করবে” শিয়ালজানি ”খাল।৯০ফুট চওড়া শিয়ালজানির উৎস মুখ ভরাট হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৬ফুটে আজ তারা তাকে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর তার পূর্বের রূপে।এই মহতী কার্যক্রমটি দেখতে ছুটে এল দূর-দূরান্তের লোকজন।শুধু তা-ই নয় এ দিনটিতে সক্ষম কোন নারী-পুরুষ ঘরে ছিল না।সবাই জড় হলো শিয়ালজানির পাড়ে।কাজী আবেদ হোসেন যখন শিয়ালজানির পাড়ে পুরো মোহনগঞ্জবাসীকে নিয়ে উপস্থিত হলেন তখন সৃষ্টি হল এক অদ্ভূত পরিস্থিতি।খালটি এত পরিমাণ ময়লা দিয়ে ঠাসা ছিল যে তার দূর্গন্ধে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা দায় ছিল।খাল খননে সবাই উদ্দমী কিন্তু খালের ভেতর নামতে সবারই আছে যথেষ্ট গড়িমসি।গ্রামবাসীর এই মনোভাব দেখে তিনি ভাবলেন এদের অপেক্ষায় থাকলে এত দিনের পরিশ্রম একদিকে যেমন বৃথা হবে,অন্যদিকে তেমনি স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও খালটি তার পুনদ্ধারের মুখ দেখতে পাবে না ।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে দেশের কথা ভেবে কোদাল হাতে তিনি সবার প্রথম নেমে গেলেন খালের মাঝে।খালের ভেতর কোদাল চালাতেই বিশ্রী গন্ধে তার গা গুলিয়ে এল।তবুও তিনি হাল ছাড়লেন না বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভেবে সর্বোচ্চ চেষ্টায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেন।তার এই কর্ম দেখে জনগণ নিজেদেরকে আর ধরে রাখতে পারল না ।পঙ্গ পালের মত খালের মাঝে নেমে এল মানুষের ঢল।পুরো খাল রূপ নিল বিশাল জনসমুদ্রে।এগিয়ে চলল খাল খননের কাজ।এবার নিজেদের উদ্যেগে খাল ভরাট কারী অবৈধ স্থাপনার মালিকগণ তাদের স’মিল,চাতাল,বাড়ি-ঘর উচ্ছেদ করতে লাগল।এক দিকে চলছে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল-খনন অন্যদিকে চলছে অবৈধ স্থাপনার মালিকগণের নিজ উদ্যেগে নিজেদের সম্পত্তির উচ্ছেদ অভিযান। এ যেন রংয়ের তুলিতে বাস্তবতার নিরিখে অনিন্দন এক প্রতিচ্ছবি ।সবাই যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত দেশের বীরসন্তান।চেপে যাওয়া ৬কি.মিটারের উৎস মুখ পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে যেন উন্মুক্ত হতে লাগল মোহনগঞ্জবাসীর স্বার্থে।নিঃস্বার্থ আবেদ হোসেন ভাবছেন,”এ জনমে শিয়ালজানি থাকবে তুমি আমার স্মরণে,পরজনমে আমি গা ভাসাব তোমার স্নিগ্ধ সুশীতল জলে,যখন আসব ফিরে আমি তোমার তরে,দেখতে যেন পাই ভরা যৌবণ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছ অহংকারে মোহনগঞ্জবাসীর মুখ উজ্জ্বল করে”।









(চলবে)





[তথ্যসূত্র লেখণীর শেষপর্বে প্রকাশ করা হবে।]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.