নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো আলোর পথে...

নতুন-আলো

আলো আসবেই

নতুন-আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কি নতুন কোন ধর্ম?

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮



আরবি ভাষায় ‘ইসলাম’ (الاسلام) অর্থ আত্মসমর্পণ করা, নত হওয়া, আনুগত্য স্বীকার করা, নিজের ইচ্ছায় নিজেকে কারো নিকট সোপর্দ করে দেয়া। কিন্তু বিশেষ লক্ষ্য করার বিষয় এই যে, কুরআন শুধু ‘ইসলাম’ বলেনি, তার সাথে আলিফ-লাম যোগ করে ‘আল ইসলাম’ বলেছে; এটা কুরআনের একটি পরিভাষা। অতএব এ বিশিষ্ট পারিভাষিক শব্দের অর্থ হলো আল্লাহর সম্মুখে নত হওয়া, তাঁর আনুগত্য স্বীকার করা, তাঁর নিকট নিজের যাবতীয় আযাদী পরিত্যাগ করা এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তাঁরই নিকট সমর্পণ করে দেয়া। কিন্তু এ আত্মসমর্পণ, আনুগত্য ও অধীনতা স্বীকার করার অর্থ প্রাকৃতিক নিয়মের (law of nature) সম্মুখে নিজেকে সোপর্দ করে দেয়া নয় যারা এ অর্থ গ্রহণ করতে চেষ্টা করে তারা ভ্রান্ত। পক্ষান্তরে মানুষের নিজের চিন্তা-কল্পনা, নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতালব্ধ আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নির্দেশের কাল্পনিক ধারণার আনুগত্য করাও নয়, যদিও ভুলবশতঃ কোনো কোনো লোক এরূপ ধারণা করে থাকে। বস্তুত তার অর্থ এই যে, আল্লাহ তাআলা নিজেই নিজের রসূলের মারফতে মানুষের জন্য যে চিন্তা ও কর্মপদ্ধতি নাযিল করেছেন, সম্পূর্ণরূপে তাই গ্রহণ করা এবং নিজের চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতা, অন্য কথায় চিন্তা ও কর্মের বিশিষ্টতা পরিত্যাগ করে তার আনুগত্য কবুল করাই আল্লাহর মনোনীত ও মনঃপুত পন্থা। একথাটিই কুরআন ‘আল ইসলাম’ শব্দ দ্বারা বুঝিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ‘ইসলাম’ নতুন যুগের সৃষ্ট কোনো ধর্ম নয় এবং আজ হতে সাড়ে তেরোশত বছর পূর্বে আরব দেশে হযরত মুহাম্মদ (সা) কর্তৃক তার প্রথম বুনিয়াদ স্থাপিত হয়েছিল এমন ধারণা করাও মারাত্মক ভুল। বস্তুত সর্বপ্রথম যেদিন এ ভূপৃষ্ঠে বসতি শুরু হয়েছে, সেদিনই আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন যে, তোমাদের জন্য এ ‘আল ইসলাম’-ই একমাত্র নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা। অতপর দুনিয়ার বিভিন্ন অংশে প্রত্যেক যুগের মানুষকে পথনির্দেশনার জন্য আল্লাহর তরফ থেকে যতো নবীই প্রেরিত হয়েছেন, তাঁদের সকলেই নির্বিশেষে এ এক ‘আল ইসলাম’-এর দিকে নিখিল মানুষকে আহবান জানিয়েছেন। আর সর্বশেষে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা)ও এদিকেই সকল মানুষকে পথনির্দেশ করেছেন। অবশ্য একথা সত্য যে, হযরত মূসা (আ)-এর অনুগামীগণ পরবর্তীকালে অসংখ্য বিভিন্ন মতবাদের সংমিশ্রণে ‘ইয়াহুদী’ নামে একটি স্বতন্ত্র ধর্ম রচনা করে নিয়েছে এবং হযরত ঈসা (আ)-এর অনুবর্তীগণও তদ্রুপ এক ‘খৃষ্ট ধর্মের’ উৎপত্তি করে নিয়েছে। এরূপে ভারতবর্ষ, ইরান, চীন এবং অন্যান্য দেশে প্রেরিত পয়গাম্বরদের উম্মতগণ বিভিন্ন মতবাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন নামে এক একটি ধর্ম রচনা করে নিয়েছে। কিন্তু এ মূসা (আ), ঈসা (আ) এবং অন্যান্য জ্ঞাত অজ্ঞাত সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামই সম্মিলিতভাবে এ এক ইসলামের দিকে আহবান জানিয়েছেন অন্য কিছুর দিকে নয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪০

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সুন্দর আলোচনা++

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪১

নতুন-আলো বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন যে, নবী মুসার (আ: ) অনুসারীরা "মুল ধর্ম ইসলামের সাথে আরো অনেক মতবাদ যোগ করে, 'ইয়াহুদী' ধর্ম, ও ঈশা নবীর অনুসারীরাও ইসলামের সাথে আরো কিছু যোগ বিয়োগ করে 'খৃষ্ট' জন্ম বানায়েছেন"।

এটা হচ্ছে স্বয়ং ধর্মের বিবর্তন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৬

নতুন-আলো বলেছেন: ধর্মের বিবর্তন বলা ঠিক হবেনা। কারণ মানুষজন তাদের ধর্মের মধ্যে নতুন নতুন তথ্য যোগ করেছে নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে পুরান ধর্ম হিন্দু ধর্ম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৬

নতুন-আলো বলেছেন: ইসলাম বাদে সব ধর্মই বাতিল বরে গণ্য

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১

আরোগ্য বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আরেকটু বড় করলে খারাপ হতো না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৭

নতুন-আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য। আসলে লেখা বড় হলে অনেকেই পড়তে চান না। তাই অল্প করে দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.