নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো আলোর পথে...

নতুন-আলো

আলো আসবেই

নতুন-আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের শেষ পরিণতি জান্নাত অথবা জাহান্নাম

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১


ছবি: গুগল থেকে.......

আমাদের দুনিয়ার জীবনই শেষ নয়। মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন পরে আছে। যার নাম পরকাল। সেখানে থাকতে হবে স্থায়ী ভাবে। যে আকবার জাহান্নামে যাবে তার বের হওয়ার কোন সুযোগ নেয়। জান্নাতীদের সুখ কখনো শেষ হবে না।

যারা অহংকার করে ও আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাদের আবাসস্থল হলো জাহান্নাম:
দুনিয়ার সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যেক যুগেই দেখা যায়, বণিক শ্রেণী এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা প্রবল অহংকারী হয়। ক্ষমতার মোহে ও ধন-সম্পদের বড়াই এদেরকে পাপ কাজে নিমজ্জিত করে রাখে। এই শ্রেণীর লোকেরাই আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এবং আল্লাহর দ্বীনকে নির্মূল করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে।

এদের সম্পর্কে আল্লাহ্ পাক বলেছেন- ''এর আগেও (অনেক) মানুষ (দ্বীনের বিরুদ্ধে) চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আল্লাহ্তা’য়ালা তাদের (পরিকল্পনার) সমগ্র ইমারত তার ভিত্তিমূল থেকে নির্মূল করে দিয়েছিলেন,এরপর তাদের (এ চক্রান্তরূপী) ইমারতের ছাদ তাদের উপরই ধসে পড়ল এবং তাদের উপর এমন (বহু দিক থেকে) আযাব আপতিত হলো, যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি (আল্লাহ্্) তাদেরকে আরো বেশি পরিমাণে লাঞ্ছিত করবেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করবেন, কোথায় আমার সেসব শরীক যাদের ব্যাপারে তোমরা মানুষের সাথে বাক-বিতন্ডা করতে? যাদের (সঠিক) জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা (সেদিন) বলবে অবশ্যই যাবতীয় অপমান, লাঞ্ছনা ও অকল্যাণ (আজ) কাফেরদের ওপর আপতিত হবে। এরা হচ্ছে তারা (ফেরেশতারা এমন অবস্থায়) যাদের মৃত্যু ঘটায় যখন তারা নিজেদের ওপর জুলুম করতে থাকে, অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ করে (এবং বলে) আমরা তো কোন মন্দ কাজ করতাম না। (ফেরেশতারা বলবে) হ্যাঁ, তোমরা যা কিছু করতে আল্লাহ্্ তা’য়ালা সেসব সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন। সুতরাং (আজ) জাহান্নামের দরজা দিয়ে তোমরা (আগুনে) প্রবেশ করো, সেখানে তোমরা চিরদিন থাকবে। অহংকারীদের আবাসস্থল কত নিকৃষ্ট।'' (সূরা-নাহল, আয়াত- ২৬-২৯)

ঈমান আনার পর যারা আবার কুফরীর দিকে ফিরে যায় তারা জাহান্নামী: ঈমান আনার পর যারা আবার কুফরীর দিকে ফিরে যায় তারা জাহান্নামী। তাদের পূর্বের ঈমান আনার আর কোন মূল্য থাকবে না। এরশাদ হচ্ছে- ‘সেদিন (কিয়ামতের দিন) নিজেদের নেক আমল দেখে কিছু সংখ্যক চেহারা শুভ্র, সমুজ্জ্বল হয়ে যাবে, (আবার) কিছু সংখ্যক মানুষের চেহারা (ব্যর্থতার নথিপত্র দেখার পর) কালো (বিশ্রী) হয়ে পড়বে, যাদের মুখ (সেদিন) কালো হয়ে যাবে (জাহান্নামের প্রহরীরা) তাদের জিজ্ঞেস করবে, ঈমানের (নেয়ামত পাওয়ার) পরও কি তোমরা কুফরীর পথ অবলম্বন করেছিলে ? অতঃপর তোমরা নিজেদের কুফরীর প্রতিফল (হিসেবে) এ আযাব উপভোগ করতে থাক।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত- ১০৬)

যারা নিজেদের গুনাহের জন্য তওবা করে তারা জান্নাতী: যারা প্রকৃত মু’মিন তারা ভুলক্রমে কোন খারাপ কাজ করে ফেললে তার জন্য তারা অনুতপ্ত হয়, তারা এজন্য তওবা করে। আল্লাহ্ তাদের এ অনিচ্ছাকৃত গুনাহ্ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ্ বলেন- ‘(ভাল মানুষ হচ্ছে তারা) যারা যখন কোন অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা (এর দ্বারা) নিজেদের উপর নিজেরা জুলুম করে ফেলে (সাথে সাথেই) তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং গুনাহের জন্যে (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করে। কেননা আল্লাহ তা’য়ালা ছাড়া আর কে আছে যে (তাদের) গুনাহ্ মাফ করে দিতে পারে? (তদুপরি) এরা জেনে বুঝে নিজেদের গুনাহের উপর কখনো অটল হয়ে বসে থাকে না। এই (সে বৈশিষ্ট্যম-লীত) মানুষগুলো! মালিকের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিদান হবে, আল্লাহ্ তা’য়ালা তাদের ক্ষমা করে দেবেন। আর (তাদের) এমন এক জান্নাত (দিবেন) যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে, সেখানে (নেককার) লোকেরা অনন্তকাল অবস্থান করবে। সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের জন্যে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) কত সুন্দর প্রতিদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত- ১৩৫-১৩৬)

আল্লাহর নিয়ামতের অকৃতজ্ঞকারীরা জাহান্নামী : যারা দুনিয়ায় আল্লাহর দেয়া নিয়ামতসমূহের কথা অস্বীকার করে এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না তারা জাহান্নামী। দুনিয়ার দিকে একটু চক্ষু নিক্ষেপ করলে, একটু চিন্তা-বিবেচনা করলেই বুঝা যায়, আল্লাহ্ মানুষের জন্য অসংখ্য নিয়ামত দিয়ে এই দুনিয়া ভরপুর করে রেখেছেন। মানুষের শরীরের এক একটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহ্্র দেয়া নিয়ামত। প্রকৃতির মধ্যে সৃষ্ট যেমন- চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র এগুলো সবই মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্ট নিয়ামত। প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণী মানুষের কোন না কোন কল্যাণে নিয়োজিত। ফল-ফুল, শস্য ও ফসলে ভরপুর এই সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি জিনিস মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। যারা এই নিয়ামতের অকৃতজ্ঞকারী তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ বলছেন- "(হে নবী) আপনি কি তাদের অবস্থা পর্যক্ষেণ করেননি যারা আল্লাহ্ তা’য়ালার নেয়ামত অস্বীকার করার মাধ্যমে (তা) বদলে দিয়েছে, পরিণামে তারা নিজেদের জাতিকে ধ্বংসের (এক চরম) স্তরে নামিয়ে এনেছে। জাহান্নামের অতলে (সেখানে) তারা সবাই প্রবেশ করবে, কত নিকৃষ্ট সেই বাসস্থান! এরা আল্লাহ্ তা’য়ালার জন্য কিছু সমকক্ষ উদ্ভাবন করে নিয়েছে, যাতে করে তারা (সাধারণ মানুষকে) তাঁর পথ থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে; (হে নবী! এদের) আপনি বলুন (সামান্য কিছু দিনের জন্যে) তোমরা ভোগ করে নাও, অতঃপর (অচিরেই জাহান্নামের) আগুনের দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।" (সূরা ইব্রাহিম, আয়াত- ২৮-৩০)

যারা কুফরী করে তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম: কুফরীর পরিণাম হচ্ছে জাহান্নাম। আল্লাহ্ বলেন- ‘কাফেরদের ব্যাপারে কখনো এ কথা ভেবো না যে, তারা যমীনে (আমাকে) অক্ষম করে দিতে পারবে, তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম, (আর) কতো নিকৃষ্ট এ ঠিকানা।’ (সূরা আন্ নুর, আয়াত- ৫৭)

কাফিরদের ধন-মাল ও সন্তান-সন্ততি পরকালে কোন কাজে আসবে না: দুনিয়ার কোন সম্পদই পরকালে কোন কাজে আসবে না। এ ‘সম্পদ’ ধন-সম্পত্তি হোক বা সন্তান-সন্ততি হোক। এ সম্পর্কে কুরআনে পাকে আল্লাহ্ বলেন-‘আল্লাহ্ তা’য়ালার (শাস্তি) থেকে (তাদের বাঁচানোর জন্য) সেদিন তাদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কোনটিই কোন কাজে আসবে না। তারা তো দোযখেরই বাসিন্দা, সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে।’ (সূরা মুজাদালাহ্, আয়াত- ১৭)

যারা ঈমান আনার পর নেক আমল করে তাদের জন্য জান্নাত:
যারা আল্লাহ্্র ওপর পূর্ণ ঈমান আনবে এবং সে অনুযায়ী নেক আমল করবে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত দিবেন। আল্লাহ্ বলেন- ‘নিশ্চয়ই যারা (আল্লাহ্ তা’য়ালার ওপর) ঈমান এনেছে এবং (ঈমানের দাবী অনুযায়ী) ভালো কাজ করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে এমন জান্নাত যার নীচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত রয়েছে, সেটাই (সেদিনের) সবচেয়ে বড় সাফল্য।’ (সূরা বুরুজ, আয়াত- ১১)

ভাল কাজ মানুষকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায় আর খারাপ কাজ মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়: যারা ঈমানদার তারা সবসময় ভাল কাজ করে এবং অন্যদেরকেও ভাল কাজের দিকে ডাকে ও উৎসাহ দেয়। যারা বেঈমান তারা সবসময় খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে এবং অন্যদেরকেও এ কাজে উৎসাহ দেয়। আল্লাহ্ বলেন- (হে মানুষ! তোমরা এ পার্থিব জীবনের ধোকায় পড়ে আছ, অথচ) আল্লাহ্ তা’য়ালা (তোমাদের চিরস্থায়ী) এক শান্তির নিবাসের দিকে ডাকছেন; তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সহজ সরল পথে পরিচালিত করেন। যারা ভালো কাজ করেছে (যাবতীয়) কল্যাণ তো থাকবে তাদের জন্যে এবং (থাকবে তার চাইতেও) বেশী, সেদিন তাদের চেহারা কোন কালিমা ও হীনতা দ্বারা আচ্ছন্ন থাকবে না; তারাই (হবে) জান্নাতের অধিবাসী, তারা সেখানে থাকবে চিরকাল। (অপরদিকে) যারা মন্দ কাজ করেছে (তাদের) মন্দের প্রতিফল মন্দের মতোই হবে, অপমান তাদের আচ্ছন্ন করে ফেলবে; সেদিন আল্লাহর আযাব থেকে তাদের রক্ষাকারী কেউই থাকবে না, (তাদের চেহারা এমনি কালো হবে) যেন রাতের অন্ধকার ছিঁড়ে (তার) একটি টুকরো তাদের মুখের উপর ছেয়ে দেয়া হয়েছে, এরা (হচ্ছে) জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত- ২৬-২৭)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: হে আল্লাহ আপনি সব মানুষকে ক্ষমা করে দেন।
সবাই কে বেহশত দিয়ে দেন। দুনিয়াতে মানুষ অনেক কষ্ট করেছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

নতুন-আলো বলেছেন:





আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন.............
আল্লাহ আমাদের মাফ করে দিন....

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৪

নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে কিছু মানুষ কে আখিরাতে বেহেস্তে আর বাকিদের দোজখে অনন্ত কাল পাঠালে সৃস্টিকতার কি লাভ? কি মজা?

তার পরে কি? তাদের কি হবে? তাদের কি সাজার মেয়াদের পরে বেহেস্তে পাঠানো হবে?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

নতুন-আলো বলেছেন:




মুনাফিক -কাফেরদের শাস্তি দেয়া হবে এটা আল্লাহ তায়ালা আগেই মানুষকে বলে দিয়েছেন.....
দুনিয়ার জীবন মানুষের জন্য পরীক্ষার স্থান.....
আর পরীক্ষার পর একটা পুরষ্কারের ব্যবস্থা না থাকলে কি হয়?

শাস্তি অবশ্যই স্থায়ী হবে......
এ ব্যাপারে কোরআনে বলা আছে.....

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে রহমতের ছায়ায় রাখুন-- আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করে দেন- আমাদেরকে সঠিক পথ দেখান

সুন্দর একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

নতুন-আলো বলেছেন:



আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন.....
আমাদেরকে হেদায়াতের পথ দেখান.......

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: হে আল্লাহ আপনি সব মানুষকে ক্ষমা করে দেন।
সবাই কে বেহশত দিয়ে দেন। দুনিয়াতে মানুষ অনেক কষ্ট করেছে।

আমীন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

নতুন-আলো বলেছেন: ছুম্মাআমিন

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তো জাহান্নামে চলে গেছেন অনেক আগেই

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২১

নতুন-আলো বলেছেন: আপনার উপর কি ওহী নাযিল হয়?

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২২

ঢাকার লোক বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাত নসীব করুন!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

নতুন-আলো বলেছেন: আমিন, ছুম্মা আমিন.........

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৫

আরোগ্য বলেছেন: নতুন আলো আমার মনে হয় ইসলামের প্রতি উৎসাহব্যঞ্জক পোস্ট দিলে অধিক ভালো হবে। কারণ অমুসলিমরাও পোস্ট পড়ে, আমরা চাই সবার ইসলামের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হোক।
নতুন কোন পোস্ট দিন। অনেক দিন হল।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

নতুন-আলো বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে........
আপনার কথা আমি যথাযথ ভাবে পালন করার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.