নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আরাকানে কেন সূর্য ওঠে?
এখানে সূর্যোদয়ের প্রয়োজন কী?
এই রাত যদি না ফুরাতো!
পাথুরে ওই পাহাড়টার ওপাশ থেকে সূর্য উঁকি দিয়ে প্রিয় এই আঁধারগুলো যদি সরিয়ে না দিত!
আসন্ন প্রভাত যদি আলো নিয়ে আর কখনও ফিরে না আসত!
এই রাতটিই যদি এখানের- এই আরাকানের- এই নরকের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে দিত!
এখানে মাথার উপরে সূর্য ওঠা মানে- সীমাহীন লজ্জা আবারও ডুবে যাওয়া!
এখানে আরেকটি নতুন দিন! আরেকটি ঘৃনার জীবন
এখানে আরেকটি নতুন দিন! আরেকটি নতুন জাহান্নাম
এখানে আরেকটি নতুন দিন! জীবনে সংযুক্তি ঘটা আরেকটি জঘন্য অধ্যায়ের-
আরেকবার মৃত্যুর হিম শীতল স্পর্শে অবশ অনুভূতির স্বাদ নেয়া!
নতুন দিনের আলো ফোটা মানে-
আবারও আমাকে প্রত্যক্ষ করতে হবে-
মায়ের সামনে- বাবার সামনে- ভাইয়ের সামনে-
এবং পৃথিবীবাসী সাতশো কোটি সজাতির চোখের সামনে ধর্ষিতা কিশোরীর রক্তাক্ত নিস্তেজ দেহ!
প্রত্যক্ষ করতে হবে-
আমার মায়ের ইজ্জত হারানোর জঘন্য দৃশ্য!
প্রতিনিয়ত- প্রতি দিন- প্রতি মূহুর্তে নিরস্ত্র- বুভূক্ষু মানুষের জন্য এটা আজ দারুন এক মৃত্যু অববাহিকা!
আসলে ওদের মাথার ওপর সূর্য ওঠে না, ওঠে খড়্গ- খাপ খোলা তরবারি-
নতুন রঙ-বেরঙের মৃত্যু মৃত্যু খেলা
বেশরম পৃথিবী তাকিয়ে রয়- মৃত্যু উপত্যকা আরাকানে- খেলা দ্যাখে-
লাল লাল রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দ্যাখে- দাঁত কেলিয়ে হাসে-
এখানে শীত-গ্রীষ্ম বলে কোন মওসুম নেই
প্রতিটি সকাল, প্রতিটি সন্ধ্যা, প্রতিটি দুপুর, প্রতিটি মধ্যরাত নিশ্চিত বিভীষিকা- নতুন অন্ধকার-
বিষূভিয়াসের আগ্নেয়গিরির মত এখানেও লাভা উদ্গীরন হয়-
রক্তের লাভা- লাল অত:পর জমাটবদ্ধ কালো রক্ত-
রক্তাক্ত উঠোন- বাড়ি-ঘর- ফসলের ক্ষেত- মেঠো পথ
উপভোগ্য রক্ত রঙিন জনপদ!
মানুষের ছিন্ন মস্তক- কর্তিত হাত-পা রাস্তার ধারে ভাগাড়ে নদীতে গড় খায়!
আহ! কী নিদারুন সৌন্দর্যের অপরূপ আরাকান!
নাফ নদীর উত্তাল তরঙ্গ থেমে গেছে
জমাট রক্ত - গলিত লাশের ভারে নদীর নিশ্বাস আটকে গেছে
নদীও তড়পায়! বোবা মুখ কান্নার ভাষাগুলো মৃদু স্রোতে ভেসে যায়!
এখানে এখন হত্যার পার্বন
হত্যা হত্যা খেলা- বনি আদমের গায়ের চামড়া তুলে নেয়ার উপভোগ্য দৃশ্য!
জাতি সংঘ ওআইসিরা এই খেলার দর্শক হওয়ার কষ্ট স্বীকার করেছেন-
ভদ্রতা বজায় রাখার স্বার্থে নিরবতা অবলম্বন করেছেন- এ মহানন্দে এখানের আকাশ-বাতাস কৃতজ্ঞ-
আমাদের এখানে কিছু বনি আদম বেঁচে থাকে-
নতুন একটি দিন আসার প্রতীক্ষায় নয়-
আগামী কাল আবার পরিবারের বাকি লোকদের লাশ হওয়ার নির্মমতা প্রত্যক্ষ করার জন্য-
ওরা বেঁচে থাকে-
আদরের কিশোরী মেয়েটার ছিন্ন বসন-ভূসন ছুঁড়ে ফেলে লাত্থি মেরে
উঠোনের মেঝেয় ফেলে উপর্যুপরি কয়েক নরপশুর ধর্ষনের
অকল্পনীয় তান্ডব প্রকাশ্য দিবালোকে প্রত্যক্ষ করার জন্য
যুবক ছেলের সামনে মায়ের উপর পৈশাচিকতার ক্লেদাক্ত উল্লাস দেখার জন্য
ওরা বেঁচে থাকে-
মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়া দুগ্ধপোষ্য শিশু-
এবং অত:পর দু'পা ধরে হ্যাচকা টানে ছিড়ে ফেলা কঁচি দুই ভাগ শরীর
পৃথিবীবাসীর অধিকার রয়েছে-
মনোরম এ পবিত্র দৃশ্যরাজি প্রত্যক্ষ করার-
তাই নতুন নতুন আরও বিভতস দৃশ্য প্রদর্শনের জন্য
এখানে ওদের আরও আরও দিন বেঁচে থাকার অধিকার চাই-
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
মরমে অনুধাবনে প্রীত। আমাদের জাগবার সময় কখন হবে? পৃথিবীর এই অংশে হত্যা হত্যা খেলা! রক্তের হোলিখেলা! জাতিপুঞ্জসহ সকল মহলের নিরবধি নিরবতা-নির্লিপ্ততা- আফসোস, হাহুতাশের দীঘল দীর্ঘ কালো রাত কবে পোহাবে, প্রিয় অমৃতাক্ষর কবি?
ভাল লাগলো এখানে আপনার পদছন্দ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মাঝে মাঝেই মনের ভিতর উঁকি দিয়ে ওঠে নাস্তানাবুদ ভিয়েতনামের কান্নারত মলিন চেহারা, সারি সারি লাশের মিছিলে রক্তাক্ত ইরাক-আফগান-লিবিয়ার ক্ষতবিক্ষত ধ্বংসস্তুপের ছিন্নভিন্ন মানচিত্র, তুষের আগুনের মত ধিকি ধিকি জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় বসনিয়া-চেচনিয়া-কাশ্মীর-জিনজিয়াং, পারমানবিক বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হিরোশিমা-নাগাসাকি, প্রায় শত বছর ধরে সুকৌশলে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত অভিশপ্ত ইয়াহুদিদের দিয়ে ধীরলয়ে আস্ত একটি স্বাধীন দেশ ফিলিস্তিনকে গিলে খাওয়ার যাতনাময় দৃশ্য, এবং হালের জাতিগত নির্মূলের শিকার রোহিঙ্গা জাতির পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নিরবতা পালনসহ বিশ্বময় জিইয়ে রাখা এরকমের হাজারও সমস্যার মূলে কার, কাদের কালো হাত সদা সক্রিয়?
পৃথিবীজুড়ে এগুলো যারা করেন, করান তাদের দল আছে। সেই দলের লিডারও আছেন। চিন্তা করে দেখুনতো এই লিডারকে চিনতে পারেন কি না।
ভাল থাকবেন কবি ভাই।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নতুন নকিব লেখার থিমটা ভাল ছিল!
চালিয়ে যান শুভকামনা রইল!
আজকের পোস্টে লাইক!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
বিলয়িার রহমান ভাই,
অনেক কৃতজ্ঞতা! এখানে এসে ধন্য করলেন। এলোমেলো এই লেখাটির প্রশংসা করে সাহস যোগানোর জন্য শীতের কুয়াশাভেজা অভিনন্দন।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: চমৎকার প্রকাশ, খুব ভালো লাগল।
লেখা চালিয়ে যান। পাশে আছি।
যাই হোক আমার ব্লগবাড়ীতে দাওয়াত রইল।
আমি ব্লগে নতুন। আমার ব্লগবাড়ী থেকে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেয়ে আসবেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় নিশু, এখানে পদচারনায় স্বাগত। সত্যের সিপাহসালারতো হতে হবে আপনাদের মত যুবকদের ভেতর থেকেই। দিকে দিকে চলছে আজ মুসলমানদের রক্তের হোলিখেলা। ফিলিস্তিন, বসনিয়া থেকে শুরু করে লিবিয়া, ইরাক, আফগান হয়ে পূর্ব তিমুর আর চীনের জিনজিয়াং কোথায় বইছে না এই জাতির রক্তের বন্যা? আর পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম হিংস্রতা প্রিয় রক্তখেকো মগ-বৌদ্ধ-হায়েনার দল আরাকানে চালাচ্ছে জাতিগত মুসলিম নিধনযজ্ঞ!
তাই আজ প্রয়োজন!
আবার একটি সোনাঝড়া সকাল!
অাবার একজন রত্নগর্ভা মা!
আবার একটি নতুন ইতিহাস!
আবার একজন নতুন সালাহউদ্দিন আইয়্যুবী!
যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্বের নির্যাতিত মানবতা মুক্তির নিশ্বাস নিয়ে ধন্য হবে।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০১
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সাহস দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালবাসা রইল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
এগিয়ে যান। সত্য সুন্দরের পক্ষে আমাদের মসি হবে অসির চেয়েও ক্ষুরধার, সুতীক্ষ্ণ আর দূরন্ত লক্ষ্যভেদী।
ভাল থাকবেন অহর্নিশ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
নিশু, দেখছি না কেন? নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করুন।
ভাল থাকবেন।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ কবিতা, প্রিয়তে গেল ।
অারাকানের রোহিংগাদের উপরে নির্মম
নির্যাতনের অব্যক্ত অনেক কথামালা
উঠে এসেছে লিখাটিতে ।
যথার্থই হয়েছে বলা আরাকানের রোহিংগাদের বিষযটি জাতিসংঘ, ওআইসি সহ সকল মানবাধিকার সংস্থার কাছে তেমন গুরুত্ব পায়নি বলে দেখা যাচ্ছে , ইদানিং ওআইসি অবশ্য লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে ।
আরাকানে বসবাসকারী মুসলিম জনগুস্ঠি এআসময়ে শিক্ষা দিক্ষা ওসাহিত্যে ছিল বেশ অগ্রগামী । রোহিঙ্গাদের সেদিনকার অবস্থা বুঝতে হলে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য চর্চার কিছু দিক নিয়ে কথা বললে বুঝা যাবে রোহিংগারা সেখানে কতদিনের পুরাতন ও কি পরিমান কৃস্টি সংস্তৃতির অধিকারী ছিল । সপ্তদশ শতকে আরাকান রাজসভায় অনেক নামকরা বাংলা সাহিত্যিক ছীলেন , উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকগন হলেন দৌলত কাজী, আলাওল, কোরেশী, মাগন ঠাকুর, মরদন, আব্দুল করিম খোন্দকর। আরাকানকে বাংলা সাহিত্যে রোসাং বা রোসাঙ্গ নামে অভিহিত করা হত । কবি আলাওল জন্মগ্রহন করেন ফতেহাবাদের জালালপুরে। মাগন ঠাকুর ছিলেন সে সময় রোসাঙ্গ রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
মরদন রচিত কাব্যগ্রন্থ হল “নসীহত নামা” । শ্রী সুধর্ম রাজার আমলে তাঁর লঙ্কর উজির আশরাফ খানের আদেশে দৌলত কাজী ‘সতি ময়না ও লোরচন্দ্রানী’ কাব্য রচনা করেন , সপ্তদশ শতাব্দীর কাব্য গ্রন্থ হলো ‘সতি ময়না ও লোরচন্দ্রানী’ ।
হিন্দী কবি সাধন এর ‘মৈনাসত অবলম্বনে সতী ময়না ও লোরচন্দ্রানী বাংলা ভাষায় রচিত হয় সেখানে । মহাকবি আলাওল বিখ্যাত সাহিত্য “পদ্মাবতী ’’ রচনা করেন রোসাংএ বসেই , “পদ্মাবতী ’’ একটি ঐতিহাসিক প্রণয় উপাখ্যান।চিতোরের রানী পদ্মীনির ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে আলাওল পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন ।আলাওলের অন্যান্য রচনার নাম হল তোহফা, সেকান্দারনামা, সঙ্গীতন শাস্ত্র (রাগতাল নামা), বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় রাধাকৃষ্ণ রূপকে রচিত পদাবলী ইত্যাদি।
এ সমস্ত রচনা পুরা বাংলা ভাষাকেই সমৃদ্ধ করেছে ।
তাই ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় আরাকানের এই নির্যাতিত মুসলিম অধিবাসিদের সাথে এখানকার বাংলাবাসিদের একটা সাংস্কৃতিক যোগসুত্র ছিল সেই শত শত বছর আগে থেকেই । এদের নির্যাতন দেখে এদেশের কবি সাহিত্যিকদের হদয়ে আপনার মত কবিতা রচনা এখন সময়ের দাবী ।
বিদেশের বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের কবি সাহিত্যকদের কলমে আরাকানী মুসলমানদের নির্যাতনের নির্মমতা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলার কথা তারা জানতে পারলে সাহসী প্রতিরোধে তারা আরো অনেক বেশী
প্রত্যয়ী হবে বলে বিশ্বাস ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।
।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় আলী ভাই,
প্রথমেই অনিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, আপনার এ ক্ষুদ্র নবীন ব্লগ-কুটিরে এসে ঘুরে যাওয়ার জন্য। আর আপনাদের মত খ্যাতিমানদের মুখে প্রশংসা পেলে আমাদের জন্য তা নিসন্দেহে অনেক বড় পাওয়া। আপনাদের এ ভালবাসা-প্রেরনা আমাদের চলার পথ সুগম করবে- বিশ্বাস করি।
প্রিয় ভাই,
আপনার পোস্ট মানে নতুন কিছু প্রাপ্তি। মাঝে মাঝেই আপনার ব্লগে যাই। দেখি। কিছু কিছু পড়েছি। আপনার প্রতিটি লেখা জ্ঞানের নতুন নতুন দ্বার উম্মুক্ত করে দেয়। নিসন্দেহে আপনি গুনী ব্যক্তিত্ব। আল্লাহ আপনার জ্ঞান-প্রজ্ঞা আরও বাড়িয়ে দিন। পার্থিব সমৃদ্ধির সাথে সাথে অন্তহীন পারকালিন জীবন আপনার আখিরাতকেও উজ্জ্বল করুন।
মূলত:
হৃদয়ে অবিরত রক্তক্ষরন থেকেই কবিতার এ ক'টা লাইন লেখা। আমাদের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে। নির্জীব, অসাড় আর অবশ চেতনাহীন আমরা। কেমন যেন নিরবধি নিষ্কৃয়তায় আচ্ছন্ন আমাদের দেহ-মন-হৃদয়। আরাকানের নির্যাতিতদের প্রতি ফোটা রক্তের বিপরীতে আমাদের অন্তরেও অযুত রক্তক্ষরন হওয়ার কথা ছিল। ওপাড়ে ওদের অকথ্য নির্মমতা আর এপাড়ে আমরাসহ তাবত বিশ্বের নিরন্তর নির্লিপ্ততা দেখে দেখে শুকনো চোখে ব্যর্থ অশ্রু ঝড়ানোরই বৃথা চেষ্টা ছাড়া আর বিকল্প খুঁজে পাই না।
আর বিশেষত:
অল্প কথায় আরাকানের এই নির্যাতিত রোহিঙ্গা জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য তাদের সাহিত্যানুরাগ ইত্যাদি বিষয়ে আপনার মূল্যবান তথ্য অনেকের কাছেই অজানা। কষ্ট স্বীকার করে এতটুকু সত্য তুলে ধরায় ভালবাসা। এই বিষয়ে যদি আপনি আরও বেশি তথ্য ও তত্ত্বসমৃদ্ধ লেখা আমাদের উপহার দেন কৃতজ্ঞতা থাকবে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা নিরন্তর।
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য । চেষ্টা করব আপনার অনুরোধ রক্ষা করার জন্য।
শুভেচ্ছা রইল ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
অনুরোধ রক্ষা করতে সচেষ্ট হবেন- আশ্বাস পেয়ে ধন্য হলাম।
নির্যাতিত নিপীড়িত বিধ্বস্ত একটি জনপদ আজকের আরাকান। আজকের আরাকানে বসবাসরত শিক্ষা-দীক্ষা বঞ্চিত, অভাবগ্রস্থ, অর্ধাহারী, অনাহারী সর্বোপরি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত নিষ্পেসিত মুসলিমদের নিজেরাও অনেকেই জানেন না তাদের প্রকৃত ইতিহাস। আমাদের সামান্য প্রচেষ্টা যদি ওদের জন্য কোন কাজে নাও লাগে হিসাবের দিনে আর না হোক, আল্লাহ পাকের সামনে এটুকু সামান্যতম চেষ্টা-প্রচেষ্টা সত্যের পক্ষে আমাদের ছিল বলে উপস্থাপন করতে পারব।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
জুন বলেছেন: প্রাচীন কাল থেকেই আরাকানের বৌদ্ধ সম্প্রদায় এত নিষ্ঠুর বেইমান খারাপ যে তার তুলনা করা দুঃসাধ্য । পৃথিবীর আরো অনেক দেশে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা আছে কিন্ত এদের মতন এমন নিষ্ঠুর আর দেখিনি বা শুনিও নি । আরাকানের রাজা মোগল বাদশাহ আওরঙ্গজেবের ভাই শাহ সুজাকে আশ্রয়ের আশ্বাস দিয়ে কিভাবে তাদের ধন সম্পত্তি লুটে নিয়ে তাদের হত্যা করেছিল সে তথ্য আপনি ইতিহাসে পাবেন ।
তারপর ও আরাকানে সুর্য্য উঠে, অস্ত যায় নতুন নকিব ।
ভালোলাগলো আপনার মানবিক বিপর্যয়ে বিদ্ধস্ত রোহিঙ্গাদের নিয়ে কবিতাটি ।
+
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
রাষ্ট্রীয় আয়োজনে জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার একটি ক্ষয়িষ্ণু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব যখন বিলীনের পথে- আপনার সত্য উচ্চারন হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
নৃশংসতারও একটি স্তর থাকে। আইয়্যামে জাহিলিয়াতকে ইতিহাসে সবচে' খারাপ মানুষের বাজে সময় বলে চিত্রিত করা হয়। হাল আমলের এই বর্বর পাষন্ড যান্ত্রবদের কোন অভিধায় অভিহিত করা মানায়? এরা নাকি বলে- 'জীব হত্যা মহাপাপ'। বড় জানতে ইচ্ছে হয়- এদের কাছে তাহলে মুসলিম হত্যা কি? মায়ের বুক থেকে এক ঝটকায় কেড়ে নিয়ে দুধের শিশুকে এরা আছড়ে মারতে কুন্ঠিত হয় না। চোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পরা তপ্ত জল, শরীরে প্রবাহমান ফেনিল লোহু কোন কিছুই যাদের অনুভূতি টলাতে পারে না, এই অভিশপ্তদের মানুষ ভাবতে কষ্ট হয়।
আপনার ভালোলাগায় বিনম্র শ্রদ্ধা।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানবতার পক্ষে অনেক ইমোশান, ক্ষুব্ধতা, দু:খ নিয়ে লিখা হয়েছে পদ্যটুকু।
রোহিংগাদের ভয়ংকর অবস্হার পেছনে দীর্ঘ সময়ের অনেক কার্য-কলাপ যুক্ত; এগুলোকে বুঝে, সমাধান বের করা সম্ভব; মাত্র ১৪/১৫ লাখ মানুষ এত বড় বিশ্বের জন্য সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
এই ব্লগে আপনার পদচারনায় মুগ্ধ!
নির্যাতিত নিষ্পেসিত নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের মুক্তির লক্ষ্যে সমাধান সম্ভব- বড় আশা জাগানিয়া কথা!
সত্যের পক্ষে আপনি আমি আমরা ক্রমশ: সবাই যদি একাট্টা বাধি, একতাবদ্ধ হই ১৪/১৫ লাখ লোকের ভাগ্যাকাশের এই অমানিশার কালো মেঘ কেটে যাবে এক দিন।
এক কালের সমৃদ্ধ মুসলিম জনপদ আরাকান আজ লাশের নগর। শিক্ষা, সাহিত্য, কলায় অগ্রসর একটি জাতির অধ:পতন লক্ষ্য করলে শিহরিত হতে হয়। ইতিহাস পাঠে আরাকান রাজসভা অলংকৃত বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা অনেক কবি সাহিত্যিকের নাম আমরা জানতে পারি। আর এ থেকেই অনুমান করা যায়, এখন থেকে সেই কয়েকশো বছর আগে যাদের সাহিত্যানুরাগ রাজসভাকে পর্যন্ত দীপ্তিমান করে তুলতো সেই জাতির ভিতরে শিক্ষা দীক্ষা ইত্যাদির গুনাবলীরও বিকাশ অনস্বীকার্য। কিন্তু পরবর্তী ইতিহাস অত্যন্ত নির্মম। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়- দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষা দীক্ষাসহ সার্বিক নাগরিক অধিকার বঞ্চিত রেখে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পৃথিবীর মানচিত্র থেকে সরিয়ে দেয়ার সুদৃঢ় চক্রান্ত বাস্তবায়ন আজ প্রায় শেষের পথে।
জাতিগত নির্মূলের হীন চক্রান্তের শিকার এই দুর্বল অসহায় আশ্রয়হীনদের পাশে আমাদেরই দাড়াতে হবে। বিশ্ব সভায় আমাদের উচ্চকিত উচ্চারন, মানবতার পক্ষে বিধ্বংসী হুংকার, আমাদের বজ্রনিনাদ বিলাসী ভোগবাদী মোড়লদের আরামের নীদ হারাম করে দিবে। জাতিসংঘসহ তাবত মজমায় আমরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে মুখে ফেনা তুলব, মাতৃভূমিতে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবেই।
ভাল থাকবেন।
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
মো: ওসমান গনি তালুকদার বলেছেন:
সূর্য যদি কোন দেশ বাদ দিয়ে উঠতে পারতো তবে অবশ্যই আরাকান ও ইজরায়েল বাদ দিয়ে উঠতো।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই তালুকদার।
নির্যাতনের স্টীম রোলারে পিষ্ট নিগৃহীত লাঞ্চিত মানবতার প্রতি আপনার নিখাদ ভালবাসাকে অগনন শ্রদ্ধা।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: নতুন দিনের আলো ফোটা মানে-
আবারও আমাকে প্রত্যক্ষ করতে হবে-
মায়ের সামনে- বাবার সামনে- ভাইয়ের সামনে-
এবং পৃথিবীবাসী সাতশো কোটি সজাতির চোখের সামনে ধর্ষিতা কিশোরীর রক্তাক্ত নিস্তেজ দেহ!
নিষ্ঠুরতার নিয়ে চমৎকার প্রতিবাদী কবিতা। ধন্যবাদ
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রামানিক ভাই,
সামুতে জনপ্রিয়তা যাদের তুঙ্গে সম্ভবত: আপনি তাদের অন্যতম। এখানে পদচারনায় মুগ্ধ। হেরে যাওয়াদের দলে থাকাটাই বোধ হয় আমাদের নিয়তি। রোহিঙ্গারাও যে তাই। জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার এক বাস্তুহারা জাতির নাম রোহিঙ্গা।
ভাল থাকবেন।
১১| ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
এইগুলো কয়েক দিন লাফালাফি করার পরে এমনিতেই ঠান্ডা মেরে আন্ডা হয়ে যাবে, আগেই বুঝেছি। এখন আর নেই। কয়েকটা দিন কী যে যন্ত্রনা করেছে, ওরে বাপরে বাপ! একেবারে যেন পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান মুসলিম। কত্ত কি বাহানা, শয়তান পালিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ পাক এই ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্র নিজ কুদরতে নস্যাত করে দিন। আমীন।
১২| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
হাফিজ রাহমান বলেছেন: সোনালী দিনের প্রত্যাশায় আছি। একদিন এ জুলুমের অবসান হবে। একদিন রাতের আঁধার চিরের সূর্য উদিত হবে।.....
'মাঝে মাঝেই মনের ভিতর উঁকি দিয়ে ওঠে নাস্তানাবুদ ভিয়েতনামের কান্নারত মলিন চেহারা, সারি সারি লাশের মিছিলে রক্তাক্ত ইরাক-আফগান-লিবিয়ার ক্ষতবিক্ষত ধ্বংসস্তুপের ছিন্নভিন্ন মানচিত্র, তুষের আগুনের মত ধিকি ধিকি জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় বসনিয়া-চেচনিয়া-কাশ্মীর-জিনজিয়াং, পারমানবিক বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হিরোশিমা-নাগাসাকি, প্রায় শত বছর ধরে সুকৌশলে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত অভিশপ্ত ইয়াহুদিদের দিয়ে ধীরলয়ে আস্ত একটি স্বাধীন দেশ ফিলিস্তিনকে গিলে খাওয়ার যাতনাময় দৃশ্য, এবং হালের জাতিগত নির্মূলের শিকার রোহিঙ্গা জাতির পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত নিরবতা পালনসহ বিশ্বময় জিইয়ে রাখা এরকমের হাজারও সমস্যার মূলে কার, কাদের কালো হাত সদা সক্রিয়?
পৃথিবীজুড়ে এগুলো যারা করেন, করান তাদের দল আছে। সেই দলের লিডারও আছেন। চিন্তা করে দেখুনতো এই লিডারকে চিনতে পারেন কি না।'
০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
হাফিজ রাহমান,
পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন অন্তহীন।
ভাল থাকবেন ভা্ই।
০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
দু:খিত! জবাবে কিছুটা দেরি হয়ে গেল।
১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে শীত-গ্রীষ্ম বলে কোন মওসুম নেই
প্রতিটি সকাল, প্রতিটি সন্ধ্যা, প্রতিটি দুপুর, প্রতিটি মধ্যরাত নিশ্চিত বিভীষিকা- নতুন অন্ধকার-
বিষূভিয়াসের আগ্নেয়গিরির মত এখানেও লাভা উদ্গীরন হয়-
রক্তের লাভা- লাল অত:পর জমাটবদ্ধ কালো রক্ত-
রক্তাক্ত উঠোন- বাড়ি-ঘর- ফসলের ক্ষেত- মেঠো পথ
উপভোগ্য রক্ত রঙিন জনপদ! -- অন্তরে যে গভীর বেদনাবোধ আর ক্ষোভ নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন, তা এ ক'টি চরণে পরিস্ফূট। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদেরকে শান্তিপ্রিয় এবং নীরিহ বলে চিরদিন জেনে এসেছি, যারা কোন প্রাণী হত্যা করেনা। কিন্তু আরাকানে রোহিংগাদের প্রতি এদের বিভীষিকাময় তান্ডব ও বর্বরতা দেখে আমার সে ধারণা পাল্টে গেছে।
ডঃ এম এ আলী (৪ নং) এবং জুন এর (৬ নং) মন্তব্য দুটো ভাল লেগেছে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি,
দু:খিত! উত্তরে আসতে অনেক বিলম্ব করায়। অাপনি ঠিকই বলেছেন, আমরাও শুনে এসেছি- 'বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা শান্তিপ্রিয় এবং নীরিহ'। 'জীব হত্যা মহাপাপ' তাদের অন্যতম শ্লোগান।
আসলে এই বৌদ্ধ মগ বদমাশরা মুখোশের আড়ালে ভয়ঙ্করতম হিংস্র রক্তখেকো ইতর প্রানী বিশেষ। মুখে এরা যতই 'জীব হত্যা মহাপাপ' শ্লোগান দিয়েই যাক না কেন, এদের চরিত্র সত্যিকারার্থে প্রাচীন কাল থেকেই কদর্যতা-নির্মমতা-হিংস্রতা-হত্যাযজ্ঞ-জিঘাংসা-গাদ্দারী-বদমাশি-লুঠ-লুন্ঠন-রাহাজানি-ডাকাতি-হানাহানিতে অন্ধকারাচ্ছন্ন। মানবেতিহােসের কলঙ্ক এই রাক্ষুসে স্বভাবের নির্দয়-নিরতিশয় নির্মম স্টুপিডগোষ্ঠী। এদের প্রতি অভিশাপ পৃথিবীর প্রতিটি জড় ও জীবের। আল্লাহ পাকের কাছে কায়মনোবাক্যে দোআ করুন, তিনি যেন দয়া করে এই অত্যাচারী শকুনের জাতকে চির দিনের জন্য ধ্বংস করে দেন। আদ, সামুদ, কওমে নূহ আলাইহিসসালাম, কওমে লূত আলাইহিসসালাম এর মত, আসহাবে আইকাহ এর মত প্রচন্ডতম শাস্তি দিয়ে এই দুরাচারীদের তিনি যেন নাস্তানাবুদ করে দেন। আমীন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেই সব মানুষের জন্য আপনার সমবেদনা সম্মান করি।