নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
সারা দেশে শীতের আবহ। দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রায় ইতোমধ্যেই ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠেছে। অসহনীয় শীতের পাশাপাশি তীব্র কুয়াশার চাদর ঢেকে দিচ্ছে সারাটা দেশ। ছন্দপতন ঘটছে দেশের শীতপ্রবন এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। হাড় কাঁপানো শীতের কবল থেকে বাঁচতে সাধারন দরিদ্র মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছে। বেড়ে চলেছে দু:স্থ অসহায় মানুষের দুর্ভোগ। বিশেষ করে হিমালয়ের কোল ঘেঁষা দেশের উত্তরাঞ্চলের অবস্থা বেশি অসহনীয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২.৯ এবং ডিমলায় আজ ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিপূর্বে চুয়াডাঙ্গা এবং রাজশাহী জেলায় ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ৫ জানুয়ারি। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩.১ এবং দিনাজপুরে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খোদ রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে আজ। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটাই ছিল এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন রেকর্ড। কিন্তু সে রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেল এবারের শৈত্যপ্রবাহ। কারন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ার ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা - যা এযাবতকালের বাংলাদেশের তাপমাত্রায় নিম্নতম হিমাংকের রেকর্ড।
দেশের এই পর্যুদস্তু অবস্থার সবচে' বড় শিকার দরিদ্র পরিবারের শিশু, অভাবী বৃদ্ধ মানুষজনসহ শ্রমজীবি আর গ্রাম গঞ্জের খেটে খাওয়া অসহায় দরিদ্র মানুষ। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় উপদ্রব ঘটছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভাসমান, ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষদের। স্কুল কলেজে হ্রাস পেয়েছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। শীতার্ত এলাকার হাসপাতালগুলোর শিশু বিভাগে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে শীত ও অত্যধিক ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত শিশুরা। যাদের বেশিরভাগই আক্রান্ত নিউমোনিয়া, ব্রঙ্ককাইটিস ও ডায়রিয়ায়। হাড় কাঁপানো শীতে মানুষের জীবনধারা যেমন ব্যাহত হচ্ছে; তেমনি ঠাণ্ডায় কাজ করতে না পারায় শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছে বিপাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সকালের দিকে ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না মানুষজন। সকাল ১০টা ১১টা পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা দেখা যায় অধিকাংশ শীতপ্রবন এলাকার।
এই অসহায় শীতার্ত মানুষের প্রতি একটু সহানুভূতি অন্তত: আমাদের থাকা উচিত। আপনার আমার সামর্থ্যের ছোট্ট সহযোগিতাটুকু হয়তো কারও জন্য হয়ে উঠতে পারে হাড় কাঁপানো শীতের কবল থেকে বাঁচার অবলম্বন। আমাদের অব্যবহৃত, ঘরে পরে থাকা একটি সোয়েটার, একটি কম্বল কিংবা সামান্য পরিমান আর্থিক সহায়তা হয়তো কারও জন্য মাধ্যম হয়ে দাড়াতে পারে শৈত্যপ্রবাহের করাল গ্রাস থেকে আত্মরক্ষার। তাই আসুন, আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলোকে অবহেলার দৃষ্টিতে না দেখে সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, শীতার্ত মানবতার প্রতি। শৈত্যপ্রবাহের এই নিদারুন দিনগুলোতে আসুন, বিস্তার ঘটাই প্রানের প্রবাহের। সুখ দু:খ ভাগ করে নিই সকলে। সম্মিলিতভাবে।
সকলের মঙ্গল হোক। নারী শিশু বৃদ্ধসহ শীতপ্রবন এলাকাগুলোর অসহায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হোক।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: http://www.satlanews24.com/4913
উত্তরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, রাজধানীতে মঙ্গলবার অবধি উত্তরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, রাজধানীতে মঙ্গলবার অবধি কনকনে ঠাণ্ডার সম্ভাবনা
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ শীতার্তদের দুর্ভোগ নিয়ে লেখায়।
ভাল থাকবেন।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শীতার্ত মানুষের পাশে সবার এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
অবশ্যই উচিত।
ধন্যবাদ সরকার।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: একটা গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করেছি। দুয়া করবেন যাতে শীতার্ত মানুষদের জন্য কিছু করতে পারি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
অবশ্যই আপনার জন্য দোআ থাকবে। আপনি সফল হোন।
শীতার্তদের প্রতি আপনার সহমর্মিতা দেখে আপ্লুত!
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উপস্থিতি ভাল লাগে।
শীতার্ত মানবতার প্রতি সহায়তার হাত শক্তিশালী হোক।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আশা করি বাংলাদেশের ছাত্র ও যুব সমাজ এব্যাপারে এগিয়ে আসবেন। তারা মানুষের কাছ থেকে গরম কাপড় ও টাকা উত্তোলন করে বিতরণ করবেন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার আশাবাদ উত্তম। এরকমটা তারা করতে পারেন। এগুলো তাদের ভবিষ্যত জীবনের জন্যও প্রেরনা হয়ে থাকবে।
ভাল থাকুন।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের আভাওয়া বদলাচ্ছে, এগুলোর জন্য প্ল্যান থাকার কথা সরকারের, এর জন্য সরকার টাকাও পাচ্ছে
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
কিন্তু সে টাকা কোথায় ব্যয় হয়? শীতার্ত অসহায় মানুষজন তার কতটুকু সুফল ভোগ করেন?
ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,
মানবিক একটি পোস্ট, একটি আবেদন ও !
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মানবতার চেয়ে বড় আর কিছু কি আছে?
আপনার উপস্থিতি বরাবর প্রেরনাদায়ক। আপনি ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। অনেক দিন বেঁচে থাকুন।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের মসজিদ গুলো হতে পারত দারুন এক সামাজিক কল্যান মাধ্যম!
এক ইমাম সাহেবকে শীতবস্ত্রের জণ্য জুমায় বলার কথা বলতেই উনি কেয়ামতের মাঠ পর্যন্ত নিয়া গেলেন!
আমিও উনারে জাহান্নামের পথেই আছে বুঝিয়ে দিলাম বড় দু:খে!
অথচ প্রতিটা মসজিদ একটিভ হলে এ সপ্তাহেই প্রয়োজেনর বেশীর ভাগ অংশ সংগ্রহ করা সম্ভব হতো!
আল্লাহ তাদের হেদায়েত দিক!।
আপনার পোষ্টে ধন্যবাদ! সকল শীতার্তর প্রতি সহানুভূতি!
যে যার মতো এগিয়ে আসুন যারযার দরিদ্র প্রতিবেশীর দিকে সুনজর দিয়ে!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ইমাম সাহেবের প্রতি আপনার নিবেদন যথার্থ ছিল হয়তো। জানি না, কি কারনে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন। আসলে নানান মত। নানান পথ।
আমাদের দেশের মসজিদগুলোর অধিকাংশ তো শুধু নামাজের সময় খোলা হয়। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য রীতিমত দু:খ এবং গ্লানির। ধর্মীয় বিধি বিধানের পাশাপাশি সামাজিক সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা উচিত ছিল মসজিদগুলোকে। কিন্তু তা হয়নি। হয়নি বলেই আজ ইমাম সাহেবগনও সামাজিক বিষয়াবলীকে তাদের আওতা বহির্ভূত মনে করে বসেছেন। বিপরীতে, আজকের সমাজপতিরাও অনেকটা এমনই। ইমাম সাহেবগনকেও মসজিদ মাদরাসার লোক ঠাওরে সামাজিক কর্মকান্ডে তাদের নিষিদ্ধ ভেবে বসে আছেন। এ অবস্থার আশু পরিবর্তন প্রয়োজন।
সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন। কৃতজ্ঞতা।
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শীতার্ত মানুষের জন্য সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ। পোষ্ট শেয়ার করা জন্য ধন্যবাদ, ভাই।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই বলতে চেয়েছি।
পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন। কৃতজ্ঞতা অনেক। ভাল থাকুন কবিভাই।
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
আটলান্টিক বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।পোষ্টে প্লাস দিলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক মুগ্ধতা! শীতের সকালের শিশিরসিক্ত শুভকামনা।
১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন: ৯ং প্রশ্নের প্রতিউত্তর খুবই ভাল লাগল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
৯ নং মন্তব্যের জবাবটি খুবই ভাল লাগায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট ভাল না কি মন্দ লাগলো সেটাও যদি জানাতেন!
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:১১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্যরি ভাই দেরীতে এমন মানবিক লেখায় দেরীতে হাজিরা দেয়ার জন্য।।
প্রবাসে বিধায় হয়ে আছি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতই।।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
অগনন শুভকামনা আপনার জন্য। প্রবাসের কষ্টগুলো সুখের অনাবিল ছোঁয়া হয়ে ধরা দিক আপনার কাছে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
খুব ভাল লিখেছেন!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উৎসাহ প্রদানে সত্যি আনন্দিত।
ভাল থাকুন অনেক।
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এবারের এই এতো শীতেও যদি হেল্প না করা যায় শীতে কাবু মনুষজনকে তবে আর কবে করা যাবে আল্লাহই জানেন ! এতো মিস প্ল্যানিং আমাদের ! খারাপের সাথে বিরক্তও লাগে খুব |
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই!
দুর্দশাগ্রস্ত বিপন্ন মানুষের জন্য আমাদের অবশ্যই কিছু করার দায়িত্ব রয়েছে। দোআ করুন, আল্লাহ পাক যেন আমাদের সে দায়িত্ব পালনের সামর্থ্য এবং যোগ্যতা দান করেন।
অনেক ভাল লাগলো আপনার উপস্থিতিতে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন সবারই এগিয়ে আসা উচিত।