নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায় হজ্বের ভাষন- যেন চার কথায় বিশ্ববাসীর জন্য মানবাধিকারের প্রজ্জ্বলিত মশাল- যখনি পড়ি চোখ অশ্রুসিক্ত হয়- আরবির সাথে বাংলা অনুবাদ- ইংরেজিটা বোনাস।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪



/ خطبة الوداع,

ايها الناس اسمعوا مني ابين لكم فأني لا ادري لعلي لا القاكم بعد عامي هذا في موقفي هذا. ايها الناس ان دماءكم واموالكم حرام عليكم الى ان تلقوا ربكم كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا الا هل بلغت ؟ اللهم فاشهد

فمن كانت عنده امانه فليؤدها الى من ائتمنه عليها. ان ربا الجاهليه موضوع. وان اول ربا ابدا به ربا عمي العباس بن عبد المطلب ، وان دماء الجاهليه موضوعه ،واول دم أبدأ به دم عامر بن ربيعه بن الحارث ،وان مأثر الجاهليه موضوعه غير السدانه والسقايه والعمد قود وشبه العمد ما قتل بالعصا والحجر وفيه مائة بعير ،فمن زاد فهومن اهل الجاهليه .

ايها الناس ان الشيطان قد يئس أن يعبد في ارضكم هذه،ولكنه قد رضي أن يطاع فيما سوى ذلك مما تحقرون من اعمالكم . ايها الناس ان النسيئ زياده في الكفر يضل به الذين كفروا يحلونه عاما ويحرمونه عاما ليواطئوا عدة ما حرم الله وان الزمان قد استدار كهيئته يوم خلق الله السموات والارض، وان عدة الشهور عند الله اثنا عشر شهرا في كتاب الله يوم خلق الله السموات والارض،منها اربعة حرم ثلاث متواليات وواحد فرد: ذو القعده ،ذو الحجه،محرم،ورجب الذي بين جمادي وشعبان . الا هل بلغتّ؟ اللهم اشهد أيها الناس ان لنسائكم عليكم حقا ولكم عليهن حق. الا يوطئن فرشكم غيركم،ولا يدخلن احدا تكرهونه بيوتكم الا بأذنكم ولا يأتين بفاحشه ،فأن فعلن فان الله أذن لكم أن تعضلوهن وتهجروهن في المضا جع وتضربوهن ضربا غير مبرح ،فان انتهين وأطعنكم فعليكم رزقهن وكسوتهن بالمعروف،وانما النساء عندكم عوان و لايملكن لانفسهن شيئا ، أخدتموهن بأمانة الله واستحللتم فروجهن بكلمة الله فاتقوا الله في النساء واستوصوا بهن خيرا الا هل بلغت؟ اللهم اشهد ايها الناس انما المؤمنون اخوه ولا يحل لامرئ مال اخيه الا عن طيب نفس منه الا هل بلغت؟ اللهم اشهد فلا ترجعن بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض ،فاني قد تركت فيكم ما ان اخذتم به لم تضلوا بعده : كتاب الله الا هل بلغت؟ اللهم اشهد ايها الناس ان ربكم واحد وان اباكم واحد كلكم لآدم وادم من تراب اكرمكم عند الله اتقاكم ،ليس لعربي فضل على عجمي الا بالتقوى. الا هل بلغت؟اللهم اشهد

ايها الناس ان الله قد قسم لكل وارث نصيبه من الميراث ولا تجوز لوارث وصيه ولا تجوز وصيه في اكثر من الثلث والولد للفراش وللعاهر الحجرمن ادعى الى غير ابيه اوتولى غير مواليه فعليه لعنة الله والملائكة والناس اجمعين لا يقبل منه صرف ولاعدل . والــــــــــــــــــــــــــــــــســــــــــــــــــــــــــــــــلام عليكم ورحمة الله

ايها الناس ان الله قد قسم لكل وارث نصييبه من الميراث ولا تجوز لوارث وصيه،ولا تجوز وصيه في اكثرمن الثلث والولد للفراش وللعاهر الحجر ،من ادعى الى غير ابيه او تولى غير مواليه فعليه لعنة الله والملائكه والناس اجمعين لا يقبل منه صرف ولاعدل والسلام عليكم ورحمة الله وفي هذا اليوم امتن الله على المؤمنين بقوله(اليوم اكملت لكم دينكم واتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الاسلام دينا)



বিদায় হজ্বের ভাষনের বঙ্গানুবাদ (বুঝার সুবিধার্থে, অনুবাদের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও হুবহু শাব্দিক অর্থ গ্রহন করা সম্ভব হয়নি)

শুক্রবার, ৯ জ্বিলহজ, ১০ হিজরী বর্ষে আরাফার দিন দুপুররে পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লক্ষাধিক (১,২৪,০০০ মতান্তরে ১,৪৪,০০০) সাহাবীর মহাসমাবেশে হজ্বের সময় বিখ্যাত এই ভাষণ দেন। হামদ এবং সানা তথা মহান রবের প্রশংসা স্তুতি জ্ঞাপনের মাধ্যমে আরাফা প্রাঙ্গনের জাবালে রহমতের পাদদেশে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশ্যে স্বীয় ভাষন শুরু করেন মহানবী। তিনি ইরশাদ করেন,

'সকল প্রশংসা কেবল আল্লাহ তাআ'লার প্রাপ্য। আল্লাহ পাক ছাড়া আর কোনো মা’বুদ নেই। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। আল্লাহ তাঁর ওয়াদা পূর্ন করেছেন। তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন। আর তিনি একাই বাতিল শক্তিগুলো পরাভূত করেছেন। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি এবং আমরা তাঁরই নিকট সহায়তা ও সাহায্য প্রার্থনা করি। এবং তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা তাঁরই নিকট আমাদের নফসের অমঙ্গলময় ও পাপপূর্ন প্ররোচনা থেকে এবং তার পরিনতিতে আমাদের নিজেদের পাপকর্ম থেকে আশ্রয় চাই। আল্লাহ তাআ'লা যাকে পথ দেখান কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না - আর যাকে বিপথগামী হতে দেন, তাকে কেউ পথ প্রদর্শন করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআ'লা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক ও একক। তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা এবং প্রেরিত রাসূল।

হে আল্লাহর বান্দাগন! আমি তোমাদের আল্লাহর ইবাদত ও তাঁর বন্দেগীর ওসিয়ত করছি এবং এর নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে যে তোমরা আল্লাহ পাকের আনুগত্য কর। তোমাদের সামনে আমিই নেক কাজের সূচনা করেছি।

হে উপস্থিত লোক সকল! তোমরা আমার কথা শোন। এবারের পর এই স্থানে তোমাদের সাথে আর সাক্ষাত নাও হতে পারে। তোমাদের রক্ত এবং ধন-সম্পদ পরস্পরের জন্য চিরস্থায়ীভাবে হারাম করা হলো। যেমন আজকের এই দিন, এই মাস এবং তোমাদের এই শহর সকলের জন্য হারাম (পবিত্র ও নিরাপদ)। সাবধান! আমি তোমাদের কাছে এই সত্যের বানী পৌঁছে দিলাম। হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। তোমাদের মধ্যে যার কাছে অন্যের আমানত রয়েছে সে যেন তা তার মালিকের নিকট পৌঁছে দেয়।

শোনো, জাহিলিয়্যাতের সময়েল কুপ্রথাদি আমার পদতলে পিষ্ট করা হয়েছে। জাহিলিয়্যাতের খুনও খতম করা হয়েছে। সর্বপ্রথম আমি আমের বিন রবীয়ার খুনের দাবি রহিত করলাম। জাহিলিয়্যাত যুগের সমস্ত সুদ বাতিল করা হলো। সর্বপ্রথম আমি আমার চাচা আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিব এর সুদ রহিত করলাম।

জাহিলিয়্যাত যুগের সমস্ত পদ পদবী ও সম্মান বাতিল করা হল। কেবল আল্লাহর ঘরের হিফাজত, সংরক্ষণ ও হাজিদের পানি পান করানোর ব্যবস্থা আগের মতো বহাল থাকবে। যে ইচ্ছাপূর্বক কাউকে হত্যা করলো তার বদলা (কিসাস) একশো উট নির্ধারন করা হল। যে ব্যক্তি এরচে' বেশি চাবে তার এ কাজ জাহিলিয়্যা যুগের কাজ বলে গন্য হবে।

হে উপস্থিত জনতা, এই ভূমিতে আবার শয়তানের পূজা হবে- এ বিষয়ে শয়তান নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু এই ভেবে সে খুশি যে, অন্যান্য গোনাহের কাজে তোমরা তার অনুসরন আনুগত্য করবে। সুতরাং তোমাদের দীনের বিষয়ে তোমরা শয়তান থেকে সাবধান থেকো।

হে মানব জাতি, বছরের মাসগুলোকে আপন জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়া কুফর বৃদ্ধি করারই নামান্তর। এক বছর তারা এটাকে (হারাম মাসকে) হালাল এবং অন্য বছর তারা একে হারাম করতো, যাতে সেই গণনা যা আল্লাহ পাক নির্ধারন করেছেন তা পূর্ন করতে পারে। নিশ্চয়ই যামানা ঘুরে সেই জায়গায় এসে গেছে যেখান থেকে সৃষ্টি জগতের সূচনা হয়েছিল। আল্লাহ পাকের কাছে গণনায় মাসের সংখ্যা বারোটি যা আল্লাহর কিতাবে সংরক্ষিত রয়েছে। যখন থেকে আল্লাহ পাক আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন তখন থেকেই চারটি মাসকে হারাম (পবিত্র এবং নিরাপদ) ঘোষনা করেছেন। তিনটি মাস ক্রমানুসারে যুক্ত এবং সেগুলো হলো, যিলক্কাদ, যিলহাজ্ব ও মুহাররম। বাকি একটি বি্চ্ছিন্ন আর তা হচ্ছে জমাদিউসসানী ও শা'বান মাসের মধ্যবর্তী মাস রজব মাস। সাবধান! আমি তোমাদের কাছে সত্যের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছি। হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন।

হে মানবজাতি, তোমাদের নারীদেরকে তোমাদের উপর কিছু অধিকার দেয়া হয়েছে। তোমাদেরও তাদের কাছে কিছু অধিকার প্রাপ্য রয়েছে। তোমাদের স্বামীদের শয়নকক্ষে তোমরা ছাড়া আর কাউকে আসতে না দেয়া তোমাদের কর্তব্য। কোন নির্লজ্জ ও অশ্লীল কাজ করা স্ত্রীদের উচিত নয়।

হে লোক সকল! আমি নারীদের সম্পর্কে তোমাদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি- তোমরা যখন তাদের উপর নির্মম ব্যবহার কর তখন আল্লাহ পাকের শাস্তি সম্পর্কে নির্ভীক হয়ো না। তোমরা অবশ্যই তাদেরকে আল্লাহর জমীনে গ্রহন করেছ এবং তাঁরই কালিমার মাধ্যমে তাদের সাথে তোমাদের সম্পর্ক হয়েছে। জেনে রেখো, নারীদের পুরুষদের অধীন করা হয়েছে। তাদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে তেমন তোমাদের উপরও তাদের অধিকার রয়েছে। সুতরাং, তাদের কল্যান সাধনের ব্যাপারে তোমরা আমার উপদেশ গ্রহন কর।

হে মানবজাতি, তোমাদের দাসদাসীর ব্যাপারে সাবধান! তোমরা যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। তোমরা যা পড়বে তাদের তাই পড়তে দিবে।

হে কুরাইশ সম্প্রদায়ের লোকেরা! তোমরা দুনিয়ার বোঝা নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে যেন আল্লাহর সামনে হাজির না হও। আমি আল্লাহর বিরুদ্ধে তোমাদের কোনোই উপকার করতে পারব না।

হে মানবজাতি, সকল মুসলমান ভাই ভাই। কোন মুসলমানের পক্ষে তার ভাই এর অনুমতি ব্যতিত তার সম্পদ গ্রহন করা বৈধ নয়। স্বয়ং আল্লাহ পাক প্রত্যেক হকদারের হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। সন্তান যার ঔরসে জন্মগ্রহন করেছে তাকে হক অবশ্যই দিতে হবে। ব্যাভিচারীর জন্য রয়েছে প্রস্তরাঘাতের শাস্তি। যে ব্যক্তি নিজের পিতার স্থলে অপরকে পিতা বলে পরচিয় দেয়, যে নিজের মাওলা বা অভিভাবককে ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে মাওলা বা অভিভাবক বলে পরচিয় দেয় তার ওপর আল্লাহর লা’নত। ঋণ অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। প্রত্যেক আমানত তার হকদারের কাছে অবশ্যই আদায় করে দিতে হবে। কারো সম্পত্তি সে যদি স্বেচ্ছায় না দেয়, তবে তা অপর কারো জন্য হালাল নয়। সুতরাং তোমরা একজন অপরজনের ওপর জুলুম করবে না। এমনভিাবে কোনো স্ত্রীর জন্য তার স্বামীর সম্পত্তির কোনো কিছু তার সম্মতি ব্যতিরিকে কাউকে দেয়া হালাল নয়। যদি কোনো নাক, কান কাটা হাবশি দাসকেও তোমাদের আমির বানিয়ে দেয়া হয় তবে সে যত দিন আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের পরিচালিত করবে, ততদিন অবশ্যই তার কথা মানবে, তার প্রতি আনুগত্য প্রর্দশন করবে।

শোনো, তোমরা তোমাদের প্রভুর ইবাদত করবে। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত যথারীতি আদায় করবে, রমজানের রোজা পালন করবে, স্বেচ্ছায় ও খুশি মনে তোমাদের সম্পদের জাকাত দিবে, তোমাদরে রবের ঘর বায়তুল্লাহর হজ করবে আর আমিরের ইতা’আত করবে, তাহলে তোমরা জান্নাতে দাখিল হতে পারবে।

হে লোক সকল! আমার পর আর কোনো নবী নেই, আর তোমাদের পর কোনো উম্মতও নেই। আমি তোমাদের কাছে দু’টো জিনিষ রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দু’টোকে আঁকড়ে থাকবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। সে দু’টো হলো- আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাত।

তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকবে। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীগন দীনের ব্যাপারে এই বাড়াবাড়ির দরুন ধ্বংস হয়েছে।

শোনো, তোমরা যারা উপস্থিত আছো, যারা উপস্থিত নেই তাদের কাছে এই পয়গাম পৌঁছে দিও। অনেক সময় দেখা যায়, যার কাছে পৌঁছানো হয় সে পৌঁছানেওয়ালার তুলনায় অধিক সংরক্ষণকারী হয়।

হে লোক সকল! আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করছেন, হে মানবজাতি, তোমাদের আমি একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে পয়দা করেছি এবং তোমাদের সমাজ ও গোত্রে ভাগ করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরের পরিচয় জানতে পারো। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর দরবারে অধিকতর সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী, যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া অবলম্বন করে, সব বিষয়ে আল্লাহর কথা অধিক খেয়াল রাখ। ইসলামে জাত, শ্রেনিভেদ ও বর্নবৈষম্য নেই।

হে মানবজাতি, তোমাদের সবার প্রভূ এক, তোমাদের সকলের আদি পিতাও এক, সুতরাং আরবের ওপর কোনো আজমের, আজমের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তেমনি সাদার ওপর কালোর বা কালোর ওপর সাদার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। মর্যাদার ভিত্তি হলো কেবলমাত্র তাকওয়া।'

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ভাষনের শেষে উপস্থিত সাহাবীদের জিজ্ঞেস করলেন, হে লোকসকল! কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ তাআ'লা তোমাদেরকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তোমরা কি জবাব দিবে? সমবেত সবাই সমস্বরে উত্তর দিলেন, আমরা সাক্ষ্য দিব, আপনি নিশ্চয় আপনার ওপর অর্পিত আমানত আদায় করেছেন, রিসালাতের দায়িত্ব যথাযথ আনজাম দিয়েছেন এবং সবাইকে নসিহত করেছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকাশের দিকে পবিত্র শাহাদাত অঙ্গুলি তুলে আবার নিচে সমবেত লক্ষাধিক সাহাবীর দিকে নামালেন। এবং ভারাক্রান্ত কন্ঠে তিন বার উচ্চারন করলেন, আল্লাহুম্মাশহাদ! আল্লাহুম্মাশহাদ! আল্লাহুম্মাশহাদ! অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন।

এরপরে ভাবের আতিশয্যে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষন নিরব থাকেন। জান্নাতী এক নূর যেন তাঁর পবিত্র চেহারাকে মুনাওয়ার করে দিল। নবুয়তের গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার পর তাঁর অন্তরে যেন স্বর্গীয় স্বস্তি নেমে এল। আর সেই সময়ে নাজিল হয় কুরআনে পাকের বিখ্যাত আয়াত-

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا

অর্থ- 'আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।' সূরাহ আল মা-য়িদাহ, আয়াত-৩

হযরত উমর ফারুক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এই আয়াত শুনে কাঁদতে শুরু করেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, কাঁদছি এজন্যে যে, পূর্নতার পর তো শুধু অপূর্নতাই বাকি থাকে।

এরপর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে মানবসকল! তোমরা যারা এখানে উপস্থিত রয়েছো, তারা এই বানী অনুপস্থিতদের নিকট পৌঁছে দিও।



Prophet Muhammad’s (peace and blessings be upon him) farewell sermon in English:


9 DhulHijjah 10 AH (9 March 632) at Mount Arafat

Prophet Muhammad (peace and blessings be upon him) undertook his farewell pilgrimage in the year 10 A.H. His farewell pilgrimage to Mecca is one of the most significant historical events in the minds of Muslims, for it was the first and last pilgrimage performed by Prophet Muhammad, as well as being the model for performing the fifth pillar of Islam, Hajj.

Prophet Muhammad’s final sermon was delivered during the Hajj of the year 632 C.E., the ninth day of Dhul Hijjah, the 12th month of the lunar year, at Arafat, the most blessed day of the year. There were numerous Muslims present with the Prophet during his last pilgrimage when he delivered his last sermon.

Even today, the last sermon of Prophet Muhammad (peace be upon him) is passed to every Muslim in every corner of the world through all possible means of communication. Muslims are reminded of it in mosques and in lectures. Indeed the meanings found in this sermon are astounding, touching upon some of the most important rights Allah Almighty has over humanity, and humanity has over each other. Though the Prophet’s soul (peace be upon him) has left this world, his words are still living in our hearts.

After praising and thanking Allah, Prophet Muhammad (peace and blessings be upon him) said:

“O People, lend me an attentive ear, for I know not whether after this year, I shall ever be amongst you again. Therefore listen to what I am saying to you very carefully and TAKE THESE WORDS TO THOSE WHO COULD NOT BE PRESENT HERE TODAY.

O People, just as you regard this month, this day, this city as sacred, so regard the life and property of every Muslim as a sacred trust. Return the goods entrusted to you to their rightful owners. Hurt no one so that no one may hurt you. Remember that you will indeed meet your Lord, and that He will indeed reckon your deeds. Allah has forbidden you to take usury (interest); therefore all interest obligations shall henceforth be waived. Your capital, however, is yours to keep. You will neither inflict nor suffer any inequity. Allah has judged that there shall be no interest and that all the interest due to Abbas ibn Abdul Muttalib (Prophet’s uncle) shall henceforth be waived…

Beware of Satan, for the safety of your religion. He has lost all hope that he will ever be able to lead you astray in big things, so beware of following him in small things.

O People, it is true that you have certain rights with regard to your women, but they also have rights over you. Remember that you have taken them as your wives only under Allah’s trust and with His permission. If they abide by your right then to them belongs the right to be fed and clothed in kindness. Do treat your women well and be kind to them for they are your partners and committed helpers. And it is your right that they do not make friends with any one of whom you do not approve, as well as never to be unchaste.

O People, listen to me in earnest, worship Allah, perform your five daily prayers (salah), fast during the month of Ramadan, and give your wealth in zakat (almsgiving). Perform Hajj if you can afford it.

All mankind is from Adam and Eve, an Arab has no superiority over a non-Arab nor a non-Arab has any superiority over an Arab; also a white has no superiority over black nor does a black have any superiority over a white except by piety and good action. Learn that every Muslim is a brother to every Muslim and that the Muslims constitute one brotherhood. Nothing shall be legitimate to a Muslim which belongs to a fellow Muslim unless it was given freely and willingly. Do not, therefore, do injustice to yourselves.

Remember, one day you will appear before Allah and answer for your deeds. So beware, do not stray from the path of righteousness after I am gone.

O People, no prophet or apostle will come after me and no new faith will be born. Reason well, therefore, O People, and understand words which I convey to you. I leave behind me two things, the QURAN and my example, the SUNNAH and if you follow these you will never go astray.
All those who listen to me shall pass on my words to others and those to others again; and may the last ones understand my words better than those who listen to me directly. Be my witness, O Allah, that I have conveyed your message to your people”.

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

আটলান্টিক বলেছেন: দীর্ঘ পোষ্ট।তথ্যবহুল পোষ্ট।মনযোগ দিয়ে পড়লাম।কিন্তু ইংলিশ কেন?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মনযোগের সাথে দীর্ঘ পোস্টটি পাঠ করায় এবং সুন্দর মন্তব্যে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।

আমাদের কথাগুলো মূলত: কোন নির্দিষ্ট ভাষাভাষীকে উদ্দেশ্য করে নয়। সারা পৃথিবীর সকল ভাষার সকল মানুষের কানে কানে এই মহান বানী পৌঁছে যাক এটাই হৃদয়ের একান্ত কামনা। বিশ্বনবীর বানীর তন্ময়তায় আকন্ঠ মগ্ন হোক বিশ্বের সকল ভাষার সকল মানুষ। অন্তর ছুঁয়ে প্রত্যেক ভাষার প্রত্যেকের। সে বাসনা থেকেই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি অনুবাদটাও রাখার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। সম্ভব হলে প্রচলিত সকল ভাষায় এই পোস্ট দিয়ে দিতাম!

আবারও ধন্যবাদ। ভাল থাকুন অনেক।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

নতুন বলেছেন: مسلم الآن أيام لا تتبع هذا.

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:




من غير ريب

- ذلك بعيدا عن السؤال

أهلا بك

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় লেখা পড়লে মনটা শান্তি শান্তি লাগে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই। আসলে হৃদয়ের শান্তি তো আল্লাহ পাকের স্মরনের ভেতরেই নিহিত। আর আল্লাহ পাকের স্মরন তো ধর্মীয় বিষয়াদি আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।

অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকুন।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক অমর অক্ষয় অব্যয় ভাষন

সৃষ্টির আদি থেকে অন্তে অতুলনীয়, ন্যায়-নীতি, মানবতা, মুক্তির পথে অবিস্মরনীয় বাক্য মালা।
হায় যদি মুসলমান নামধারীরা এর কিছু অংশও বাস্তব জীবনে গ্রহণ করত -সমাজ বদলে যেত বহু বহু গুনে!
অবশ্য যে মুসলমান হয়েছে সে অবশ্যই তা পালনের চেষ্টায় রত থাকে।

আমিতো সমাজে মুসলমান খুঁজেই পাইনা!!!
নাম তারেক আজিজ ইরাকের মন্ত্রী যেমন মুসলিম নয়- তেমনি বহু বহু নাম আছে সত্য, মুসলমানিত্ব নেই!
কারণ মুসলমান হওয়া কোন পৈত্রিক উত্তরাধীকার নয়! এটা প্রত্যেককে অর্জন করে নিতে হয়!
এটা আমার ব্যক্তগিত মত নয়- মহান আল্লাহর ঘোষনা
সূরা আলে ইমরানের ১০২ ও ১০৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ (102) وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنْتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنْتُمْ عَلَى شَفَا حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ فَأَنْقَذَكُمْ مِنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آَيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ (103). "হে বিশ্বাসীগণ তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করোনা।"

কতবড় দায় কত বেশি গুরুত্বপূর্ন বিষয় ভাবলেও মন শিহরিত হয়! মরার আগে মর মুসলমান না হয়ে মরো না! অথচ
আমরা গাফেল! নাম আর পোষাক, আর গরু মেরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি- আর বেহুদা হুরের স্বপ্ন দেখছি!
মুসলমানিত্ব তবে কোথায়?
বিশ্বাসে, কর্মে, চেতনায়, আচরণে, সংষ্কৃতিতে তথা সার্বিক জীবন যাপনে।

দু:খিত ভায়া অফটপিক অনেক কিছু বলে ফেললাম। মুসলমান শব্দটা থেকেই এতকথা এল।

এই ভাষন জাগরুক থাকুক প্রত্যেক বিশ্বাসীর, মুসলমানের, মুমিনের হৃদয়ে চরি ভঅস্বর হয়ে!
কর্মে, চেতনায়, আচরণে, সংষ্কৃতিতে সর্বানুভবে।

++++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এক অমর অক্ষয় অব্যয় ভাষন


সৃষ্টির আদি থেকে অন্তে অতুলনীয়, ন্যায়-নীতি, মানবতা, মুক্তির পথে অবিস্মরনীয় বাক্য মালা।



-অনেক সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছেন মানবতার মুক্তির দিশারী বিশ্বনবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিদায় হজ্বের সংক্ষিপ্ত কিন্ত অনবদ্য অবিস্মরনীয় ভাষনের অমূল্য কথামালাকে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা অপরিসীম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



হায় যদি মুসলমান নামধারীরা এর কিছু অংশও বাস্তব জীবনে গ্রহণ করত -সমাজ বদলে যেত বহু বহু গুনে!
অবশ্য যে মুসলমান হয়েছে সে অবশ্যই তা পালনের চেষ্টায় রত থাকে।

আমিতো সমাজে মুসলমান খুঁজেই পাইনা!!!
নাম তারেক আজিজ ইরাকের মন্ত্রী যেমন মুসলিম নয়- তেমনি বহু বহু নাম আছে সত্য, মুসলমানিত্ব নেই!
কারণ মুসলমান হওয়া কোন পৈত্রিক উত্তরাধীকার নয়! এটা প্রত্যেককে অর্জন করে নিতে হয়!
এটা আমার ব্যক্তগিত মত নয়- মহান আল্লাহর ঘোষনা
সূরা আলে ইমরানের ১০২ ও ১০৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ (102) وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنْتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنْتُمْ عَلَى شَفَا حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ فَأَنْقَذَكُمْ مِنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آَيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ (103). "হে বিশ্বাসীগণ তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করোনা।"

কতবড় দায় কত বেশি গুরুত্বপূর্ন বিষয় ভাবলেও মন শিহরিত হয়! মরার আগে মর মুসলমান না হয়ে মরো না! অথচ
আমরা গাফেল! নাম আর পোষাক, আর গরু মেরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি- আর বেহুদা হুরের স্বপ্ন দেখছি!
মুসলমানিত্ব তবে কোথায়?
বিশ্বাসে, কর্মে, চেতনায়, আচরণে, সংষ্কৃতিতে তথা সার্বিক জীবন যাপনে।


-প্রকৃত মুসলিম হৃদয়ের অব্যক্ত হাহাকারগুলো ধ্বনিত হয়েছে অনুভূতির আয়নায়। ইসলামের শ্বাশত আদর্শ বিমুখ আজকের মুসলিম সমাজ ঠিক জানেও না যে কতটা উর্ধ্বে ছিল তাদের শীর- কতটা উচ্চে ছিল তাদের অবস্থান। এককালের জগতের সর্বোত্তম আদর্শের ফেরিওয়ালা-জাতির সূর্য্য সন্তানরা তাদের আত্মপরিচয় বিস্মৃত হয়ে অন্য জাতির দ্বারে দ্বারে আজ তাদের তথাকথিত আদর্শ ভিক্ষায় মগ্ন!

অন্যদিকে পরম প্রভূ মহান প্রতিপালকের সম্মুখে হাজির হবার অমোঘ ঘোষনা অবহিত হওয়ার পরেও পরকাল এবং দ্বীনবিমুখ তাদের পার্থিব লাভ আর লোভ সর্বস্ব হীন জীবন সত্যিকারের দ্বীনদরদীদের হৃদয়ে অবিরাম রক্তক্ষরনের কারন। আল্লাহ পাক এ অবস্থা থেকে উত্তরনে মুসলিম জাতির ভেতরে সঠিক চেতনা জাগিয়ে দিন। দ্বীন ঈমান আমল নিয়ে, বাস্তব জীবনে ইসলামের চর্চা করে- সীরাতে, সূরতে, আমলে, আখলাকে, আদবে, আচরনে- আকিদায়, বিশ্বাসে, কর্মে, চেতনায়, সংকল্পে, সংষ্কৃতিতে সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ন ইসলাম মেনে তাঁর রেজামন্দি হাসিলের মাধ্যমে জান্নাতের মেহমানের উপযুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন।

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা খাইর।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত ভায়া অফটপিক অনেক কিছু বলে ফেললাম। মুসলমান শব্দটা থেকেই এতকথা এল।

এই ভাষন জাগরুক থাকুক প্রত্যেক বিশ্বাসীর, মুসলমানের, মুমিনের হৃদয়ে চরি ভঅস্বর হয়ে!
কর্মে, চেতনায়, আচরণে, সংষ্কৃতিতে সর্বানুভবে।


-দু:খ পেতাম বরং যদি এই অমূল্য কথাগুলো আপনি না বলতেন!

আবারও কৃতজ্ঞতা।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিদায় হজ্জের ভাষন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বযুগের শেষ্ট ভাষন ।
এই ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল ইবাদত মুলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও তাতে ছিলো। আল্লার প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব ও ইবাদতের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো। মুহাম্মদ [স.] এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরণের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের ওপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্তের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসবকিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছিলো। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিলো। মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো। এখানে বিশেষ ভাবে অআরো উল্লেখ্য যে
সেদিন ভাষণ প্রদান করা হয়েছিল সেদিন কুরআনের সূরা মায়িদাহ'র ৩ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিলো , সেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :
আজ আমি তোমাদের ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকারীকে সুসম্পন্ন করলাম, আর ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম।

এই মহামুল্যবান বিদায় হজ্জের ভাষন নিয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



বিদায় হজ্জের ভাষন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বযুগের শেষ্ট ভাষন ।
এই ভাষণে ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছিলো। এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল ইবাদত মুলক অনুশাসন ছিলো না, বরং মানবসমাজের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশও তাতে ছিলো। আল্লার প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সাম্য ইত্যাদি সমাজ বিনির্মাণের অন্যতম সব বিষয়ই এই ভাষণের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এই ভাষণে আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব ও মানবসম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব ও ইবাদতের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছিলো। মুহাম্মদ [স.] এই ভাষণে সমাজ ও রাষ্ট্রে অরাজকতা, বিদ্রোহ এবং কুপরামর্শ প্রদানকারী শয়তানদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই ভাষণে বিভিন্ন ধরণের সুদপ্রথা রহিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো এই ভাষণে। মানুষে মানুষে আত্মীয়তার বন্ধন, বিশেষ করে রক্তের সম্পর্কের ওপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষের মুক্তি লাভের ওপর জোর দেয়া হয়েছিলো। এই ঐতিহাসিক ভাষণে স্বর্গ-মর্তের সকল কিছুর ওপর আল্লাহর কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত করা হয়েছিলো এবং মানুষকে এসবকিছুর আমানতদার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহর মালিকানায় সবার অধিকার স্বীকৃত বলে উত্তরাধিকার আইনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করা হয়েছিলো। আমানতের খেয়ানতকারীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিলো। মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিলো। সাম্য, স্বাধীনতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব এবং বদান্যতা ও মানবতার পরম ধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিলো। এখানে বিশেষ ভাবে অআরো উল্লেখ্য যে
সেদিন ভাষণ প্রদান করা হয়েছিল সেদিন কুরআনের সূরা মায়িদাহ'র ৩ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিলো , সেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :
আজ আমি তোমাদের ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকারীকে সুসম্পন্ন করলাম, আর ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম।

-অল্প কথায় বিদায় হজ্বের ভাষনের সারমর্মটা আপনি তুলে ধরেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

পোস্ট পাঠ করায় এবং অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অনেক কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ পাক আপনার মেধা যোগ্যতাকে আরও বৃদ্ধি করুন। শারীরিক সুস্থতা দান করুন। মনের প্রশান্তি বজায় রাখুন।

অনেক ভাল থাকার দোআ।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১১

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, আপনার প্রচেস্টার জন্য আল্লাহ্‌তায়ালা আপনার ভালো করুন! আমীন!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার ভাললাগায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

মহান রবের কাছে একই দোআ আপনার জন্যও।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেকদিন পর বিদায় হজ্বের ভাষণটা আবার পরে খুব ভালো লাগলো | একটা নেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর বড় দিকগুলো প্রায় সবই এই ছোট ভাষণে উল্লেখ করা আছে | সমাজকে ঠিক রাখার প্রয়োজনীয় সবচেয়ে মৌল দিকগুলোর ব্যাপারে খুবই বাস্তব সম্মত দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অল্প কথার এই অসাধারণ ভাষণে |

সুদের ব্যাপারে একটা কথা | এই ভাষণের মধ্যে দিয়ে সুদ রোহিত করা হয় ইসলামী সমাজে | পশ্চিমের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে এই সুদকে কেন্দ্র করেই | কিন্তু এর সমস্যাগুলো কিন্তু পশ্চিমের মানুষেরা বুঝতে পারছে |আমেরিকায় ছাত্রদের ইউনিভার্সিটিতে লোন নিতে হয় | পড়া শেষ করে অনেক ছেলে মেয়েরই লক্ষ ডলারের লোন হয়ে যায় সুদ নিয়ে | অনেক সময় দেখা যায় পড়াশোনা শেষ করে ছেলেমেয়েরা ভালো চাকুরী পাচ্ছে না | তখন এই লোন সুদের কারণে অনেক বেড়ে যায় | এটা শোধ করতে গিয়ে অনেকেরই জীবন শেষ হয়ে যায় | এটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে আমেরিকায় ইদানিং | আমেরিকার জাতীয় ঋণের অন্যতম একটা বুর অংশ এই স্টুডেন্ট লোন | কি করে এই সুদ বাদ দেওয়া যায় এটা নিয়ে এদের মধ্যে অনেক তর্ক বিতর্কই হচ্ছে এখন | অথচ সুদের সমস্যাটা যাতে মানুষের জীবন ধ্বংস না করে এর জন্য হাজার বছর আগেই সেটা ইসলামে রোহিত করে দেওয়া হয়েছে !!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেকদিন পর বিদায় হজ্বের ভাষণটা আবার পরে খুব ভালো লাগলো | একটা নেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর বড় দিকগুলো প্রায় সবই এই ছোট ভাষণে উল্লেখ করা আছে | সমাজকে ঠিক রাখার প্রয়োজনীয় সবচেয়ে মৌল দিকগুলোর ব্যাপারে খুবই বাস্তব সম্মত দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অল্প কথার এই অসাধারণ ভাষণে |

-অনেক অনেক ভাললাগার মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত! বরাবরই আপনার প্রতিটি মন্তব্য অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ি। প্রতিটিই বারবার পড়ার মত। সত্যি বলতে কি, নিজের অজান্তে আপনার জন্য দোআ আশির্বাদ এসে যায়। আল্লাহ পাক আপনার দুই জগত উজ্জ্বল করুন।

আমেরিকার তরুন উদীয়মান প্রজন্মের শিক্ষা ঋন বিষয়ে যে কথা শোনালেন তা তো একটি সুস্থ জাতি ও সমাজের জন্য রীতিমত ভয়ঙ্কর। অবস্থা যদি এমনই হয়ে থাকে, মনে হয় এই সূদই ওদের ধ্বংস করে ছাড়বে। আর সূদ যে ধ্বংসেরই হাতিয়ার তা তো বলাই বাহুল্য। পবিত্র কুরআনে সূদ সংশ্লিষ্টদের (দাতা গ্রহীতা) আল্লাহ পাকের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে।

অনেক অনেক ভাল থাকুন বিদেশ বিভূইয়ে।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আগে পড়েছি বইয়ে, পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম পরে মনযোগ সহকারে পড়ব।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা। পূর্বে বইতে পড়েছেন বলে ধন্যবাদ। পড়ার ইচ্ছে আবারও পূরন হোক। এবং শিগগিরই।

অনেক ভাল থাকুন।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: হযরত মুহম্মদ (স) ---কুরআন ও তার সুন্নাহকে আকড়ে ধরার কথা বলেছেন বিদায় হজ্জের ভাষনে।

১। আপনি রসুল (সা: ) এর সুন্নাহ অর্থাৎ হাদীস লিখেছেন কেন? আপনি কি সুন্নাহ এবং হাদীস এর পার্থক্য জানেন না?
২। আল্লাহ কোরআনে বারবার বলেছেন একমাত্র সুন্নাহ হচ্ছে আল্লাহর সুন্নাহ ( সুন্নাতুল্লাহ) , আল্লাহ কোথাও “সুন্নাতু-মুহাম্মদ”বলেননি।
৩। আপনি শুধু একটা হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন যেইটা আপনার পক্ষে যায়। এই সম্পর্কে তিন ধরনের হাদীস পাওয়া যায়ঃ
বিদায় হজ্জের ভাষনে নবী বলেছেনঃ আমি তো্মাদের জন্য দুইটা জিনিস রেখে যাচ্ছি, তা হলঃ

ক। কোরআন এবং সুন্নাহ ( মুয়াত্তা ৪৬/৩)
খ। কোরআন এবং আহলে বায়াত (মুসলিম ৪৪/৪, হাদিস ২৪০৮, ইবেন হাম্বল ৪/৩৬৬)
গ। শুধুমাত্র কোরআন (মুসলিম ১৫/১৯, হাদীস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬)

আপনি ক, খ ও গ এই তিন ভার্ষান হাদিসের মধ্যে (ক) কে বিশ্বাস করেন ( কোরআন এবং সুন্নাহ ) ,
তাহলে আপনি বাকি হাদীসগুলিকে ( খ এবং গ ) কি বাতিল করছেন না?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



'ক' কে বিশ্বাস করলে আপনার উল্লেখিত বাকি 'খ' ও 'গ' ক্রমিকের হাদিসের প্রতি বিশ্বাস অটোমেটিক এসে যায়। সুন্নাহ মানে- প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনাচার। আর হাদীস হচ্ছে তাঁর জীবনাচারের বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আপনি সুন্নাহ ফলো করতে চাইলে হাদিস আপনাকে জানতে হবে। হাদিস অনুসারেই সুন্নাহর অনুসরন করা সম্ভব। আর কেউ যখন বাস্তব জীবনে হাদিস ফলো করবে সে তো স্বাভাবিকভাবেই সাহাবী তথা আহলে বাইতের মতের উপরেই প্রতিষ্ঠিত থাকলেন। কারন, তাদের থেকেই, তাদের মাধ্যমে, তাদের বাস্তব জীবনে বাস্তবায়িত বিষয়গুলোই তো হাদিসের সাথে মিলে যায়। সুতরাং, সুন্নাহ, আহলে বাইত আর হাদিসের ভেতরে পার্থক্য করতে চান কেন বুঝতে কষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রিয় নবীজীর পুরো জীবনই যে পবিত্র কুরআনের প্রতিচ্ছবি, তা তো উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বর্নিত হাদিসেই পাওয়া যায়।

সুতরাং, এই সহজ কথা বুঝার জন্য এত দলিলের কি প্রয়োজন? তিন হাদিস উল্লেখের পরে প্রশ্ন করার কি আছে যে, আপনি কোনটা মানেন? আর কোনটা মানেন না? একটু বুঝার চেষ্টা করলে তো যে কারও নিকট প্রতিভাত হয়, তিনটি হাদিসের মূল বক্তব্য একই এবং এতে মূলত: কোন বৈপরিত্ব নেই।

শোকরিয়া। আপনি এসেছেন। ভাল থাকুন।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আর হাদীস হচ্ছে তাঁর জীবনাচারের বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
সে ব্যাখা কবে লেখা হয়েছিল এবং এত ভাগে বিভক্ত কেন ? সেই সব দলিল কি গ্রহণ যোগ্য ? তাহোলে তার জীবনচারে অথেনটিক ব্যাখা হয় কি করে ??
আর কেউ যখন বাস্তব জীবনে হাদিস ফলো করবে সে তো স্বাভাবিকভাবেই সাহাবী তথা আহলে বাইতের মতের উপরেই প্রতিষ্ঠিত থাকলেন।
সেই আহলে বাইতরা যে প্রথম থেকেই বিভক্ত -- আপনি বিবি আয়েশা (রা: ) কে অনুসরন করবেন না হযরত আলী ( রা: ) অনুসরন করবেন ? নাকি হযরত মুয়াবিয়া (রা: ) কে অনুসরন করবেন ।
। সুতরাং, সুন্নাহ, আহলে বাইত আর হাদিসের ভেতরে পার্থক্য করতে চান কেন বুঝতে কষ্ট হচ্ছে।
আপনি তো গোজামিল দেওয়ার জন্য ঐ ভিন্ন দুই এনটিটিকে এক করতে চান ।

অন্যদিকে, প্রিয় নবীজীর পুরো জীবনই যে পবিত্র কুরআনের প্রতিচ্ছবি, তা তো উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বর্নিত হাদিসেই পাওয়া যায়।
জী নবীজী আল্লাহর সুন্নাহ ( সুন্নাতুল্লাহ) অনুসরন করেছে এবং কোরানে আল্লাহর সুন্নাহ ( সুন্নাতুল্লাহ) অনুসরন করার কথা বলা হয়েছে , আল্লাহ কোথাও “সুন্নাতু-মুহাম্মদ”বলেননি।
একটু বুঝার চেষ্টা করলে তো যে কারও নিকট প্রতিভাত হয়, তিনটি হাদিসের মূল বক্তব্য একই এবং এতে মূলত: কোন বৈপরিত্ব নেই।

জী জী গোজামিল দেওয়ার কত রকমের তালবাহানা দেখাবেন যখন ধরা খেয়ে যান । হাদিস আর কোরানকে এক জীনিস বানিয়ে ফেলেছেন গোজামিল দেওয়ার জন্য ।

এই যে এক বিষয়ে তিন রকমের ভার্ষান পেলাম সেই ভাবে বহু বিষয়ে বহু ভার্ষান আছে সেগুলারেও বুঝি গোজামিল দিয়ে এক বানিয়ে ফেলবেন । এখন এত গুলো ভার্ষানের মধ্যে কোনটা গ্রহন করতে হবে সেটা অতি সহজে বের করা যায় এবং সেটা হোল যেটা কোরানের সাথে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ করে সেটা বাকি গুলো নহে --- গ। শুধুমাত্র কোরআন (মুসলিম ১৫/১৯, হাদীস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬) --

রসুল (সা: ) সুন্নাহ কথা বলা হোলে নিশ্চয়ই সাথে সাথে বিশুদ্ধ হাদিস সংগ্রহ শুরু হোত, এত পরে মানে ৩০০ বৎসর পরে শুরু হতো না ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ব্রেইনের ভাল কোন ডাক্তার পাওয়া যায় কি না- খোঁজ নিন। দ্রুত আপনার ব্রেইনের ট্রিটমেন্ট করানো দরকার। মগজ পঁচে গেলে সেই মানুষের মূল্য থাকে না। সুতরাং, সত্যের দিকে ফিরে আসার জন্য সুস্থ মগজ থাকা প্রয়োজন যেটা আপনার নেই। আপনি ছুতো নাতায় পেচিয়ে, প্যাচঘোচ লাগিয়ে দ্বীনের প্রত্যেক বিষয়কে জটিল যন্ত্রনার বিষয়ে পরিনত করতে মজা পান- আপনাকে অনেক দিন থেকেই দেখে আসছি। কুরআনের অপব্যাখ্যা, মহান সাহাবীদের সমালোচনা, হাদিস না মানার নানান ছলছুতো, মূর্তি জায়েজের পক্ষে উদ্ভট ফতোয়া তালাশ, নারী নেতৃত্বকে ইসলামে জায়েজ করনের জন্য প্রানপন প্রচেষ্টা এর সবই দেখেছি। সুতরাং, এই পোস্টে আপনার ফালতু ক্যাচালের অভিপ্রায় দেখে মোটেই আশ্চর্য্য হচ্ছি না। আসলে আপনার সাথে যুক্তি দেয়ার মানসিকতা আদৌ নেই। ইসলাম যুক্তির ধর্ম নয়। বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান। আল্লাহর বিধান মেনে নেয়াই আমাদের কাজ। এখানে যুক্তি খুঁজতে গেলে আপনার মত বিভ্রান্তির অন্ধকারে হারিয়ে যেতে হবে। আপনার প্রায় সকল যুক্তিই কু-যুক্তি। ফালতু ক্যাচালের অপপ্রয়াসে ভরপুর। আপনি কুরআন হাদিস ভালভাবে স্টাডি করুন। আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়েতের পথে পরিচালিত করুন।

শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকেও আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে রক্ষা করুন।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিদায় হজ্বের ভাষন সমস্ত পৃথিবীর মানুষের পথপ্রদর্শক । রাসুলের(স) অন্তিম চিরসত্য বানী সকল মানুষের মেনে চলা কর্তব্য।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সুন্দর বলেছেন। অবশ্যই সকল মানুষের জন্য মহানবীর সুমহান আদর্শ সর্বযুগে সর্বকালে অনুসরনযোগ্য।

অনেক শুভকামনা ভাই শেখ সাহেব।

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ব্রেইনের ভাল কোন ডাক্তার পাওয়া যায় কি না- খোঁজ নিন। দ্রুত আপনার ব্রেইনের ট্রিটমেন্ট করানো দরকার। মগজ পঁচে গেলে সেই মানুষের মূল্য থাকে না।
সেটা যে আপনার সমস্যা সেটা কি বোঝার বাকি, তা না হোলে সুন্নাহ , আইলে বাইত আর কোরানে কে এক জিনিস বানালেন কি করে ।
কুরআনের অপব্যাখ্যা, মহান সাহাবীদের সমালোচনা, হাদিস না মানার নানান ছলছুতো, মূর্তি জায়েজের পক্ষে উদ্ভট ফতোয়া তালাশ, নারী নেতৃত্বকে ইসলামে জায়েজ করনের জন্য প্রানপন প্রচেষ্টা এর সবই দেখেছি।
কুরানের অপব্যাখা তো আপনারা হাদিসের সাহায্যে করেন আপনারা। মহান সাহাবীরা যে বিভ্ক্ত ছিল সেটা কি সমালোচনা নাকি সত্য ঘটনা ? বিবি আয়েশা (রা: ) কেন হযরত আলী (রা: ) সাথে যুদ্ধ করতে গেলেন যদি তারা বিভক্ত না হ্তেন ? কেন হযরত মুয়াবিয়া ( রা: ) বিভক্ত ছিল ? হাদিস না মানার কথা কোথা থেকে আসলো ---- আমি তো একটা হাদিসকে সত্য বলে গ্রহন করলাম যেটা কোরানের সাথে ম্যাচ করে --- (গ) শুধুমাত্র কোরআন (মুসলিম ১৫/১৯, হাদীস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬) -- নাকি এটাকে হাদিস মনে করেন না ??
ইসলাম যুক্তির ধর্ম নয়।
তাহোলে যুক্তি দেখাতে যান কেন এবং গোজামিল মার্কা যুক্তির আশ্রয় নিয়ে হাদিস , আইলে বাইত আর কোরানকে একই পাল্লায় নিয়ে হাজির হন কেন ??
মূর্তি জায়েজের পক্ষে উদ্ভট ফতোয়া তালাশ
ভাষ্কর্যের পক্ষে সুরা সাবার ১২ এবং ১৩ নং আয়াতের উদাহরন আছে , আপনার দৃষ্ঠতাতো কম না যে কোরানের আয়াতকে উদ্ভট বলেন ???? হাউ ডেয়ার ইউ আর ?? !!!
, নারী নেতৃত্বকে ইসলামে জায়েজ করনের জন্য প্রানপন প্রচেষ্টা এর সবই দেখেছি।
জী স্বয়ং নবী করিম (সা: ) নারী নেত্বৃতে কাজ করতেন বিবি খাদিজার ব্যবসায় । নারী নেতৃত্ব হারামের হাদিস একটা জাল হাদিস এবং হাদিস বর্ণনা কারি একজন প্রমাণিত মিথ্যাবাদি এবং যার জন্য তার জেল হয়েছিল । সেটার বিস্তারিত বর্ণনা আগের অনেক পোষ্ঠে করা হয়েছে , লাগলে আবার দেওয়া যাবে ।

এক বিদায় হজ্জ নিয়ে তিন ভার্ষান হাদিস আছে যার মধ্য একটা সত্য এবং কোরান সম্মত -- এবং যদি সেই সত্য হাদিসটা মানি তাহোলে তারে বুঝি হাদিস অস্বীকার করা বুঝায় , নিজে আগে মাথার ট্রিটমেন্ট করেন তারপরে গাল চালাকি দেখায়েন । যুক্তি দিয়ে ধর্ম চলে না কিন্তু কু যুক্তি দিয়ে হাদিস , আইলে বাইত আর কোরানকে এক পাল্লায় এনে হাজির করছেন । মাথাটা কার খারাপ সেটা এখানেই বোঝা যায় !!!!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মগজের কথায় বুঝি কষ্ট পেয়েছেন, জনাব! ক্যাচাল নিয়ে অবতীর্ন হলেন যে!

এতো দেখছি সেই আগের ক্যাচাল! অভ্যাস বলে কথা! চিরাচরিত অভ্যাস কি আর এত সহজে ছাড়া যায়! রীতিমত ফালতু ক্যাচাল! বোগাস চিতবাত! পুরোটাই বিনোদন!

জ্বি, জনাব, আমি যদি বলি আপনার মগজে কোনও পোকা মাকড় আদৌ আক্রমন করেনি এবং আপনি বিশেষ কোনও পক্ষ অথবা দলের এজেন্সীও গ্রহন করেননি বরং আপনি বর্তমান জমানার তুলনাহীন বিশ্ববরেন্য আলেম, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ, হক্কানী, রব্বানী - তাহলে কি আপনি খুশি হবেন?

তবে, ট্রিটমেন্ট আপনার নেয়া উচিত! মাথা বলে কথা! সুবিধাবাদীদের কাছে মাথা বিক্রি দিয়ে কতটা লাভবান হয়েছেন?

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকেও আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে রক্ষা করুন।

জী শয়তানের পাল্লায় পড়ে আপনাদের যে অবস্থা যার কারনে সুন্নাহ , আইলে বাইত আর কোরান -এক জিনিস আবিষ্কার করেন !!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয়ের দোআটা ছিল আপনাকে সহ। আপনাকে বাদ দিয়ে নয়। কিন্তু এটাও যেহেতু নিজের গায়ে টেনে নিলেন। তাহলে তো আপনি নিজেকে নিজেই শয়তানের পক্ষে নিয়ে দাড় করালেন! আজব কারবার!!

হাত উপরে উঠিয়ে দেখুন তো, মাথা ঠিক তার অবস্থানে সঠিকভাবে আছে তো?

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বাপু, আপনি যা লিমহা দিছেন। বিল্কুল চমৎকার হয়েছে।
চিরন্তন শুভকামনা থাকলো।

আরবির প্রতি দক্ষতা আছে নাকি ইয়া আখিল-মুহ-তারাম?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন মন্তব্যে অভিনন্দন অন্তহীন।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আরবিতে দখল মোটামুটি বলতে পারেন।

ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.