নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
তাকওয়ার মূল কথা হচ্ছে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য সকল কিছু থেকে অন্তরাত্মাকে খালি করা। আর অন্তরে আল্লাহ পাকের ভয় আজমত মহত্ব ভালবাসাকে সবার উপরে স্থান করে দেয়া। এই দুই জিনিষ যে যতটুকু ধারন করতে পারবে, তার অন্তরও তত স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। আল্লাহ পাকের নৈকট্যও তিনি ততটা লাভ করতে পারবেন। কত মানুষইতো আল্লাহকে পাওয়ার এই প্রচেষ্টায় ব্যাপৃত হয়েছেন, হচ্ছেন এবং হবেন। কিন্তু, একাধারে ৪০ বছর ধরে পবিত্র কুরআনের আয়াত ছাড়া একটি কথাও মুখ দিয়ে উচ্চারন না করার মত বিরল ঘটনাও কি বিশ্বাস করার মত! কিন্তু, বাস্তবতা তো অস্বীকার করে নিতেই হয়! এমনই তাকওয়া আর খোদাভীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন আমাদের পূর্বসূরীগন! নিশ্চয়ই এই আলোকিত উদাহরন আল্লাহর অপার রহমত আর কুদরতেরই বহিপ্রকাশ বৈ কিছু নয়। তাঁর রহমতের কি কোন সীমা পরিসীমা থাকে! কতই না মহান তিনি!
বক্ষমান ঘটনাটিতেও এরকম আল্লাহ ভীতিরই বহিপ্রকাশ ঘটেছে অনুপম উচ্চতায়, অন্তহীন সাধনায়।
ইমাম আযম হযরত আবু হানিফা রহমাতুল্লাহ আলাইহির অন্যতম ছাত্র হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন: আমি একবার হজ্বে গিয়ে মরুভূমির ভেতরে রাস্তা অতিক্রম করতে গিয়ে এক স্থানে একাকি এক বৃদ্ধা মহিলাকে বসা দেখলাম। বিজন মরুপ্রান্তরে তাকে একাকি এভাবে দেখে আমার মনে হল, তিনি বিপদগ্রস্ত কেউ হবেন। তার সাথে আমার কথোকথন ছিল বিস্ময়কর। তিনি আমার প্রত্যেকটি কথার জবাব কুরআনের আয়াত দ্বারা দিয়েছিলেন। কথোপকথন বিস্তারিত তুলে ধরা হল:
অধিকাংশ ইসলামী স্কলারগনের মতে এই মহীয়সী নারীর নাম 'রাবিয়্যাহ' কিংবা 'উম্মে ইয়াহইয়া'।
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ.: ''আসসালামু আলাইকুম।''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া): ''سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ'' অর্থ: ''দয়াবান রবের পক্ষ থেকে সালাম।'' (সূরাহ ইয়াসিন, ৫৮ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি বললাম: ''আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। আপনি এখানে বসে কী করছেন?''
জবাবে রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন সূরাহ কাহাফের এই আয়াত: ''مَن يُضْلِلِ اللّهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ وَيَذَرُهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ'' অর্থ: ''আল্লাহ পাক যাকে পথহারা করেন, তাকে পথ দেখানোর কেউ থাকে না।'' (সূরাহ আ'রাফ, ১৮৬ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি বুঝতে পারলাম মহিলাটি পথ হারিয়ে ফেলেছে। তাই জিজ্ঞেস করলাম: ''কোথায় যেতে চান আপনি?''
উত্তরে রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ'' অর্থ: ''তিনি একটি পবিত্র সত্তা যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলায় মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকছায় ভ্রমন করিয়েছেন।'' (সূরাহ ইসরা, ১ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি বুঝতে পারলাম মহিলাটি হজ্জের কাজ শেষ করেছেন। এখন তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস যেতে চান। জিজ্ঞেস করলাম: ''কতক্ষন এখানে বসে আছেন?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) উত্তরে তিলাওয়াত করলেন: ''ثَلَاثَ لَيَالٍ سَوِيًّا'' অর্থ: ''পূর্ন তিনটি রাত ধরে।'' (সূরাহ মারইয়াম, ১০ নং আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. জিজ্ঞেস করলেন: ''আপনার কাছে আহারের কিছু দেখছি না। কি খেয়ে কাটাচ্ছেন?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ'' অর্থ: ''তিনি আমাকে খাইয়ে থাকেন এবং তিনিই আমাকে পান করিয়ে থাকেন।'' (সূরাহ শুআ'রা, ৭৯ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. জিজ্ঞেস করলেন: ''কিসের দ্বারা অযু করে থাকেন?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا'' অর্থ: ''পাক মাটি দিয়ে তখন তায়াম্মুম করে নিও।'' (সূরাহ নিসা, ৪৩ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বললেন: ''আমার কাছে কিছু খাবার আছে। খাবেন?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''রাত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে (অর্থাত, সূর্যাস্তের পরে ইফতার করে) রোযাকে পূর্ন কর।'' (সূরাহ বাক্কারাহ, ৮৭ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বললেন: ''কিন্তু এটাতো রমজান মাস নয়।''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ'' অর্থ: ''যে ব্যক্তি সাওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে নফল ইবাদত করে থাকে আল্লাহ তার কদর করে থাকেন এবং তিনি সব জানেন'' (সূরাহ বাক্কারাহ, ১৫৮ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বললেন: ''মুসাফির অবস্থায় ফরয রোযাও তো না রাখা জায়েজ আছে।''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''وَأَن تَصُومُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ'' অর্থ: ''(কত যে সাওয়াব) তোমরা যদি জানতে তাহলে রোজা রাখাটাই ভাল মনে করতে।'' (সূরাহ বাক্কারাহ, ১৮৪ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. জিজ্ঞেস করলেন: ''আপনি আমার মত করে কথা বলছেন না কেন?''
জবাবে রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''مَا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ'' অর্থ: ''মানুষ যে কথাটিই বলছে খবরদারীর জন্য তার কাছে একজন ফিরিশতা প্রস্তুত আছে।'' (সূরাহ ক্কাফ, ১৮ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. জিজ্ঞেস করলেন: ''আপনি কোন গোত্রের লোক?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ'' অর্থ: ''যে বিষয়ে জানতে নেই, সে বিষয়ের পেছনে লেগো না।'' (সূরাহ ইসরা, ৩৬ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি আরজ করলাম: ''ভুল হয়ে গেছে। আমি মাফ চাচ্ছি।''
উত্তরে রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''قَالَ لاَ تَثْرَيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللّهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ'' অর্থ: ''আজ তোমাদের প্রতি কোন তিরষ্কার নেই। আল্লাহ তোমাদের মাফ করে দিন।'' (সূরাহ ইউসূফ, ৯২ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি বললাম: ''যদি চান তবে আমার উটনির পিঠে সওয়ার হয়ে আপনার দলের লোকের কাছে যেতে পারেন''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللّهُ'' অর্থ: ''তোমরা যা কিছু ভাল কাজ কর আল্লাহ তা জেনে থাকেন।'' (সূরাহ বাক্কারাহ, ১৯৭ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, এই আয়াত শোনার পরে আমি আমার উটনিকে বসালাম। কিন্তু মহিলা তার পিঠে সওয়ার হওয়ার আগে বললেন: ''قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ'' অর্থ: ''মুমিন ব্যক্তিদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচের দিকে করে রাখে'' (সূরাহ নূর, ৩০ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি আমার দৃষ্টিকে নিম্নগামী করে তাকে বললাম: ''এবার সওয়ার হোন।''
মহিলা সওয়ার হতে গেলেন। কিন্তু, উটনি ভয় পেয়ে পালাতে উদ্যত হলো। ধস্তাধস্তির ফলে বৃদ্ধা মহিলার কাপড় ছিড়ে গেল। তখন রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''وَمَا أَصَابَكُم مِّن مُّصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ'' অর্থ: ''যত মুছিবত এসে থাকে তা তোমাদের আমলের কারনে।'' (সূরাহ শুআ'রা, ৩০ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি তাকে বললাম: ''একটু অপেক্ষা করুন। উটনি বেঁধে দিচ্ছি। তারপরে সওয়ার হোন।''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) তিলাওয়াত করলেন: ''فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ'' অর্থ: ''এই সব বিষয়ের সমাধান আমি সুলাইমান (আ কে শিখিয়ে দিয়েছি।'' (সূরাহ আম্বিয়া, ৭৯ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি উটনিকে ভাল করে বাঁধলাম। তারপর তাকে বললাম: ''এবার সওয়ার হোন।''
তখন রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) উটের পিঠে সওয়ার হয়ে এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: ''سُبْحانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ'' অর্থ: ''পবিত্র সেই সত্তা যিনি এটাকে আমাদের আয়ত্তাধীন করে দিয়েছেন। আমাদের ক্ষমতা ছিল না তাকে আয়ত্ত করার। আর আমরা আমাদের পরওয়ারদেগারের কাছে নি:সন্দেহে ফিরে যাব।'' (সূরাহ যুখরূফ, ১৩, ১৪ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি উটনির লাগাম ধরে হাটতে লাগলাম। খুব জোরে হাটছিলাম আর চিতকার করে করে উটনি তাড়াচ্ছিলাম। এই দেখে তিনি তিলাওয়াত করলেন: ''وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِن صَوْتِكَ'' অর্থ: ''স্বাভাবিক পন্থায় হাঁট আর তোমার স্বর অবনত কর।'' (সূরাহ লুক্কমান, ১৯ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, এবার আমি আস্তে আস্তে হাটতে লাগলাম এবং কবিতার কয়েকটি ছন্দ গুন গুন করে গাইতে লাগলাম। এই দেখে তিনি তিলাওয়াত করলেন: ''فَاقْرَؤُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ'' অর্থ: ''কুরআন থেকে যে অংশ সহজ মনে হয় তাই পড়'' (সূরাহ মুজ্জাম্মিল, ২০ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি তাকে বললাম: ''আল্লাহ পাক সত্যি আপনাকে নেককার মহিলা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।''
তখন রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: ''وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الألْبَابِ'' অর্থ: ''যাদের জ্ঞান আছে তারাই শুধু শিক্ষা গ্রহন করে থাকে।'' (সূরাহ আলে ইমরান, ৭ আয়াতাংশ)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, কিছুক্ষন চুপচাপ চলার পর তাকে জিজ্ঞেস করলাম: ''আপনার স্বামী আছে?''
তখন রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: ''يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَسْأَلُواْ عَنْ أَشْيَاء إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ'' অর্থ: ''তোমরা এমন বিষয় জিজ্ঞেস করো না, যা প্রকাশ পেলে তোমাদের কাছে খারাপ লাগতে পারে।'' (সূরাহ মায়িদাহ, ১০১ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, এবার আমি পুরোপুরি চুপ হয়ে গেলাম। যতক্ষন কাফেলা না পাওয়া গেল আমি তার সাথে কোন কথা বললাম না। কাফেলা যখন সামনে দেখতে পেলাম তখন তাকে বললাম: ''এই যে সামনে কাফেলা এসে গেছে। এই কাফেলায় আপনার কে আছে?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: ''الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا'' অর্থ: ''সম্পদ এবং সন্তান এসবই দুনিয়ার জীবনের বিলাসিতা।'' (সূরাহ কাহফ, ৪৬ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি বুঝতে পারলাম এই কাফেলায় তার ছেলে আছে। জিজ্ঞেস করলাম: ''কি কাজ করে সে এই কাফেলায়?''
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: ''وَعَلامَاتٍ وَبِالنَّجْمِ هُمْ يَهْتَدُونَ'' অর্থ: ''অনেক চিহ্ন আছে। আর নক্ষত্রের সাহা্য্যে তারা পথের নির্দেশ গ্রহন করে থাকে।'' (সূরাহ নহল, ১৬ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, বুঝতে পারলাম তার ছেলে এই কাফেলার পথ নির্দেশক 'রাহবর'। মহিলাকে নিয়ে কাফেলার তাবুতে গেলাম। সেখানে গিয়ে বললাম: ''এইবার বলুন, এখানে আপনার কে আছে?"
রাবিয়্যাহ (উম্মে ইয়াহইয়া) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন:
'' وَاتَّخَذَ اللّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلاً'' অর্থ: ''এবং আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম (আ কে দোস্ত হিসেবে গ্রহন করেছেন।'' (সূরাহ নিসা, ১২৫ আয়াত)
''كَلَّمَ اللّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا'' অর্থ: ''আর মূসা (আ এর সাথে আল্লাহ পাক কথা বলেছেন।'' (সূরাহ নিসা, ১৬৪ আয়াত)
''يَا يَحْيَى خُذِ الْكِتَابَ بِقُوَّةٍ'' অর্থ: ''হে ইয়াহইয়া! শক্ত করে কিতাব ধারন কর।'' (সূরাহ মারইয়াম, ১২ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, এই আয়াতগুলো শোনার পরে আমি চিতকার করে ডাকতে লাগলাম: ''হে ইবরাহীম! হে মূসা!
হে ইয়াহইয়া!"
কিছুক্ষন পর চাঁদের মত সুন্দর কয়েকজন নওজোয়ান আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। আমরা যখন স্থির হয়ে আসন গ্রহন করলাম তখন মহিলা তার ছেলেদের বললেন: ''فَابْعَثُوا أَحَدَكُم بِوَرِقِكُمْ هَذِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلْيَنظُرْ أَيُّهَا أَزْكَى طَعَامًا فَلْيَأْتِكُم بِرِزْقٍ مِّنْهُ'' অর্থ: ''এই টাকা দিয়ে তোমাদের মধ্যে হতে কাউকে শহরে পাঠাও। সে অনুসন্ধান করে দেখবে কোন খাবারটি অধিক পবিত্র। তখন সে তোমাদের জন্য সেখান থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসবে।'' (সূরাহ কাহফ, ১৯ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, এই আয়াত শুনে তাদের মধ্যে থেকে একটি ছেলে উঠে গেল এবং কিছুক্ষন পরে খাবার নিয়ে আসলো। খাবার আমার সামনে যখন রাখা হলো তখন মহিলাটি বললো: ''كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا أَسْلَفْتُمْ فِي الْأَيَّامِ الْخَالِيَةِ'' অর্থ: ''সানন্দে খাও এবং পান কর। এগুলো তোমাদের সেই কাজের বিনিময় যে কাজ তোমরা ইতিপূর্বে করে এসেছো।" (সূরাহ আল হাক্কাহ, ২৪ আয়াত)
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, আমি আর থাকতে পারলাম না। ছেলেদের বললাম: "এই খাবার আমার জন্য হালাল হবে না যতক্ষন ন তোমরা এই মহিলার রহস্য বলছো।''
ছেলেরা বললো: ''চল্লিশ বছর যাবত আমাদের মায়ের এই অবস্থা। এই চল্লিশ বছরে তিনি কুরআন পাকের আয়াত ছাড়া একটি বাক্যও বলেন নি। এই জন্য এই নিয়ম তিনি পালন করছেন যেন জিহবা থেকে কোন অপ্রয়োজনীয় কথা বের না হয়ে পড়ে। তাহলে আল্লাহ নারাজ হবেন।''
আমি বললাম: ''এসব আল্লাহ পাকের অনুগ্রহের নিআমত। যাকে ই্চ্ছা প্রদান করেন। আর আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহশীল মহান।'' (সূরাহ আল হাদীদ, ২১ আয়াত)
সংগ্রহ: আল-আবশেহী (র। আল মুসতাতারফু ফি কুল্লি ফান। মুসতাতারফ ১ম খন্ড ৫৬ ও ৫৭ পৃষ্ঠা। মিশর ১৩৬৮ হিজরী।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কেউ ইচ্ছে করেই এমন করছে
ঘাবড়ায়েন না আল্লাহ ভরসা
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, অনেক অনেক প্রিয় বোন।
ঘাবড়াচ্ছি না। ভৌতিক মনে হচ্ছে।
নিজের খেয়ে বলুন, কে এমন বনের মোষ তাড়াতে যায়!
তা, পোস্ট নিয়ে কিছু বললেন না যে!
ভাল থাকুন।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ছুবহানাল্লহ।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যে আসায় অভিনন্দন অন্তহীন।
নিশ্চয়ই ভাল সময় কাটছে।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ভালো আলোচনা
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পজিটিভ দৃষ্টিকোন থেকে দেখায় শুভকামনা অশেষ।
ভাল থাকবেন।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুবহানআল্লাহ -
আমি বললাম: ''এসব আল্লাহ পাকের অনুগ্রহের নিআমত। যাকে ই্চ্ছা প্রদান করেন। আর আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহশীল মহান।'' (সূরাহ আল হাদীদ, ২১ আয়াত) আসলেই
কুরআনের আয়াত দিয়ে উনার জবাব ঃঅসাধারণ মহিয়সী নারী
ধন্যবাদ সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যে আসায়।
এই পোস্টটি দেখে কেউ কেউ হয়তো ভেবে থাকতে পারেন, এ ধরনের ঘটনা এই আধুনিক যুগে শুনিয়ে লাভ কি? আমরা কি তাদের মত অত উঁচু আমলওয়ালা হতে পারব?
এই জাতীয় প্রশ্নের উত্তরে বিনীতভাবে বলতে চাই, পুরাকালের মহতী-মহীয়সীদের মত আমরা হয়তো হতে পারব না। কিন্তু তা হতে না পারলেও কিছুটা প্রেরনাও কি তাদের মহান জীবন থেকে গ্রহন করতে পারি না?
ভাল থাকুন।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
শাহীর সাম্প্রতিক পোস্টে আপনার দলিলভিত্তিক কাদিয়ানী গাঁথা দেখেছি। মোবারকবাদ।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কিছু মনে করবেন নাহ, অনেক ব্লগার আছেনন যাদের ব্লগ প্রথম পোস্ট ও আসে নাহ, হাতে গনা কিছু ফলোয়ার কিন্তু ছাই পাস কিছু লিখতে ইই পাঠক সংখ্যা ১০০০ ১২০০০ কিভাবে?
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই, কি আর মনে করব! এই পোস্ট নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। অস্থিরভাবে ভিউ সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। কোন যাদু বলে এই অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটছে, আল্লাহ মা'লূম।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কি মনে হচ্ছে যে, আপনার পোস্ট অলৌকিকভাবে পঠিত ( রিফ্র্বস ) হচ্ছে?
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
কেরামতি মনে হচ্ছে!
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু সাহিদা সুলতানা শাহীর সে পোষ্ট কর্তৃপক্ষ মুছে দিয়েছে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
কেন এমনটি হল?
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পোষ্টটি পড়লাম। খুব ভাল লেগেছে। অবিশ্যাষ্য লাগলেও আল্লাহর ইচ্ছায় এই পৃথিবীতে অনেক কিছুই সম্ভব।
তবে আপনার এই পোষ্টি এত বেশিবার পঠিত হওয়ার কারনে আপনি যে ভাবে উচ্ছাসিত হয়েছেন আর সেই উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন সেটা আমার কাছে ভাল লাগেনি। আপনার নিজেই এত গুলো কমেন্টের কোন মানে দেখলামনা। পোষ্টটি যতবারই পঠিত হোক না কেন আমার মনে হয় এই পোষ্টটি পুরোটাই পড়ার পাঠক নিতান্তই কম। যাই হোক ভাল থাকুন নকিব ভাই।
মহান আল্লাহ তার বানী যুগে যুগে সব মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে পৌছে দিবেনই।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
পাঠ ও মন্তব্যে অভিনন্দন অন্তহীন। আপনার ভাল লেগেছে জেনে আপ্লুত!
হ্যা, ভাই একদম ঠিক বলেছেন, 'আল্লাহর ইচ্ছায় এই পৃথিবীতে অনেক কিছুই সম্ভব।'
আমি আসলে উচ্ছাস প্রকাশের জন্য নয়। বার বার মন্তব্য করেছি, যাতে বিজ্ঞ ব্লগারবৃন্দ এবং সামুর সম্মানিত মডারেটরগনের দৃষ্টিতেও পোস্ট ভিউইংয়ের এই বিষয়টি এসে যায় এবং তারা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে যেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন। মূলত: এই উদ্দেশ্যেই আমার বার বার সংখ্যাগুলো টুকে রাখা। সর্বোপরি, আপনার যেমন ভাল লাগে নি; নিজের কোন পোস্টে এতবার মন্তব্য করার এ বিষয়টি আমার কাছেও ভাল ঠেকে নি। তবু করতে হয়েছে, শুধুমাত্র ডকুমেন্ট সংরক্ষনের সুবিধার্থে।
আবারও আপনার মঙ্গল কামনা করছি। সুন্দর সময় পার করুন দুনিয়া আখিরাতে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সোহেল ভাই,
আমার উদ্দেশ্য আশা করি সফল হয়েছে। যাদের দেখানোর জন্য বার বার মন্তব্যে এসেছিলাম। ডকুমেন্ট সংরক্ষনের চিন্তা করেছিলাম, তা বোধ করি এতক্ষনে পূর্ন হয়েছে। এবার অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যগুলো মুছে দিচ্ছি।
ভাল থাকুন।
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: দুঃখ জনক ভাবে আমার ‘ইমাম মেহেদী (আঃ)’ পোষ্টটি কর্তৃপক্ষ মুছে দিয়েছে এবং সেই সাথে আমাকে জেনারেল করে আমার কলম কেড়ে নিয়েছে। অথচ আমি কারো সম্মান হানিকর কিছু লিখিনি। শুধু যারা তাদের ইমাম মেহেদী দাবীর সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তাদের নকল বলেছি। এতেই কি ব্লগের নীতিমালা লংঘন হলো? আর তার জন্য এতোবড় শাস্তি!
মন্তব্যে সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষ মন্তব্য মুছতে দেখেছি কিন্তু পোষ্ট মুছে দেওয়া ও ব্লগারকে জেনারেল করে দেওয়া সেটা কেমন কথা? আর মানুষের ভুল হতেই পারে, তাইবলে কোন হলুদ কার্ড ছাড়া একবারেই লাল কার্ড প্রদর্শন! অবশ্য আমার পোষ্টটি অনেকেই পড়েছেন। এটাই আমার শান্তনা। তারা ভাল বলতে পারবেন লেখায় কি ত্রুটি ছিল?
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
শাহী,
পোস্টটি আমি দেখেছিলাম। আপনার পোস্টটি কেন সরিয়ে দেয়া হল আমার জানা নেই। আমি দু:খিত হয়েছি বিষয়টি জেনে। সামুর সম্মানিত মডারেটর যদি এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দয়া করে দিতেন তাহলে আমাদের সকলের জন্য তা হয়তো শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে থাকতে পারতো। আর আপনার জেনারেল হওয়াটাও একইসাথে দু:খজনক।
যাই হোক, ধৈর্য্য ধরুন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
মন্তব্যে আসায় অনেক অনেক প্রীতি। ভাল থাকুন।
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমি সাহিদা সুলতানা শাহীর পোস্ট পড়েছি। ওনার লেখার ধরন স্টাইল সব টা ফরিদ আহমেদ কে কপি করে নেওয়া ও এক? কি কারন কে জানে? আবার ফরিদ আহমেদের মত শাহিদা সুলতানা তার ইমাম মাহাদি পোস্ট ব্লগার চাঁদ গাজীকে উৎসগ করেছেন। একজন নারী ব্লগার এভাবে পোস্ট কোন পুরুশ কে ঊৎসগ করে তাও আবার ধর্মীয় পোস্ট এইটা খুব বিরল। তার উপর ধর্মীয় ব্যপার জ্ঞান খুবি কম, কোম প্রশ্নের জবাব ঠিক মত দিতে পারে নাহ। ধানাই পানাই করে। সামু আপাতত জেনারেল করে সঠিক কাজ করেছে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় দফাদার,
নিশ্চয়ই ভাল আছেন। একই রকম স্টাইলে অনেকের লেখা থাকাটা অস্বাভাবিক মনে করি না। আর কোন ব্লগার তার কোন পোস্টকে তো যে কারও জন্য ঊৎসর্গ করে থাকতে পারেন বলেই ধরে নেয়া যায়। নারী পুরুষের ভেদাভেদ কি এখানে বড় কোন ফ্যাক্ট?
তবে, আপনার সাথে সহমত পোষন করি আপনার ধর্মীয় জ্ঞানের পরিধি বিষয়ক কথাটাতে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয় যে, যার যে বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান নেই তিনি সে বিষয়ে কলম ধরার পূর্বে তার কর্তব্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভাল করে জেনে নেয়া।
ভাল থাকুন ভাই।
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দফাদার-যে কাজ করে তার কাজে ত্রুটি পাওয়া যায়। আর যে কাজ করেনা তার ত্রুটিও পাওয়া যারা। আমাদের সাহিত্যেও আছে রবীন্দ্র ও নজরুল ধারা যারা অনুসরন অনেকেই করেছেন।আপনি কাজও করেননা। আপনার ভুরও নেই। আর চাঁদগাজি একজন বয়জেষ্ঠ বীর মুক্তি যোদ্ধা। তাঁকে সম্মান করাতে দোষের কি দেখলেন? চাঁদগাজি ছাঁছাছোলা কথা বলে, যা অনেকের পছন্দ না হলেও তাঁর কথা থেকে অনেক সত্য বেরিয়ে আসে। আপনারা যে ভাবে শুরু করেছেন, তাতে কলম চালানোর জন্য ব্লগে এসেও কলম চোষা ছাড়া উপায় থাকবেনা। কথা বল্লে দোষ হবেই। কথায় বলে বোবার শত্রু নেই।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি,
যুক্তি সংগত কথা- 'যে কাজ করে তার কাজে ত্রুটি পাওয়া যায়। আর যে কাজ করেনা তার ত্রুটিও পাওয়া যারা।'
আমিও এটাই মনে করি, কারও লেখার সাথে, কিংবা তার স্টাইলের সাথে অন্য কারও মিল থাকতেই পারে। তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিংবা ভিন্ন চিন্তার কি থাকতে পারে!
ভাল থাকুন।
১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দফাদার-ব্লগার আলপনা তালুকদারের পোষ্টে একটা গল্প পাবেন। কেউ মনেই করেনি যে এটা হুমায়ুন আহমদের গল্প নয়। অথচ আলপনা বলেছেন গল্পটি তিনি নিজে লিখেছেন। এটাকে আপনি কি বলবেন? আপনাদের ভিতরে এসব হীনমন্যতাবোধ কোথা থেকে আসে কে জানে?
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
বলেন কি! তালুকদার এই কাজ করেন!
১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনাদের ভিতরে এসব হীনমন্যতাবোধ কোথা থেকে আসে কে জানে?
ফরিদ সাহেব আমি কি আপনাকে ছোট করে কিছু বলেছি? আর আপনি কি শাহিদা সুলতানার মনের খবর জানেন? ওনি কপি পেস্ট করেছেন নাকি ওনার জন্য সাহিত্য আপনার সাথে মিল গেছে? আপনি কেন কোন যুক্তিতে তার পক্ষে সাফাই গাইছেন? যেখানে তিনি নিজেই যেখানে নিরব আপনি এসে তার মনের কথা বলেছেন? খুবই হাস্যকর
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই,
আসুন ক্লেশ কালিমা সব ভুলে যাই। হৃদ্যতায় আপন করে নেই ধরা বসুধা।
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
ভাল থাকুন।
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পোষ্টি পর্ব আকারে দিতে পারতেন।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় সত্যের ছায়া,
আপনার পরামর্শ গুরুত্বপূর্ন। পরবর্তীতে ট্রাই করার ইচ্ছে থাকল। অভিনন্দন অন্তহীন মন্তব্যে আসায়, পরামর্শ প্রদানে।
যদিও একবারে পোস্ট দেয়ার জন্য লিখতে কিছুটা কষ্ট হয়েছে। তবু আমার কাছে একসাথে দিলে ভাল লাগে। আপনি কেমন আছেন?
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
সামু শাহিন১০০০ বলেছেন: মাসাল্লাহ, মাসাল্লাহ
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় শাহিন১০০০,
জাজাকুমুল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ্দারাইন।
পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
১৭ জুলাই ২০১৭ সকাল ১০ টা ৩৩ মিনিটে এই পোস্টটি পাবলিশ করি। এখন আমার এখানে ১১ টা ০৪ মিনিট। বুঝতেছি না, কিভাবে এত অল্প সময়ে ৪২১ বার পঠিত হল। এই হার বেড়েই চলেছে। গানিতিক হারে।
কেউ কেউ হয়তো ধারনা করবেন, আলোচিত ব্লগে নিতে আমরা এগুলো করছি। কিন্তু, সত্যি কথা হচ্ছে, ঘটনা দর্শনে নিজেই আশ্চর্য বোধ করছি।
সর্বশেষ, এতটুকু লিখে শেষ করতেই ভিউ ৪৬৯ তে পৌঁছেছে। যাক, দেখা যাক কিসে কি হয়!