নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো আলোর পথে...

নতুন-আলো

আলো আসবেই

নতুন-আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বভাবসম্মত নারী জীবন

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০০




নারী অর্ধেক মানবতা। পুরুষ মানবতার মাত্র একাংশের প্রতিনিধি। অপর অংশের প্রতিনিধিত্ব করে নারী। তাই নারী সমাজকে বাদ দিয়ে মানব জাতির যে পরিকল্পনাই রচিত হবে, তা অনিবার্যভাবে হবে অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ। কেবল পুরুষ সমন্বয়ে গঠিত কোন মানব সমাজের-যেখানে নারীর প্রয়োজনই নেই-কল্পনাও করা যায় না। কেননা নর ও নারী পরস্পর সম্পূরক, পরস্পর নির্ভরশীল। না নারী পুরুষ ছাড়া চলতে পারে, না পুরুষ পারে নারীবিহীন হয়ে থাকতে। এই মুখাপেক্ষিতা ও নির্ভরতা সামাজিক, জৈবিক ও মনস্তাত্ত্বিক সর্বদিক দিয়ে। সামষ্টিক জীবনের দাবি হল, নারী পুরুষ পায়ে পা মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। অপরদিকে স্বভাবগত যৌনস্পৃহার চাহিদা হচ্ছে, নারী ও পুরুষ পরস্পরের নিকট হতে শান্তি, স্বস্তি, তৃপ্তি ও সার্থকতা লাভ করবে।

বস্তুতঃ সামষ্টিক জীবনের সুষ্ঠতা ও উন্নতি একান্তভাবে নির্ভর করে নারী পুরুষের মাঝে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক যথার্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন সম্পর্কও যথার্থ ও পবিত্র হওয়ার ওপর। নারীর চেষ্টা সাধনায় যে ত্রুটি ও অপূর্ণতা থেকে যাবে, পুরুষ তা কানায় কানায় পূর্ণ করে দেবে। পক্ষান্তরে যে ত্রুটি বিচ্যূতি ও অপূর্ণতা থাকবে পুরুষের দায়িত্ব পালনে, তার পরিপূরণে এগিয়ে আসবে নারী। নারী পুরুষের যৌন সম্পর্ক তার স্বভাবসম্মত সীমার মধ্যে সীমিত থাকবে এবং নিছক স্বাদ-আস্বাদন ও লালসা চরিতার্থকরণের উপায় হিসেবেই তা গ্রহণ করা যাবে না। এটাই সর্বতোভাবে যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত।

নারী পুরুষের সামাজিক সম্পর্ক যদি ভারসাম্যহীন হয় এবং তাদের পারস্পরিক যৌন সম্পর্ক উচ্ছৃঙ্খলতায় আকীর্ণ হয়ে উঠে, তাহলে গোটা মানব সমাজই সর্বাত্মক ভাঙন ও বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়াবে। কেননা, এই ভারসাম্যহীনতার পরিণামে সামষ্টিক জীবনের অনেকগুলি দিক শূণ্য থেকে যাবে আর অনেকগুলো দিকের ওপর অস্বাভাবিক ও অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ব আরোপিত হবে। এই দুটো অবস্থাই সুষ্ঠু সমাজ জীবনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনুরূপভাবে যৌন সম্পর্ক শৃঙ্খলাহীন হয়ে গেলে সমাজ-সংস্থা ভাঙন ও বিপর্যয়ের শিকার হবে অথবা যৌন সম্পর্ক সম্পূর্ণ পরিহার করার প্রবণতা সমাজে সাধারণভাবে প্রবল হয়ে দেখা দেবে। যে-সব জাতির জীবনে, যৌন উচ্ছৃঙ্খলতা ব্যাপক ও মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়, সে সব জাতি বেশী দিন পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারে না। পক্ষান্তরে যৌন বিমুখতা মানব সভ্যতা গড়ে তোলার পথে বিরাট অন্তরায়। মানুষের ইতিহাস এ কথার যথার্থতা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে।

আধুনিক সভ্যতা নারী ও পুরুষের মাঝে স্বভাবসম্মত সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আর যৌন সমস্যার সমাধান করাতো তার সাধ্যেরও অতীত। কেননা আধুনিক সভ্যতা নারীর জন্য তার আসল ও স্বভাবসম্মত স্থান নির্ধারণ করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে; বরং তার আসল ও স্বভাবসম্মত স্থান হতে তাকে টেনে নিয়ে পুরুষদের কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়ে এক জটিল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ফলে নারী আজ পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট বিশাল কর্মক্ষেত্রে সদা তৎপর; অথচ তার সৃষ্টি হয়েছে যে কাজের জন্য, সেখানে সে অনুপস্থিত। আধুনিক সভ্যতা যৌন ভাবাবেগকে এতটা প্রবল, সুতীব্র ও উচ্ছসিত করে তুলেছে যে, মানুষের মন ও মগজের ওপর তার সর্বাত্মক আধিপত্য সংস্থাপিত হয়ে গেছে। ফলে মানুষ আসল করণীয় বিষয়কে উপেক্ষা করে চলেছে এবং চারদিকে যৌন স্বাদ আস্বাদনের এক প্রচন্ড বন্যা বইছে।

এ কথায় কোনোই সন্দেহ নেই যে, নারী ও পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভুল ও ভ্রান্ত কাঠামোর ওপর গড়ে উঠেছে বলে বর্তমান সভ্যতা এক কঠিন বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এক্ষণে মানুষ এমন এক স্থানে দাঁড়িয়ে, যেখানে শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তার অশেষ উপায় উপকরণ থাকা সত্ত্বেও মানুষ তা হতে বঞ্চিত। তার এ বঞ্চনা কিছুমাত্র ঘুচবে, তাও সুদূরপরাহত বলে মনে হয়।

আধুনিক সভ্যতা ও সামাজিক অবস্থা যারা অনাবিল, অনাসক্ত ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার-বিবেচনা করছেন, তাঁরা আমাদের উপরোক্ত কথার সত্যতা অবশ্যই স্বীকার করবেন। এ কথায়ও তাঁদের কোন সন্দেহ থাকবে না যে, সামান্য ও নগণ্য ধরনের সংশোধন চেষ্টা-প্রচেষ্টা দ্বারা এই সমাজকে রক্ষা করা যাবে না, তাকে নিরোগ ও সমস্যামুক্ত করাও এই উপায়ে সম্ভব হবে না। এক্ষনে নারী ও পুরুষ সমন্বয়ে সুষ্ঠু সমাজ সংস্থা গড়ে তোলার জন্য সম্পূর্ণ নতুনভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা একান্তই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেজন্যে বর্তমান ঘুনে ধরা সমাজ কাঠামোকে ভেঙে ফেলে তাকে নতুনভাবে সুদৃঢ় করে সংস্থাপন করতে হবে। এই প্রেক্ষিতেই আমরা অত্র আলোচনার অবতারণা করছি।

আমাদের বিশ্বাস ইসলামী আদর্শই নারী-পুরুষের সামাজিক ও যৌন জীবনের জন্য নির্ভুল ভিত্তি উপস্থাপন করছে। এই ভিত্তির ওপর যে সম্পর্ক কাঠামো গড়ে উঠবে, তা সর্বপ্রকার ভাঙন, বিপর্যয় ও উচ্ছৃঙ্খলতার কবল হতে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে সর্বোতভাবে সাফল্যমন্ডিত হবে। পাশ্চাত্য সভ্যতা সংস্থাপিত কাঠামো চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে নবতর সমাজ কাঠামো গড়ে তোলা ছাড়া আধুনিক মানুষের অন্য কোন উপায় নেই। একথা আমরা বলিষ্ঠ কন্ঠেই বলতে চাই।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ ব্লগিং। পোস্ট পড়ে পরে কমেন্ট আসছি।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

নতুন-আলো বলেছেন: আসবেন কিন্তু...........

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

আরোগ্য বলেছেন: শুভ ব্লগিং।।
আগেই স্বাগতম জানিয়ে গেলাম। পোস্ট পড়ে আবার মন্তব্য করবো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

নতুন-আলো বলেছেন: ভাইয়া আপনার অপেক্ষায় রইলাম.............

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । প্রথম পোস্টে এত নিখুত লেখা খুব কমই পাই। মনে হলো আপনি ব্লগে নতুন নন ,অন্তত লেখাটি তারই প্রমাণ দিচ্ছে অথবা আপনি নিয়মিত কলাম লেখেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

নতুন-আলো বলেছেন: মারহাবা.......ভাইজান আপনি বহুত ট্যালেন্ট ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা গ্রহন করলাম করলাম......... ধন্যবাদ জানবেন

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

আরোগ্য বলেছেন: পোস্টটি আমার খুব খুবই ভাল লাগলো। দারূণ লেখনী।
কিন্তু এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত তথাকথিত মুক্তমনা ও নারীবাদীরা আপনার এই লেখার কট্টর সমালোচনা করবে।
আমরা যারা সর্বস্তরে ইসলাম চাই তাদের কাছে আমরা হইলাম সেকেলে ও উন্নয়নের পথে বাঁধা। কিন্তু তারা জানেনা ইসলাম ছাড়া মুক্তির কোন পথ নাই।

অনেক শুভ কামনা। লেখা চালিয়ে যান। আশা করি অতিশীঘ্র সেফ হবেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

নতুন-আলো বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ , আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো......।
তবে একথা সত্য যে প্রত্যেক যুগেই ইসলাম বিরোধীরা সক্রিয়

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথম পোস্টে ভাললাগা। শুভকামনা জানবেন। অাপনাকে চেনা চেনা লাগছে। লিখতে থাকুন। পথ চলুন সতর্কতার সাথে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

নতুন-আলো বলেছেন: অাপনাকে চেনা চেনা লাগছে। জি ভাই .... রুহের জগতে আমরা একসাথেই ছিলাম, তাই হয়তো। ভালো অছেন নিশ্চয়?

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: প্রতিটা নারীই মা। আর মায়ের সম্মান দেয়না যে। সে কোন মানুষ ই না। আবার প্রতিট পুরুষ ই পিতা। সম্মান তার ও প্রাপ্য।

বাস্তবতা হল, যার ক্ষমতা যতো টাকা পয়সা সম্পদ বেশি
সেই লোক বেশি সম্মান পায়। গরিবের কোন সম্মান নাই

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

নতুন-আলো বলেছেন: সম্মান সেই করে যার ভিতর জ্ঞান আছে। যে মানুষকে যথাযথ মূল্যায়ন দিতে জানে না সে যতই শিক্ষিত হোক জ্ঞানী নয়। আপনার পোস্টে পড়েছিলাম..... শুধু ফাইল বন্দি সনদ

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

আরোগ্য বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন , আপনার লেখা আরো পড়তে চাই। সেই সাথে ব্লগে আরও সক্রিয় হোন, অন্যদের পোস্টে গঠনমূলক মন্তব্য করুন এতে আপনার পরিচিতি বাড়বে।
আরোগ্য থাকুন। শুভ কামনা। শুভ রাত্রি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

নতুন-আলো বলেছেন: আপনার আগ্রহ আমাকে আপ্লুত করলো..........

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। চমৎকার একটি লেখা দিয়ে ব্লগিং শুরু করলেন। শুভ কামনা রইলো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

নতুন-আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া......... দোয়া করবেন।

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: নারী ও পুরুষ, একে অপরের পরিপূরক- এটা স্বতঃসিদ্ধ; এর কোন ব্যত্যয় কোন কালে হয় নি, হবেও না।
মহাবিশ্বের মানবকূলসহ সকল প্রাণীর মধ্যে স্ত্রী প্রজাতি হচ্ছে স্ব স্ব প্রজাতির ধারক ও বাহক। স্ত্রী প্রজাতির মাধ্যমেই সকল প্রাণীকূল বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী প্রজাতিই স্ব স্ব প্রাণিকূলের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে অসহায় অবস্থায় তাদের ক্ষুধা নিবারণ করে। কাজেই, যে জাতি তাদের নারীকূলকে সম্মান দিতে চায় না, তারা সত্যকে অস্বীকার করতে চায়, তাই সে জাতি কখনো বড় হতে পারে না, কোন সম্মানজনক অবস্থানে যেতে পারে না।
পোস্টটি সুলিখিত। তবে পোস্টের শেষ দু' অনুচ্ছেদে এসে উত্তম পুরুষ বহুবচনে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে, অর্থাৎ- "আমাদের" এবং "আমরা" দিয়ে। এই "আমরা" রা কারা?
আপনি কি আগে অন্য কোন পরিচয়ে এ ব্লগে লিখেছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.