নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয়তম বাবার প্রতি

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১০



মালিকের মজলিশে তোমার আসন
জানিনা জান্নাতে ঢালে কীরূপ সুষমা
মুনকার নকীরের কোন্ আচরন
ঝড়িয়েছে মনিবের দয়ার উপমা

তোমার জিসিমে থাকা আরবের খাক
মিশে গ্যাছে বাংলার জমাট জমিনে
ফলকে আকীর্ন নয়, তবু ওই পাক
মাটির ঠিকানা লোকে নিতে পারে চিনে।

আউলিয়া-তাজ তুমি হে প্রিয় পিতাজী!
উড়িয়েছো আজীবন দ্বীনের নিশান
অফুরান দিয়ে গ্যাছো নেয়ামতরাজী!
এখনো মাতাল করো স্মৃতির ঈষান!

প্রভূর বাগিচা আজ ঠিকানা তোমার
ইলাহীর দয়া ঝড়ে বে-হদ-শুমার।

নোট: ২০১৫ ইং সালের ০৮ মার্চ, ২৪ ফাল্গুন ১৪২১ বাংলা, ১৭ জমাদিউল উলা ১৪৩৬ হিজরি রোজ রোববার দিবাগত রাত ১:০০ ঘটিকায় মহান প্রভূর ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি জমান আমাদের নয়নমনি প্রিয়তম আব্বা। তিনি ছিলেন আমাদের মহান অভিভাবক, সবচে' বড় বন্ধু, পৃথিবীতে সবচে' আপন, নি:স্বার্থ আত্মার আত্মীয়। এ দিনটিতে আমাদের মাথার ওপর থেকে সরে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের শেষ অবলম্বনটুকু। কোমলমতি প্রিয়তম মায়ের স্নেহের আচল খসে পড়েছে সেই কবে। ১৯ মার্চ ১৯৯৫ ইং, ০৫ চৈত্র ১৪০১ বাংলা, ১৮ শাওয়াল ১৪১৫ হিজরি রোজ রোববার বেলা ১২:০০ টায়। মা চলে যাওয়ার পরে কালের পরিক্রমায় পেরিয়ে গেল প্রায় ২০ টি বছর। এই ২০ টি বছর পিতৃস্নেহের পাশাপাশি বাড়তি তিনি আমাদের দিয়েছেন মাতৃস্নেহও। প্রায় শতবর্ষী প্রিয় আব্বা ঘূনাক্ষরেও পারতপক্ষে তাঁর অসহায়ত্ব, শারীরিক দুর্বলতা আমাদের বুঝতে দেননি। মা চলে যাওয়ার পরে বৃদ্ধ বয়সে আব্বার সেবা শুশ্রুষার কথা চিন্তা করে, বার বার অনুরোধ করা হলেও দ্বিতীয় বিয়েতে তিনি রাজী হননি কোনভাবেই। আমাদের সাত ভাই-বোনকে আগলে রেখেছেন যুগপথ মাতৃ এবং পিতৃস্নেহে। হয়তো আমাদের উপলব্ধিতে আনতে দিতে চাননি, মায়ের অভাব। পৃথিবীতে তিনি ছিলেন সম্মানের পাত্র। সকলের শ্রদ্ধাভাজন। সকলের প্রতি আন্তরিক। প্রতিবেশির প্রতি মহানুভব। আত্মীয়দের প্রতি অনুরাগী। তাঁর প্রতি মহান মালিকও একই রকম দয়ার আচরন করুন। আমীন।

আব্বার বেশিরভাগ সময় কাটতো ইবাদত বন্দেগীতে। ফজরের পূর্বে উঠে জায়নামাজে পেতাম তাকে। ভেজা চোখে তার সকাতর প্রার্থনা ঘরের ভেতর গুনগুন গুঞ্জরন তৈরি করতো। নফল নামাজ, তিলাওয়াতের নিয়মিত অভ্যাসের ব্যত্যয় ঘটতো না কখনওই। জিকির এবং তিলাওয়াতের প্রতি ছিল আলাদা ঝোঁক। বড় বড় সূরাহ তাঁর মুখস্ত ছিল। প্রতিটি সুন্নতের উপর গুরুত্ব দিয়ে আমল করার প্রতি যত্নবান ছিলেন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

আসলে আমি আব্বাকে নিয়ে বেশি ভাবতে পারি না। তাঁর কবরের পাশে দাড়ালে আমি অধীর অস্থির হয়ে যাই। বাধভাঙ্গা অশ্রুর জোয়ার দমিয়ে রাখতে পারি না। তাঁর স্মৃতি ভাবলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। আল্লাহ পাক তাঁর অবস্থানকে জান্নাতে উঁচু করুন। আমার স্নেহময়ী মায়ের প্রতিও। বাবা-মায়ের জন্য যাদের হৃদয় কাঁদে তাদের মাতা পিতার প্রতিও। সবশেষে আসুন, বিগলিত হৃদয়ে আল্লাহ পাকের শিখিয়ে দেয়া কথামালায় দোআ করি প্রিয়তম বাবা মায়ের জন্য- 'রব্বিরহামহুমা কামা রব্বাইয়ানী ছগীরা'।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার মা-বাবা দুজনার জন্যই দোয়া করি,মহান আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।আমিন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



মহান রবের প্রতি ঐকান্তিক মিনতি, তিনি আপনার নেক দোআ যেন অবশ্যই কবুল করুন।

ভাল থাকুন অন্তহীন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার নয়নমনি বাবা মাকেও আল্লাহ পাক দুনিয়া এবং আখেরাতে সুখে রাখুন।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার বাবা এবং মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো তাদের যেনো আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
আর একটি কথা বাবা মায়ের জন্য সব সময় দোয়া করবেন নামাজ পড়ে। সন্তানের দোয়া সবার আগে কবুল করেন আল্লাহ। এবং সন্তানদেরকে রহমত নাজিল করেন আমিন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার বাবা এবং মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো তাদের যেনো আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
আর একটি কথা বাবা মায়ের জন্য সব সময় দোয়া করবেন নামাজ পড়ে। সন্তানের দোয়া সবার আগে কবুল করেন আল্লাহ। এবং সন্তানদেরকে রহমত নাজিল করেন আমিন।


-দারুন মন্তব্য ছোট্ট পাখি কাকলির।

আপনার দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। আপনার এবং আপনার মা বাবার প্রতিও অবারিত রহম বর্ষন করুন মালিক মহান।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন, 'সন্তানের দোয়া সবার আগে কবুল করেন আল্লাহ। এবং সন্তানদেরকে রহমত নাজিল করেন আমিন।'

প্রত্যেকের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষেই বাবা মায়ের জন্য আল্লাহ জাল্লা শানুহূর দরবারে রহমত এবং মাগফিরাতের দোআ করা। বিশেষত: মহান মালিক প্রভূ পালয়িতার শিখিয়ে দেয়া বাচনিক 'রব্বিরহাম হুমা কামা- রব্বাইয়ানী সগীরা' বলে দোআ করা উচিত। কুরআনের ভাষায় কৃত দোআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: পৃথিবী আমাদের কারোরই আসল ঠিকানা নয়!
মরণ একদিন মুছে দিবে সকল রঙিন পরিচয়.

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার উল্লেখিত প্রানস্পর্শী ইসলামী সঙ্গিতটির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম-

Prithibi amar asol thikana noy - Bangla Islamic Song

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানা ছাগিরা
আল্লাহ উনাদের আত্মাকে মুক্তি দান করুন।

নৈবদ্যে ভাললাগা ।।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহুম্মা আমীন। প্রিয় কবির সকন্ঠে উচ্চারিত দোআ আল্লাহ পাক কবুল করুন। মা বাবাকে জান্নাতের শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করুন।

কৃতজ্ঞতা নিরন্তর।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



কবিতাটি নিয়ে আপনার মূল্যবান আরও কোন মূল্যায়ন জানতে পারলে হয়তো উপকৃত হতাম। যদি কখনও সময় হয়ে ওঠে...।

ভাল থাকুন অনুক্ষন।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ধর্মীয় কবিতা।
ভালো লাগলো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কবিতা ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা অনেক। ইদানিংকালে আমার প্রায় সকল পোস্টে নিয়মিত উপস্থিতি আনন্দিত করে।

অনেক অনেক ভাল থাকুন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পেশাগত জীবনের উন্নতির জন্য, জীবন জীবিকায় প্রাচুর্য্যের জন্য সর্বোপরি উভয় জগতে অনাবিল সুখের জন্য আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করছি।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

আটলান্টিক বলেছেন: আপনাকে একটা প্রশ্ন করি
জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে একসময় আমরা আমাদের শরীরকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো।মানে আমরা যদি চায় তাহলে আমাদের শরীরের কোষবিভাজন কে এতো ধীর করে দিতে পারবো যে একজন লোক অনায়াসেই দশহাজার বছর বাঁচতে পারবে।আর দশ হাজার বছর বাঁচা তো প্রায় অমরত্বের কাছাকাছি।তখন আক্ষরিক অর্থেই আমাদের অমর বলা হবে।এব্যাপারে আপনার কি মতামত মানুষ কি কখনো অমর হতে পারবে?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



কুরআন হাদিসের আলোকে যতটুকু অবগত হতে পারি, মানুষকে কিছু বিষয়ের জ্ঞান দিলেও বিশেষ কিছু জিনিষের ক্ষমতা আল্লাহ পাক নিজের হাতে রেখে দিয়েছেন। জন্ম মৃত্যু জীবন মরন আয়ুষ্কাল ইত্যাদি আল্লাহ পাকের হাতেই তিনি রেখে দিয়েছেন। আর মানুষকে যে পরিমান জ্ঞান দেয়া হয়েছে তা কুরআনের ভাষায়- 'ওয়ামা- উ-তীতুম মিন ইলমিন ইল্লা- ক্কলীলা-', মানে, 'তোমাদের (মানব জাতিকে) খুবই অল্প পরিমান জ্ঞান দেয়া হয়েছে।'

এই অল্প পরিমান জ্ঞান নিয়েই পৃথিবীর মনুষ্য প্রজাতির পথচলা। যতসব আবিষ্কার তাও এর উপরে নির্ভর করেই।

সুতরাং, আমার মনে হয়, 'দশ হাজার বছর বেঁচে থাকা' কিংবা 'অমরত্ব লাভের' মত অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা পর্যন্তই মানুষ হয়তো পৌঁছবে। এরপরের স্টেপটা হয়তো মহাপ্রলয়ের বিভীষিকায় ঢাকা পড়ে যাবে। সে ইচ্ছেটি হয়তো অনেক ইচ্ছের মত অপূর্নই থেকে যাবে মানুষের।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে মেডিকেল সায়েন্সও এগিয়ে চলেছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু, চরম সত্য হচ্ছে, আল্লাহ পাকের চেয়ে অধিক সত্যবাদী কেউ নন। তাঁর অমোঘ ঘোষনা, 'ইযা- যা-আ আযালুহুম লা- ইয়াসতা'খিরুনা সাআ'তাও ওয়ালা- ইয়াসতাক্কদিমূন'। অর্থ- 'নির্ধারিত সময়ের মুহূর্তকাল পূর্ব কিংবা পর হবে না'।

সুতরাং, কুরআন বিশ্বাস করলেই সমাধান সহজে পাওয়া সম্ভব।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: রব্বীর হাম হুমা কামা রব্বাইয়ানী সগীর ।

পৃথিবীর জীবন সত্যি খুব অল্প, ক্ষীণ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন কবি ভাই।

আপনি কেমন আছেন? পরিবারের সকলকে নিয়ে নিশ্চয়ই অনেক ভাল সময় অতিবাহিত করছেন!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পৃথিবীর জীবন সত্যি খুব অল্প, ক্ষীণ।

-কী দেখলাম! কী দেখছি! কী দেখবো!

কত আপনজন ছিলেন! এখন নেই! হারিয়ে ফেলেছি! আমিও তো তাদেরই দলের! আমাকেও তো হারিয়ে ফেলবে অন্যরা!

আহ্! মিছে মায়ার কি অপূর্ব বাঁধন!

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে সুন্দর কথা বলার জন্য।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে ছোট্ট পাখি কাকলি বলেছি। কষ্ট নেননি তো? অনেক ভাল থাকুন।

আবার মন্তব্যে আসায় আবারও অভিনন্দন।

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

কামরুননাহার কলি বলেছেন: না কষ্ট পাইনি। বুজতে পেরেছি হয়তো আপনি আমার অনেক বড় হবেন তাই হয়তো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বুদ্ধিদীপ্ত কথাগুলো অনেক ভাল লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম মন্তব্যের উপদেশ। উপদেশ দেখেই এমনটা বলেছিলাম।
উপদেশ শুনতে ভাল লাগে। আদেশ উপদেশ তো এখন আর কেউ দেয় না। দেয়ার কেউ নেই। মুরব্বীদের সবাইতো একে একে চলে গেলেন। বাকিরাও যাচ্ছেন।

অনেক সুন্দর ছিল আপনার উপদেশমালা। জাজাকুমুল্লাহু খাইর।

১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: কেউ যদি আমার কথাগুলোকে বৃদ্ধিদীপ্ত মনে করে তাহলে তো আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
আর হা আপনার বাবার কথাগুলো পড়তে যেয়ে সত্যিই চোখে পানি চলে এসেছিলো কিন্তু বলিনি সে কথাটি আপনাকে এখন বললাম। মানুষ পৃথিবীতে কত রকাম আছে তাই না।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আব্বা যখন আমার ঘরে ছিলেন, আমার ঘরটা রহমত, বরকত আর সৌভাগ্যে ভরপুর মনে হত। আব্বা যখন এবং যেদিন থেকে নেই, সেদিন থেকে আমার জগতটাও কেমন জানি এক শুন্যতায় ভরে অাছে। এ শুন্যতা এই জীবনে আর পূর্ন হবে না। হবার নয়। তাঁর সকল স্মৃতি সুখের। কোন প্রয়োজনে বাইরে গেলে, কিংবা অফিসের প্রয়োজনে বাসায় ফিরতে একটু দেরি হলে, মুহূর্তকাল মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখা যেত না। তিনি ফোনে আমাকে না পেলে কত কৈফিয়ত দিতে হত তাঁকে!

আহ! আজ আর কেউ নেই কৈফিয়ত তলবের!

আব্বার এমন দিন হয়তো খুব কমই দেখেছি যেদিন তিনি কাঁদতেন না। মহান মালিকের দুয়ারের ভিখারী হয়ে তিনি অশ্রু ঝড়াতেন। অঝোড়ে তার কপোল বেয়ে মুক্তোর দানার মত গড়িয়ে পড়া অশ্রুর ফোটাগুলো দয়ালু মালিকের দয়ার কারন হবে না? ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই হবে। অবশ্যই তিনি জান্নাতের সুউচ্চ আলয়ে স্থান পেয়ে থাকবেন।

আবারও কৃতজ্ঞতা। আপনি ভাল থাকুন।

১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার কবিতা। ধন্যবাদ

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকেও। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অনেক।

১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

সনেট কবি বলেছেন: সব ঠিক আছে প্রিয় কবি। ‘বাং’ এক অক্ষর দই অক্ষর নয়। কারণ সাথেরটা কার চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত। ‘ঙ’ অক্ষর। কাজেই সেই লাইনে এক অক্ষর কম পড়েছে। তবে কবিতা ভাল হয়েছে। ভাল প্রচেষ্টা। আমারো মা-বাবা দু’জন গত হয়েছেন। একজন ২০১৩, অন্যজন ২০১৬ তে। তাঁদের জন্য আমিও দোয়া করি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু খাইর।

আপনার বাবা মায়ের জন্যও অশেষ দোআ। তাদেরকেও জান্নাতের নাজ নেয়ামতে ধন্য করুন মহান প্রতিপালক।

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আল্লাহ আপনার আব্বা আর আম্মা দুজনকেই যেন জান্নাতে স্থান দেন, সেই দোয়া করছি | রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সগীরা | আল্লাহ আপনাকে আরো তৌফিক দিন যেন বাবা আর মা-র জন্য আরো দোয়া করতে পারেন | আমিন |

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক আপনার নেক দোআ ইনশাআল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন। আমাদেরও অশ্রুসিক্ত নয়নে বিগলিত হৃদয়ের প্রার্থনা- 'রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সগীরা'। সর্বক্ষন।

আপনার মত যোগ্যতাসম্পন্ন সুসন্তানের জন্মদাতা মাতাপিতার জন্যও একই দোআ। অন্তহীন।

অনেক ভাল থাকুন।

১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৪

অজানিতা বলেছেন: আল্লাহ্‌ যেন আপনার দোয়া কবুল করেন। আমিন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



আমীন।

আপনাকে সুস্বাগতম আমার ক্ষুদ্র ব্লগবাড়িতে।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১২

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আপনার বাবা-মার জন্য দোয়া করি,আল্লাহ যেন উনাদের বেহেশত নসীব করেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক আপনার হৃদয়ের প্রার্থনা মঞ্জুর করুন। আমার আব্বা অাম্মার জন্য।

আপনার বাবা মায়ের জন্যও একই দোআ। তারা বেঁচে থাকলে পৃথিবীতে ভাবনাহীন সুখের জীবন লাভ করুন। পরকালে, মৃত্যুর পরের জীবনে জান্নাত যেন অবধারিত হয় তাদের জন্য।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আল্লাহ্ আপনার দোয়া কবুল করেন।। আমিন।।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমীন।

আপনার বাবা মায়ের জন্যও ভাল থাকার দোআ দুই জগতে।

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

কানিজ রিনা বলেছেন: এমন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন বাবার জন্য রইল
অশেষ দোয়া। এই দুইদিনের মিথ্যে দুনিয়ায়
আমরা কত অহংকার করি আসলে জম্মই
মৃত্যুর জন্য। নিশ্চয় আপনিও আপনার
বাবার ব্যক্তিত্ব ধরে রাখবেন এই কামনা।
প্রতিটা সন্তানের উচিৎ এমন বাবা মায়ের
প্রশংসায় নিয়জিত থাকা। অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



মা- শাআল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ।

আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:
চমৎকার স্রষ্টা স্তুতি কাব্য।

আপনার প্রায়ত পিতার যেখানেই থাকুক ভালো থাকুন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আসলেই কি এটাকে 'স্রষ্টা স্তুতি' মনে হলো আপনার কাছে?

প্রিয় কবির দোআ আমার বাবা মায়ের জন্য কবুল হোক। তাদের কবরকে আল্লাহ পাক উজ্জ্বল করুন।

অনেক কৃতজ্ঞতা।

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ এক কবিতা লিখেছেন, সাথে নোটটাও হৃদয়স্পর্শী।
'রব্বিরহাম হুমা কামা- রব্বাইয়ানী সগীরা' -- আমীন, ছুম্মা আমীন!
আপনার বাবা মায়ের বড় সৌভাগ্য যে ওনারা আপনার মত একজন নেককার ও অনুভূতিপ্রবণ সন্তান দুনিয়াতে রেখে গেছেন। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন ওনাদের উভয়কে শান্তিময় ক্ববর দান করুন এবং জান্নাতবাসী করুন!
আমার কর্মজীবনে আমি একবার হঠাৎ করে বৈ্দেশিক নিয়োগপ্রাপ্ত হই। বিদেশ যাত্রার প্রাক্কালে আবার কবে দেখা হবে না হবে, একথা ভেবে আব্বাকে দেড় মাসের জন্য আমার ঢাকার বাসায় এনে রেখেছিলাম। আমি সপরিবারে বিদেশে চলে যাবার পরে আব্বা আমার স্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছিলেন-- 'মা, তোমার বাসায় যে ক'টা দিন কাটিয়ে এলাম, সেটা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়'। আর আমাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, আমি যেন সন্তানদের গায়ে হাত না তুলি, কারণ বিদেশে ওদেরকে আদর করার কেউ নেই। সে কথাটা এখনো আমার কানে বাজে। এখন আমার ছেলে বিদেশে থাকে। আমি ছেলেকে আর বৌমাকে বলি, আমার কলিজার টুকরা নাতনিটাকে যেন কখনো বকা ঝকা না করে, কারণ ও কান্না করলে আমরা এখান থেকে শুনতে পাই এবং অস্থির হই এই ভেবে যে ওকে থামাবার বা আদর করার ওখানে আর কেউ নেই। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন ওদেরকে সুখে শান্তিতে রাখুন, নিরাপদে রাখুন, হেফাযতে রাখুন!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



অনিন্দ্য সুন্দর মন্তব্য আর অভাবিত প্রশংসায় আবেগাপ্লুত! কৃতজ্ঞতা অন্তহীন। দোআ অহর্নিশ। আপনার কান্তিময় চেহারার দীপ্তি-সৌন্দর্য্য-ঔজ্জ্বল্য আরও বহুগুনে বৃদ্ধি পাক।

কর্মজীবনে বিদেশ গমনের প্রানস্পর্শী ঘটনাটি জুড়ে মমতার আভা। পারস্পারিক পরম মমতার এই অবিচ্ছিন্ন বন্ধনে আল্লাহ পাক জরিয়ে রাখুন আমাদের। বাঁচিয়ে রাখুন মাখলূকাতকে। সমগ্র সৃষ্টি জগতকে।

আমি ছেলেকে আর বৌমাকে বলি, আমার কলিজার টুকরা নাতনিটাকে যেন কখনো বকা ঝকা না করে, কারণ ও কান্না করলে আমরা এখান থেকে শুনতে পাই এবং অস্থির হই এই ভেবে যে ওকে থামাবার বা আদর করার ওখানে আর কেউ নেই। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন ওদেরকে সুখে শান্তিতে রাখুন, নিরাপদে রাখুন, হেফাযতে রাখুন!

-আহ! কী অপূর্ব আন্তরিকতার ছোঁয়া! নাতিদের জন্য! এসব কথা পড়লে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে! অজান্তেই! আমার আব্বার অনেক কথার ভেতরে এরকম কিছু কথা এখনও বার বার কানে বেজে ওঠে!

ভাল থাকুন নিরন্তর।

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ; সেদিন খবর পেলাম চোখেও দেখেন না, কানেও শোনেন না। দুঃখ লাগে মা-বাবার জন্য কিছুই করতে পারলাম না এখনো।

বাবাকে নিয়ে চমৎকার শ্রদ্ধার্ঘ! মন ছুঁয়ে গেল।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:


আহ! বলেন কি, 'খবর পেলাম' কেন বলছেন? 'কিছু না করতে পারা'র যে আঁকুতি আপনার হৃদয় থেকে উছলে পড়ছে তা অবশ্যই মন ছুঁয়ে গেল! কিন্তু আপনি কি বাবার পরশ থেকে - মায়ের স্নেহের আঁচল থেকে অনেকটা পথ দূরে অবস্থান করছেন? তাদের কাছে যান না একটু! একটু সঙ্গ দিন না তাদের! 'তাদের জন্য কিছু করতে না পারা'র বেদনাটা দেখবেন, তাদের অকৃত্রিম ভালবাসার পরশে হারিয়ে যাবে! তাদের মাথায় আপনার দয়ার হাতটা একটু বুলিয়ে দিন! দেখবেন, প্রত্যুত্তরে তাদের দুর্বল-ন্যুজ হাতের ছোঁয়ায় আপনার হৃদয় মনে সতেজতা ফিরিয়ে আনবে! অপ্রাপ্তির বেদনাগুলো ধুয়ে মুছে যাবে! প্রানের কুটিরে জমে থাকা হাহাকারগুলো অন্তহীন আশীষ আর আশির্বাদে সিক্ত হবে! যেমনটা আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় দেখেছি!

অনেক কৃতজ্ঞতা আন্তরিক চমৎকার মন্তব্যে!

২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিছু একটা করার অভিপ্রায়ে শহরে এসেছি। বাড়ি ফিরে গিয়ে তো সংসারের মঙ্গলার্থে কিছু করতে পারবো না, শুধু চেয়ে চেয়ে থাকা ছাড়া। নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারলে সামনের মাসে যাবো। এ মুহূর্তে বেকারত্বের গ্লানিটা ঘোচানো বড্ড জরুরি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্য কিছু একটা করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম। কিছু যদি মনে না করেন, আমাকে যদি আপনার কোয়ালিফিকেশন কিংবা ঠিক কি ধরনের জব আপনার জন্য প্রযোজ্য জানাতেন কৃতার্থ হতাম। আর আপনার এক্সাক্ট লোকেশন জানানোর প্রয়োজন নেই। আপনি কি ভালুকা বা এর আশপাশে আছেন? জানতে চাওয়ার কারন হচ্ছে, ভালুকা এলাকায় আমার মোটামুটি জানাশোনা কিছু ফ্যাক্টরী আছে। আপনি সম্মত হলে কোন একটাতে কথা বলে দেখতে পারতাম।

অনেক অনেক ভাল থাকুন।

২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

লেখক বলেছেন:



আসলেই কি এটাকে 'স্রষ্টা স্তুতি' মনে হলো আপনার কাছে?



আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। যখন মন্তব্য করেছিলাম তখন কিছুটা তাড়াহুড়ায় ছিলাম। কিছু একটা বলতে গিয়ে অন্য একটা লিখে দিয়েছি বেখেয়ালে।
না না এটা মোটেই স্রষ্টা স্তুতি কাব্য নয় বরং এটা এক বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার প্রকাশ।

ভালো থাকবেন- আবারও দুঃখিত এরকম অবিবেচক মন্তব্যের জন্য।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



এরকম ছোট খাট ভুলতো আমরা করেই থাকি! আমারও তো কখনও কখনও হয়ে যায়! এতে ক্ষমা চাওয়ার কি আছে, প্রিয় কবি?

আপনার বিনয় প্রকাশ অভিনব! আসলে বিষয়টাতো এরকমই- যিনি যত বড়, তার বিনয় প্রকাশের ভঙ্গিটাও তত বড়। ততটাই আন্তরিকতাপূর্ন!

কষ্ট করে পুনরায় পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অনেক কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.