নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
কবুতর চত্বরের মায়াময় পথ
ক্লোজ ভিউতে পবিত্র বাইতুল্লাহ এবং মাকামে ইবরাহীম।
আলহামদুলিল্লাহ! সকল শুকরিয়া মহান রবের জন্য, আমার মালিকের জন্য যার সীমাহীন দয়ায় বেঁচে আছি। যিনি দয়া দিয়ে-মায়া দিয়ে-অফুরন্ত ক্ষমা দিয়ে, কৃপা দিয়ে-রহম দিয়ে-করম দিয়ে, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার বৈচিত্র দিয়ে, খাবার দিয়ে-পানি দিয়ে-পানীয় দিয়ে, দিনের আলো-রাতের জোছনা দিয়ে, প্রেম-ভালবাসা-প্রনয় দিয়ে-দহন-প্রতাপ-তাপ বিলিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন গোটা সৃষ্টি জগত। অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর নয়নাভিরাম, মনমুগ্ধকর আকাশ-পৃথিবীকে সাজিয়ে রেখেছেন নক্ষত্র-নিহারিকা-নদী-সাগর-বৃক্ষতরু-ঝর্না-ছায়ার মোহনীয় কমনীয়তায়। বিপুলা এ পৃথিবীর অবারিত সৌন্দর্য্য-সৌকর্যে বিমোহিত প্রকৃত মানব হৃদয় অজান্তেই বুঝি মহান স্রষ্টার কাছে মস্তক অবনত করে দেয়! সৃষ্টি সুষমা দর্শনে অলক্ষ্যেই বুঝি তার কন্ঠে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি করে ওঠে 'সুবহানাল্লাহ!' 'কতই না মহান আপনি, প্রভূ মহিয়ান!'
সংখ্যাতীত দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী, প্রিয় হাবিব, প্রিয় শাফিউ'ল উমাম, সাইয়্যেদুল কাওনাইন ওয়াসসাক্কালাইন, ইমামুল আম্বিয়া ওয়ালমুরছালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের প্রতি, তাঁর পবিত্র আহাল-আওলাদ, আজওয়াজায়ি মুতাহহারাহ, উম্মাহাতুল মু'মিনীন, সাহাবায়ে কিবার কিরাম, আশারায়ে মুবাশ্বিরাহ আলাইহিম আজমাইনের প্রতি।
হিজরাহ রোড। মক্কার ঐতিহাসিক একটি রোডের নাম। ৬২২ খৃস্টাব্দের ১৭ জুন প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বস্ত সঙ্গী আবু বকর সিদ্দীক্ক রদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে সাথে নিয়ে হিজরতের উদ্দেশে মক্কা থেকে মদিনার পথে যাত্রা শুরু করেন। যে পথে প্রিয় নবীজী সিদ্দীক্কে আকবরসহ মক্কা থেকে বেরিয়ে যান সেই পথটিই 'হিজরাহ রোড' নামে খ্যাত হয়ে আছে।
বাইতুল্লাহর বাইরের চত্বরের সাথে লাগোয়া হিলটন টাওয়ারের একাংশ। টাওয়ারের মাঝ বরাবর ঠিক লাল বৃত্ত চিহ্নিত জায়গাটিতে ছিল হযরত আবু বকর রদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর বাড়ি। এই স্থান থেকে রসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের উদ্দেশে মক্কা থেকে মদিনার পথে যাত্রা করেন।
হযরত আবু বকর রদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর বাড়ি এবং বাড়ি সন্নিহিত স্থানজুড়ে গড়ে তোলা বিশাল হিলটন টাওয়ার। যার নিচের দিকের কয়েকটি ফ্লোর মার্কেট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বাকি তলাগুলো আবাসিক হোটেল হিসেবে হাজি সাহেবান ও অন্যদের থাকার জন্য নির্ধারিত।
হিলটন টাওয়ারের আরেকটি দৃশ্য।
এই হিজরাহ রোডেরই একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয় আমাদের। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে হোটেলটির মান ভাল। চার তলায় যে রুমটিতে আমরা ছিলাম, লিফট থেকে নেমেই তার অবস্থান বামে। আমরা পাঁচজন ছিলাম এই রুমে। রুম লাগোয়া বাথ রুম। টেপ এবং শাওয়ারের পানি ২৪ ঘন্টাই উষ্ণ। 'শরীরে সয় না' এমন ধরনেরই উষ্ণ। কিন্তু, আশ্চর্য হতাম, যখনই এই রোদের তাপে প্রচন্ড গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতাম, মনে হত শরীরের ধুলো-ময়লার সাথে সাথে যেন শরীরের রোগ-জীবানুও প্রতিবার ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে বেরিয়ে যেত। পরিচ্ছন্নতা আর পবিত্রতার ভিন্ন আমেজে প্রতিবার সজিব-সতেজতা অনুভব করেছি। রুমের জানালায় প্রায়ই কবুতরের 'বাকুম বাকুম' শব্দে হিজরাহ রোডের চিরচেনা নিরবতায় ছন্দপতন ঘটতো। মক্কার সর্বত্রই কবুতরের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। তারপরেও আমার মনে হয়েছে, অন্য এলাকাগুলো থেকে এই এলাকায় বিশেষ করে 'হিলটন' এবং 'আবরাজ' বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়ে শুরু হওয়া হিজরাহ রোডের প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের মত প্রশস্ত খালি যে জায়গাটি রয়েছে এই স্থানটির মত এত অধিক সংখ্যক কবুতর আর কোথাও নেই। এখানে কবুতরের যেন মেলা বসে প্রতি দিন। সংখ্যায় গননা করা অসম্ভব। শত শত নয়। হাজার হাজার নয়। বোধ করি এ সংখ্যা তারও অনেক বেশি। রাস্তাটির এই অংশটিকে 'কবুতর চত্বর' বললেই দেখেছি সবাই চিনেন। যেন কবুতরদের জন্যই এই স্থান। কবুতরদের অভয়ারন্য। বিভিন্ন দেশের সম্মানিত হাজি সাহেবানগনকে দেখেছি, অনেকেই কবুতরের খাবার কিনে পরম মমতায় পাখিদের নিজ হাতে খাওয়াচ্ছেন। চত্বরের এখানে-সেখানে কিছু লোক কবুতরের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বিশেষ করে, আফ্রিকান কালো লোকদের এই ব্যবসাটি করতে দেখেছি। ক্রেতারা কিনছেন। বিশাল চত্বরের পুরোটাই যেন কবুতরদের নিজস্ব এলাকা। শত শত, হাজার হাজার কবুতর, উড়ছে, ঝাকঝাক, পাখার ঝাপটায় বাতাসের দোলা দিয়ে যাচ্ছে রুক্ষ মরুর বুক চিরে এগিয়ে চলা হিজরাহ রোডের পথিক-আগন্তুকদের। কোলাহল করছে বাকবাকুম শব্দে, আসলে ওরা কি বাকবাকুম বলছে? না কি নিজেদের ভাষায় ওরা মহান মনিবেরই গুনকীর্তন করে যাচ্ছে, যা শুধু আমাদের বোধগম্যতার বাইরে। কবুতরদের বিচিত্রতায় এই এলাকার পুরো পরিবেশটাই যেন অন্যরকম! আবেশে মাতোয়ারা! আপনি কাছে গেলেও এরা উড়ে যাবে না! 'যেন ছুঁয়ে দিলেও কেউ কোন ক্ষতি করবে না' বলে ওরা বিশ্বাস করে! যেন এ পথের হাজারো-লাখো পথিকের সাথে ওদের জন্ম-জন্মাতরের সখ্য! যেন হাজার জনপদের কালো-ধলো নানান বর্নের মানুষের সাথে ওদের চিরকালীন অদৃশ্য আত্মীয়তা-অটুট বন্ধন!
আমার বারবার অবাক প্রশ্ন জাগতো, কবুতররা এখানে কেন থাকছে? বাইতুল্লাহর পাশে, বাইতুল্লাহর ছায়ায়-মায়ায় ওরা এত অধিক সংখ্যক কেন? এখানের এই প্রচন্ড গরম, ৪৬/৪৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার আগুনঝরা রোদেও ওরা কেন এই প্রিয় প্রাঙ্গনে বসতি গড়ে থাকছে? হাজিদের প্রতি, প্রিয় মক্কার এই পবিত্র পাথুরে মাটির প্রতি, প্রিয়তম প্রভূর প্রিয় বাইতুল্লাহর প্রতি ওদের কি কোন অদৃশ্য-অদেখা টান রয়েছে? কোন বন্ধন, কোন মায়ার বাধঁন ওদের এখানে আটকে রেখেছে?
কবুতরের কম বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় মক্কার প্রায় সর্বত্রই। মিনা থেকে জামারতের দিকে যেতে রাস্তার উপরাংশে শেড দেয়া রয়েছে। এই কয়েক কিলোমিটার লম্বা শেডের পুরোটাতেই কবুতরের বসবাস। হাজার হাজার সংখ্যায়। একইরকম শেড বাইতুল্লাহ থেকে টানেল দিয়ে পায়ে হাটা পথে মিনায় যাওয়া-আসার পথেও রয়েছে। সেখানেও একইরকম দৃশ্য বিদ্যমান। অগনন কবুতরের সতস্ফুর্ত উড্ডয়ন-অবতরন আর পাখার ঝাপটায় মায়াময় প্রানবন্ত পরিবেশ-প্রতিবেশ।
এই পর্বেও যুক্ত করা হল প্রিয় বাইতুল্লাহ এবং রিলেটেড আরও কিছু ছবি। আশা করি ভাল লাগবে প্রত্যেকের। প্রত্যেকের জন্য প্রানঢালা শুভকামনা, অফুরন্ত দোআ এবং ভাল থাকার কামনা। আল্লাহ পাক পৃথিবীর সকল প্রানীকে ভাল রাখুন।
মুসল্লিদের ভিড়ে টইটুম্বুর পবিত্র বাইতুল্লাহর একটি সুন্দর দৃশ্য। দূরে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে আকাশ ছোঁয়া ১২০ তলাবিশিষ্ট সুবিশাল যমযম টাওয়ার।
বাইতুল্লাহর ভিতরের মনোরম অবকাঠামোগত শিল্পনৈপূন্যের মুগ্ধকর দৃশ্য।
অনেক উঁচু থেকে তোলা বাইতুল্লাহ এবং সন্নিহিত মক্কা অঞ্চলের ক্লিয়ার ভিউ।
বাইতুল্লাহর ভিতরের মনোরম অবকাঠামোগত শিল্পনৈপূন্যের মুগ্ধকর দৃশ্য।
রাতের অন্ধকারে তোলা ছবিতে কা'বা কমপ্লেক্সের আলো ঝলমলে মুখচ্ছবি। দূরে অাঁধারের লুকোছায়া প্রতিভাত।
পুরনো এ্যালবাম থেকে। বন্যা কবলিত পানিসিক্ত প্রাচীন বাইতুল্লাহ।
সাফা মারওয়ায় সায়ী করার বর্তমান স্থান। মাঝখানে সবুজ চিহ্নিত স্থানটুকুতে রমল করতে হয়, মানে এই স্থানটুকু দ্রুত অতিক্রম করতে হয়।
১৮৮০ খৃস্টাব্দ থেকে ২০১৩। একনজরে সংস্কারের ধারাবাহিকতায় পবিত্র কা'বার আজকের রূ্প পরিগ্রহ।
পরিশেষে শিল্পীর তুলিতে আঁকা অপরূপ বাইতুল্লাহ কমপ্লেক্স।
শিল্পীর নিপূন হাতে অঙ্কিত বাইতুল্লাহ কমপ্লেক্সের আরেকটি ইমেজ।
সকলের জন্য শুভকামনা আবারও। হামদ এবং সানা পরম প্রিয় মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার জন্য। দরুদ ও সালাম প্রিয়তম রসূল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূহের প্রতি। শুরু এবং শেষে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। শোকরিয়া, সোহেল ভাই। আপনার উপস্থিতি প্রেরনাদায়ক। পোস্ট নিয়ে মূল্যায়নে অশেষ ধন্যবাদ।
অন্তহীন ভাল থাকার কামনা আপনার জন্যও।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এবারের পর্বটিও ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষাতে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় দেশ প্রেমিক,
পর্ব ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা অশেষ। পরবর্তী পর্ব দ্রুত নিয়ে আসার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার জন্যও ভাল থাকার কামনা অহর্নিশ।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮
সামিয়া বলেছেন: পোষ্টে ভালোলাগা++++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
শুভকামনা।
একটা সত্যি কথা হচ্ছে, বাইতুল্লাহর প্রতি এবং বাইতুল্লাহর মহান মালিকের প্রতি যাদের ভালোলাগা আর ভালোবাসা হৃদয়জুড়ে এই বিষয়ক গল্প-কথন সবই তাদের কাছে অনন্য।
ভাল থাকুন অন্তহীন।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন মোবারকবাদ, প্রিয় সম্রাট। পরের পর্ব ইনশাআল্লাহ দ্রুত নিয়ে আসার চেষ্টা থাকবে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হামদ এবং সানা পরম আল্লাহর জন্য। তাঁর রাসুল মোহাম্মদ দ: এর প্রতি শুরু এবং শেষে।
অনেক ভাল লাগল ভায়া
আর মন গুনগুন করল-
দেখলিনা চেয়ে তোর মন ক্বাবারে
কি মুগ্ধ কি বিস্ময় কি মনোহর
কায়েমী ক্বাবা, দায়েমী ক্বাবার
বুঝলিনা ভেদ ওরে বেখবর!!!
++++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি বিদ্রোহী,
আপনার উপস্থিতি সত্যি প্রেরনা যোগায়। কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক। আমার প্রিয় ভাই, বুঝতে পেরেছি, আপনার বুঝি হামদ ও সানার পরে দরুদ এবং সালামের নজরানা দেখে দেখে আপ্লুত-তৃপ্ত-পরিতৃপ্ত হতে হৃদয়ের ভেতরে অন্যরকম অনুভব-অনুভূতির সরব উপস্থিতি। তুলে ধরেছেন যে। কমেন্টে। সুন্দর করে। আলহামদুলিল্লাহ। সত্যিকারের রসূল প্রেমিকরা বুঝি এমনই হয়ে থাকেন। আচ্ছা, আপনার ইঙ্গিতে আমিও ঠিক করে দিলুম অামার শেষের লাইনটি।
মর্মস্পর্শী লাইন চারটি কার লেখা বা গাওয়া বলে দিলে বুঝতে সুবিধা হত। যাক, শুভকামনা আবারও।
ভাল থাকার কামনা অন্তহীন।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিউটিফুল ! হিজরাহ রোডের কথা এই প্রথম শুনলাম | আমার কেন জানি মনে হতো সেই পথ পাহাড়,গুহায় তার মরুভূমিময় নির্জনতাতেই এখনো ঘিরে আছে |অনেক জানা হলো | মসজিদুল হারামের বিভিন্ন বছরের একসাথে করা ফটোটা দেখে খুব ভালো লাগলো | ধন্যবাদ নেবেন তার ভালো থাকবেন অনেক |
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
আসলে না দেখলে বুঝাই যাবে না, কতটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। কতখানি পরিবর্তিত হয়েছে আরবদের জীবন-কালচার-সমাজ-সভ্যতা। রাস্তা-ঘাট দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। রাস্তা তো নয়, প্রান্তরজুড়ে যেন বিছিয়ে দেয়া বিশাল বিশাল আয়না। ইমারতগুলোতো আরও আকর্ষনীয়! পাহাড়ের সাথে পাল্ল দিয়ে যেন গড়ে উঠছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। গোটা মক্কাতুল মুকাররমা এবং মদিনাতুল মুনাওওরায় এই দৃশ্য বিদ্যমান।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। ধন্যবাদ আপনাকেও।
ভাল থাকার কামনা আপনার জন্য অন্তহীন।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন:
"বাইতুল্লাহর ভিতরের মনোরম অবকাঠামোগত শিল্পনৈপূন্যের মুগ্ধকর দৃশ্য। "
দেখে তো মনে হচ্ছে অটোম্যান স্টাইল। কখনকার স্থাপনা এটি?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
উম্মু আবদুল্লাহ,
জাজাকুমুল্লাহ। দেখে অটোম্যান স্টাইল মনে হলেও হতে পারে। কিন্তু স্থাপনাটি বর্তমানকার। তবে এটি বাইতুল্লাহর নয়, ভুলবশত: বাইতুল্লাহর স্থানে মসজিদে নববীর এই ছবিটি যুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। ছবিটি সরিয়ে দিয়ে বাইতুল্লাহর ছবি যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। অনাকাঙ্খিত ভুলের জন্য দু:খিত!
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকার প্রত্যয়ে।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৪
রাসেল উদ্দীন বলেছেন: পবিত্র বায়তুল্লাহর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ও বর্ণনা পড়ে অভিভূত হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে!!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় রাসেল উদ্দীন,
বাইতুল্লাহর সাথে যাদের নাড়ীর টান, তারা বোধ করি এমন করেই প্রিয় প্রাঙ্গনের বর্ননায়-আলোচনায় অভিভূত-আপ্লুত-আন্দোলিত হয়ে ওঠেন! কৃতজ্ঞতা পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: দেখে নিলাম অনেক কিছু।
সুন্দর পোস্ট।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
রুহী,
নিশ্চয়ই ভাল আছেন। দেখে নিলেন বলে শুভকামনা অন্তহীন।
ভাল থাকার প্রার্থনা মহান প্রভূর দরবারে।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অন্তহীন কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করলেন সংশোধনী দিয়ে
যিনি এর প্রতিদান দিতে সক্ষম উনার দরবারেই আপনার জন্য ফরিয়াদ পেশ করলাম।
এছাড়া আর কর্ম কি ভায়া বলুন- আল্লাহ নিজে যেখানে এতেই মগ্ন! ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতিহি ইয়ুসাল্লুনা আলান্নাবীয়ি - - -
আমাদের কি অন্য কোন গতি আছে???
মর্মস্পর্শী লাইন চারটি কার লেখা বা গাওয়া বলে দিলে বুঝতে সুবিধা হত।
<< এ অধমই আপনার লেখা পাঠ করতে করতেই আবেগের দোল খেয়ে উদ্ভৃত করেছি- মাওলার কৃপায়।
শুভকামনা অন্তহীন
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা আর কৃতজ্ঞতা, প্রিয় কবি। সকল ফরিয়াদির ফরিয়াদ কবুলকারী আপনার আত্মার ফরিয়াদ কবু্ল করুন।
এছাড়া আর কর্ম কি ভায়া বলুন- আল্লাহ নিজে যেখানে এতেই মগ্ন! ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতিহি ইয়ুসাল্লুনা আলান্নাবীয়ি - - -
আমাদের কি অন্য কোন গতি আছে???
-ঠিক বলেছেন। গতি আর কোথায়? পথতো একটাই। মুক্তিতো এই এক পথেই। এই পথই তো সিদরাতুল মুনতাহার পথ। এ রাস্তাইতো সোজা চলে গেছে আরশে আজীমে। জান্নাতুল ফিরদাউসে। মাকামে মাহমূদায়। দানা ফাতাদাল্লা। ক্কা-'বা কাওসাইনি আও আদনা। সুবহানাল্লাহি বিহামদিহী। সুবহানাল্লাহিল আজীম।
আসলে পোস্টের ভেতরে দরূদ ও সালাম আগেই দেয়া হয়েছিল বিধায় শেষের লাইনটিতে আর পুনরোক্তি করা হয়েছিল না প্রথমবার। যাক, আশিক হৃদয়ের ধাক্কা খেয়ে শুরু এবং শেষ সবটাতেই প্রিয়তমের প্রতি প্রিয় দরুদ ও সালামের নজরানা পেশ করা হল শেষ পর্যন্ত।
ও, আর চারটি লাইন! হ্যাঁ, তাই বলুন, এমন মর্মস্পর্শী কথা আপনারই হবে, ধারনা করেছিলাম। আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ রাখুন, ভাল রাখুন। আমাদের অপরাধ ক্ষমা করুন। বিশ্বময় নির্যাতিত মানবকুলকে নিরাপত্তা দান করুন। আমীন।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: সাফা মারওয়ায় সায়ী করার বর্তমান স্থান। মাঝখানে সবুজ চিহ্নিত স্থানটুকুতে রমল করতে হয়, মানে এই স্থানটুকু দ্রুত অতিক্রম করতে হয়।
বিবি হাজেরা (রা পূত্র হযরত ইসমাইল (আ কে এক জায়গায় শুইয়ে রেখে পানির জন্য একবার সাফা ও একবার মারওয়াহ পাহাড়ে দৌড়ায় উঠে দূরে চারিদিক তাকিয়ে পানির খোজ করছিলেন (পাহাড় ২টির মধ্যে প্রায় হাফ কিলোমিটার ব্যবধান)। উক্ত সবুজ আলো দ্বারা চিহ্নিত অংশটুকুতে আসলে বিবি হাজেরা পূত্র ইসমাইলকে দেখতে পারতেন না, এইজন্যে তিনি দৌড়ে জায়গাটি অতিক্রম করতেন। আমাদেরও ঐ অংশটুকু একারনেই তার সম্মানার্থে দৌড়ে অতিক্রম করার নিয়ম।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ইমরান আশফাক,
ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়। আপনি সঠিক বলেছেন। আসলে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী এই সবুজ চিহ্নিত স্থানটি ছিল অপেক্ষাকৃত নিচু। আর নিচু ভূমিটিতে যখন মা হাজেরা পৌঁছতেন তখন প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাঈল আলাইহিসসালাম তাঁর চোখের আড়াল হয়ে যেতেন, যে কারনে এই জায়গাটি তিনি দ্রুত দৌড়ে অতিক্রম করতেন। যাতে প্রানপ্রিয় পুত্রকে দেখতে পান মমতাময়ী মা।
জাজাকুমুল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মত এবারের পর্বটিও খুব ভাল লাগল।
ভাল থাকুন নকিব ভাই