![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক হতে চাই না লিখতে চাই মানুষের জন্য,দেশের জন্য ।বাঁচতে চাই মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিয়ে।ব্লগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের কথা ছড়িয়ে দিতে চাই আমার সকল ব্লগার ভাই-বোনদের মাঝে।কথা দিয়ে নয় দৃশ্যমান কিছু করে দেখাতে চাই ব্লগার ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগীতা নিয়ে।
ভরাট কন্ঠে গম্ভীরভাবে একটা ফোন এল স্যার আপনি কি আমাকে বাঁচাতে পারবেন? কিছুক্ষণ নিশ্চুপ...............কাজী আবেদ হোসেন হ্যালো হ্যালো করে যাচ্ছেন ৷স্যার আপনি আমাকে সম্ভবত আর বাঁচাতে পারবেন না ৷তখন তিনি বললেন সমস্যাটা আপনি বলুন দেখি আমি কি করতে পারি?তখন অস্পষ্ট ভাবে বোঝা গেল বাসষ্ট্যান্ড এর কাছেই আছি আর তখনই লাইন টা কেটে গেল ৷মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারে বসে তিনি কথা বলছিলেন এ রকম অদ্ভূত একটা ফোনে তিনি একদিকে যেমন চিন্তিত হলেন তেমনি অন্যদিকে রহস্যের গন্ধও খুঁজে পেলেন ।তাই সময় অপচয় না করে তিনি বেরিয়ে পড়লেন।পাঠাগার থেক বাসষ্ট্যান্ডের দূরত্ব ছিল মাত্র ৫মিনিটের পথ।তাকে যাতে কেউ দেখতে না পায় সেজন্য নিজেকে অনেকটা আড়াল করে মোবাইলে কথা বলতে বলতে তিনি মোহনগঞ্জ- নেত্রকোনা সড়ক ধরে এগুচ্ছিলেন আর চার পাশ লক্ষ্য করছিলেন কোথাও কিছু দেখা যায় কি না?বাসষ্ট্যান্ডের কাছেই সেদিন সার্কাস চলছিল তাই ভীড়ও ছিল অনেক ।ভীড়ের পাশ কাটিয়ে কিছু দূর যেতেই দেখতে পেলেন একটা সরু স্বচ্ছ পথ।পথটা দেখে তার সন্দেহ হল ।চারপাশে বাঁশ ঝাড়,গাছ-গাছালি দিয়ে ঘেরা তার মাঝে এত স্বচ্ছ একটা পথ?তিনি সার্কাসে কর্তব্যরত ২জন পুলিশকে তার সাথে নিলেন ।তাদেরকে বললেন আপনাদের আমার সাথে আসার দরকার নেই বরং আপনারা আমাকে অনুসরণ করে আমার পেছন পেছন আস্তে আস্তে আসুন।তিনি একা একা সামনে এগুতে লাগলেন ।তিনি লক্ষ্য করলেন গ্রামের পাশে গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন একটা বাড়ি।মাটির দেয়াল ৩-৪টা ঘর দেখে মনে হচ্ছে জনমানব শূন্য।ঘর-বাড়ি দেখলে মনে হয় কোন মতে দিন চলে।বাড়ির আঙ্গিনাটা বেশ ঝকঝকে পরিষ্কার।কোথাও এক বিন্দু ময়লা নেই।তিনি বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছিলে ।হঠাৎ তার নজরে এল আঙ্গিনার এক পাশে একটা উনুন জ্বলছে।তিনি এগিয়ে গিয়ে দেখলেন উনুনের মুখে একটা পোড়া লাকড়ির অংশ বিশেষ যা জ্বলন্ত আছে।দেখে মনে হচ্ছে এইমাত্র কেউ রান্না শেষ করে গিয়েছে।কিন্তু কোথাও কোন সাড়া -শব্দ নেই।ঘরগুলোর দরজা চাপানো অবস্হায় ছিল।তিনি ঘর গুলির নিকট গেলেন।হাত দিয়ে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেল।তিনি দেখলেন ঘরে কেউ নেই।এভাবে যে ঘরে হাত দেন সে ঘরের দরজা খুলে যায় কিন্তু ভেতরটা একদম জন মানব শূন্য।অবশেষে শেষ ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতেই তিনি দেখলেন ৩টি মহিলা একদম গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসে আছে।কাজী আবেদ হোসেনকে দেখে তারা খুব একটা বিচলিত হয়েছে বলে মনে হল না।
(চলবে)
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
খাটাস বলেছেন: গল্পের শুরু টা বেশ আকর্ষণীয়। চলুক।
শুভ কামনা নাসরিন আপু।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
নাসিরন আক্তার বলেছেন: জ্বী,ভাইয়া ধন্যবাদ।এটা কোন গল্প নয় বাস্তব ঘটনা।কাজী আবেদ হোসেনের সঙ্গে আমি আপনাদেরকে পূর্বেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছি।তিনি দেশের সেবায়, মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ।ব্লগে প্রকাশিত আমার লেখা নিজ গুনে গুণী মহিমায় মহিয়সী সিরিজগুলি পড়লে বুঝতে পারবেন।কাজী আবেদ হোসেন [এ.ডি.সি রেভিনিউ,কিশোরগঞ্জ]।ঘটনার সময় তিনি ছিলেন নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।আবারো ধন্যবাদ আমার লেখার সাথে থাকুন।
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
স্বপনচারিণী বলেছেন: ঘটনা কী? খুব আগ্রহী হয়ে উঠছি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
নাসিরন আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ।আপনার এবং আপনাদের সবার আগ্রহ পূরণের জন্য আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি।১০০%সত্যি ঘটনার আলোকে লিখছি।সাথেই থাকুন।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: টানটান উত্তেজনায় প্রথম পর্বটা শেষ করলাম। দেখি পরেরটায় কি আছে......।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
নাসিরন আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ।শুধুই টানটান উত্তেজনা নিয়ে পড়লেই চলবে না ।টানটান উত্তেজনার সাথে দেশকে হৃদয়ের অনুভূতি দিয়ে লালন করতে হবে।আমাদের তরুণ সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে দেশের কাজে,দশের কাজে।পুরো দেশ তথা জাতিকে উপহার দিতে হবে দৃশ্যমান কোন কর্ম।এখন থেকেই এটা হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
িটউব লাইট বলেছেন: চলুক।।।।।।।