নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
কালো গিলাফের মায়ায় কা'বার ছায়ায় বিমুগ্ধ কয়েকটি মুহূর্ত কেটে গেল স্বপ্নের মত। ধীর পদবিক্ষেপে ক্রমে ডানে অগ্রসর হয়ে সবুজ চিহ্নিত কর্নারে গিয়ে হাজরে আসওয়াদ বরাবর পৌঁছে দু'হাত তুলে 'বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার' বলে তাওয়াফ শুরু করলাম। থেমে থেমে অযুত কন্ঠের সাথে আমার মুখেও উচ্চারিত হচ্ছে- 'লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা- শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা অন্নি'মাতা লাকা অল মুলক, লা- শারীকা লাক'।
তাওয়াফে যখনই নেমেছি লক্ষ্য করেছি মন্ত্রমুগ্ধের মত আমি কা'বার সন্নিকটে ঘেঁষে যাচ্ছি। ক্রমশঃ। নিজের অজান্তেই। তা মাতাফজুড়ে ভীড় যতই থাক না কেন। সঙ্গীগন কখনও কখনও হারিয়ে যেতেন। আমি নিশ্চিন্ত। আমার যেন হারাবার কিছু নেই। মালিকের বাড়িতে এসে কীইবা হারানোর থাকে? আর আমার মত নিঃস্বের জন্য তো সে সম্ভাবনা আরও ক্ষীন। আর এরপরেও মহান মালিকের ইচ্ছা যদি এমনই হয়ে থাকে, কিছু যদি হারিয়ে যায়ই, তিনি কি তার থেকে বেশি, অনেক বেশি ফিরিয়ে দিবেন না? আল্লাহু আকবার! তিনি তো মহান মহিয়ান বেনিয়াজ। তাঁর তো দেয়ার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। কতবার কতভাবে কতস্থানে যে তিনি এই অধমকে দয়া দিয়ে মায়া দিয়ে ছায়া দিয়ে বেশুমার কৃপা করেছেন, তার কি কোন ইয়ত্তা আছে?
আহ! ভাবতেও চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে! তাঁর দয়া ব্যতীত একটি নিশ্বাসও কি নেয়ার শক্তি আমার ছিল? হায় হায়! কোথায় ছিলাম? কী ছিলাম? অস্তিত্বহীন থেকে তিনি দয়া করে বাবার প্রিয় স্পর্শে চির স্নেহময়ী মমতাময়ী মাতৃজঠরে আমার ছোট্ট কচি দেহের বীজ বুনে দিলেন! আল্লাহু আকবার! ধীরে ধীরে সে বীজ অঙ্কুরিত হল। প্রথম চল্লিশ দিন বীর্য আকারে মাতৃজঠরে ঘূর্নায়মান ছিলাম। দ্বিতীয় চল্লিশ দিন ছিলাম জমাট রক্ত আকারে। এরপরে পরের চল্লিশে মাংস পিন্ডে পরিনত হলাম। আহ! কী আজব আমার মহান সৃজয়িতার সৃষ্টি-কৌশল! কুদরতের কারিশমা! তারপর পরের চল্লিশে সেই জমাট মাংস পিন্ড থেকে অকল্পনীয়ভাবে আমার মহান মালিকের নিপূন কারুকার্যতায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আকৃতি লাভ করলো। অতঃপর পরের চল্লিশে সেই মাংস পিন্ডকে সৌন্দর্যমন্ডিত করার জন্য আমার ছোট্ট কচি অবয়বের উপরে চামড়ার পোষাক পরিয়ে দেয়া হল। আল্লাহু আকবার! ফাতাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিকীন! কতই না মহান স্রষ্টা মহিয়ান! আল্লাহু আকবার!
প্রিয় পাঠক, বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কথায় কথায় দূরে সরে গিয়েছিলাম একটু। আসলে আবেগ বড় অদ্ভূত জিনিষ। টেনে নিয়ে যায়। ছুটতে চাইলেও ছোটা যায় না। আবেগ তো ভালবাসা থেকেই আসে। এই যে জগত-মহাজগত এবং এগুলোতে যা কিছু বিদ্যমান এসবও তো মহান প্রভূ পালয়িতার ভালবাসার অনুপম বহিপ্রকাশ বৈ কিছু নয়। তিনিই তো প্রেম-ভালবাসার স্রষ্টা। আল্লাহু আকবার!
তাওয়াফের একেকটি চক্কর অতিক্রম করছি আর চোখ তুলে প্রিয় কা'বার প্রতি মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি। আশায়-ভালবাসায়। ভয়ে-প্রত্যাশায়। যদি এই ঘরের মালিক একটিবার দয়ার নজরে মায়ার নজরে এই অধমের দিকেও তাকান! মাকামে ইবরাহীমের কাছে এসে একটু দাঁড়িয়ে যাই। ইচ্ছে হল একটু ছুঁয়ে যাই। ছুঁয়ে দিলাম। অন্তর ছুঁয়ে গেল। এখানে রয়েছে সেই পবিত্র পাথরখন্ড যার উপর দাঁড়িয়ে পিতা হযরত ইবরাহীম অালাইহিসসালাম স্বীয় পুত্র ইসমাঈল অালাইহিসসালামকে সাথে নিয়ে আল্লাহ পাকের নির্দেশে বাইতুল্লাহ নির্মান করেছিলেন। মহান নবী হযরত ইবরাহীম অালাইহিসসালামের পায়ের ছাপ সে পাথরে আজও স্পষ্ট বিদ্যমান। দেখতে দেখতে সাতটি চক্কর শেষ হয়ে এল। আলহামদুলিল্লাহ।
মাকামে ইবরাহীমের পেছনে গিয়ে দু'রাকাঅাত সালাত আদায় করলাম। হদয়ের অর্গল যেন খুলে গেল। না বলা কথাগুলো চোখের অশ্রু হয়ে ঝড়ে ঝড়ে পরে যেতে থাকল। আয় আল্লাহ, আপনি কতইনা মহান, আপনার ঘরে ডেকে এনে আপনার বান্দাকে ফোটা ফোটা তপ্ত অশ্রু বিসর্জনের অমূল্য নেয়ামত থেকেও বঞ্চিত করেন নি! আপনি সত্যি মহান! আপনি সত্যি মহান!!
এই পর্বেও যুক্ত করা হল প্রিয় বাইতুল্লাহর কিছু অসাধারন ছবি। আশা করি ভাল লাগবে প্রত্যেকের।
বাইতুল্লাহর ছাদে তাওয়াফের অনুপম দৃশ্য।
কা'বা শরীফের দরজার পাশের একটি বিশেষ দৃশ্য।
দুঃখিত! কোন কারনে ছবি আপলোড করতে ঝামেলা হচ্ছে। পরবর্তীতে আবার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
চলবে-
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
জাযাকুমুল্লাহু আহসানাল জাযা।
সময় নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পোস্টের সাথে থাকার জন্য মোবারকবাদ।
আশা করি, অবশ্যই আল্লাহ পাক আপনার প্রার্থনা মঞ্জুর করে তাঁর পবিত্র ঘরের পানে ডেকে নিয়ে যাবেন আপনাকে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হজের স্মৃতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় সত্যের ছায়া,
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে মনের টানে শেয়ার করা আর কি। আরেকটা উদ্দেশ্য অবশ্য ভেতরে ভেতরে কাজ করে। এই অধমের হজ্বের সফরের বৃত্তান্ত জেনে কেউ যদি এই মহান কাজে সামান্য হলেও উদ্দীপনা লাভে সক্ষম হন। আল্লাহ পাক সকলকে হজ্বে মাকবুল আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জেনে খুশি হলাম
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুক।
শুভকামনায়
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবিবর,
কেমন আছেন? পরিবার-পরিজন সকলে ভালতো? সময় কেমন কাটছে?
আপনি খুশি হয়েছেন জেনে আনন্দিত।
শুভকামনা অন্তহীন আপনার জন্যও।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সম্মানিত বোন,
কৃতজ্ঞতা অশেষ। আপনার নেক নিয়্যাত আল্লাহ পাক পূরন করুন।
পবিত্র কা'বায় হাজিরা দেয়ার কিসমত নসীব করুন। সকল প্রকারের অভাব দূর করুন। আমীন।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৩
জীবন সাগর বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে
শুভকামনা আপনার জন্য, আল্লাহ্ আপনার মনোবাসনা পূর্ণ করুক
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় জিএস,
জাযাকুমুল্লাহ।
শুভকামনা আপনার জন্যও। ভাল থাকুন নিরন্তর। আপনাকে মহান মালিক বাইতু্ল্লাহর নিয়মিত মুসাফির বানিয়ে নিন।
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আল্লাহ্ আপনার একটি মনোবাঞ্চা পুরন করেছেন,দোয়া করি বাকীগুলিও হোক।।
শুভকামনা রইলো।।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
সম্মানিত বোন সচেতনহ্যাপী,
আপনার মন্তব্য দেখে চোখের কোনটা কেন যেন ভিজে উঠলো। আল্লাহ পাক আপনার দোআ কবুল করুন। আমার জন্য আপনার জন্য এবং সকলের জন্য। আমীন।
অন্তহীন শুভকামনা আপনার জন্যও।
বাইতুল্লাহর জিয়ারতে আপনাকে ডেকে নিয়ে নিন বাইতুল্লাহর মালিক।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কবে যে আল্লাহ নিবে সেই আশায় আছি।
সুন্দর ছবি। পড়ে ভালো লাগলো।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় রুহী,
ভাল লেগেছে জেনে সত্যি আনন্দিত।
সত্যি বলছি, বিশ্বাস করুন, মনের গহীন থেকে চাইলে আল্লাহ পাক অবশ্যই কাউকে ফিরিয়ে দেন না। আশা করি, দ্রুতই আপনি বাইতুল্লাহর মুসাফির হতে পারবেন। আল্লাহুম্মা আমীন।
৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৫৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাইতুল্লাহির মুসাফির অনেক ভাগ্যমান
তাঁর জীবনের সকল গোনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন,
ভাই আমাদের জন্য একটু খালেস নিয়তে দোয়া করেন
আল্লাহ যেন মঙ্গলমতে আমাদের সকলকে ভাল রাখেন।
শুভেচ্ছা রইল
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় আলী ভাই,
সামুর যে ক'টি নক্ষত্র আমাদের হৃদয়ে অহর্নিশ জ্বলজ্বল করে ধিকিধিকি আলো বিকিরন করে, আপনি তো তাদের অন্যতম। আলহামদুলিল্লাহ, খুব শান্তি-সালামত আর আফিয়াতের সাথে হজ্বের যাবতীয় কাজ সমাধা করতে পেরেছি। আল্লাহ পাকের শোকরিয়া আদায়ের ভাষা জানা নেই। তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে এই অধমকে তিনি যে কি পরিমান মেহমানদারি করেছেন তারও কি কোন ইয়ত্তা আছে?
অবশ্যই দোআ করি, আল্লাহ পাক আপনাকে তাঁর রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুন। তামাম পৃথিবীর সকল মানুষকে, সকল প্রানীকে সুস্থ রাখুন। ভাল রাখুন। আমীন।
শুভ কামনা আপনার জন্যও।
৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কা'বা শরীফে সান্নিধ্যে আপনার আবেগী বর্ণনায় অভিভূত । আমার জন্যও দোয়া করেন যেন হজ্জ্ব পালন করতে পারি ।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
বর্ণনায় নয়, হয়তোবা কা'বা শরীফের প্রতি আপনার হৃদয়ের অবিচ্ছিন্ন বন্ধনের জন্যই আপনি অভিভূত! জাযাকুমুল্লাহ।
অবশ্যই দোআ করছি, আল্লাহ পাক আপনাকে হজ্বে মাবরূর, মাকবুল আদায় করার তাওফিক দিন। আপনার জন্যও অন্তহীন শুভাশীষ আর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা।
১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ নকিব ভাই।
ভাল থাকুন।++
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় সোহেল ভাই,
অভিনন্দন, মোবারকবাদ আপনাকেও। ভাবীকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানালে খুশি হব। আরও খুশি হব, যদি তিনি দয়া করে একবার চায়ের দাওয়াত দেন। অবশ্য আপনি দিলেও অখুশি হওয়ার কারন নেই।
অনেক অনেক ভাল থাকুন।
১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০১
কালীদাস বলেছেন: ভাল লাগছে আপনার সিরিজটা। আরও অনেকের কাছে শুনেছি প্রথম কাবা চত্বরে যাওয়ার পরের তীব্র আবেগের প্রকাশটা, আপনার লেখাতেও সুন্দরভাবে আসছে সেটা। এ পর্বের ছবিগুলোও সুন্দর
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আপনার ভাল লাগাটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তির। পরামর্শ-মন্তব্যে উজ্জিবীত। আপনি ঠিকই শুনেছেন। আসলে পবিত্র কা'বা চত্বরে প্রবেশের অনুভূতিটাই অন্যরকমের। নিজের ভেতরে, নিজেকে ভেঙে-চূড়ে নতুন করে গড়ে নেয়ার, পরিশুদ্ধ করার একটা ভিন্ন উপলব্ধি অন্তর জুড়ে যেন অবয়ব মেলে ধরে।
অব্যহত মঙ্গল কামনা আপনার জন্য।
১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
নায়না নাসরিন বলেছেন: আল্লাহ আপনি সত্যি মহান
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
বোন নাসরিন,
সত্যি বলেছেন। প্রভূ পালয়িতা আল্লাহ পাক সত্যি মহান। তাঁর রহমতের ফল্গুধারা ধরাব্যপী সদা বহমান। মুহূর্ত কালের জন্য তিনি আমাদের প্রতি বিমুখ হন না। তাঁর হুকুমে, তাঁর ইশারায়, তাঁর দয়া-আশীষে ভর করে বেঁচে আছে জীবন-জগত। আল্লাহু আকবার।
১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালোই আছি আপনার দোআ আল্লাহ্'র রহমতে।
আপনি সুস্থভাবে এসে পৌঁছেছেন তাতে অনেক ভালো লাগছে।
এভাবেই পবিত্র স্থানের সম্পর্কে আমাদের জানাবেন, জেনে তৃপ্ত হবো।
দোআ করবেন ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মাশাআল্লাহ। জাযাকুমুল্লাহ। কষ্ট করে প্রতিমন্তব্যে অবস্থা জানানোয় কৃতজ্ঞতা।
জ্বি, আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানী, সুস্থভাবে সকল কার্যাবলী সমাধান করার ব্যবস্থাও তিনি করেছেন। প্রচেষ্টা থাকবে, বাকি সফরেরও কিছুটা বৃত্তান্ত ইনশাআল্লাহ পর্যায়ক্রমে শেয়ার করব।
আপনার চাকরি কেমন চলছে? পরিবার-পরিজন সকলে নিশ্চয়ই ভাল রয়েছেন।
আবারও শুভকামনা কবি ভাইয়ের প্রতি।
১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: চাকরি আপনাদের দোআ আল্লাহ্'র রহমতে ভালোই চলছে। আজ ছুটি থেকে হাজির হলাম।
দোআ করবেন ভাই
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রতিমন্তব্যে কৃতজ্ঞতা আবারও।
অবশ্যই আপনার জন্য হৃদয় নিংড়ানো দোআ থাকল। আল্লাহ পাক আপনাকে তাঁর পবিত্র ঘরের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২০
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি প্রথমদিকে মাহ্তাফে বা খোলা চত্বরে না যেয়ে ভিতরের বিশাল চক্করে তাওয়াফ করতাম। অনেক সময় লাগতো এতে আর চক্করগুলোও হতো বিশাল। পরে যখন কাবা শরিফের একদম নিকট দিয়ে তাওয়াফ করতাম তখন চক্করগুলো হয়ে যেত খুবই ছোট। এখানে একটু ভীড় থাকলেও তাওয়াফের কাজগুলো খুবই তাড়াতাড়ি হয়ে যেত। আমি হাতিমে ঢুকেও ভিড়ের কারনে নামাজ পড়তে পারিনি। রোকনে ইয়ামেনী কয়েকবার স্পর্শ করলে হজরে আসওয়াদ সরাসরি স্পর্শ করতে পারিনি মাত্রাতিরিক্ত ভিড় আর ঠেলাঠেলি কারনে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আপনি সঠিক মূল্যায়ন করেছেন। একটু ভীড়ের কষ্ট থাকলেও মাতাফের খোলা চত্বরে তাওয়াফ করা অনেক সহজ। অনেক কম সময়ে তাওয়াফ সম্পন্ন করা যায় এতে। আমরা অনুর্ধ ১৫ মিনিটে তাওয়াফের সাত চক্কর সম্পন্ন করেছি। অবাক করার মত বিষয়! যেটা দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় তলা দিয়ে করতে প্রায় ঘন্টাখানিক সময় লেগে যায়। আমাদের দলেরও কেউ কেউ প্রথম দিকে উপর দিয়ে তাওয়াফ করতেন। পরবর্তীতে তারাও অবস্থা বুঝার পরে নিচেই তাওয়াফ করতেন।
আর হ্যাঁ, হাতিমে হজ্বের মওসূমে ভীড় অনেক বেশি থাকার কারনে নামাজ আদায় করা কঠিন হয় বৈকি। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এখানে নামাজ আদায় করতে পেরেছি।
বিস্তারিত স্মৃতিচারন করায় মোবারকবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩২
তারেক ফাহিম বলেছেন: পূর্বের পোষ্টও পড়েছি।
এই পোষ্টও পড়তে তাড়াহুড়ো করিনি।
আল্লাহ্ যেন এই অধমকেও তার ঘর তাওয়াফের তৌফিক দান করুক।