নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩



মাকামে ইবরাহিমের পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করাটা একটু কঠিন। প্রতিবার নতুন যারা তাওয়াফ করতে নামেন এই জায়গাটায় কেমন যেন একটা জটলা লেগেই থাকে। নামাজ আদায়কারীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করা খুবই অপছন্দনীয় কাজ হলেও এই জায়গাটাতে দেখেছি অন্যরকম অবস্থা। ভীরের কারনে এমনটা হয়ে থাকে। হাজীগন চলাচল করছেন। নামাজী ব্যক্তির নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার মত সময় এবং অবস্থা কোনটাই হয়তো এখানে থাকে না। ১। মাকামে ইবরাহিমের পেছনের এই স্থানটুকু দোআ কবুলের অন্যতম জায়গা। এছাড়া মক্কাস্থিত পবিত্র বাইতুল্লাহ এবং হারাম সন্নিহিত যে স্থানগুলোতে দোআ কবুল হয় তার মধ্যে রয়েছে-

২। তাওয়াফ স্থল (যেখানে তাওয়াফ করা হয়)।
৩। মুলতাযাম (কা'বা ঘরের চৌকাঠ)।
৪। মীযাবে রহমতের নীচে (কা'বা ঘরের ছাদের পানি গড়িয়ে পড়ার নালা)।
৫। হাতীম (কা'বা সংলগ্ন বর্ধিত ঘেরা অংশ)।
৬। কা'বা শরীফের ভেতরে।
৭। জমজম কুপের নীচে (পবিত্র কা'বা সংস্কারের কারনে এখন জমজমের নীচে যাওয়ার উপায় নেই। জমজম কুপটি যে স্থানে বর্তমানে তা মাতাফের ভেতরে চলে এসেছে)।
৮। হাজরে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানীর মাঝে।
৯। হাজরে আসওয়াদের নিকটে।

মক্কাতুল মুকাররমা এবং এর আশপাশে দোআ কবুলের আরও কিছু স্থান রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

১০। সাফা পাহাড়।
১১। মারওয়াহ পাহাড়।
১২। সায়ীস্থল। বিশেষ করে দুই সবুজ লাইটের মাঝে।
১৩। আরাফাতের ময়দান।
১৪। মুযদালিফা।
১৫। মীনায় ছোট ও মাঝের জামারাতের নিকট।

কথায় কথায় আবারও দূরে সরে গিয়েছিলাম। প্রিয় বন্ধু, বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি আবারও। অনেককে দেখেছি, এই স্থানে দু'হাত তুলে অনেক দোআ করেন। আমার কেন জানি না, এই জায়গাটায় হাত পাততে ইতস্তত লাগতো। হৃদয় কাঁপতো। অন্তর কাঁদতো। চোখ অশ্রু ঝড়াতো। এক সময় মনে হত, কী এক অনাবিল প্রশান্তি হৃদয়-মন জুড়ে ছেয়ে আছে। হাত তুলে দোআ করার পরিবর্তে আমার মহান মালিকের ঘরের এই একান্ত নিকটে, চৌকাঠের অতি কাছের এই পূন্যময় জায়গাটিতে মনে হত, সিজদায় কাটিয়ে দেই লম্বা সময়। বাকিটা জনম।

এখানে কাউকে কাউকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছি। পবিত্র কা'বা তাওয়াফের সময়ও মাঝে মাঝে প্রত্যক্ষ করেছি এমন দৃশ্য। হজ্বের পূর্বেকার এক দিনের ঘটনা। শ্বেত বর্নের একই পরিবারের দু'তিন সদস্যকে দেখেছিলাম। যারা কাঁদছিলেন। হায় হায়! সে কি কান্না তাদের! গগনবিদারী বুকফাঁটা সে কান্নায় পবিত্র কা'বা চত্বর, গোটা মাতাফ যেন দুলছিল। আমার চোখও অশ্রুসজল হয়ে উঠেছিল তাদের দেখে। ধারনা করছি, তারা হয়তো স্বজন হারা-স্বপন কাড়া-স্বভূমি থেকে বিতাড়িত অসহায় কোন ফিলিস্তিনি পরিবারের উদ্বাস্তু সদস্য হবেন। পরিবার-পরিজন-স্বজন হারিয়ে বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আজ বোধ করি আসল মালিকের চৌকাঠে এসে এমন করে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এমন করে নিজেদের অসহায়ত্ব আর অপদস্ততার মামলা ঠুকছে। বিচার চাইছে ত্রাস-সন্ত্রাস আর মহাজুলূম-জুলূমাতের। মাজলূমের এ বাঁধভাঙা অশ্রু কি আল্লাহ পাকের রহমতের দরিয়ায় জোশ না এনে ছাড়বে?

তাওয়াফের প্রতি চক্করে পড়ার জন্য কিছু দোআ রয়েছে। প্রতি চক্করের প্রতিটি দোআই দারুন অর্থবহ এবং মর্মস্পর্শী। কিন্তু ষষ্ঠ চক্করের দোআটি কেন জানি একটু অন্যরকম! এই দোআটি যখনই পাঠ করেছি, ভিন্ন আবেগে অন্য অনুভূতিতে প্রতিবার আচ্ছন্ন হয়ে গেছি। প্রতিবার অশ্রুসজল হয়েছি। দগ্ধ-বিদগ্ধ-মুগ্ধ হয়েছি। করুন দহনে হৃদয়-মন আপ্লুত-স্নাত হয়েছে। প্রিয় বন্ধু, আপনিও শুনবেন প্রিয় সেই দোআটি? দোআটি আপনারও আশা করি নিশ্চয়ই ভাল লাগবে-কাজে লাগবে। ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পর্ব দোআটি দ্বারা শুরু করা হবে। আল্লাহ পাক আমার অক্ষমতা ক্ষমা করুন। অপরাধ মার্জনা করুন। সকল ভাই-বোনকে নেককা্র মুত্তাকী হিসেবে কবুল করুন। আমীন।

এই পর্বেও যুক্ত করা হল প্রিয় বাইতুল্লাহর কিছু অসাধারন ছবি। আশা করি ভাল লাগবে প্রত্যেকের।



বাইতুল্লাহ শরীফের অভ্যন্তরভাগ পরিচ্ছন্নকালীন সময়কার বিশেষ অবস্থা। সাধারনত: এই কাজগুলো খাদেমুল হারামাইন হিসেবে সউদি বাদশাহ স্বয়ং উপস্থিত থেকে নিজ হাতে সম্পাদন করে থাকেন।



লোকে লোকারন্য পবিত্র হারাম চত্বরের অপরূপ দৃশ্য।



প্রিয় ঘরের দরজার একটি অনুপম চিত্র।



জনসমুদ্রের ভেতরে পবিত্র কা'বা আর শুন্য হাতিমের বিরল দৃশ্য।

[

প্রিয়তমের প্রিয় আলয়ের দরজার অনন্য আরেকটি দৃশ্য।



ক্লোজ ভিউতে পবিত্র কা'বা।



কা'বার চারপাশে যেন উপচেপড়া জনস্রোত।



পবিত্র কা'বার নান্দনিক একটি ভিউ।

চলবে-

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার চালিয়ে যান।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় বাঙালী ভাই,
মোবারকবাদ।

আপনার প্রতিও ভাল থাকার দোআ মহান মনিবের দরবারে। বাইতুল্লাহর জিয়ারতে তিনি আপনাকে কবুল করুন। আমীন।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর,ভাল,চমৎকার,+++

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় সরকার,
জাযাকুমুল্লাহ। পাঠ এবং মন্তব্যে অনিশেষ অভিনন্দন।

ভাল থাকুন।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমীন!!!
শ্বেত বর্নের একই পরিবারের দু'তিন সদস্যকে দেখেছিলাম। যারা কাঁদছিলেন। হায় হায়! সে কি কান্না তাদের! গগনবিদারী বুকফাঁটা সে কান্নায় পবিত্র কা'বা চত্বর, গোটা মাতাফ যেন দুলছিল। আমার চোখও অশ্রুসজল হয়ে উঠেছিল তাদের দেখে। - আমার চোখও ছল ছল করছে । আহ্, জীবনে একটিবার যদি সুযোগ হয় ।
চমৎকার এগুচ্ছে!!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
- আমার চোখও ছল ছল করছে । আহ্, জীবনে একটিবার যদি সুযোগ হয় ।
চমৎকার এগুচ্ছে!!!


-দারুন! হৃদয় থাকলে তো আবেগ থাকে! আবেগ থাকলে তো অশ্রুর ঢল নামতে পারে!
আপনার হৃদয়ে আল্লাহ পাক প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিন। হজ্বে মাবরূর, মাকবুল নসীব করুন। আমীন।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খাদেমুল হারামাইন হিসেবে আরবের কথিত বাদশাহ যদি মুসলিম হতো!!!!
সারা বিশ্ব মুসলিম আজ শান্তিতে সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারত।

মুসলিম শুধূ লেবাসে বা মৌখিক বলাতেই হয়না। বিশ্বাসে, কর্মে এবং প্রয়োগে তার বাস্তবতা থাকলেই সে তা দাবী করতে পারে।
যেহেতু সউদ নামের বংশধারীরা ইসলামের বিপরীত রাজতন্ত্র কয়েম করে আরব ভূমি দখলে রেখেছ, এবং কোরআনের সরাসরি আয়াত-
সূরা আল-মায়েদা ৫:৫১ আয়াত
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَىٰ أَوْلِيَاءَ ۘ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ ( 51 )
“হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।”

আল্লাহর এই আদেশকে ভায়োলেট করে বুশ, ট্রম্প আর ইসরাইলের পায়রবি করছে -সেহেতু তারা কোনভাবেই মুসলিম হতে পারে না।
সারা বিশ্ব মুসলিমের যে আবেগ আর শ্রদ্ধা আরব ভূমির উপর -তারা তার অপপ্রয়োগ করছে।
আল্লাহ আমাদের এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তি দান করুন। সত্য সঠিক মুসলিমের হাতে পবিত্র আরব ভূমির নেতৃত্ব দান করুন।
সারা বিশ্ব মুসলিম মুক্তি লাভ করবে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কবি ভৃগু ভাই,
আল্লাহ পাক আপনার হৃদয়ের আঁকুতি কবুল করুন।

'আল্লাহ আমাদের এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তি দান করুন। সত্য সঠিক মুসলিমের হাতে পবিত্র আরব ভূমির নেতৃত্ব দান করুন।
সারা বিশ্ব মুসলিম মুক্তি লাভ করবে।'


একচুয়ালি, পুরো হজ্বের সফরে কিছু অপ্রীতিকর বিষয়ও যে চোখে পড়ে নি তা নয়। আপনার অনুভূতির সাথে পরিপূর্নভাবে সহমত পোষন করছি এবং এ দুরবস্থার অবসান কামনা করছি। ইনশাআল্লাহ, পর্যায়ক্রমে আমার অনুভবে আসা বিষয়াদি তুলে ধরার ইচ্ছে রয়েছে।

অঢেল বিত্ত-বৈভব আর বেহদ বিলাসিতায় নিমজ্জিত সউদি রাজ পরিবার 'খাদেমুল হারামাইন' -এর তকমাটা দিয়েই বিশ্ব মুসলিমের চোখে ধুলো দিয়ে কোনমতে দিন গুজরান করে চলেছেন বোধ করি। তাদের ভেতরের খোলস অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। অপেক্ষা করুন। সেদিন সম্ভবত: খুব বেশি দূরে নয়।

আল্লাহ পাক যোগ্য লোকদের হাতে দুই হারামের নেতৃত্ব তুলে দিন, যারা হবেন বিশ্ব মুসলিমের দরদী, ইসলামের সত্যিকার অনুসারী, কুরআনের আইন নিজেদের বাস্তব জীবনেও প্রয়োগকারী।

এক দিকে বিশ্ব মুসলিম মিলনমেলা বসেছে মক্কাতুল মোকাররমায়। পবিত্র হজ্ব চলছে। আর অন্যদিকে চলছে রোহিঙ্গা মুসলিম নির্মম নিধনযজ্ঞ। অথচ স্বয়ং সউদি রাজ পরিবারকে দেখেছি নিরব-নির্বিকার-ভাবনাহীন! তারা তাদের সাধ্যমত কিছু ত্রান সহায়তা পাঠিয়েছেন। ত্রান পাঠানোই যেন তাদের একমাত্র মহান কাজ! ব্যস, এ কাজেই যেন তাদের দায়িত্ব শেষ! এসব দেখে দেখে হৃদয় ফেটে চৌচির হয়েছে। পবিত্র বাইতুল্লাহতেও এসব নিয়ে মহান মালিকের দরবারে ফরিয়াদ জানিয়েছি। আল্লাহ পাক আমাদের জাতির কর্নধারদের ইঙ্গ-মার্কিন চক্রের দালালীর হীন মানসিকতা পরিহার করে সত্যিকারের মুমিনের দরদী হওয়ার তাওফিক দিন।

মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায় প্রিয় কবিকে কৃতজ্ঞতা।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মত এই পর্বটিও অনেক ভাল লাগল।
ভাল থাকুন নকিব ভাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় সোহেল ভাই,
বাইতুল্লাহর মালিকের সাথে গভীর যাদের আত্মার সম্পর্ক, তাদের কাছে বোধ করি ওখানকার ইট-বালু-পাথর আর পথের ধুলোর প্রতিও অন্যরকম টান।

আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন। আমীন।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

আহমাদ সালেহ বলেছেন: ভ্রমণকাহিনী নিয়ে লেখা "বায়তুল্লাহর মুসাফির " নামে একটি গ্রন্থ লিখেছেন অাবু তাহের মিসবাহ। বাংলা সাহিত্যে যা বেশ চমৎকার ও অালোচিত একটি বই। এ পর্বগুলো কি সেই বইয়েরই পর্ব ভাই ?

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই আহমাদ সালেহ,
মন্তব্যে আসায় মোবারকবাদ।
আপনি সঠিক বলেছেন। স্বনামধন্য লেখক মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের একটি সফরের কাহিনী রয়েছে 'বাইতুল্লাহর মুসাফির' নামে। এছাড়াও পবিত্র বাইতুল্লাহর সফর নিয়ে উর্দু আরবি ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে অনেক লেখকের চমকপ্রদ ভ্রমন কাহিনী রয়েছে। আপনার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার ইচ্ছে থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারি, আরও কিছু তথ্য দেয়া যায় কি না।

কিন্তু আশ্চর্য হলাম আপনার শেষের প্রশ্নটি দেখে। 'এ পর্বগুলো কি সেই বইয়েরই পর্ব ভাই ?'

মুহতারাম মিসবাহ সাহেব আমার অনেক শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি এদেশের রত্ন। অনেক আলেমের উস্তাদ তিনি। অত্যন্ত উঁচু মানের আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে জানি। তাঁর একটি বই থেকে আমি এখানে পর্ব আকারে সফরের বর্ননা দেয়ার কে? এই ধারনা আপনার ভেতরে কেন এল, বুঝতে পারলাম না। যাই হোক, অনুরোধ থাকলো, দয়া করে তাঁর উল্লেখিত বইটি সুযোগ করে পারলে পড়ে নিবেন। তাহলেই এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর এছাড়াও তাঁর আরও একটি বই রয়েছে হজ্বের সফরের উপরে লেখা। পারলে সংগ্রহ করে নিতে চেষ্টা করতে পারেন। বইটির নাম 'বাইতুল্লাহর ছায়ায়'। এই দ্বিতীয় বইটিও সুখপাঠ্য।

ভাল থাকুন।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি ও বিবরণ দিয়েছেন ।
মন চায় বারে বারে যাই ।
যারা যাইতে পারেনা সেথায়
তাদের কবি কাজী নজরুল
কত সুন্দর করে বলে যায়:

পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া।
যাও রে বইয়া এই গরীবের সালামখানি লইয়া।।
কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই,
সারা জনম সাধ ছিল যে, মদিনাতে যাই ( রে ভাই)।
মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।
তোমার পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি,
লইয়া যাওরে এই নিরাশের দীর্ঘ নিশ্বাসখানি।
নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।
মা ফাতেমা হযরত আলীর মাজার যেথায় আছে,
আমার সালাম দিয়া আইস তাঁদের পায়ের কাছে।
কাবায় মোজানাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় আলী ভাই,
মোবারকবাদ। আপনার দারুন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

আসলেই ভাই, একেবারে মনের কথাটা বলেছেন, মনে চায় বারবার যাই, প্রিয়তম রবের প্রিয় ঘরের টানে মন যেন এখন আরও বেশি পাগলপাড়া। বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, সাম্যের কবি, মানবতার কবি প্রিয় কাজী নজরুলের অমর একটি ইসলামী সঙ্গীত উপস্থাপন করায় শুভাশীষ আবারও। আল্লাহ পাক প্রিয় কবিকে জান্নাত নসীব করুন। তাঁর ভুল-ত্রুটি মাফ করুন। প্রত্যেক ইচ্ছুক ব্যক্তিকে হজ্ব করার তাওফিক দান করুন।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কবে যে যাবো......

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় সচেতনহ্যাপী,
খুব অল্প সময়ের ভেতরেই, ইনশাআল্লাহ......

শক্ত করে নিয়্যাত করুন।
আল্লাহ পাকের কাছে কাঁকুতি-মিনতির মাধ্যমে আবেদন-নিবেদন করতে থাকুন।
প্রত্যেক বিষয়ের প্রতিটি সমস্যা তিনি অবশ্যই দূর করার ক্ষমতা রাখেন। এবং বিশ্বাস করুন, তিনি বান্দার হৃদয়ের আকুল আকুতি ফিরিয়ে দেন না। অচিন্ত্যনীয়ভাবে দেখবেন, সত্যি সত্যি সকল বাধা-বিপত্তি কেটে গেছে এক দিন। আপনি হয়ে যাবেন বাইতুল্লাহর মুসাফির। আল্লাহুম্মা আমীন।

আহ্, সেদিন যদি আমিও আপনার সঙ্গী হতে পারতাম!

ভাল থাকুন নিরন্তর।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: দেখে নিলাম অনেক কিছু।
লেখা আর বর্ণনা খুব ভালো দিচ্ছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



সম্মানিত বোন রুহী,
জাযাকুমুল্লাহ।
কষ্ট স্বীকার করে সময় দিয়ে পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অশেষ। আল্লাহ পাক আপনার কল্যান করুন।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: প্রিয় কাবা'র নান্দনিক দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়েছি! ধন্যবাদ!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
কা'বার মালিক যাদের প্রিয়, সত্যি সত্যি কা'বাও তাদের প্রিয়। আপনার 'প্রিয় কা'বা' বলার ধরন দেখেই বাইতুল্লাহর প্রতি আপনার অাত্মিক টান অনুভব করতে পেরেছি।

আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন। বাইতুল্লাহর মেহমান বানান।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

কালীদাস বলেছেন: আমারও মনে হত, কাবায় নামাজীদের সামনে হাঁটা বন্ধ করা সম্ভব না, শিওর করলেন।
সুন্দর, বলাই বাহুল্য :)

বিদ্রোহী ভৃগুর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। সৌদি রাজপরিবার কি খোলাফায়ে রাশেদিনের নামও ভুলে গেছে কিনা ডাউট লাগে অনেক বছর ধরেই। রাজতন্ত্রের পরিণতি কোরানে কি আছে এরা মনে হয় ঐ জায়গাগুলো বাদ দিয়ে পড়ে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
কৃতজ্ঞতা।

ভৃগু ভাইর মন্তব্যটা আমারও অনেক ভাল লেগেছে। আসলে ক্ষমতার মসনদে বসা ওদের অবস্থা অন্যরকম। বিলাস-ব্যসনে বিভ্রান্ত ভিন্ন এক আবহে তাদের অন্যরকম জীবন। অনেক কথা এসে যায়, মুখ আটকে রাখি। বলতে গেলে বাধা আসে। ভেতর থেকে কি যেন এক অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতা বাধা দিয়ে ওঠে। প্রিয় নবীজীর দেশ যে! প্রিয় বাইতুল্লাহর পবিত্র ভূমি যে! এজন্য নিরবে অশ্রু ঝড়াই। হাত তুলে মালিকের দরবারে বলি। রোদন করি। কাঁকুতি জানাই। আয় আল্লাহ, আপনি আপনার প্রিয় নবীর দেশকে রক্ষা করুন। তামাম পৃথিবীর সকল মুসলিমের দরদি-খাদেম হিসেবে যোগ্যতার অধিকারী এমন কাউকে সেদেশের পরিচালনার দায়িত্বে ন্যস্ত করুন। আমীন।

ভাল থাকুন।

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর লেখা আর ছবি ! শুধু একটা কথা :
তওয়াফের সময় এক এক চক্করে নির্দিষ্ট দোআ আছে বলে আমাদের দেশের কোনো কোনো বইয়ে বলা হয়, তা ঠিক নয়, সব চক্করেরই যে কোনো দোআ পড়া যেতে পারে, শুধু ইয়ামেনী কর্নার থেকে হজরে আসওয়াদ পর্যন্ত হাঁটার সময় 'রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওকিন আজাবান নার " দোয়াটি বার বার পড়া উত্তম।
আব্দুল আজিজ ইবেন বাজ (র) ( সৌদি আরবের প্রাক্তন গ্রান্ড মুফতি) এর লেখা হজ সংক্রান্ত ছোট্ট বই যা বাংলায় পাওয়া যায় এ বিষয়ের উপর একটা ভালো বই।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ঢাকার লোক,
মারহাবামবিক। শুকরাল্লিহাদরাতিক।
জ্বি, আপনি সঠিক বলেছেন। প্রত্যেক চক্করের জন্য নির্দিষ্ট করে কোন দোআ পড়া জরুরী নয়। তবে আমাদের এই উপমহাদেশের দেশগুলো ছাড়াও বিশাল জনসংখ্যার মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ আরও কিছু দেশের মানুষকে দেখেছি, মুহাক্কিক আলেম-উলামাদের মাধ্যমে বাছাইকৃত কিছু উত্তম দোআ এক এক চক্করে পড়ে থাকেন। তবে, আসল কথা যেটা আপনি বলেছেন, তাওয়াফের সময় যে কোন দোআ করা যায়। আর রুকনে ইয়ামেনী থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত অংশটুকু অতিক্রমকালে 'রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতাও ওয়াকিনা আজাবান না-র " দোআটি বার বার পড়া উত্তম।

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা। আল্লাহুম্মা অফফিক্ক লানা যিয়ারতা বাইতাকাল হারাম ওয়া রওযতাশশারিফাতা লিহাবিবিক ফি কুল্লি আ'ম। আমীন।

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

জুন বলেছেন: ছবিগুলো দেখে মনটা কেমন করে উঠলো নকিব । দোয়া করবেন যেন সেখানে যাবার তৌফিক আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আমাকে দান করেন ।
+

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



পবিত্র বাইতুল্লাহর প্রিয় ছবিগুলো আপনার চোখ শীতল করেছে জেনে সত্যি আনন্দিত।

প্রত্যেক বিশ্বাসী আল্লাহ প্রেমিক ব্যক্তির অন্তরের গহীনে এই প্রিয়তম কা'বার একটি সংরক্ষিত আসন যে সারাক্ষন বিদ্যমান! আমাদের অতৃপ্ত চোখ আর পাষান অন্তর কিছুটা হলেও শীতলতা লাভ করবে এটাইতো স্বাভাবিক।

পূর্বের পোস্টে জানিয়েছিলেন, আত্মীয় বিয়োগজনিত কারনে এ বছর আপনার হজ্বের সফরে যাওয়া হয়নি। সমবেদনা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি দোআ করছি, যাতে আগামি বছর আল্লাহ পাক আপনার সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে হজ্বে গমনের পথকে সুগম করে দেন। হজ্বে মাকবুল মাবরূর নসীব করেন।

আরেকটি কথা বলতে ভুলে গেছি, সেখানে গিয়ে নিশ্চয়ই আমাদেরকে আপনার প্রত্যেক নেক দোআয় স্মরন করবেন কিন্তু। আমীন।

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

হাফিজ রাহমান বলেছেন: নকিব ভাই ! আবেগে আপ্লুত হলাম। বাইতুল্লাহ বিষয়টিকে কেন যেন আমার কাছে খুব বেশি সেনসিটিভ মনে হয়। বাইতুল্লাহর সফরপত্র পাঠে আমি নিজের ভিতরে খুব বেশি পরিবর্তন বোধ করি। ব্যাপারটি 'সমঝনে কি বাত হ্যায়; সমঝানে কি বাত নেহঁ' জাতীয়। আমার স্বপ্ন পুরুষ আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের সফরপত্র পড়ে আমার অশ্রুহীন আঁখির বহু আঁসু ঝরিয়েছি। যাক, লেখক মহোদয়ের আর সময় নেব না। সুন্দর বিষয়ের সুন্দর উপস্থাপনার জন্য নকিব ভাইকে এক পৃথিবী শুভকামনা। অনেক অনেক ভাল থাকুন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় হাফিজ রাহমান ভাই,
জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল জাজা ফিদ্দারাইন। আপনার অসাধারন মন্তব্যে বুঝে গেছি আপনার ভেতরটায় কতটা তোলপাড় হতে পারে। প্রিয়তম মালিকের চৌকাট ধরে পড়ে থাকলে যে শান্তি-প্রশান্তি আর সালামত মন-প্রান-অন্তর জুড়িয়ে দেয়, তাঁর আলোচনা, কালো গিলাফে আবৃত অনুপম সৌন্দর্যের আধার তাঁর প্রিয় ঘরের আলোচনায় কি তার ছিটেফোটা আসবে না? বাইতুল্লাহর সফরপত্র পাঠে আপনার ভেতরে যেমন পরিবর্তন-ভাংচূরের এক খেলা প্রত্যক্ষ করেন আপনি, আমারতো মনে হয়, প্রত্যেক বাইতুল্লাহ প্রেমিকেরই এমনটা হয়ে থাকে। মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের সফরপত্র অসাধারন। পড়েছি। আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি রহম করুন। তাঁর খিদমতকে কবুল করুন।

আরে! শেষে এসে একি বললেন!! আমার জন্য শুভকামনা!!! তাও আবার এক পৃথিবী!!!! আল্লাহু আকবার!!!!! আল্লাহু আকবার কাবিরা!!! ওয়াল হামদুলিল্লাহি কাসিরা!!!! ওয়াসুবহানাল্লাহি বুকরতাও ওয়াসিলা!!!! শুকরাল্লাকা ইয়া অাখাল মুসলিম।

আসমান জমিনের মালিক আপনার চোখের মুক্তোর মত ঝড়ে পড়া অশ্রুবিন্দুগুলোকে আমাদের সৌভাগ্যের কারন হিসেবে কবুল করুন। প্রতিবছর প্রিয় হারামাইনের চৌকাটপানে ছুটে যাওয়ার কিসমত দান করুন। আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.