নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদিয়ানী আহমদীদের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হলে তাদের অসারতা অনুধাবন অপরিহার্য্য পর্ব-০৫

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬



বৃটিশ বন্দনায় মত্ত মাতোয়ারা, পাক-ভারতের স্বাধীনতার আজীবন শত্রু, অভিশপ্ত গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কবর।

আকীদায়ে খতমে নবুওয়াত: গুরুত্ব ও তাৎপর্য

'খতমে নবুওয়াত' -এর অর্থ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল আরাবী, আল হাশেমী, আল মাক্কী সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম শেষ নবী। তাঁর মাধ্যমে নবুওয়াত এর সিলসিলার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তাঁর পরে কোন মানুষের কাছে ওহী আগমন সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর পরে আর কেউ নবী হিসেবে দুনিয়ায় আসবেন না।

নবুওয়াত এর ক্ষেত্রে কোন প্রকারভেদ নেই। 'বুরূজী নবী' বা 'যিল্লী নবী' বা 'ছায়া নবী' বা 'শরীআতবিশিষ্ট নবী' বা 'শরীআতবিহীন নবী' বা 'উম্মতী নবী' ইত্যাদি ধরনের কোন প্রকারভেদ নবুওয়াত এর ক্ষেত্রে আদৌ নেই। নবুওয়াতের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রকারভেদ কুরআন, হাদিস ও তাফসীরের কিতাবে কোথাও পাওয়া যায় না। মুসলিম উম্মাহর কোন বিজ্ঞ ব্যক্তি নবুওয়াতের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রকারভেদ আছে বলেও বর্ননা করেন নি। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর পরে আর কোন নবী নেই, একথার অর্থ এ জাতীয় কোন প্রকার নবী নেই।

'খতমে নবুওয়াত' -এর এই আকীদা ইসলামের একটি মৌলিক আকীদা। কুরআন, হাদিস, ইজমায়ে উম্মত এবং কিয়াস বা যুক্তি সব রকম দলীলাদি দ্বারা এই 'খতমে নবুওয়াত' -এর বিষয়টি সুপ্রমানিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত। খতমে নবুওয়াতের বিষয়টি অস্বীকারকারী উম্মতের সর্বসম্মত মতে কাফের। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের ওফাতের পর থেকে আজ প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছরকাল যাবত উম্মতের সাধারন ও বিশেষ, শিক্ষিত ও মূর্খ, শহুরে ও গ্রাম্য নির্বিশেষে সকল স্তরের মুসলমান এ আকীদার উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। নিচে 'খতমে নবুওয়াত' এর পক্ষে কুরআন হাদীসের কিছু দলীল উপস্থাপন করা হল। নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় ইজমা কিয়াস আলোচনায় আনা হল না।

পবিত্র কুরআন থেকে দলীল:

পবিত্র কুরআনে 'খতমে নবুওয়াত' এর পক্ষে প্রায় শতাধিক আয়াত রয়েছে। তম্মধ্যে বিশেষ কয়েকটি আয়াত নিম্নে প্রদান করা হল-

০১। مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

অর্থ: 'মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।' (সূরাহ আল আহযাব, আয়াত-৪০)।

০২। الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا

অর্থ: 'আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।' (সূরাহ আল মা-য়িদাহ, আয়াত-০৩)।

০৩। وَإِذْ أَخَذَ اللّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّيْنَ لَمَا آتَيْتُكُم مِّن كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءكُمْ رَسُولٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُواْ أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُواْ وَأَنَاْ مَعَكُم مِّنَ الشَّاهِدِينَ

অর্থ: 'আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।' (সূরাহ আল ইমরান, আয়াত-৮১)।

০৪। قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ يُحْيِـي وَيُمِيتُ فَآمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ

অর্থ: 'বলে দাও, হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল, সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।' (সূরাহ আল আরাফ, আয়াত-১৫৮)।

০৫। تَبَارَكَ الَّذِي نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَى عَبْدِهِ لِيَكُونَ لِلْعَالَمِينَ نَذِيرًا

অর্থ: 'পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার গ্রন্থ অবর্তীণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হয়।' (সূরাহ আল ফুরকান, আয়াত-০১)।

০৬। قُلْ أَيُّ شَيْءٍ أَكْبَرُ شَهَادةً قُلِ اللّهِ شَهِيدٌ بِيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَأُوحِيَ إِلَيَّ هَذَا الْقُرْآنُ لأُنذِرَكُم بِهِ وَمَن بَلَغَ أَئِنَّكُمْ لَتَشْهَدُونَ أَنَّ مَعَ اللّهِ آلِهَةً أُخْرَى قُل لاَّ أَشْهَدُ قُلْ إِنَّمَا هُوَ إِلَـهٌ وَاحِدٌ وَإِنَّنِي بَرِيءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ

অর্থ: 'আপনি জিজ্ঞেস করুনঃ সর্ববৃহৎ সাক্ষ্যদাতা কে ? বলে দিনঃ আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আমার প্রতি এ কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এ কোরআন পৌঁছে সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করি। তোমরা কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহর সাথে অন্যান্য উপাস্যও রয়েছে ? আপনি বলে দিনঃ আমি এরূপ সাক্ষ্য দেব না। বলে দিনঃ তিনিই একমাত্র উপাস্য; আমি অবশ্যই তোমাদের শিরক থেকে মুক্ত।' (সূরাহ আল আনআম, আয়াত-১৯)।

০৭। وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ

অর্থ: 'আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।' (সূরাহ আল আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)।

০৮। مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللّهِ وَمَا أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُولاً وَكَفَى بِاللّهِ شَهِيدًا

অর্থ: 'আপনার যে কল্যাণ হয়, তা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে আর আপনার যে অকল্যাণ হয়, সেটা হয় আপনার নিজের কারণে। আর আমি আপনাকে পাঠিয়েছি মানুষের প্রতি আমার পয়গামের বাহক হিসাবে। আর আল্লাহ সব বিষয়েই যথেষ্ট-সববিষয়ই তাঁর সম্মুখে উপস্থিত।' (সূরাহ আন নিসা, আয়াত-৭৯)।

০৯। نْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ

অর্থ: 'এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ।' (সূরাহ আত তাকভীর, আয়াত-২৭)।

১০। أَفَمَن كَانَ عَلَى بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّهِ وَيَتْلُوهُ شَاهِدٌ مِّنْهُ وَمِن قَبْلِهِ كِتَابُ مُوسَى إَمَامًا وَرَحْمَةً أُوْلَـئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَن يَكْفُرْ بِهِ مِنَ الأَحْزَابِ فَالنَّارُ مَوْعِدُهُ فَلاَ تَكُ فِي مِرْيَةٍ مِّنْهُ إِنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لاَ يُؤْمِنُونَ

অর্থ: 'আচ্ছা বল তো, যে ব্যক্তি তার প্রভুর সুস্পষ্ট পথে রয়েছে, আর সাথে সাথে আল্লাহর তরফ থেকে একটি সাক্ষীও বর্তমান রয়েছে এবং তার পূর্ববর্তী মূসা (আঃ) এর কিতাবও সাক্ষী যা ছিল পথনির্দেশক ও রহমত স্বরূপ, (তিনি কি অন্যান্যের সমান) অতএব তাঁরা কোরআনের প্রতি ঈমান আনেন। আর ঐসব দলগুলি যে কেউ তা অস্বীকার করে, দোযখই হবে তার ঠিকানা। অতএব, আপনি তাতে কোন সন্দেহে থাকবেন না। নিঃসন্দেহে তা আপনার পালনকর্তার পক্ষ হতে ধ্রুব সত্য; তথাপি অনেকেই তা বিশ্বাস করে না।' (সূরাহ হূদ, আয়াত-১৭)।

হাদীস থেকে দলীল:

'খতমে নবুওয়াত' -এর পক্ষে প্রায় দুই শতাধিক হাদীস রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ কয়েকটি হাদীস নিম্নে পেশ করা হল।

০১। হযরত আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবীদের উদাহরন হল ঐ ব্যক্তির মত, যে একটা গৃহ নির্মান করে আর ঐ গৃহের সবকিছুই সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে, শুধু এক কোনে একটি ইটের স্থান খালি রাখে। মানুষ ঐ গৃহের চতুর্দিকে ঘুরে ঘুরে দেখে তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় আর বলতে থাকে, 'এই ইটটা কেন স্থাপন করা হল না?' আর আমি হলাম খাতামুন্নাবী। (বুখারী ও মুসলিম)।

০২। হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবীদের উদাহরন হল ঐ ব্যক্তির মত, যে একটা গৃহ নির্মান করে আর একটি ইটের স্থান ব্যতিত ঐ ঘরের সবকিছুই পূর্ন করে। অত:পর আমি আগমন করি এবং ঐ ইটের স্থান পূর্ন করি। (মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ)।

০৩। হযরত আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেন, নবীগন বনী ইসরাঈলের নেতৃত্ব প্রদান করতেন। কোন এক নবী প্রস্থান করলে পরবর্তীতে অন্য নবী আগমন করতেন। আর আমার পরে অন্য কোন নবী নেই। অচিরেই আমার খলীফা হবে এবং সংখ্যায় তারা প্রচুর হবে। (বুখারী ও মুসলিম)।

০৪। হযরত যুবাইর ইবনে মুতইম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ, আমি মাহী (মোচনকারী), আমার মাধ্যমে আল্লাহ কুফরকে মোচন করবেন। আমি হাশির (সমবেতকারী), আমার পরে সকলকে সমবেত করা হবে। আর আমি আকিব (পরে আগমনকারী) যার পরে আর কোন নবী নেই। (বুখারী ও মুসলিম)।

০৫। হযরত আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেন, কিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষন মিথ্যুক প্রতারকদের আবির্ভাব না হবে; যাদের সংখ্যা ত্রিশের কাছাকাছি। যাদের প্রত্যেকে দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রাসূল। (বুখারী, মুসলিম ও মুসনাদে আহমাদ)।

০৬। হযরত আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্নিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমাকে অন্যান্য নবীর উপর ছয়টি বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে। আমাকে ব্যাপক অর্থবোধক স্বল্পভাষা দান করা হয়েছে, আমাকে প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, আমার জন্য গনীমতকে হালাল করা হয়েছে, আমার জন্য সমগ্র ভূমিকে সিজদাহর স্থান ও পবিত্র বানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং আমাকে সমগ্র মাখলূকের জন্য রাসূল বানিয়ে প্রেরন করা হয়েছে - আমার মাধ্যমে নবীদের আগমনের সমাপ্তি ঘটানো হয়েছে। (মুসলিম)।

০৭। হযরত আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে শাফায়াত সম্পর্কিত হাদীসে বর্নিত। অত:পর ঈসা আলাইসি সালাম তাদেরকে বলবেন, তোমরা অন্যের কাছে যাও- তোমরা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর কাছে যাও। তখন তারা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর কাছে এসে বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রাসূল এবং খাতামুন্নাবী (শেষ নবী).....। (বুখারী ও মুসলিম)।

গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ও তার অনুসারীদের সম্মন্ধে উম্মতে মুহাম্মদীর সর্বসম্মত অভিমত:

উপরের আলোচনার আলোকে অনুধাবন করা যায়, মুসলমানদের দ্ব্যর্থহীন আকীদা হল হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম শেষ নবী। তাঁর পরে কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী আসবেন না। 'শরীআতবিশিষ্ট নবী' বা 'শরীআতবিহীন নবী' কিংবা 'ছায়া নবী' বা 'যিল্লী নবী', 'বুরূযী নবী' অথবা 'উম্মিতী নবী' কোন প্রকার নবীই আর আসবেন না। মুসলিম উম্মাহর কোন বিজ্ঞ আলেম কিংবা পন্ডিত ব্যক্তি 'নবী' -এর এসব প্রকারভেদ করেন নি। অতএব যিনি বা যারাই যে প্রকারের নবুওয়াত দাবি করবে এবং যিনি বা যারাই তার নবুওয়াতকে মেনে নিবে, এই উম্মতের সর্বসম্মত মত অনুসারে, নি:সন্দেহে তারা ভন্ড, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, ইসলাম থেকে খারিজ, মুরতাদ এবং কাফের।

হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম খাতামুন্নাবিয়্যীন, অর্থাৎ তিনি শেষ নবী। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না। এই আকীদা-বিশ্বাসকে বলা হয়, 'খতমে নবুওয়াত এর আকীদা বিশ্বাস'। খতমে নবুওয়াতের এই আকীদা কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াস তথা, শরীআ'তের সব রকম দলীল দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমানিত। ইতোপূর্বে 'আকীদায়ে খতমে নবুওয়াত: গুরুত্ব ও তাৎপর্য' শিরোনামে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে বিষয়টি সকলের কাছে বোধগম্য হয়ে উঠেছে, আশা করা যায়। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নবী-রাসূল হওয়ার দাবী করে এই অকাট্য আকীদা-বিশ্বাসকে অমান্য করায় নি:সন্দেহে কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। এছাড়াও 'মাসীহে মাওউদ' হ্ওয়ার দাবী, শরীআতের বিভিন্ন বিধান রহিত করার দাবী, সর্বোপরি খোদা হওয়ার দাবী প্রভৃতি দ্বারাও তিনি নি:সন্দেহে কাফের হয়ে গেছেন। এ কারনে মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র উম্মতে মুসলিমা সর্বসম্মতভাবে তাকে কাফের বলে ফতওয়া দিয়েছেন।

১৯৭৪ ইং সালে বিশ্ব মুসলিম সংস্থা রাবেতা আলমে আল ইসলামী (Rabita Al-Alam Al-Islami) -র উদ্যোগে পবিত্র মক্কা মুকাররমার কনফারেন্সে ১৪৪ টি মুসলিম রাষ্ট্র ও সংগঠনের অংশগ্রহনে ঘোষনা করে যে, কাদিয়ানীরা কাফের এবং তাদের প্রচারিত কুরআন শরীফের তাফসীর বিকৃত এবং তারা মুসলমানদের ধোকা দিচ্ছে ও পথভ্রষ্ট করছে। ১৯৮৮ ইং সালে ওআইসি (Organization of the Islamic Conference) -র উদ্যোগে ইরাকে সকল্য মুসলিম দেশের ধর্মমন্ত্রীদের এক সম্মেলনে প্রত্যেক মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনার জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়। সেমতে পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক মুসলিম দেশই যথা: সউদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত, মালয়েশিয়া কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করেছে। পাকিস্তান গনপরিষদও ১৯৭৪ সালে আইনগত এবং শাসনতান্ত্রিকভাবে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম সম্প্রদায় বলে ঘোষনা দিয়েছে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে কাদিয়ানীগন সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষিত হওয়ার পর কাদিয়ানী ধর্মমতের সূতিকাগার লন্ডনে তাদের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। বৃটেন ও বর্তমান বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদীদের প্রধান নেতা আমেরিকা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং কাদিয়ানী ধর্মমত প্রচারের জন্য লক্ষ কোটি ডলার তাদের সহায়তা দিচ্ছে।

ভেবেছিলাম, এই পর্বে এই অন্ধকারের ইতি টানতে সক্ষম হব। কিন্তু, অনেক শর্টকাট করার পরেও, অনেক তথ্যাদি বাদ দিয়ে যাওয়ার পরেও আরেকটি পর্বে ফিনিশিং দিলে মোটামুটি একটা পর্যায়ে পৌঁছা সম্ভব হত। তবে, সেটা নির্ভর করবে সম্মানিত ব্লগার বন্ধুগনের মতামতের ওপর। যাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারছি না। যাদের প্রেরনা, সাহস আর শুভকামনা এই পোস্টটিকে সামনে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছে।

পূর্বের মত এই পর্বেও অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা আমার ভাই ব্লগার নাঈমুর রহমান আকাশকেও। তার কারনেই মূলত: এই পোস্টের বিষয়টি প্রথমত: চিন্তায় আসে। তাকে আল্লাহ পাক এর উপযুক্ত বিনিময় দান করুন। সত্য পথের সন্ধান দিন।

পূর্বের মতই আমরা এই সিরিজের প্রতিটি লেখায় প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র সংযুক্ত করার চেষ্টায় ত্রুটি করি নি। এরপরেও আমাদের অনিচ্ছাকৃত কোন তথ্য বিভ্রাট কারও নজরে এলে সহৃদয়তার পরিচয় দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে, আমরা অবশ্যই তাকে স্বাগত জানাব। একজন ব্যক্তিও যদি এই সিরিজটিতে উপস্থাপিত তথ্যাদি দ্বারা উপকৃত হন, তাহলেই শ্রম স্বার্থক মনে করব। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষুদ্রতা, সীমাবদ্ধতা ও জ্ঞানের স্থুলতা ক্ষমা করুন।

আল্লাহ পাক বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রত্যেক আপদ থেকে আমাদের ঈমান আমল হেফাজত করুন। আমাদের সত্যের পথে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার এই ধারাবাহিকটি খুব মন দিয়ে পড়ছি। আবার কিছু কিছু নোটও সংগ্রহ করে রাখছি।
সহজ সরল ভাষায় লেখা খুব সুন্দর হচ্ছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি এই 'ধারাবাহিকটি খুব মন দিয়ে পড়ছেন এবং কিছু কিছু নোট রেখে দিচ্ছেন' জেনে ভাল লাগলো। কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক।

ক্ষমা করবেন, সত্যি বলতে এই ধারাবাহিক প্রকাশের ইচ্ছে আমাদের ছিল না। কাদিয়ানীদের অসারতার বিষয়ে যতটুকু দেখেছি, শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকলেই কম বেশি জ্ঞাত। কিন্তু, তাদের অসারতার গভীরতা যে কত ভয়াবহ তা হয়তো অনেকেরই উপলব্ধির বাইরে ছিল। এই উপলব্ধিতে কিছুটা হলেও যদি পূর্নতা আসে সেই প্রত্যাশা থেকেই এই পোস্ট।

আর এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক তাদের অতি বাড়াবাড়ির কারনে, নিতান্ত বাধ্য হয়ে সাধারনের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনটাও বিবেচনায় ছিল।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অবশ্যই ঈমান আকীদা বাঁচাতে হবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



১০০% সহমত। ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যে।

প্রিয় কবি নজরুলের কন্ঠে আমাদেরও কন্ঠ মেলাতে ইচ্ছে হয়-

'দ্রিম দ্রিম বাজে ঘন দুন্দুভী দামামা
হাকে বীর 'শীর দেগা নেহী দেগা আমামা'।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

মরুসিংহ বলেছেন: ++++

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্লাস প্রদানে আপ্লুত! আপনার আঞ্চলিক ভাষার কবিতাগুলো দারুন। দেখে এলাম।

ভাল থাকবেন।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

আমার আব্বা বলেছেন: আমার খুব ভাললেগেছে প্রতিটা পর্ব এবং তাবলীগ জামাত সম্পর্কে লিখুন, মালফুজাতে ইলিয়াস বইটি আমি পড়েছি পড়ার পর আমার মনে হয়েছে মাওলানা ইলিয়াসও একই কিছিমের ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রতিটা পর্ব আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। সাথে থাকার জন্য অভিনন্দন। আপনাদের মত নিবিষ্ট মনের শুভানুধ্যায়ীদের জন্যই শত ব্যস্ততার ভেতরেও এই লেখালেখির মধ্যে এক ঝলক আনন্দ খুঁজে পাই।

ইনশাআল্লাহ, তাবলীগ জামাআত সম্পর্কে লিখব। আরও কেউ কেউ এ বিষয়ে রিকোয়েস্ট করেছেন।

ভাল থাকবেন।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জনাব চমৎকার পোষ্ট।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিনন্দন আপনাকে। আপনার মন্তব্যগুলো বুদ্ধিদীপ্ত এবং প্রেরনাদায়ক।

ভাল থাকবেন অহর্নিশ।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথমে আপনাকে নিজের ভুলের ধোঁকা থেকে মুক্ত হওয়ার দরকার, কাদিয়ানীরা আপনার মতোই, ওরা কোনভাবেই আপনার থেকে আলাদা কইছু নন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



কষ্ট করে মন্তব্যে আসায় অভিবাদন।

সাম্প্রতিক বিশ্বরাজনীতিতে আপনার ভাল দখল থাকলেও তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনায় সম্ভবত: আপনার জ্ঞান শুন্যের কোটায়। আপনার এই মন্তব্য প্রকটভাবে সেই সত্যকে তুলে ধরেছে।

আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খায়রান।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্যও প্রানখোলা দোআ। দুনিয়া আখেরাত আপনার উজ্জ্বল হোক।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

কামালপা বলেছেন: শেষ পর্বে বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের বর্তমান অবস্থা, প্রভাব, শক্তি ও দূর্বলতা নিয়ে উপসংহারমূলক আলোচনা করতে পারেন। কিছু মহল মুসলমানদের কাদিয়ানী বিরোধী অবস্থানকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখায়। এ নিয়েও আলোচনা করা যায়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



শেষ পর্বে বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের বর্তমান অবস্থা, প্রভাব, শক্তি ও দূর্বলতা নিয়ে উপসংহারমূলক আলোচনা করতে পারেন। কিছু মহল মুসলমানদের কাদিয়ানী বিরোধী অবস্থানকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখায়। এ নিয়েও আলোচনা করা যায়।

-মূল্যবান পরামর্শে কৃতজ্ঞতা। আপনার কথা রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কাউকে এক পাগল কইল কাদিয়ানী ভূয়া, আমি সত্য। কাদিয়ানীর মাইরে......।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



কাদিয়ানীরা বরাবরই আত্মবিশ্বাসহীন ষড়যন্ত্রকারী সম্প্রদায়। শুনেছি, তারা কাউকে সহজে বিশ্বাস করে না। নিজেদের ধর্মমতে বিশ্বাসী ব্যতিত দুনিয়ার বাকি সকলকে কাফের ভাবে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা, সত্যের ছায়া। ভাল থাকবেন।

১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লিখেছেন...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রেরনামূলক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অশেষ।

ভাল থাকবেন। শুভকামনা জানবেন।

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৮

ওমেরা বলেছেন: অনেক ভাল একটা লিখা উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



লেখাটি আপনার কাছে ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা।

পুরো সিরিজটি (১ম-৬ষ্ঠ/ শেষ পর্ব) পড়ে যদি অনুভূতি শেয়ার করেন অনেক অনেক আনন্দিত হব।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

ওমেরা বলেছেন: ইনশা আল্লাহ । আমি পড়ার চেষ্টা করব ভাইয়া ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রচেষ্টায় স্বাগত।

ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.