নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
আজকে মুসলমানদের অধ:পতন দর্শনে আল্লামাহ ইকবাল রহ. এর অনুভূতিগুলো ছিল অন্যরকম। তিনি যেন এ জাতির দুরবস্থা সম্যক উপলব্ধি করতেন। তার আজীবনের স্বপ্ন ছিল ঘুমন্ত মুসলিম জাতির জাগরন। আল্লাহ পাক তাকে ক্ষমা করুন। জান্নাতে উচ্চ অবস্থানে সমাসীন করুন।
তার অমর কবিতার কয়েকটি পঙক্তি তুলে ধরছি। সাথে কাব্যে বাংলা অনুবাদও রয়েছে-
''হাথ বে যোর হ্যাঁয়, এলহাদ সে দিল খোগর হ্যাঁয়,
উম্মতী বায়াসে রিসওয়ায়ী পয়গাম্বর (স.) হ্যাঁয়।
বুত শেকন উঠ গ্যায়ে, বাকী জু রাহে বুতগর হ্যাঁয়,
থা ইবরাহীম (আ.) পিদর, আওর পিসর আযর হ্যাঁয়।''
''হৃদয় তোমার ঈমান-বিহীন, বাজু সে তোমার শক্তিহীন,
তোমরা নবীর উম্মত? হায়! শরমে তাহার মুখ মলিন!
বুত-ভাঙ্গা দল বিদায় নিয়েছে, বাকী* যারা তারা গড়িছে বুত,
'ইব্রাহিমের' ছেলেরা এখন 'আযর' সেজেছে- কী অদ্ভূত!''
অন্য জায়গায় তিনি বলেন-
''কেস কদর তুম পেহ গেঁরা সুবহ কী বেদারী হ্যাঁয়!
হাম সে কব পেয়ার হ্যাঁয়! হ্যাঁ নীনদ তুমহে পেয়ারী হায়।
তবয়ে আযাদ পে কয়দে রমজাঁ ভারী হায়,
তুমহেঁ কাহ দো কে ইয়েহ আইয়েনে ওফাদারী হায়?''
''ফযরে উঠিয়া নামাজ পড়িতে পাও তুমি অাজ কষ্ট ঘোর!
আমারে ভুলিয়া অলস-আবেশে নিঁদমহলে রও বিভোর।
প্রগতিপন্থী তুমি তো এখন! রাখো নাক' রোযা রমজানে,
এই কি তোমার প্রেমের নিশান? 'ওফাদারী'র কি এই মানে?''
আরেক স্থানে তিনি বলেন-
''কলব মেঁ সোয নেহী, রূহ মেঁ ইহসাস নেহী,
কুছ ভী পয়গামে মুহাম্মদ (স.) কা তুমহিঁ পাস নেহী!''
''অন্তরে নাই প্রেমের আগুন, আত্মাতে নাই তার দহন,
মুহাম্মাদের পয়গাম আর তোমাদের কারো নাই স্মরন!''
আবার তার দৃপ্ত উচ্চারন-
''ওয়ায়েজে কাওম কী ওহ পোখতাহ খায়ালী নাহ রাহী,
বরকে তবায়ী নাহ রাহী, শোলাহ মাকালী নাহ রাহী।
রাহ গ্যায়ী রসমে আজাঁ, রূহে বেলালী নাহ রাহী,
ফালসাফাহ রাহ গ্যায়া, তালকীনে গাযালী নাহ রাহী।''
''কওমরে যারা ওয়ায়েজ, তারা ধার ধারে নাক' সুচিন্তার,
বিদ্যুত সম তাদের কথায় হয় না এখন আছর আর।
রসম রয়েছে আযানের বটে, আযানের রূহ বেলাল নাই,
ফালসাফা আছে প্রানহীন পড়ে' আল-গাযালীরে কোথায় পাই!''
তিনি আবার বলেন-
''ওহ যমানে মেঁ মুআযযায থে মুসলমাঁ হো কর,
আওর তুম খার হুয়ে তারেকে কুরআঁ হো কর!''
''মুসলমানের তরেই তখন সে-যুগ করিত গর্ববোধ,
কুরআন ছাড়িয়া এখন হয়েছ যুগ-কলঙ্ক, হায় অবোধ!''
''আজ ভী হো জু ইবরাহীম (আ.) কা ঈমাঁ পয়দা,
আগ কর সেকতী হায় আনদাযে গুলিসতাঁ পয়দা!
কাশতীয়ে হক কা যমানে মেঁ সাহারা তূ হায়,
আসরে নও রাত হায়, দহনদেলা সা সেতারা তূ হায়।''
''থাকে যদি আজ তোমাদের মাঝে ইবরাহিমের সেই ঈমান,
এ-আগুন তবে হইবে আবার স্নিগ্ধ-শীতল ফুল-বাগান!
সত্য-তরীর মাঝি তুমি চির-উর্মি-মুখর সমুদ্রের,
নতুন যুগের যুলমাত-রাতে ধ্রুবতারা তুমি এ-বিশ্বের!''
২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যে আসায় অনেক অনেক শুকরিয়া।
কাব্যানুবাদটা কিন্তু আসলে আমার নয়। হয়তো আগেই বলে দেয়া উচিত ছিল। পংক্তিগুলো আল্লামা ইকবালের 'শিকওয়া' এবং 'জওয়াবে শিকওয়া' থেকে নেয়া। আর বাংলায় কাব্যানুবাদ খুব সম্ভব, কবি রুহুল আমীন খান (নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব) এর।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
সনেট কবি বলেছেন: কাব্যানুবাদ ভাল হয়েছে।